Ajker Patrika

বয়স বাড়িয়ে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান: পপির বিরুদ্ধে সিইসির কাছে অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
আপডেট : ১৩ জুন ২০২৪, ২১: ২৯
Thumbnail image

রাজশাহীর পবা উপজেলা পরিষদের নবনির্বাচিত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পপি খাতুনের বিরুদ্ধে প্রধান নির্বাচন কমিশন (সিইসি) বরাবর অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার নির্বাচনে পরাজিত অপর ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী মোসা চেনবানু এ অভিযোগ দেন। এতে চার বছর বয়স বাড়ানোর অভিযোগটির সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানানো হয়। 

অভিযোগের অনুলিপি রাজশাহীর সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. শাহিনুর ইসলাম প্রামাণিক, পবা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও রাজশাহীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) সরকার অসীম কুমারকে দেওয়া হয়েছে। 

এর আগে ১১ জুন ‘রকেটের গতিতে বয়স বাড়িয়ে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পপি’ শিরোনামে আজকের পত্রিকার অনলাইনে একটি সংবাদ প্রকাশ হলে রাজশাহীতে তোলপাড় শুরু হয়। ওই সংবাদের সূত্র ধরে আজ সিইসির কাছে অভিযোগ দেন পপির প্রতিদ্বন্দ্বী (পরাজিত) প্রার্থী চেনবানু। 

তবে ওই সংবাদে পপি খাতুন বলেন, তাঁর জন্মতারিখ ভুল ছিল। তিনি সব নিয়মকানুন মেনেই জন্মতারিখ পরিবর্তন করেছেন। এখন প্রতিপক্ষ এসব সামনে এনে বিতর্ক সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। 

পপি খাতুন। ছবি: সংগৃহীতঅভিযোগে বলা হয়েছে, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে জয়ী হওয়া পপি খাতুনের নজিরবিহীন জালিয়াতির আশ্রয় ও অবৈধ ক্ষমতা ব্যবহার করে বয়স বাড়িয়ে প্রার্থী হওয়ার বিষয়ে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। পপি খাতুনের প্রকৃত বয়স ২২ বছর হলেও নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার উদ্দেশ্যে শেষ মুহূর্তে তড়িঘড়ি করে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ না করে ভুয়া ভোটার পরিচয়পত্র তৈরি এবং সনদপত্র জালিয়াতি করে বয়স বাড়িয়ে ২৫ বছর করার তথ্য প্রতিবেদনটিতে উঠে আসে।

এতে আরও বলা হয়, জালিয়াতির মাধ্যমে প্রার্থী হয়ে পপি খাতুন নির্বাচিত হওয়ায় উপজেলা নির্বাচন আইনের লঙ্ঘন করেছেন এবং এতে নির্বাচন কমিশন ও গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার প্রতি জনসাধারণের আস্থাহীনতার সংকট সৃষ্টি করেছে। 

পপি খাতুনের নির্বাচিত হওয়ার বিষয়টি এলাকার সাধারণ মানুষের মধ্যে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। সুষ্ঠু তদন্ত হলে আরও অবৈধ তৎপরতার ঘটনা উদ্‌ঘাটিত হবে বলে এলাকার জনসাধারণ বিশ্বাস করে। 

পপি খাতুন। ছবি: সংগৃহীতএ বিষয়ে জানতে চাইলে সিনিয়র জেলা নির্বাচন অফিসার শাহিনুর ইসলাম প্রামাণিক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার বরাবর একটি আবেদনের অনুলিপি আমি পেয়েছি। এখানে আমাদের কিছু করার নেই। কারণ, অভিযোগটি প্রধান নির্বাচন কমিশন বরাবর করা হয়েছে। তা ছাড়া নির্বাচন পরবর্তী কোনো অভিযোগ করতে হলে নির্বাচন আইন অনুযায়ী, ট্রাইব্যুনাল কিংবা আপিল ট্রাইব্যুনালে করতে হয়।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত