Ajker Patrika

৫১ বছর পর যুদ্ধশিশুর স্বীকৃতি পেলেন মেরিনা খাতুন

তাড়াশ (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি
৫১ বছর পর যুদ্ধশিশুর স্বীকৃতি পেলেন মেরিনা খাতুন

স্বাধীনতার ৫১ বছর পর যুদ্ধশিশুর স্বীকৃতি পেলেন তাড়াশের মেরিনা খতুন। গত বৃহস্পতিবার জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের ৮২ তম অধিবেশনে ওই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তাড়াশ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা গাজী আরশেদুল ইসলাম।

বীর মুক্তিযোদ্ধা গাজী আরশেদুল ইসলাম জানান, তাড়াশ পৌর শহরের উত্তর ওয়াপদা বাঁধ এলাকায় বসবাসরত বীরাঙ্গনা পাতাসীর মেয়ে মেরিনাসহ পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ও তাদের দোসরদের দ্বারা পাশবিক নির্যাতনের শিকার দেশের সকল বীরাঙ্গনা মায়ের যুদ্ধ শিশুদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির পথ উন্মুক্ত হলো।

আজ শনিবার যুদ্ধশিশু মেরিনা খাতুন আজকের পত্রিকাকে জানান, যুদ্ধের সময় এলাকার ক্যাম্পে পাক হানাদার বাহিনীরা অস্ত্রের মুখে তার মা পচী খাতুনকে তুলে নিয়ে যায়। পাঁচ মাস আটক রেখে বর্বর অত্যাচার চালায়। এ সময় তার মা অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে ক্যাম্প থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়। সেখান থেকে ফিরে তার মা বিষ পান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু উপজেলার খানপাড়া গ্রামের ওমরজান খাতুন নামের মায়ের এক বান্ধবী মার জীবন বাঁচান ও আশ্রয় দেন।

যুদ্ধশিশুর স্বীকৃতি পাওয়া মেরিনা খাতুন বলেন, ‘১৯৭২ সালের মাঝ দিকে আমার মায়ের বান্ধবীর বাড়িতেই জন্ম হয় আমার। অনাদর-অবহেলা, লাঞ্ছনা-গঞ্জনার এক তিক্ত অভিজ্ঞতা নিয়ে বেড়ে উঠি আমি। দারিদ্রতা আর স্বীকৃতির সংগ্রামে কেটে গেছে জীবনের ৫১টি বছর।’

মেরিনা খাতুন আরও বলেন, ‘২০১৮ সালের ৮ সেপ্টেম্বর যুদ্ধশিশুর স্বীকৃতি চেয়ে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে লিখিত আবেদন করি। চলতি মাসের ২১ তারিখে আজকের পত্রিকার অনলাইনে আমাকে নিয়ে ‘আত্মহত্যা করতে চাওয়া বীরাঙ্গনাকে আশ্রয় দেন বান্ধবী, ছেলের বিয়ে দেন যুদ্ধশিশুর সঙ্গে’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ফলে আজ আমার এ স্বীকৃতি।’ 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত