Ajker Patrika

আমবাগানে মালটা চাষে সফল ব্যবসায়ী

চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি
আপডেট : ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১৫: ৪০
আমবাগানে মালটা চাষে সফল ব্যবসায়ী

বাগানভর্তি সারিবদ্ধ মাল্টাগাছ। প্রতিটি গাছের সবুজ পাতার ফাঁকে দুলছে আধা পাকা মাল্টা। মাল্টার ভারে নুয়ে পড়েছে গাছের ডালগুলো। চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার ভাঙ্গা ব্রিজ এলাকার মো. জাকারিয়া (৪০) নামে এক কসমেটিকস ব্যবসায়ীর মাল্টার বাগানে গিয়ে দেখা গেছে এমন চিত্র।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চার বছর আগে ছোট আমবাগানে ৭৫টি মাল্টাগাছ লাগিয়েছিলেন জাকারিয়া। তখন তাঁকে অনেকেই উপহাস করে বলেছিল, এসব জমিতে মাল্টা চাষ হবে না। দেড় বছর না গড়াতেই গাছে আসতে শুরু করে মাল্টা। মাল্টার আকৃতিও ছিল বড়, যা পরিচর্যায় আরও মনোযোগী হন জাকারিয়া। মাত্র ৭৫টি গাছের মালটা বিক্রি করে গত বছর প্রায় ৫০ হাজার টাকা আয় করেন তিনি। এ বছরও ভালো ফলন হয়েছে। এ বছর এখন পর্যন্ত প্রায় ৫০-৫৫ হাজার টাকার মাল্টা বিক্রি করেছেন তিনি।

জাকারিয়া বলেন, ‘আমি বর্তমানে কসমেটিকসের ব্যবসা করি। কিন্তু গাছ লাগতে আমার ভালো লাগে। এ জন্য চার বছর আগে বাড়ির পাশের একটি ছোট আমবাগানে ৭৫টি মাল্টাগাছ লাগিয়েছিলাম। তখন এলাকাবাসী আমাকে উপহাস করেছিল। কিন্তু গত দুই বছরে আমি যে সফলতা পেয়েছি, তা দেখে অনেকে এখন আমার কাছে মাল্টাগাছের চারা ক্রয় করতে আসেন। বর্তমানে আমি এই বাগান থেকে বছরে প্রায় লাখ টাকা আয় করছি। আশা করছি এ বছর আরও ৫০ হাজার টাকা পাব।’

জাকারিয়া আরও বলে, ‘এই মাল্টা অনেক সুস্বাদু এবং আকারে অনেক বড় হয়। তাই সহজে ক্রেতা পাওয়া যায়। বর্তমানে ২ হাজার থেকে ২ হাজার ২০০ টাকা মণ দরে মাল্টা বিক্রি করছি।’

স্থানীয় সাবিরুল ইসলাম নামে এক আমচাষি বলেন, ‘চার বছর আগে জাকারিয়াকে আমরা উপহাস করেছিলাম। কিন্তু আজ বুঝতে পেরেছি আমরা ভুল করেছি। এই মাল্টা চাষ করে লাভবান হওয়া সম্ভব। তাই আমি উদ্যোগ নিয়েছি দুই বিঘা জমির আমবাগান কেটে ফেলে মাল্টা চাষ করব।’

চার বছর আগে আমবাগানে ৭৫টি মাল্টা গাছ লাগিয়ে লাভবান হচ্ছেন কসমেটিকস ব্যবসায়ী জাকারিয়া।

জসিম উদ্দীন নামে আরেক আমচাষি বলেন, জাকারিয়ার জমিতে দুই ধরনের ফল চাষ হচ্ছে। তিনি আমের সময়ে আমও বিক্রি করছেন। আর মাল্টাতেও ভালো টাকা পাচ্ছেন। তবে প্রথমে বিষয়টি নিয়ে উপহাস করা হয়েছিল, যা ঠিক হয়নি।

এ বিষয়ে শিবগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা (ইউএনও) শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘শিবগঞ্জ এলাকার মাটি মাল্টা চাষের জন্য উপযোগী। তাই এই এলাকায় দিনে দিনে মাল্টা চাষ বাড়ছে। এখানে ব্যাপক পরিমাণে মাল্টা চাষ করা হলে দেশের বাইরে থেকে মাল্টা আমদানি কমে আসবে। এতে এখানকার মানুষ লাভবান হবেন।’

ইউএনও আরও বলেন, ‘এখানকার মাল্টা অন্য স্থানের তুলনায় আকারে অনেক বড় এবং সুস্বাদু। যেহেতু মাল্টাগাছের জন্য জায়গা কম লাগে, তাই আমবাগানেও মাল্টা চাষ করা যায়।’ 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ড. ইউনূসের পদত্যাগের গুঞ্জন, পরিস্থিতি নিয়ে যা বলছে রাজনৈতিক দল ও উপদেষ্টারা

‘প্রধান উপদেষ্টা পদত্যাগ করবেন না’ লেখা পোস্টটি সরিয়ে ফেললেন ফয়েজ তৈয়্যব

দেশে ফিরলেন আওয়ামী লীগ নেতা, বিমানবন্দরে গ্রেপ্তার

পার্লামেন্টে জুতায় বিয়ার ঢেলে পান করে রাজনীতিকে বিদায় জানালেন এমপি

চিকিৎসকের ছুরিকাঘাতে আহত তরুণ মারা গেছেন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত