Ajker Patrika

ছাত্রীকে ৩য় স্ত্রী করা প্রধান শিক্ষকের অপসারণ দাবি এলাকাবাসীর

মান্দা (নওগাঁ) প্রতিনিধি 
আপডেট : ২৯ মার্চ ২০২৫, ১৬: ৫২
প্রধান শিক্ষকের অপসারণ দাবিতে এলাকাবাসীর মানববন্ধন। ছবি: আজকের পত্রিকা
প্রধান শিক্ষকের অপসারণ দাবিতে এলাকাবাসীর মানববন্ধন। ছবি: আজকের পত্রিকা

ছাত্রীকে বিয়ে করে আলোচনায় আসা নওগাঁর মান্দা উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা মেমোরিয়াল বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আকরাম হোসেনের অপসারণ দাবিতে মানববন্ধন করা হয়েছে। আজ শনিবার দুপুর ১২টার দিকে ছাত্রী অভিভাবক ও এলাকাবাসীর ব্যানারে বিদ্যালয়ের সামনে নওগাঁ-রাজশাহী মহাসড়কে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।

স্থানীয় বাসিন্দা ময়েজ উদ্দিনের সভাপতিত্বে মানববন্ধন চলাকালে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য দেন শামীম হোসেন সাজু, আল মামুন, মোস্তাকিম সরদার, বাবুল হোসেন বাবু, গোলাম মোর্শেদ, সোহেল সরদার, রিসালাত সাজিদ, রশিদা বেগম প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, ছাত্রী দোলা আক্তারের (১৬) সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে প্রধান শিক্ষক আকরাম হোসেনের প্রেমের গুঞ্জন ছিল। গত বুধবার ছাত্রী দোলা আক্তারকে বিয়ে করে তৃতীয় স্ত্রী হিসেবে ঘরে তোলেন তিনি। একই প্রতিষ্ঠান থেকে ছাত্রী দোলা আক্তার এবারের এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেবে। এর আগেও একই প্রতিষ্ঠানের ছাত্রী রিনা আক্তার পুতুলকে দ্বিতীয় বিয়ে করে আলোচনার জন্ম দিয়েছিলেন প্রধান শিক্ষক আকরাম।

বক্তা শামীম হোসেন সাজু বলেন, ‘প্রধান শিক্ষক আকরামের তৃতীয় স্ত্রী দোলা আক্তার তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী পুতুলের বান্ধবীর মেয়ে। সেই মেয়েতুল্য ছাত্রীকে তৃতীয় বিয়ে করে আবারও আলোচনার জন্ম দিয়েছেন। এ ধরনের চরিত্রহীন শিক্ষকের অবিলম্বে অপসারণসহ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি।’

এদিকে বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়ে গত বৃহস্পতিবার মান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে অভিযোগ দিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। বান্ধবীর মেয়েকে বিয়ে করায় ক্ষোভ ও লজ্জায় প্রধান শিক্ষকের দ্বিতীয় স্ত্রী রিনা আক্তার পুতুল স্বামীর বাড়ি ছেড়ে বাবার বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন।

ছাত্রীকে তৃতীয় বিয়ে করা প্রসঙ্গে প্রধান শিক্ষক আকরাম হোসেন বলেন, ‘দোলাকে আমি সামাজিকভাবে বিয়ে করেছি। তাকে অনেক আগেই বিয়ে করতাম। কিন্তু বয়স সমস্যার কারণে করিনি। আমি একাধিক বিয়ে করতেই পারি। এখানে কারও কিছুই আসে যায় না।’

এ প্রসঙ্গে মান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাহ আলম মিয়া বলেন, স্থানীয় লোকজনের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত