বোদা (পঞ্চগড়) প্রতিনিধি
অভাব-অনটনের ইমরানের বেড়ে ওঠা। পরিবারে কখনো দুবেলা ভালোমন্দ খাওয়া জোটেনি। তবে খেয়ে-না খেয়ে নিজের স্বপ্নের ঠিকানা খুঁজে নিতে ভুল করেননি ইমরান হক। অসম্ভবকে সম্ভব করে এবার মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন প্রত্যন্ত এলাকার মেধাবী এই শিক্ষার্থী।
ইমরানের বাড়ি পঞ্চগড় জেলার বোদা উপজেলা সাকোয়া ইউনিয়নের খেরবাড়ী গ্রামে। বাবা পেশায় ভ্যানচালক, মা কাজ করেন খেত-খামার ও অন্যের বাড়িতে। তাঁদের পাঁচ সদস্যের পরিবার। ছেলে মেধাবী বলে মা-বাবা কখনো ছেলেকে তাঁদের কষ্ট বুঝতে দেননি। ছেলের কথা চিন্তা করে অনবরত কাজ করে গেছেন। রোদ-বৃষ্টিতে কঠোর পরিশ্রম করে ছেলেমেয়েদের পড়ালেখার খরচ দিয়েছেন। বাবা-মায়ের এই কষ্টের দাম দিলেন ইমরান। ২০২২ সালে ৩৯২৫তম স্থান অধিকার করে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন মানিকগঞ্জ কর্নেল আব্দুল মালেক মেডিকেল কলেজে।
ছোটবেলা থেকে পড়ালেখার প্রতি ইমরানের ছিল প্রচণ্ড আগ্রহ। পিএসসি, জেএসসি, এসএসসি ও এইচএসসিতে অর্জন করেছেন সাফল্য। পঞ্চম শ্রেণিতে বৃত্তি পেয়ে ভর্তি হন সাকোয়া উচ্চবিদ্যালয়ে। সেখানে এসএসসিতে পান গোল্ডেন জিপিএ। এসএসসি পাস করার পরে ছেলের ইচ্ছাকে প্রাধান্য দিয়ে কষ্টের মধ্যেও ভর্তি করান রংপুর ক্যান্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজে। সেখানে এইচএসসিতে গোল্ডেন জিপিএ না পেলেও জিপিএ-৫ পান ইমরান। এরপর মেডিকেলে পড়ার স্বপ্ন মাথায় নিয়ে যান রাজধানী ঢাকায়। খেয়ে-না খেয়ে বর্ণ নামের একটি কোচিং সেন্টারে পড়ালেখা করতে থাকেন। তাঁর মেধার কথা শুনে কোচিং সেন্টারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাঁর কোচিং ফি নেননি। কোচিংয়ের পাশাপাশি পরিবারের কষ্টের কথা চিন্তা করে প্রাইভেট পড়াতে শুরু করেন। অবশেষে প্রদীপ জ্বলল। মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ পেলেন ইমরান। কিন্তু আলোর চারপাশ যে ইমরানের অন্ধকার। কঠিন এই পথ পাড়ি দিতে খরচ করতে হবে প্রচুর টাকা।
ইমরানের বাবা-মা তাঁদের ছেলের ভবিষ্যৎ নিয়ে রয়েছেন দুশ্চিন্তায়। ভ্যান চালিয়ে আর খেতে কাজ করে ছেলের পড়াশোনার খরচ চালাতে পারবেন কি না, জানেন না। ভর্তির দিন যতই ঘনিয়ে আসছে, ততই যেন আনন্দের পাশাপাশি কুরে খাচ্ছে পিতা আইজউদ্দীন ও মা আঞ্জয়ারাকে। পরিবারে ইমরান ছাড়াও রয়েছে আরও দুই কন্যাসন্তান। এর মধ্যে মেজো মেয়ে অষ্টম, ছোট মেয়ে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
এ বিষয়ে মা আঞ্জয়ারা বলেন, ‘ছোটবেলা থেকে আমাদের অসুখ-বিসুখ হলে ছেলে বলত, একদিন তোমাদের কষ্টের আমি মূল্য দেব। ডাক্তার হয়ে তোমাদের ও এলাকার মানুষের কাজে আসব। ছেলের কথা ছেলে রেখেছে। কিন্তু ডাক্তারিতে ভর্তির সুযোগ পেয়ে আমাদের চিন্তা বাড়িয়েছে কয়েক গুণ। কী করে তার পড়ালেখার খরচ চালাব তা জানি না।’
ছেলের সাফল্যে বাবা আইজউদ্দীন বলেন, ‘কষ্ট ছিল, কিন্তু ছেলের পড়ালেখার আগ্রহ দেখে দেনা করে হলেও পড়ালেখার খরচ দিয়েছি। কখনো ছেলেকে কষ্টের সাগরে ভাসতে দিইনি।’
সাকোয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী সোমাইয়া আক্তার বলে, ‘ইমরান ভাই আমাদের স্কুলের গর্ব। পরিবারে অসচ্ছলতা থাকলেও তিনি তাঁর গন্তব্যে ঠিকই পৌঁছেছেন। আমরাও ইমরান ভাইয়ের মতো ডাক্তার হতে চাই।’
মেধাবী শিক্ষার্থী ইমরানের সাফল্যে এলাকাবাসী আব্দুল আজিজ জানান, ছোটবেলা থেকে ইমরান অত্যন্ত মেধাবী ছাত্র ছিল। ইমরানের পড়ালেখার জন্য তাঁর বাবা-মা অনেক কষ্ট করেন। আজ তাদের কষ্ট সার্থক হলেও তাদের বড় চিন্তা অভাব-অনটন।
সাকোয়া উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সায়েদ মঞ্জুরুল হাসান সুজা বলেন, ‘এই বিদ্যালয়ে পড়ার সময় মেধার কথা চিন্তা করে তাঁর পড়ালেখার সমস্ত খরচ মওকুফ করা হয়েছিল। ইমরানের এই সাফল্যে আমরা অত্যন্ত খুশি।’
অভাব-অনটনের ইমরানের বেড়ে ওঠা। পরিবারে কখনো দুবেলা ভালোমন্দ খাওয়া জোটেনি। তবে খেয়ে-না খেয়ে নিজের স্বপ্নের ঠিকানা খুঁজে নিতে ভুল করেননি ইমরান হক। অসম্ভবকে সম্ভব করে এবার মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন প্রত্যন্ত এলাকার মেধাবী এই শিক্ষার্থী।
ইমরানের বাড়ি পঞ্চগড় জেলার বোদা উপজেলা সাকোয়া ইউনিয়নের খেরবাড়ী গ্রামে। বাবা পেশায় ভ্যানচালক, মা কাজ করেন খেত-খামার ও অন্যের বাড়িতে। তাঁদের পাঁচ সদস্যের পরিবার। ছেলে মেধাবী বলে মা-বাবা কখনো ছেলেকে তাঁদের কষ্ট বুঝতে দেননি। ছেলের কথা চিন্তা করে অনবরত কাজ করে গেছেন। রোদ-বৃষ্টিতে কঠোর পরিশ্রম করে ছেলেমেয়েদের পড়ালেখার খরচ দিয়েছেন। বাবা-মায়ের এই কষ্টের দাম দিলেন ইমরান। ২০২২ সালে ৩৯২৫তম স্থান অধিকার করে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন মানিকগঞ্জ কর্নেল আব্দুল মালেক মেডিকেল কলেজে।
ছোটবেলা থেকে পড়ালেখার প্রতি ইমরানের ছিল প্রচণ্ড আগ্রহ। পিএসসি, জেএসসি, এসএসসি ও এইচএসসিতে অর্জন করেছেন সাফল্য। পঞ্চম শ্রেণিতে বৃত্তি পেয়ে ভর্তি হন সাকোয়া উচ্চবিদ্যালয়ে। সেখানে এসএসসিতে পান গোল্ডেন জিপিএ। এসএসসি পাস করার পরে ছেলের ইচ্ছাকে প্রাধান্য দিয়ে কষ্টের মধ্যেও ভর্তি করান রংপুর ক্যান্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজে। সেখানে এইচএসসিতে গোল্ডেন জিপিএ না পেলেও জিপিএ-৫ পান ইমরান। এরপর মেডিকেলে পড়ার স্বপ্ন মাথায় নিয়ে যান রাজধানী ঢাকায়। খেয়ে-না খেয়ে বর্ণ নামের একটি কোচিং সেন্টারে পড়ালেখা করতে থাকেন। তাঁর মেধার কথা শুনে কোচিং সেন্টারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাঁর কোচিং ফি নেননি। কোচিংয়ের পাশাপাশি পরিবারের কষ্টের কথা চিন্তা করে প্রাইভেট পড়াতে শুরু করেন। অবশেষে প্রদীপ জ্বলল। মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ পেলেন ইমরান। কিন্তু আলোর চারপাশ যে ইমরানের অন্ধকার। কঠিন এই পথ পাড়ি দিতে খরচ করতে হবে প্রচুর টাকা।
ইমরানের বাবা-মা তাঁদের ছেলের ভবিষ্যৎ নিয়ে রয়েছেন দুশ্চিন্তায়। ভ্যান চালিয়ে আর খেতে কাজ করে ছেলের পড়াশোনার খরচ চালাতে পারবেন কি না, জানেন না। ভর্তির দিন যতই ঘনিয়ে আসছে, ততই যেন আনন্দের পাশাপাশি কুরে খাচ্ছে পিতা আইজউদ্দীন ও মা আঞ্জয়ারাকে। পরিবারে ইমরান ছাড়াও রয়েছে আরও দুই কন্যাসন্তান। এর মধ্যে মেজো মেয়ে অষ্টম, ছোট মেয়ে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
এ বিষয়ে মা আঞ্জয়ারা বলেন, ‘ছোটবেলা থেকে আমাদের অসুখ-বিসুখ হলে ছেলে বলত, একদিন তোমাদের কষ্টের আমি মূল্য দেব। ডাক্তার হয়ে তোমাদের ও এলাকার মানুষের কাজে আসব। ছেলের কথা ছেলে রেখেছে। কিন্তু ডাক্তারিতে ভর্তির সুযোগ পেয়ে আমাদের চিন্তা বাড়িয়েছে কয়েক গুণ। কী করে তার পড়ালেখার খরচ চালাব তা জানি না।’
ছেলের সাফল্যে বাবা আইজউদ্দীন বলেন, ‘কষ্ট ছিল, কিন্তু ছেলের পড়ালেখার আগ্রহ দেখে দেনা করে হলেও পড়ালেখার খরচ দিয়েছি। কখনো ছেলেকে কষ্টের সাগরে ভাসতে দিইনি।’
সাকোয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী সোমাইয়া আক্তার বলে, ‘ইমরান ভাই আমাদের স্কুলের গর্ব। পরিবারে অসচ্ছলতা থাকলেও তিনি তাঁর গন্তব্যে ঠিকই পৌঁছেছেন। আমরাও ইমরান ভাইয়ের মতো ডাক্তার হতে চাই।’
মেধাবী শিক্ষার্থী ইমরানের সাফল্যে এলাকাবাসী আব্দুল আজিজ জানান, ছোটবেলা থেকে ইমরান অত্যন্ত মেধাবী ছাত্র ছিল। ইমরানের পড়ালেখার জন্য তাঁর বাবা-মা অনেক কষ্ট করেন। আজ তাদের কষ্ট সার্থক হলেও তাদের বড় চিন্তা অভাব-অনটন।
সাকোয়া উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সায়েদ মঞ্জুরুল হাসান সুজা বলেন, ‘এই বিদ্যালয়ে পড়ার সময় মেধার কথা চিন্তা করে তাঁর পড়ালেখার সমস্ত খরচ মওকুফ করা হয়েছিল। ইমরানের এই সাফল্যে আমরা অত্যন্ত খুশি।’
কক্সবাজারের টেকনাফে মোবাইল ফোন চুরির অভিযোগ এনে ছুরিকাঘাতে মো. নজিমুল্লাহ (২৫) নামে এক যুবক মারা গেছে। রোববার (২০ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে টেকনাফ পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কায়ুকখালিয়াপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত নজিমুল্লাহ ওই এলাকার রহিম উল্লাহর ছেলে...
১ সেকেন্ড আগেভোলার লালমোহনে অভিযান চালিয়ে ৯টি অবৈধ ট্রলিং বোট জব্দ করেছে কোস্ট গার্ড। আজ রোববার (২০ এপ্রিল) বিকেলে লালমোহন উপজেলার গজারিয়া খাল গোড়ায় এই অভিযান চালানো হয়। কোস্ট গার্ড ভোলা দক্ষিণ জোনের লেফটেন্যান্ট কমান্ডার ও স্টাফ অফিসার অপারেশন রিফাত আহমেদ প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান।
২৮ মিনিট আগেনারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে অবস্থিত ইউএস–বাংলা মেডিকেল কলেজের ১১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আগামীকাল সোমবার। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে কলেজ ক্যাম্পাসে বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে যাচ্ছে কলেজ কর্তৃপক্ষ।
৩০ মিনিট আগেনেছারাবাদে আরামকাঠি ক্ষুদ্র সঞ্চয় ও ঋণদান সমবায় সমিতির পরিচালক মো. রহমাত উল্লাহর বিরুদ্ধে পাঁচ সহস্রাধিক গ্রাহকের হাজার কোটি টাকা নিয়ে লাপাত্তা হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় আজ রোববার তাঁর বাড়িতে বিক্ষুব্ধ গ্রাহকেরা জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করেন। পরে সমিতির ম্যানেজার-মাঠকর্মীসহ সাতজনকে আটক করে পুলিশের হাতে
৩৭ মিনিট আগে