পাবনা প্রতিনিধি
তীব্র সমালোচনা ও প্রতিবাদের মুখে পাবনার স্টেডিয়াম ও সুইমিংপুল থেকে মুছে দেওয়া স্বাধীনতাযুদ্ধে শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের নাম পুনর্বহাল করেছে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ জাতীয় যুব ক্রীড়া পরিষদ।
গতকাল বুধবার (২৮ মে) জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের যুগ্ম সচিব মো. আমিনুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক পত্রে এ তথ্য জানানো হয়েছে। পত্রে বলা হয়, জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ কর্তৃক নির্মিত নিম্নোক্ত ক্রীড়া স্থাপনার নাম নির্দেশক্রমে নিম্নরূপে নির্ধারণ করা হলো। এ বার্তার নিচে একটি ছকে দেখানো হয়েছে, পাবনার স্টেডিয়ামের নাম হবে শহীদ অ্যাডভোকেট আমিন উদ্দিন স্টেডিয়াম। যেটি সম্প্রতি পরিবর্তন করে জেলা স্টেডিয়াম করা হয়েছিল। অর্থাৎ স্বাধীনতাযুদ্ধে শহীদের নামে থাকা পূর্বের নাম পুনর্বহাল করা হয়েছে।
একইভাবে সুইমিং পুলের নাম পুনর্বহাল করে পাবনায় স্বাধীনতার প্রথম পতাকা উত্তোলনকারী বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম বকুলের নাম নির্ধারণ করা হয়েছে। এটির নাম করা হয়েছিল পাবনা জেলা সুইমিংপুল। নাম পুনর্বহাল করায় শহীদ পরিবারসহ পাবনাবাসী স্বস্তি প্রকাশ করেছেন।
শহীদ আমিন উদ্দিনের ছেলে সদরুল আমিন বলেন, ‘১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের শুরুতে পাবনাবাসী যেভাবে রুখে দাঁড়িয়েছিল। মুক্তিযোদ্ধাদের অপমানেও তারা সেভাবেই প্রতিবাদ জানিয়েছে। সরকারকে শহীদ আমিন উদ্দিন স্টেডিয়াম ও বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম বকুল সুইমিংপুলের নাম পুনর্বহালে বাধ্য করেছে। এ জন্য পাবনাবাসীকে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাই।’
বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলামের ছেলে নুর ইসলাম বলেন, ‘নাম পরিবর্তনের ঘটনায় অত্যন্ত আহত হয়েছিলাম। কর্তৃপক্ষের শুভ বুদ্ধির উদয় হওয়ায় তাদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আশা করি ভবিষ্যতে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি হবে না।’
পাবনা জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক নুর মোহাম্মদ মাসুম বগা বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধ আমাদের আবেগের জায়গা। মুক্তিযোদ্ধারা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। তাঁদের অপমান কখনোই মেনে নেওয়ার মতো নয়। পাবনাবাসীও মেনে নিতে পারিনি। এ ধরনের স্পর্শকাতর বিষয়গুলো নিয়ে ভবিষ্যতে সরকারের সচেতন হওয়া উচিত।’
এ বিষয়ে জেলা ক্রীড়া কর্মকর্তা তারিকুল ইসলাম বলেন, ‘মন্ত্রণালয়ের অফিশিয়াল আদেশের চিঠি এখনো আমরা হাতে পাইনি। আপনাদের (সাংবাদিক) মাধ্যমে জেনেছি এবং চিঠিটি আমারও নজরে এসেছে। নির্দেশনা হাতে পেলেই নাম পরিবর্তন করে দেওয়া হবে।’
উল্লেখ্য, গত ২৩ মার্চ জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ নির্মিত দেশের বিভিন্ন জেলার স্টেডিয়াম ও সুইমিংপুলের নাম একযোগে পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এক প্রজ্ঞাপন জারি করে এ সিদ্ধান্ত অবিলম্বে কার্যকরের নির্দেশনাও দেয়া হয়। এতে পাবনার শহীদ অ্যাডভোকেট আমিন উদ্দিন স্টেডিয়ামের নাম পরিবর্তন করে জেলা স্টেডিয়াম, পাবনা ও বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম বকুল সুইমিং পুলের নাম পরিবর্তন করে পাবনা জেলা সুইমিংপুল করা হয়।
মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করে স্টেডিয়াম ও সুইমিংপুলে নতুন নাম লেখা হলে পাবনাবাসী ক্ষোভে ফেটে পড়েন। আন্দোলনের হুঁশিয়ারিও দেন। এর মাঝেই নাম পুনর্বহালের খবরে স্বস্তি জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
এর আগে বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম বকুল সুইমিংপুলের নাম পরিবর্তনের প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার (২৯ মে) দুপুরে সচেতন নাগরিক সমাজের আয়োজনে পাবনা প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। পরে অবশ্য নাম পুনঃস্থাপনের বিষয়টি জানার পর স্বস্তি প্রকাশ করেছেন তাঁরা।
তীব্র সমালোচনা ও প্রতিবাদের মুখে পাবনার স্টেডিয়াম ও সুইমিংপুল থেকে মুছে দেওয়া স্বাধীনতাযুদ্ধে শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের নাম পুনর্বহাল করেছে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ জাতীয় যুব ক্রীড়া পরিষদ।
গতকাল বুধবার (২৮ মে) জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের যুগ্ম সচিব মো. আমিনুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক পত্রে এ তথ্য জানানো হয়েছে। পত্রে বলা হয়, জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ কর্তৃক নির্মিত নিম্নোক্ত ক্রীড়া স্থাপনার নাম নির্দেশক্রমে নিম্নরূপে নির্ধারণ করা হলো। এ বার্তার নিচে একটি ছকে দেখানো হয়েছে, পাবনার স্টেডিয়ামের নাম হবে শহীদ অ্যাডভোকেট আমিন উদ্দিন স্টেডিয়াম। যেটি সম্প্রতি পরিবর্তন করে জেলা স্টেডিয়াম করা হয়েছিল। অর্থাৎ স্বাধীনতাযুদ্ধে শহীদের নামে থাকা পূর্বের নাম পুনর্বহাল করা হয়েছে।
একইভাবে সুইমিং পুলের নাম পুনর্বহাল করে পাবনায় স্বাধীনতার প্রথম পতাকা উত্তোলনকারী বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম বকুলের নাম নির্ধারণ করা হয়েছে। এটির নাম করা হয়েছিল পাবনা জেলা সুইমিংপুল। নাম পুনর্বহাল করায় শহীদ পরিবারসহ পাবনাবাসী স্বস্তি প্রকাশ করেছেন।
শহীদ আমিন উদ্দিনের ছেলে সদরুল আমিন বলেন, ‘১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের শুরুতে পাবনাবাসী যেভাবে রুখে দাঁড়িয়েছিল। মুক্তিযোদ্ধাদের অপমানেও তারা সেভাবেই প্রতিবাদ জানিয়েছে। সরকারকে শহীদ আমিন উদ্দিন স্টেডিয়াম ও বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম বকুল সুইমিংপুলের নাম পুনর্বহালে বাধ্য করেছে। এ জন্য পাবনাবাসীকে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাই।’
বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলামের ছেলে নুর ইসলাম বলেন, ‘নাম পরিবর্তনের ঘটনায় অত্যন্ত আহত হয়েছিলাম। কর্তৃপক্ষের শুভ বুদ্ধির উদয় হওয়ায় তাদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আশা করি ভবিষ্যতে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি হবে না।’
পাবনা জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক নুর মোহাম্মদ মাসুম বগা বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধ আমাদের আবেগের জায়গা। মুক্তিযোদ্ধারা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। তাঁদের অপমান কখনোই মেনে নেওয়ার মতো নয়। পাবনাবাসীও মেনে নিতে পারিনি। এ ধরনের স্পর্শকাতর বিষয়গুলো নিয়ে ভবিষ্যতে সরকারের সচেতন হওয়া উচিত।’
এ বিষয়ে জেলা ক্রীড়া কর্মকর্তা তারিকুল ইসলাম বলেন, ‘মন্ত্রণালয়ের অফিশিয়াল আদেশের চিঠি এখনো আমরা হাতে পাইনি। আপনাদের (সাংবাদিক) মাধ্যমে জেনেছি এবং চিঠিটি আমারও নজরে এসেছে। নির্দেশনা হাতে পেলেই নাম পরিবর্তন করে দেওয়া হবে।’
উল্লেখ্য, গত ২৩ মার্চ জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ নির্মিত দেশের বিভিন্ন জেলার স্টেডিয়াম ও সুইমিংপুলের নাম একযোগে পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এক প্রজ্ঞাপন জারি করে এ সিদ্ধান্ত অবিলম্বে কার্যকরের নির্দেশনাও দেয়া হয়। এতে পাবনার শহীদ অ্যাডভোকেট আমিন উদ্দিন স্টেডিয়ামের নাম পরিবর্তন করে জেলা স্টেডিয়াম, পাবনা ও বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম বকুল সুইমিং পুলের নাম পরিবর্তন করে পাবনা জেলা সুইমিংপুল করা হয়।
মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করে স্টেডিয়াম ও সুইমিংপুলে নতুন নাম লেখা হলে পাবনাবাসী ক্ষোভে ফেটে পড়েন। আন্দোলনের হুঁশিয়ারিও দেন। এর মাঝেই নাম পুনর্বহালের খবরে স্বস্তি জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
এর আগে বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম বকুল সুইমিংপুলের নাম পরিবর্তনের প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার (২৯ মে) দুপুরে সচেতন নাগরিক সমাজের আয়োজনে পাবনা প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। পরে অবশ্য নাম পুনঃস্থাপনের বিষয়টি জানার পর স্বস্তি প্রকাশ করেছেন তাঁরা।
গত ৮ জুলাই দুপুরে ওই শিশুটি বাড়ির পাশে বসে খেলা করছিল। এ সময় ওই কিশোর অটোভ্যানে চড়িয়ে বেড়ানোর লোভ দেখিয়ে তাকে নিয়ে যায়। পরে তাকে পাশের কুমারখালী গ্রামের একটি বাঁশঝাড়ে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এরপর তাকে বিভিন্ন ভাবে ভয়ভীতি দেখিয়ে বিষয়টি কাউকে জানাতে নিষেধ করে পুনরায় তার খেলার স্থানে রেখে যায়।
১০ মিনিট আগে২০১৮ সালের এপ্রিল মাসে ৯৯ মিটার দীর্ঘ সেতুটির নির্মাণকাজ শুরু করে। ২০২১ সালের জুনে প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হয়। সেতুটির দক্ষিণ পাশে সংযোগ সড়ক থাকলেও উত্তর পাশে এখনো পাকা রাস্তা নির্মাণ হয়নি। বরং উত্তর পাশের সংযোগ সড়কের বালু সরে গিয়ে সেখানে বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে, যা দিয়ে যানবাহন তো দূরের কথা, ঠিকভাবে...
১৪ মিনিট আগেপেট্রোল পাম্প, দুর্গাবাড়ী ও পঞ্চসার এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে জমে থাকা পানিতে সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা। আর মানিকপুর ১০ তলা ভবন এলাকা থেকে সুপার মার্কেট পর্যন্ত রাস্তার পিচ উঠে গিয়ে তৈরি হয়েছে বড় বড় গর্ত। এতে গর্তে পানি জমে গিয়ে চলাচল হয়ে পড়েছে দুঃসাধ্য। সবচেয়ে নাজুক পরিস্থিতি দেখা গেছে মুন্সিগঞ্জ জেনারেল...
১ ঘণ্টা আগেবাঁশের তৈরি কাঁচা বেড়ার গায়ে দুই হাত রেখে দাঁড়িয়ে আছেন মকবুল হোসেন। দৃষ্টি ছেলে আবু সাঈদের সমাধিস্থলের দিকে। আবু সাঈদের মা মনোয়ারা বেগম সমাধিস্থলের অদূরেই পুরোনো মাটির ঘরে বসে আছেন। হাতে সাঈদের পরনের শেষ কালো টি-শার্ট। কথা বলার জন্য এগিয়ে যেতেই কেঁদে উঠলেন মনোয়ারা বেগম।
৬ ঘণ্টা আগে