আনিসুল হক জুয়েল, দিনাজপুর প্রতিনিধি
দিনাজপুর সদর উপজেলার গর্ভেশ্বরী নদীর ওপারে কয়েকটি গ্রামের কয়েক হাজার বাসিন্দার ভোগান্তি ছিল অনেক দিনের। নদীর ওপারে বেগুনপাড়া, সনকাহাট, কাচারীবাজার, পরেশ ডাক্তারপাড়া এমনকি কান্তনগর, কাহারোলের বাসিন্দাদের রামডুবিহাট, ভুসিরবন্দর অথবা রাণীরবন্দর এলাকায় সহজ পথে যাতায়াতের একমাত্র সড়কটি ছিল এই গর্ভেশ্বরী নদীর ওপর দিয়ে। শীতকালে পানির প্রবাহ না থাকায় নদীর ওপর দিয়ে চলাচল করা গেলেও বর্ষাকালে ভোগান্তিতে পড়তে হয় এই এলাকার বাসিন্দাদের। বর্ষা মৌসুমে আত্রাই নদীর ওপর নির্মিত বাঁধ ঘুরে যাতায়াত করতে হয় কয়েক কিলোমিটার এলাকা। তাই গর্ভেশ্বরী নদীর ওপর একটি সেতু নির্মাণ ছিল এলাকাবাসীর প্রাণের দাবি।
২০১৬-২০১৭ অর্থবছরে এই সেতু নির্মাণের বাজেট পাস হয়। দীর্ঘদিনের ভোগান্তি এবার ঘুচবে ভেবে আনন্দিত হয় এলাকাবাসী। সেতু নির্মাণও করা হয়, বাকি ছিল আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন। কিন্তু এর মধ্যে ২০১৭ সালের বন্যায় পার্শ্ববর্তী আত্রাই নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙে যায়। আর ওই বন্যার পানির স্রোতে মাঝখান থেকে ধসে যায় নবনির্মিত সেই সেতু! এরপর থেকে গত পাঁচ বছর ধরে ওভাবেই পড়ে আছে সেতুটি। ফলে নির্মাণ হিসেবে একটি সেতু পাওয়া গেলেও ভোগান্তি কমেনি এই এলাকার বাসিন্দাদের। এ ঘটনায় মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে তদন্ত কমিটি করা হয়। এ কারণে প্রায়ই পরিদর্শনে এসে ঘুরে যান তদন্ত কমিটির সদস্যরা। তবে সেতুতে আর কোনো কাজ হয়নি।
সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ধরধরিয়া হাড়গাঁও বাবুর বাজার থেকে ঝাড়ুয়াপাড়ায় যাওয়ার রাস্তায় ২০১৬-১৭ অর্থবছরে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে ৫৪ লাখ টাকা ব্যয়ে সেতুটি নির্মাণ করা হয়। প্রকল্পটি বাস্তবায়নকারী কর্মকর্তা ছিলেন তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার।
স্থানীয় রামডুবিহাট হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মো. ফরমাল আলী বলেন, ‘২০১৭ সালে বন্যার সময় উদ্বোধনের আগেই ব্রিজটি ধসে যায়। নদীর ওপারে বেশ কয়েকটি গ্রাম রয়েছে। বর্ষায় তাদের অনেক দূর ঘুরে যাতায়াত করতে হয়।’
বেগুনতাড়াপাড়া নিবাসী ভ্যানচালক আজগার আলী বলেন, ‘এই ব্রিজ উদ্ধোধন হওয়ার আগের দিন রাতে বন্যার পানিতে ভেঙে গেছে। ব্রিজ ভেঙে যাওয়ার পাঁচ বছর হয়ে গেল, কিন্তু নতুন করে আর ব্রিজটি হলো না। নদীর দুই পাড়ের মানুষের কী পরিমাণ কষ্ট তা বলে বোঝানো যাবে না। ব্রিজের জন্য স্থানীয় চেয়ারম্যান ও মেম্বাদের সঙ্গে এই গ্রামের মানুষের ঝগড়া-বিবাদ হয়ে গেছে।’
স্থানীয় বাসিন্দা সাইদুল ইসলাম বলেন, ‘এখন তো নদীতে পানি নেই, পার হওয়া যাচ্ছে। বর্ষার সময় নদীতে পানি থাকলে অনেক দূর দিয়ে ঘুরে রামুডুবি হাটে যেতে হয়। কয়েক বছর ধরে নতুন ব্রিজটি ভাঙা অবস্থায় আছে, কারও খেয়াল নেই।’
পরেশ ডাক্তারপাড়ার প্রমীলা রানী (৩৭) বলেন, ‘ব্রিজের জন্য হামার কষ্ট কেউ দেখে না। বর্ষার সময় মহিলা, অসুস্থ মানুষ নিয়া হামার বিপদের শেষ থাকে না। হামার একটাই দাবি ব্রিজটা তাড়াতাড়ি ঠিক করি দেউক।’
এ বিষয়ে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান অশোক কুমার রায়ের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে তাঁকে পাওয়া যায়নি।
দিনাজপুর সদরের বর্তমান প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. জসিম উদ্দীন বলেন, ‘সেতুটি ২০১৭ সালের বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ সময় সারা দেশে শত শত ব্রিজ-কালভার্ট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটি একাধিকবার ক্ষতিগ্রস্ত ব্রিজটি পরিদর্শন করেছে। তবে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।’
দিনাজপুর সদর উপজেলার গর্ভেশ্বরী নদীর ওপারে কয়েকটি গ্রামের কয়েক হাজার বাসিন্দার ভোগান্তি ছিল অনেক দিনের। নদীর ওপারে বেগুনপাড়া, সনকাহাট, কাচারীবাজার, পরেশ ডাক্তারপাড়া এমনকি কান্তনগর, কাহারোলের বাসিন্দাদের রামডুবিহাট, ভুসিরবন্দর অথবা রাণীরবন্দর এলাকায় সহজ পথে যাতায়াতের একমাত্র সড়কটি ছিল এই গর্ভেশ্বরী নদীর ওপর দিয়ে। শীতকালে পানির প্রবাহ না থাকায় নদীর ওপর দিয়ে চলাচল করা গেলেও বর্ষাকালে ভোগান্তিতে পড়তে হয় এই এলাকার বাসিন্দাদের। বর্ষা মৌসুমে আত্রাই নদীর ওপর নির্মিত বাঁধ ঘুরে যাতায়াত করতে হয় কয়েক কিলোমিটার এলাকা। তাই গর্ভেশ্বরী নদীর ওপর একটি সেতু নির্মাণ ছিল এলাকাবাসীর প্রাণের দাবি।
২০১৬-২০১৭ অর্থবছরে এই সেতু নির্মাণের বাজেট পাস হয়। দীর্ঘদিনের ভোগান্তি এবার ঘুচবে ভেবে আনন্দিত হয় এলাকাবাসী। সেতু নির্মাণও করা হয়, বাকি ছিল আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন। কিন্তু এর মধ্যে ২০১৭ সালের বন্যায় পার্শ্ববর্তী আত্রাই নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙে যায়। আর ওই বন্যার পানির স্রোতে মাঝখান থেকে ধসে যায় নবনির্মিত সেই সেতু! এরপর থেকে গত পাঁচ বছর ধরে ওভাবেই পড়ে আছে সেতুটি। ফলে নির্মাণ হিসেবে একটি সেতু পাওয়া গেলেও ভোগান্তি কমেনি এই এলাকার বাসিন্দাদের। এ ঘটনায় মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে তদন্ত কমিটি করা হয়। এ কারণে প্রায়ই পরিদর্শনে এসে ঘুরে যান তদন্ত কমিটির সদস্যরা। তবে সেতুতে আর কোনো কাজ হয়নি।
সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ধরধরিয়া হাড়গাঁও বাবুর বাজার থেকে ঝাড়ুয়াপাড়ায় যাওয়ার রাস্তায় ২০১৬-১৭ অর্থবছরে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে ৫৪ লাখ টাকা ব্যয়ে সেতুটি নির্মাণ করা হয়। প্রকল্পটি বাস্তবায়নকারী কর্মকর্তা ছিলেন তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার।
স্থানীয় রামডুবিহাট হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মো. ফরমাল আলী বলেন, ‘২০১৭ সালে বন্যার সময় উদ্বোধনের আগেই ব্রিজটি ধসে যায়। নদীর ওপারে বেশ কয়েকটি গ্রাম রয়েছে। বর্ষায় তাদের অনেক দূর ঘুরে যাতায়াত করতে হয়।’
বেগুনতাড়াপাড়া নিবাসী ভ্যানচালক আজগার আলী বলেন, ‘এই ব্রিজ উদ্ধোধন হওয়ার আগের দিন রাতে বন্যার পানিতে ভেঙে গেছে। ব্রিজ ভেঙে যাওয়ার পাঁচ বছর হয়ে গেল, কিন্তু নতুন করে আর ব্রিজটি হলো না। নদীর দুই পাড়ের মানুষের কী পরিমাণ কষ্ট তা বলে বোঝানো যাবে না। ব্রিজের জন্য স্থানীয় চেয়ারম্যান ও মেম্বাদের সঙ্গে এই গ্রামের মানুষের ঝগড়া-বিবাদ হয়ে গেছে।’
স্থানীয় বাসিন্দা সাইদুল ইসলাম বলেন, ‘এখন তো নদীতে পানি নেই, পার হওয়া যাচ্ছে। বর্ষার সময় নদীতে পানি থাকলে অনেক দূর দিয়ে ঘুরে রামুডুবি হাটে যেতে হয়। কয়েক বছর ধরে নতুন ব্রিজটি ভাঙা অবস্থায় আছে, কারও খেয়াল নেই।’
পরেশ ডাক্তারপাড়ার প্রমীলা রানী (৩৭) বলেন, ‘ব্রিজের জন্য হামার কষ্ট কেউ দেখে না। বর্ষার সময় মহিলা, অসুস্থ মানুষ নিয়া হামার বিপদের শেষ থাকে না। হামার একটাই দাবি ব্রিজটা তাড়াতাড়ি ঠিক করি দেউক।’
এ বিষয়ে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান অশোক কুমার রায়ের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে তাঁকে পাওয়া যায়নি।
দিনাজপুর সদরের বর্তমান প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. জসিম উদ্দীন বলেন, ‘সেতুটি ২০১৭ সালের বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ সময় সারা দেশে শত শত ব্রিজ-কালভার্ট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটি একাধিকবার ক্ষতিগ্রস্ত ব্রিজটি পরিদর্শন করেছে। তবে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।’
চট্টগ্রাম ওয়াসার পানি উৎপাদন ও চাহিদার মধ্যে প্রতিদিন ৫ কোটি লিটারের ফারাক। অনেক জায়গায় সুপেয় পানির জন্য হাহাকার করছে নগরবাসী। কিন্তু মানুষের ভোগান্তিকে দূরে ঠেলে নতুন মোবাইল কেনা এবং ভ্রমণ বিলাসে মেতেছেন ওয়াসার কর্মকর্তারা। সংস্থার ৯১ কর্মকর্তার জন্য মোবাইল ফোন কেনা এবং ২২
২ ঘণ্টা আগেবঙ্গোপসাগরের তীরঘেঁষা উপকূলীয় জেলা বরগুনার ছয়টি উপজেলায় ১২ লাখ মানুষের বসবাস। তাঁদের চিকিৎসাসেবা নিশ্চিতের জন্য জেলার ১০০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালটি আধুনিকায়নের মাধ্যমে ২৫০ শয্যায় উন্নীত করা হয় ২০১৩ সালে। কিন্তু এক যুগেও হাসপাতালটির শূন্য পদে প্রয়োজনীয় চিকিৎসক ও নার্স নিয়োগ দেওয়া হয়নি।
২ ঘণ্টা আগেব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর পৌরসভায় ৮ কোটি ২৬ লাখ টাকা ব্যয়ে বাস্তবায়িত একটি পানি সরবরাহ প্রকল্পে চরম অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। প্রকল্পটি তিন বছর আগে উদ্বোধন করা হলেও আজ পর্যন্ত পৌরবাসীর ঘরে পৌঁছায়নি একফোঁটা পানি। প্রকল্পের কাজ কাগজ-কলমে সম্পন্ন দেখানো হলেও বাস্তবে এর অগ্রগতি ‘শূন্য’। ঠিকাদারি প্রত
২ ঘণ্টা আগেসুনামগঞ্জের টাঙ্গুয়ার হাওর, শহীদ সিরাজ লেক, শিমুলবাগানসহ পর্যটন এলাকায় গতি আনতে ২০১৮ সালে তাহিরপুরের ডাম্পের বাজার এলাকায় পাটলাই নদের ওপর সেতু নির্মাণ শুরু হয়। তিন বছরের মধ্যে সেতুর কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও তা হয়নি। উল্টো গত ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর সেতু চালু নিয়েই দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা।
২ ঘণ্টা আগে