Ajker Patrika

কোন জাদুতে ৬ প্রার্থীকে হারিয়ে মেয়র হলেন আব্বাসপত্নী মিতু

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
আপডেট : ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৯: ১৫
কোন জাদুতে ৬ প্রার্থীকে হারিয়ে মেয়র হলেন আব্বাসপত্নী মিতু

রাজনীতির মাঠে আগে কখনো দেখা যায়নি। ঘর-সংসার আর সন্তানকে নিয়েই ব্যস্ত থাকতেন রাবেয়া সুলতানা মিতু। এই নারীই প্রথমবারের মতো রাজশাহীর কাটাখালী পৌরসভার মেয়র পদে উপনির্বাচনে অংশ নিয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। হারিয়ে দিয়েছেন প্রতিদ্বন্দ্বী ছয় প্রার্থীকে। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বীর চেয়ে রাবেয়ার পাওয়া ভোটের ব্যবধান প্রায় দ্বিগুণ।

গতকাল রোববারের এই ভোটের পর ফলাফল নিয়ে বিশ্লেষণ চলছে। রাজশাহীর আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে রাবেয়ার এই বিজয়কে একটু আলাদা চোখেই বিচার করা হচ্ছে। কারণ তাঁর জয়ের নেপথ্যে রয়েছেন স্বামী সাবেক মেয়র আব্বাস আলী। তিনি পৌর আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক ছিলেন। ঘরোয়া আলাপের একটি অডিও ফাঁস হওয়াকে কেন্দ্র করে তাঁকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয় এবং এই অডিওকে কেন্দ্র করে করা মামলার কারণে প্রায় এক বছর তিনি কারাভোগ করেন। তখন তাঁকে মেয়রের পদ থেকেও বরখাস্ত করা হয়।

স্থানীয় রাজনীতিতে আব্বাস কোণঠাসা হওয়ার পর তাঁর জায়গা দখলে নেওয়ার চেষ্টা করেছেন দলের নেতা আবু শামা। তিনি পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতির পদও পেয়ে যান। এই উপনির্বাচনে তিনি মেয়রপ্রার্থীও হয়েছিলেন। তবে ভোট পেয়েছেন মাত্র ৩ হাজার ৪৮৭টি। আর আব্বাসপত্নী রাবেয়া পেয়েছেন ৬ হাজার ৩০৮ ভোট। আব্বাসবিরোধী হিসেবে পরিচিত পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জহুরুল আলম রিপন পেয়েছেন মাত্র ১ হাজার ৩৩৯ ভোট। একসময়ের জামায়াত-শিবির অধ্যুষিত এই এলাকায় সাবেক শিবির নেতা মিজানুর রহমান পেয়েছেন ২ হাজার ৯১৭ আর জামায়াত নেতা সিরাজুল হক পেয়েছেন মাত্র ৩৮৪ ভোট। ভোটের ফলে কয়েকজন প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হচ্ছে।

এই নির্বাচনে রাবেয়ার বিজয়কে তাঁর স্বামী আব্বাস আলীর বিজয় হিসেবেই দেখা হচ্ছে। স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধা তোফাজ্জল হোসেন দুলাল বলেন, কাটাখালী এলাকাটি একসময় জামায়াত অধ্যুষিত ছিল। এবারের উপনির্বাচনে পরাজিত প্রার্থী মিজানুর রহমানের বাবা জামায়াত নেতা মাজেদুর রহমান ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ছিলেন। পৌরসভা গঠনের পর মেয়রও হন। সব মিলিয়ে প্রায় দেড় দশক তিনি কাটাখালীর জনপ্রতিনিধি হিসেবে জামায়াতকে শক্তিশালী করেন। পরবর্তী সময়ে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে দুইবার মেয়র হয়ে আব্বাস আলী জামায়াতের মেরুদণ্ড ভেঙে দেন। তাঁর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ শক্তিশালী হয়। কিন্তু রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীরা তাঁকেই কোণঠাসা করে তাঁর জায়গা দখলের চেষ্টা করেছিলেন। তাঁরা কিছুদিন সুযোগ পেয়ে কাটাখালীতে সন্ত্রাস শুরু করেছিলেন। এই ভোটে অনেক ষড়যন্ত্রের জবাব দেওয়া হয়েছে। ভোটে আব্বাসের স্ত্রীর জয় মানে আব্বাসেরই জয়।’

আগে কখনো রাজনীতি না করেও রাবেয়ার বিপুল ভোটে এই জয়ের কারণ কী, এমন প্রশ্নে কাটাখালী বাজারের ব্যবসায়ী আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘কারণ শুধুমাত্র তাঁর স্বামী। স্বামী আব্বাস আলীকে দেখেই পৌরবাসী রাবেয়াকে ভোট দিয়েছে। কারণ আব্বাস আলী মেয়র থাকা অবস্থায় ভালো কাজ করেছেন। এলাকার উন্নয়ন করেছেন। বিশেষ করে করোনার সময় তিনি যেভাবে খাদ্যসহায়তা দিয়েছেন, সে কথা এখনো মানুষের মুখে মুখে। তাঁকে থামিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে, কিন্তু থামানো যায়নি। এই ভোটেই সেটার প্রমাণ হয়েছে।’

এই নির্বাচনে যেকোনো উপায়ে আব্বাসপত্নীকে ঠেকানোই ছিল অন্য প্রার্থীদের লক্ষ্য। আইনগত বাধার কারণে আব্বাস প্রার্থী হতে না পারলে প্রার্থী হন তাঁর স্ত্রী রাবেয়া সুলতানা। উচ্চ আদালতের নির্দেশে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র উত্তোলন ও দাখিলের সময় শেষেও তিনি মনোনয়নপত্র দাখিলের সুযোগ পান। তাতে ক্ষুব্ধ হয়ে অন্য ছয় প্রার্থী রিটার্নিং কর্মকর্তার দপ্তরে গিয়ে তাঁর সঙ্গে চোটপাট করেন। আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জামায়াত-শিবিরের ছয় প্রার্থী একসঙ্গে বলেছিলেন, রাবেয়াকে যেন প্রার্থিতা দেওয়া না হয়। তাঁদের মধ্য থেকে পাঁচজন মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেবেন। একজন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হবেন। তবে শেষপর্যন্ত তা হয়নি। ভোটে রাবেয়াই মেয়র হলেন।

এখন স্বামীর দিকনির্দেশনা নিয়েই পৌরসভাকে এগিয়ে নিতে চান রাবেয়া। তিনি বলেন, ‘আমার স্বামী এই পৌরসভার দুইবারের মেয়র। তাঁর অনেক অভিজ্ঞতা আছে। আমি নতুন হলেও তাঁর দিকনির্দেশনা নিয়ে পৌরসভাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে আমি কাজ করব।’

রাবেয়ার স্বামী সাবেক মেয়র আব্বাস আলী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ভোটের এই ফল সব ধরনের অন্যায়-অবিচার ও জুলুমের জবাব। এই জয় কাটাখালী পৌরসভার সকল মানুষের জয়। তাঁরা যে অন্যায়ের বিরুদ্ধে, এই ভোটের ফল তার প্রমাণ। এখন আগের মতো সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, ভূমিদস্যুতা ও ইভটিজিংমুক্ত এলাকা গঠনই আমাদের লক্ষ্য। পৌরসভায় আবার নাগরিক সেবা ফিরে আসবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

রাজশাহীতে ‘বই পড়ি, স্বপ্ন আঁকি’ স্লোগানে বুক অলিম্পিয়াড

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

শিশু-কিশোরদের মধ্যে বই পড়ার অভ্যাস তৈরি করার লক্ষ্যে ‘বই পড়ি, স্বপ্ন আঁকি’ স্লোগানে রাজশাহীর পবা উপজেলার নওহাটা সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হলো বাংলাদেশ বুক অলিম্পিয়াড। গতকাল শনিবার (১ নভেম্বর) সকালে মুক্ত আসরের উদ্যোগে বাংলাদেশ বুক অলিম্পিয়াড কমিটি এই আয়োজন করে।

বাংলাদেশ বুক অলিম্পিয়াড কমিটির সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগের অধ্যাপক রহমান রাজু।

অধ্যাপক রহমান রাজু বলেন, বুক অলিম্পিয়াড একটি স্বপ্ন অভিযাত্রা, যেখানে স্বপ্নের ডানা মেলার আয়োজন নিহিত রয়েছে। এই আয়োজনের মধ্যে লুকিয়ে আছে আগামীর সম্ভাবনার বীজ। তরুণ প্রজন্মের মধ্যে পাঠপ্রেম জাগিয়ে তোলার পাশাপাশি এটি সমাজে জ্ঞাননির্ভর, প্রগতিশীল ও মানবিক মনন গঠনে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। চিন্তা ও বুদ্ধির সমন্বয়ে নতুন প্রজন্মকে গড়ে তুলতে এবং নির্মাণের পথে এগিয়ে নিতে বুক অলিম্পিয়াড এক অনন্য উদ্যোগ।

রাজশাহী সরকারি সিটি কলেজের সহকারী অধ্যাপক ড. মো. আজিজুর রহমান দীপু বলেন, বুক অলিম্পিয়াড বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তোলার এক অসাধারণ উদ্যোগ। ক্লাসের বই অনেক সময় বাধ্য হয়েই পড়া হয়, কিন্তু বুক অলিম্পিয়াড শিক্ষার্থীদের পাঠ্যবইয়ের গণ্ডি পেরিয়ে জ্ঞানের নতুন দিগন্তে নিয়ে যাবে। এই বই পড়া অভ্যাসই তাদের মানবিক ও চিন্তাশীল মানুষ হিসেবে গড়ে তুলবে।

নওহাটা সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষক মো. ওমর আলী আয়োজক কমিটিকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, এই আয়োজন শিক্ষার্থীদের মধ্যে বই পড়ার আগ্রহ জাগিয়েছে, যা ভবিষ্যতে তাদের আলোকিত মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে সহায়তা করবে।

বাংলাদেশ বুক অলিম্পিয়াড কমিটির সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ বলেন, ‘সারা দেশে বুক অলিম্পিয়াডের আলোকছটা ছড়িয়ে দিতে আমরা রাজশাহীতে এই আয়োজন করেছি। বইয়ের ভেতরেই লুকিয়ে আছে জ্ঞানের আলো আর সেই আলোকে প্রতিটি শিক্ষার্থী ও প্রান্তিক অঞ্চলে পৌঁছে দিতে কাজ করে যাচ্ছি।’

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন রাজশাহী সরকারি সিটি কলেজের সহকারী অধ্যাপক ড. মো. আজিজুর রহমান দীপু, নওহাটা সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম, জালাল উদ্দিন, আকতার ফারুক, সার্ক কৃষিকেন্দ্রের সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার ও বাংলাদেশ বুক অলিম্পিয়াডের যোগাযোগবিষয়ক প্রধান সমন্বয়ক আবুল বাশার মিরাজ, লেখক সুফিয়া ডেইজি প্রমুখ।

অনুষ্ঠানটির সহযোগী হিসেবে ছিল স্বপ্ন ’৭১ প্রকাশন, বইচারিতা, কাঠবিড়ালি প্রকাশন ও শব্দঘর।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মুন্সিগঞ্জে মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য বিক্রির দায়ে জরিমানা

মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের অভিযান। ছবি: আজকের পত্রিকা
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের অভিযান। ছবি: আজকের পত্রিকা

মুন্সিগঞ্জে মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য বিক্রির দায়ে ৭ হাজার টাকা জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।

রোববার (২ নভেম্বর) বিকেল ৪টা থেকে ৫টা পর্যন্ত সদর উপজেলার বাগমামুদালিপাড়া এলাকায় অভিযান চালান জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মুন্সিগঞ্জ জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আসিফ আল আজাদ।

এ সময় সহকারী পরিচালক বলেন, রেইনবো মিনি সুপার শপে বিভিন্ন ধরনের মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য বিক্রির জন্য প্রদর্শন ও সংরক্ষণ করায় দোকানটির মালিক মো. মাসুফ উদ্দিনকে ৭ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

এ ছাড়া তাঁকে নির্দেশ দেওয়া হয়, ভবিষ্যতে দোকানে মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য সংরক্ষণ বা বিক্রি করা যাবে না।

অভিযানে সহযোগিতা করেন উপজেলা স্যানিটারি পরিদর্শক মো. জামাল উদ্দিন মোল্লা ও ব্যাটালিয়ন আনসারের একটি টিম।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

অনার্সে ফরম পূরণে টাকা বাড়ানোর প্রতিবাদে বিএম কলেজে মানববন্ধন

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল
শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন। ছবি: আজকের পত্রিকা
শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন। ছবি: আজকের পত্রিকা

অনার্স তৃতীয় বর্ষে ফরম পূরণে এ বছর ২ থেকে ৩ হাজার টাকা বাড়িয়েছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। ২০২১-২২ সেশনের শিক্ষার্থীদের ফরম পূরণে এমন অস্বাভাবিক ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন বিএম কলেজের শিক্ষার্থীরা।

রোববার (২ নভেম্বর) কলেজের প্রশাসনিক ভবনের সামনে মানববন্ধন শেষে কলেজের অধ্যক্ষের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবর ৫ দফা দাবিসংবলিত স্মারকলিপি দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

দাবিগুলো হলো—জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ফরম পূরণের অযৌক্তিক ও অতিরিক্ত ফি কমাতে হবে; মানোন্নয়ন ফি কমাতে হবে, পুনর্নিরীক্ষণ ফি কমাতে হবে, উত্তরপত্রের যথাযথ মূল্যায়ন নিশ্চিত করতে হবে এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা খাতে সরকারি ভর্তুকি বৃদ্ধি করতে হবে।

এ প্রসঙ্গে বিএম কলেজের সমাজকর্ম তৃতীয় বর্ষের ছাত্র সাইফুল ইসলাম বলেন, গত ২৮ অক্টোবর থেকে ফরম পূরণ শুরু হয়েছে। এটি চলবে ১৭ নভেম্বর পর্যন্ত। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় এ বছর নানা খাতে প্রায় ২ থেকে ৩ হাজার টাকা ফি বৃদ্ধি করেছে। তাঁকে দিতে হবে ৭ হাজার ১০০ টাকা। বিজ্ঞান বিভাগে ৯ হাজার টাকা; যা গত বছরের তুলনায় অনেক বেশি। এত অর্থ মেটানো সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষে সম্ভব নয় বলে জানান সাইফুল।

অর্থনীতি বিভাগের ছাত্র শাহাবুদ্দিন মিয়া বলেন, ‘আগের চেয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ৩ হাজার টাকা ফি বাড়িয়েছে। আমরা চাই আগের প্রচলিত ফি নির্ধারিত থাক। ফি কমানো না হলে বৃহত্তর আন্দোলনের কর্মসূচি দেওয়া হবে।’ একই কথা জানিয়েছেন রাষ্ট্রবিজ্ঞানের মেহেদী তানজিল, দর্শনের সুমি আক্তার।

এ ব্যাপারে বিএম কলেজের অধ্যক্ষ ড. মো. তাজুল ইসলাম বলেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ফি বাড়িয়েছে। নিয়মিত ছাত্রদের ক্ষেত্রে প্রায় ২ হাজার এবং অনিয়মিত ছাত্রদের ক্ষেত্রে আরও বেশি ফি ধরা হয়েছে। শিক্ষার্থীরা তাঁর কাছে এসে ফরম পূরণের ফি পরিশোধে তাঁদের কষ্টের কথা জানিয়েছেন। তিনি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবর ছাত্রছাত্রীদের স্মারকলিপি পাঠিয়ে দিয়েছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বরিশালে আ.লীগ ও জাপার ৯ নেতা-কর্মী কারাগারে

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল
বরিশালে আ.লীগ ও জাপার ৯ নেতা-কর্মী কারাগারে

বরিশালে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির ৯ জন নেতা-কর্মীকে আজ রোববার (২ নভেম্বর) বিকেলে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এর মধ্যে গণঅধিকার পরিষদের নেতা-কর্মীদের ওপর হামলার মামলায় জাতীয় পার্টির চারজন এবং হিজলা উপজেলা বিএনপির কার্যালয় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের মামলায় আওয়ামী লীগের পাঁচজন নেতা-কর্মী রয়েছেন।

একই দিন বরিশাল মহানগর জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক অধ্যক্ষ মহাসিনুল ইসলাম হাবুলের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত। জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক (ভারপ্রাপ্ত) ইসরাত জাহান এই আদেশ দিন।

আদালতের বেঞ্চ সহকারী কামরুল ইসলাম জানান, জেলহাজতে পাঠানো জাতীয় পার্টির চার নেতা-কর্মী হলেন—আক্তার রহমান সপ্রু, মো. জুম্মান, রফিকুল ইসলাম ও নজরুল ইসলাম।

মামলার সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের ৩১ মে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে নগরীর সদর রোড এলাকায় জাতীয় পার্টির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ-মিছিল করে রাষ্ট্রবিরোধী স্লোগান দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। এ সময় গণঅধিকার পরিষদের নেতা-কর্মীরা তাঁদের ‘রাষ্ট্রবিরোধী’ স্লোগান না দেওয়ার অনুরোধ জানালে উভয় পক্ষের মধ্যে হামলার ঘটনা ঘটে।

ওই ঘটনায় গণঅধিকার পরিষদের বরিশাল মহানগরের সহসভাপতি শফিকুল ইসলাম সাগর বাদী হয়ে দুই থেকে আড়াই শতাধিক ব্যক্তিকে আসামি করে মামলা করেন। ওই মামলায় চার নেতাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

এদিকে অপর এক মামলায় হিজলা উপজেলায় বিএনপি কার্যালয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় হওয়া বিস্ফোরক আইনের মামলায় গ্রেপ্তারের পর জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে আওয়ামী লীগের পাঁচ নেতা-কর্মীকে। তাঁরা হলেন—মো. শাহাবুদ্দিন পণ্ডিত, মোশারফ হোসেন তালুকদার, লিয়াকত কাজী, হুমায়ুন কবির ও ইলিয়াস মোল্লা। চলতি বছরের ২২ জুলাই হিজলা উপজেলা বিএনপি অফিসে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় করা মামলায় তাঁদের কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত