Ajker Patrika

ঢাকঢোলের তালে নাচলেন ভিনদেশিরা, মুগ্ধ বাঙালি সংস্কৃতিতে

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
আপডেট : ১৫ এপ্রিল ২০২৫, ০৮: ৫৯
সবার কাঁধে গামছা। মাথায় বেঁধেছেন ‘শুভ নববর্ষ’ লেখা ব্যান্ড। আজ সোমবার সকালে রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলা চত্বরে বাংলা নববর্ষের আয়োজন উপভোগ করতে এমন সাজে আসেন চীনা নাগরিকেরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
সবার কাঁধে গামছা। মাথায় বেঁধেছেন ‘শুভ নববর্ষ’ লেখা ব্যান্ড। আজ সোমবার সকালে রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলা চত্বরে বাংলা নববর্ষের আয়োজন উপভোগ করতে এমন সাজে আসেন চীনা নাগরিকেরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

নারী-পুরুষ মিলিয়ে দলটা বেশ বড়। সবাই চীনের নাগরিক। আজ সোমবার সকালে রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলা চত্বরে বাংলা নববর্ষের আয়োজন ঘুরে উপভোগ করছিলেন তাঁরা। শোভাযাত্রায় অংশ নিয়ে আনন্দ মেতে ওঠেন সবাই। কেউ আবার ঢাকঢোলের তালে তালে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর মানুষের সঙ্গে নাচেও অংশ নেন।

নববর্ষের আনন্দ শোভাযাত্রা চলাকালে তাঁদের সঙ্গে কথা হয়। চীনা নাগরিকেরা গোদাগাড়ীতে রাজশাহী ওয়াসার সারফেস ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টে কাজ করছেন। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে চীনের হুনান কনস্ট্রাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং গ্রুপ কোম্পানি।

দলটির সঙ্গে ছিলেন ওয়াসার প্রকল্পটির উপমহাব্যবস্থাপক ইয়াসির আরাফাত। তিনি জানান, চীনের এই কর্মীরা নববর্ষের উৎসব দেখতে বেশ আগ্রহ নিয়ে এসেছেন।

সকাল ৯টার দিকে উপজেলা চত্বর থেকে শুরু হওয়া আনন্দ শোভাযাত্রায় শুরু থেকেই চীনা নাগরিকেরা মেতে ওঠেন। কেউ কেউ ছবি তুলছিলেন, ভিডিও করছিলেন। কারও হাতে তালপাতার হাতপাখা, কেউ মেলায় ঘুরছিলেন তাঁদের প্রতিষ্ঠানের স্টলের আশপাশে।

ওয়াসার প্রকল্পটির পরিচালক জু বলেন, ‘এই উৎসব অনেক প্রাণবন্ত। বাংলাদেশের মানুষ খুব বন্ধুপ্রতিম ও অতিথিপরায়ণ। চীনেও নববর্ষ উদ্‌যাপন করা হয়। তবে সেখানে আতশবাজির ব্যবহার বেশি। দুই দেশের নববর্ষে মানুষের অংশগ্রহণ থাকলেও রীতিনীতিতে পার্থক্য রয়েছে।’

গোদাগাড়ী উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিদেশিদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল।

উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শামসুল ইসলাম বলেন, ‘চীনের মানুষ বাংলাদেশের সংস্কৃতি সম্পর্কে জানার আগ্রহ থেকেই এই আয়োজন দেখতে এসেছেন। লোকশিল্প, সাংস্কৃতিক চেতনা ও স্বাধীনতার মূল্যবোধ ধরে রাখাই আনন্দ শোভাযাত্রার লক্ষ্য। প্রতীকী মুখোশ, গ্রামীণ জীবনের অনুষঙ্গ ও বাংলার লোকজ উপকরণে সাজানো হয় এই শোভাযাত্রা।’

জানা গেছে, চীনের এই নাগরিকেরা গত দুই বছর ধরে গোদাগাড়ীতে কাজ করছেন। শুরু থেকেই বাংলা নববর্ষের প্রতি তাঁদের কৌতূহল ছিল। এবার তাঁরা নিজের চোখে দেখলেন পয়লা বৈশাখের উৎসব।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফয়সাল আহমেদ বলেন, ‘পয়লা বৈশাখ বাঙালির প্রাণের উৎসব। ধর্ম-বর্ণনির্বিশেষে এই উৎসবের মূল চেতনা অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গঠন। এবার একদল বিদেশিও অংশ নিয়েছেন, যা আমাদের সংস্কৃতিকে বিশ্বমঞ্চে তুলে ধরার পথে একধাপ এগিয়ে দিল।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত