Ajker Patrika

নাটোরে বাড়ি থেকে ডেকে যুবককে হত্যা

নাটোর প্রতিনিধি
আপডেট : ০১ জুন ২০২২, ১৭: ০১
নাটোরে বাড়ি থেকে ডেকে যুবককে হত্যা

নাটোরে বাড়ি থেকে ডেকে এক যুবককে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। নিহত ব্যক্তির বড় ভাইয়ের অভিযোগ ছোট ভাইয়ের সাবেক স্ত্রী এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত।

আজ বুধবার দুপুর ১২টায় সদরের রেলস্টেশনের ওভারব্রিজে এ ঘটনা ঘটে। নিহত ওই যুবকের নাম রাকিবুল ইসলাম (২২)। তিনি পেশায় একজন দিনমজুর। নাটোর শহরের চকবৈদ্যনাথ নুরুপট্টি মহল্লার জালাল উদ্দীনের ছেলে তিনি।

নিহত রাকিবের ভাই সজিব হোসেন জানান, সকাল ১০টার দিকে তাঁর ছোট ভাই রাকিব বাসায় ঘুমাচ্ছিলেন। কিছুক্ষণ পর পার্থ নামের এক যুবক তাঁকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে নাটোর রেলস্টেশন এলাকায় নিয়ে যান। সেখানে রেলওয়ের ফুট ওভারব্রিজের ওপর রাকিবকে নিয়ে গেলে আগে থেকেই সেখানে অপেক্ষায় থাকেন রাসেল হোসেন ওরফে কাটা রাসেল। যাওয়ার পর রাসেল ও তাঁর সঙ্গে থাকা একদল যুবক তাঁকে ছুরিকাঘাত করে। এরপর গুরুতর আহত অবস্থায় সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই তাঁর মৃত্যু হয়।

সজিব হোসেন অভিযোগ করেন, মাসখানেক আগে ওই এলাকার এক যৌনকর্মীর সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান রাকিব। একপর্যায়ে রাকিবকে নানাভাবে জিম্মি করে বিয়ে করতে চাপ দেন ওই নারী। বিয়ে করতে না চাইলে ওই নারী তাঁর সাবেক স্বামী কাটা রাসেলকে দিয়ে রাকিবকে ভয়ভীতি দেখান। তাতেও কোনো কাজ না হলে ওই নারী থানায় অভিযোগ করেন। অভিযোগ পেয়ে পুলিশ এসে রাকিবকে বিয়ের জন্য চাপ দেয়। এরই একপর্যায়ে গত ৮ মে ওই নারীকে বিয়ে করেন রাকিব। বিয়ের চার দিনের মাথায় তাঁদের মধ্যে বিবাহবিচ্ছেদ হয়। বিয়ের দেনমোহর বাবদ ৮০ হাজার টাকা দাবি করেন ওই নারী। টাকা পরিশোধের আশ্বাস দিয়ে নিজ বাড়িতে বসবাস শুরু করেন রাকিব। টাকা দিতে দেরি হওয়ায় বাসা থেকে ডেকে সাবেক স্বামীকে দিয়ে রাকিবকে হত্যা করা হয়েছে।

স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর রানা হোসেন বলেন, রাকিব ও ওই নারীর বিষয়টি সামাজিকভাবে মীমাংসার চেষ্টা করা হলেও কোনো ফল হয়নি। তখন পুলিশের শরণাপন্ন হতে পরামর্শ দেওয়া হয়। এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানান তিনি।

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাছিম আহমেদ বলেন, হত্যাকাণ্ডের পর থেকে অভিযুক্ত ব্যক্তিরা পলাতক। তাঁদের ধরতে অভিযান চালানো হচ্ছে।

পুলিশের চাপে বিয়ের বিষয়ে ওসি বলেন, বিয়ের প্রলোভনের পর ওই নারীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করেন রাকিব। এরপর বিয়েতে রাজি না হওয়ায় ওই নারী আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। এমন তথ্যে ওই এলাকায় পুলিশের একটা নিয়মিত টহল দল পাঠানো হয়। পুলিশ সেখানে যাওয়ার পর জানতে পারে রাকিব আগেই ওই নারীকে বিয়ে করতে সম্মত হয়েছেন। তখন সেখান থেকে পুলিশ চলে আসে। পুলিশ বিয়ে করতে চাপ প্রয়োগ করেছে কথাটি সঠিক নয়। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত