Ajker Patrika

রাজশাহীতে ব্যাংক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ এক ব্যবসায়ীর

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
আপডেট : ১১ এপ্রিল ২০২৩, ০০: ২৫
রাজশাহীতে ব্যাংক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ এক ব্যবসায়ীর

রাজশাহীতে ইসলামী ব্যাংকের এক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন করেছেন একজন ব্যবসায়ী। তাঁর অভিযোগ, ব্যাংকে ঋণ নেওয়ার সময় জমা দেওয়া একটি চেক নিয়ে ইসলামী ব্যাংকের ওই কর্মকর্তা দাবি করছেন যে, ওই চেকের বিপরীতে তিনিই ৪০ লাখ টাকা পাবেন। 

আজ সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় ফটোজার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের রাজশাহী শাখা কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন আলমগীর হোসেন কদর নামের ওই ব্যবসায়ী। 

সংবাদ সম্মেলনে আলমগীর হোসেন দাবি করেন, ব্যাংকের অসাধু কর্মকর্তার কারণে তাঁর জীবন বিষিয়ে উঠেছে। তিনি দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। আত্মহত্যা ছাড়া তাঁর এখন গতি নেই। তিনি তাঁর অভিযোগ যথাযথভাবে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ব্যাংক কর্তৃপক্ষ ও প্রশাসনের কাছে দাবি জানিয়েছেন। 

আলমগীর হোসেন কদর বাড়ি নগরীর সিলিন্দা এলাকায়। তিনি ইসলামী ব্যাংকের রাজশাহী নিউমার্কেট শাখার গ্রাহক। 

এ দিকে অভিযুক্ত ব্যাংক কর্মকর্তা মিজানুর রহমান অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাঁর দাবি, জমি কেনার জন্য তিনি আলমগীরকে নগদ টাকা দিয়েছেন। এখন টাকাও দিচ্ছেন না, জমিও দিচ্ছেন না। টাকা না দিতে আলমগীর হোসেন মিথ্যা বলছেন। 

সংবাদ সম্মেলনে আলমগীর হোসেন কদর জানান, রাজশাহী নগরীর সাহেব বাজারে তিনি সবজির ব্যবসা করেন। এর পাশাপাশি জমি কেনাবেচা করেন। ২০০৮ সাল থেকে তাঁর লেনদেন ইসলামী ব্যাংকের রাজশাহী নিউমার্কেট শাখায়। ঋণের জন্য ব্যাংক বিভিন্ন সময় তাঁর কাছ থেকে সই করা ফাঁকা চেক জমা রাখে। সেসব চেক জমা দিয়েছেন ব্যাংকের ইনভেস্টমেন্ট অফিসার মিজানুর রহমানের কাছে। সম্প্রতি এই কর্মকর্তা তাঁকে একটি লিগ্যাল নোটিশ পাঠান। এতে বলা হয়, আলমগীর হোসেন তাঁর কাছ থেকে ৪০ লাখ ৫৩ হাজার টাকা নিয়েছেন। এই টাকা ফেরত না দিলে জমা থাকা চেক ডিজঅনারের মামলা করা হবে। 

আলমগীর হোসেন দাবি করে বলেন, তিনি পড়াশোনা জানেন না। স্বাক্ষর করাটাও শিখেছেন ব্যাংকে লেনদেন করার সময়। ঋণ নেওয়ার সময় ব্যাংক কর্মকর্তা মিজানুর রহমান যেভাবে ফাঁকা চেক চেয়েছেন, তিনি সেভাবেই দিয়েছেন। এখন ওই ফাঁকা চেক নিয়ে মিজানুর রহমান তাঁকে ফাঁদে ফেলেছেন। টাকা আদায়ের জন্য মিজানুর সন্ত্রাসী বাহিনী ভাড়া করেছেন। বাহিনীর সদস্যরা তাঁর বাড়িতে গিয়ে দুই দফা ভাঙচুর করেছে। টাকা না দিলে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়েছে। এখন তিনি সন্ত্রাসীদের ভয়ে বাড়ি থেকে বের হওয়ার সাহস পাচ্ছেন না। 

মিজানুর রহমান দুই মাস আগে ইসলামী ব্যাংকের রাজশাহী নিউমার্কেট শাখা থেকে বদলি হয়েছেন। এখন তিনি চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুর শাখায় কর্মরত। মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি আলমগীরকে জিম্মি করার অভিযোগ অস্বীকার করেন। 

উল্টো আলমগীরের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে মিজানুর রহমান আজকের পত্রিকাকে জানান, জমি কেনার জন্য তিনি ২০২২ সালের ১২ এপ্রিল ইসলামী ব্যাংকের নিউমার্কেট শাখা থেকেই ঋণ নিয়ে আলমগীরকে ৪০ লাখ ৫৩ হাজার টাকা দিয়েছেন। কাউন্টার থেকে আলমগীর নিজে এই টাকা তুলেছেন। ব্যাংকের ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরায় এটি রেকর্ড আছে। টাকা দেওয়ার ব্যাপারে আলমগীরের সঙ্গে তাঁর লিখিত চুক্তিও হয়েছিল। আর টাকার নিশ্চয়তা হিসেবে আলমগীর চেক দিয়েছিলেন। এখন জমিও দিচ্ছেন না, টাকাও ফেরত দিচ্ছেন না। 

এ নিয়ে মামলা করার উদ্যোগ নিয়েছেন জানিয়ে ব্যাংক কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, ‘আমার বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জ। আমি তাঁর কাছে টাকা আদায় করতে পারছি না। তাই আইনের আশ্রয় নিতে যাচ্ছি। এখন টাকা না দেওয়ার জন্য আলমগীর এখানে-ওখানে মিথ্যা কথা বলে বেড়াচ্ছেন।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

প্রশিক্ষণ ছাড়াই মাঠে ৪২৬ সহায়ক পুলিশ কর্মকর্তা

গ্রাহকের ২,৬৩৫ কোটি টাকা দিচ্ছে না ৪৬ বিমা কোম্পানি

‘এই টাকা দিয়ে কী হয়, আমি এত চাপ নিচ্ছি, লাখ পাঁচেক দিতে বলো’, ওসির অডিও ফাঁস

১০০ বছর পর জানা গেল ‘অপ্রয়োজনীয়’ প্রত্যঙ্গটি নারীর প্রজননের জন্য গুরুত্বপূর্ণ

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়: তিন দফা দাবিতে সোমবার মাঠে নামছেন শিক্ষার্থীরা

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত