নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
বর্ষায় খাল-বিলে পানিতে পূর্ণতা আসে। গাঢ় সবুজ রং নিয়ে প্রকৃতিতে আসে তারুণ্য। খাল-বিলে ফোটে শাপলা-শালুক। ধান রোপণের পর ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সম্প্রদায়ের এখন অফুরন্ত অবসর। তাই এই সময়ে আয়োজন করা হয় ‘ওঁরাও’ সম্প্রদায়ের কারাম উৎসব।
এটি বৃক্ষের পূজার উৎসব। উৎসবে ওঁরাও কিশোর-কিশোরী, তরুণ-তরুণীরা নাচে-গানে মাতোয়ারা হয়ে ওঠেন। চলে নানা আচারাদি। তিন দিন ধরে রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলায় এবারও এই কারাম উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। ‘হামনিকের সংস্কৃতি হামনিকের পরিচয়’ স্লোগান নিয়ে নেচে-গেয়ে কারাম উৎসব উদ্যাপন করেছেন ক্ষুদ্র জাতিসত্তার ওঁরাও সম্প্রদায়ের মানুষ।
পূর্ণিমার তিথিতে রীতি অনুযায়ী গত শুক্রবার রাত থেকে গোদাগাড়ী উপজেলার শাহানাপাড়া ফার্সাপাড়া উষার আলো যুব সংঘ মাঠে ওঁরাও সম্প্রদায়ের ঐতিহ্যবাহী এ উৎসব শুরু হয়েছিল। তিন দিনের অনুষ্ঠান আজ রোববার শেষে হয়েছে।
ওঁরাও আদিবাসী সমাজ এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। গত শুক্রবার রাতে নিশি পালনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়। এরপর তিন দিনে কারাম পূজার্চনা, অধিবাস, কাহিনি, নাচ, গান, গীত ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। চলে মধ্যাহ্নভোজও। পরে কারাম বিসর্জন, আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণীর মধ্য দিয়ে আজ এই অনুষ্ঠান শেষ হয়। এই উৎসবে গোদাগাড়ী উপজেলার ১৮ ওঁরাও জনজাতির গ্রাম অংশগ্রহণ করে।
উৎসবের প্রথম দিন ওঁরাও সম্প্রদায়ের মানুষেরা সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত উপোস থাকেন। উপোসের মধ্য দিয়েই কারাম পূজা শুরু করেন ওঁরাও নারীরা। পরে মাদল, ঢোল, করতাল ও ঝুমকির বাজনার তালে তালে নেচে-গেয়ে এলাকা থেকে কারামগাছের (খিল কদম) ডাল তুলে আনেন। এরপর পূজার বেদি নির্মাণ করেন। সূর্যের আলো পশ্চিমে হেলে গেলে সেই কারামগাছের ডালটি পূজার বেদিতে রোপণ করা হয়। পুরোহিত উৎসবের আলোকে ধর্মীয় কাহিনি শোনান। সেই সঙ্গে চলে কাহিনির অন্তর্নিহিত ব্যাখ্যা। ব্যাখ্যা শেষ হলে বেদির চারধারে ঘুরে ঘুরে সবাই নাচতে থাকেন। এভাবেই তিন দিন ধরে নানা আয়োজনে এ উৎসব উদ্যাপন করা হয়।
আজ সকালে উৎসবের সমাপনী অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন কাস্টমস গোয়েন্দা শাখার অবসরপ্রাপ্ত সহকারী পরিচালক সুনন্দন দাস রতন। আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন রক্ষাগোলা সমন্বয় কমিটির সভাপতি সরল এক্কা। অতিথি ছিলেন স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বেলাল উদ্দীন সোহেল, রক্ষাগোলা সমন্বয় কমিটির সাবেক সভাপতি ও দক্ষিণ গুণিগ্রামের মোড়ল প্রসেন এক্কা, উপজেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি কৃষ্ণ কুমার সরকার, নিমকুড়ি রক্ষাগোলা সংগঠনের মোড়ল নিরঞ্জন কুজুর প্রমুখ। আর পুরো অনুষ্ঠানটি সঞ্চালন করেন পাথরঘাটা রক্ষাগোলা সংগঠনের মোড়ল মানিক এক্কা।
বর্ষায় খাল-বিলে পানিতে পূর্ণতা আসে। গাঢ় সবুজ রং নিয়ে প্রকৃতিতে আসে তারুণ্য। খাল-বিলে ফোটে শাপলা-শালুক। ধান রোপণের পর ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সম্প্রদায়ের এখন অফুরন্ত অবসর। তাই এই সময়ে আয়োজন করা হয় ‘ওঁরাও’ সম্প্রদায়ের কারাম উৎসব।
এটি বৃক্ষের পূজার উৎসব। উৎসবে ওঁরাও কিশোর-কিশোরী, তরুণ-তরুণীরা নাচে-গানে মাতোয়ারা হয়ে ওঠেন। চলে নানা আচারাদি। তিন দিন ধরে রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলায় এবারও এই কারাম উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। ‘হামনিকের সংস্কৃতি হামনিকের পরিচয়’ স্লোগান নিয়ে নেচে-গেয়ে কারাম উৎসব উদ্যাপন করেছেন ক্ষুদ্র জাতিসত্তার ওঁরাও সম্প্রদায়ের মানুষ।
পূর্ণিমার তিথিতে রীতি অনুযায়ী গত শুক্রবার রাত থেকে গোদাগাড়ী উপজেলার শাহানাপাড়া ফার্সাপাড়া উষার আলো যুব সংঘ মাঠে ওঁরাও সম্প্রদায়ের ঐতিহ্যবাহী এ উৎসব শুরু হয়েছিল। তিন দিনের অনুষ্ঠান আজ রোববার শেষে হয়েছে।
ওঁরাও আদিবাসী সমাজ এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। গত শুক্রবার রাতে নিশি পালনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়। এরপর তিন দিনে কারাম পূজার্চনা, অধিবাস, কাহিনি, নাচ, গান, গীত ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। চলে মধ্যাহ্নভোজও। পরে কারাম বিসর্জন, আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণীর মধ্য দিয়ে আজ এই অনুষ্ঠান শেষ হয়। এই উৎসবে গোদাগাড়ী উপজেলার ১৮ ওঁরাও জনজাতির গ্রাম অংশগ্রহণ করে।
উৎসবের প্রথম দিন ওঁরাও সম্প্রদায়ের মানুষেরা সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত উপোস থাকেন। উপোসের মধ্য দিয়েই কারাম পূজা শুরু করেন ওঁরাও নারীরা। পরে মাদল, ঢোল, করতাল ও ঝুমকির বাজনার তালে তালে নেচে-গেয়ে এলাকা থেকে কারামগাছের (খিল কদম) ডাল তুলে আনেন। এরপর পূজার বেদি নির্মাণ করেন। সূর্যের আলো পশ্চিমে হেলে গেলে সেই কারামগাছের ডালটি পূজার বেদিতে রোপণ করা হয়। পুরোহিত উৎসবের আলোকে ধর্মীয় কাহিনি শোনান। সেই সঙ্গে চলে কাহিনির অন্তর্নিহিত ব্যাখ্যা। ব্যাখ্যা শেষ হলে বেদির চারধারে ঘুরে ঘুরে সবাই নাচতে থাকেন। এভাবেই তিন দিন ধরে নানা আয়োজনে এ উৎসব উদ্যাপন করা হয়।
আজ সকালে উৎসবের সমাপনী অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন কাস্টমস গোয়েন্দা শাখার অবসরপ্রাপ্ত সহকারী পরিচালক সুনন্দন দাস রতন। আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন রক্ষাগোলা সমন্বয় কমিটির সভাপতি সরল এক্কা। অতিথি ছিলেন স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বেলাল উদ্দীন সোহেল, রক্ষাগোলা সমন্বয় কমিটির সাবেক সভাপতি ও দক্ষিণ গুণিগ্রামের মোড়ল প্রসেন এক্কা, উপজেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি কৃষ্ণ কুমার সরকার, নিমকুড়ি রক্ষাগোলা সংগঠনের মোড়ল নিরঞ্জন কুজুর প্রমুখ। আর পুরো অনুষ্ঠানটি সঞ্চালন করেন পাথরঘাটা রক্ষাগোলা সংগঠনের মোড়ল মানিক এক্কা।
গত রোববার রাতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের টঙ্গীর হোসেন মার্কেট এলাকায় এসে ঢাকনাবিহীন ম্যানহোলে পড়ে নিখোঁজ হন জ্যোতি। তিনি চুয়াডাঙ্গা জেলার বাগানপাড়া থানার মৃত ওলিউল্লাহ আহম্মেদের মেয়ে। জ্যোতি রাজধানীর মিরপুর এলাকায় পরিবার নিয়ে বাস করতেন।
১ মিনিট আগেনাটোরের বড়াইগ্রামে চাঁদা না পেয়ে ১০টি দোকানে তালা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় পুলিশ জামায়াতে ইসলামীর নেতা ও বিএনপির কর্মীসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল সোমবার সন্ধ্যা উপজেলার আহম্মেদপুর বাজারে এই ঘটনা ঘটে।
১৬ মিনিট আগেকুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে বিলে শাপলা তুলতে গিয়ে পানিতে ডুবে ষষ্ঠ শ্রেণির দুই শিক্ষার্থী মারা গেছে। গতকাল সোমবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে উপজেলার সদর ইউনিয়নের উত্তর কুটিচন্দ্রখানা এলাকায় ঘটনা ঘটে। সন্ধ্যায় তাদের মরদেহ উদ্ধার করে পরিবারের লোকজন।
১ ঘণ্টা আগেসোমবার জামালপুর ও ময়মনসিংহে জুলাই পথযাত্রা করেন এনসিপি। আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টায় টাঙ্গাইল শহরের নিরালার মোড়ে পথসভা করবে দলটি। এ জন্য সফরে থাকা দলটির নেতার গতকাল রাতেই টাঙ্গাইলে আসেন। তাঁরা পৌঁছে ভাসানীর মাজারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এর মধ্য দিয়ে এনসিপির টাঙ্গাইলের পদযাত্রা শুরু করা হয়েছে বলে দলটির
২ ঘণ্টা আগে