প্রতিনিধি, কালাই (জয়পুরহাট)
জয়পুরহাটের কালাই উপজেলা পরিষদের গেটের পাশে ফুটপাতে খোলা জায়গায় কাঠের বাক্স নিয়ে বসে সকাল–সন্ধ্যা পুরোনো জুতা-স্যান্ডেল, ব্যাগ সেলাই ও ভাঙা ছাতা মেরামতের কাজ করতেন মানিক রবিদাস। বয়স ৬৫ ছুঁই ছুঁই। জুতা সেলাই আর ছাতা মেরামতের কাজ করে দিন শেষে তাঁর ৩০০-৪০০ টাকা উপার্জন হতো। সেই আয়ে চলত শ্রমজীবী এ মানুষের ৫ সদস্যের সংসার। করোনা সংক্রমণ শুরুর পর থেকে আয় কমে অর্ধেকে নেমেছিল। এখন কঠোর বিধিনিষেধের পর ঠিকমতো ফুটপাতে কাঠের বাক্স পেতে বসতেই পারছেন না। মানুষের আনাগোনা নেই, আয় রোজগারও বন্ধ। হাত গুটিয়ে বসে আছেন। অচল প্রায় সংসার। পরিবার নিয়ে অনাহারে অর্ধাহারে দিন কাটাচ্ছেন।
সহায় সম্বলহীন মানিক রবিদাসের বাড়ি উপজেলার জিন্দারপুর ইউনিয়নের বেগুনগামে। আজ শুক্রবার বৃষ্টিভেজা সকালে দোকান খোলার আশায় উপজেলা পরিষদের সামনের ফুটপাতে বিষণ্ন মনে ঘুরঘুর করছিলেন। কিন্তু প্রশাসনের ভয়ে ফুটপাতে দোকান খুলে বসার সাহস পাচ্ছিলেন না। কথা হয় মানিক রবিদাসের সঙ্গে। তিন যুগ ধরে তিনি জুতা সেলাইয়ের পেশায় জড়িত। জুতা ও ব্যাগ সেলাইয়ের পাশাপাশি বর্ষা মৌসুমে পুরোনো ছাতা মেরামতের কাজ করেন।
মানিক রবিদাসের আয় করোনা সংক্রমণ শুরুর পর থেকেই কমে গেছে। এখন ভরা বর্ষাকাল। এ সময় অনেকেই পুরোনো ছাতা মেরামতের জন্য আসতেন তাঁর কাছে। কিন্তু এখন এই লকডাউনের মধ্যে তাও বন্ধ। বিধিনিষেধের ভয়ে ঠিকমতো ফুটপাতে দোকান খুলে বসতে পারেন না। লোকজনের আনাগোনা নেই, কাজও তেমন নেই। এখন দিন শেষে ৫০-১০০ টাকা রোজগার হয়। এই আয়ে সংসার চলে না। পাঁচ সদস্যের পরিবার নিয়ে খুব কষ্টে দিন কাটছে।
কতটা কষ্ট, তা মানিক রবিদাসের কথাতেই স্পষ্ট। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘ইঙ্কা (এমন) কষ্ট আর সহ্য করা যাওচেনা (যাচ্ছে না)। কামাই রোজগার বাদ দিয়ে ইঙ্কা করে বসে থাকলে করোনাত মরার আগে বউ–ছল (সন্তান) লিয়ে মোক না খায়াই মরা লাগবে।’
শুধু মানিক রবিদাস নন, লকডাউনে এমন সংকটে পড়েছেন উপজেলার শ্রমজীবী হাজারো মানুষ। করোনা মহামারিতে স্থবির হয়ে পড়েছে খেটে খাওয়া নিম্নবিত্ত থেকে শুরু করে নিম্ন মধ্যবিত্তের জীবন। এই ক্রান্তিকালে লোকলজ্জায় তাঁরা না পারছেন কাউকে কিছু বলতে, না পারছেন বাঁচতে। ফলে তাঁরা মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
সরেজমিনে ঘুরে এমন বহু মানুষের দেখা পাওয়া গেল, যারা খুব কষ্টে দিন পার করছেন। করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) প্রাদুর্ভাব তাঁদের জীবনটাই যেন ওলটপালট করে দিয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি মানবেতর জীবনযাপন করছেন শ্রমজীবী মানুষেরা।
নিম্নবিত্ত মানুষেরা সাধারণত দিন আনে দিন খায়। তাঁদের দৈনিক রোজগারে পরিবারের মুখে হাসি ফোটে। সেই হাসি আজ দূর অতীত। এখন এই সংকটকালে তাঁদের বেঁচে থাকাই যেন দায় হয়ে পড়েছে। কষ্টই এখন তাঁদের নিত্যসঙ্গী।
মধ্যবিত্ত শ্রেণির অনেকেই ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। করোনাভাইরাস মহামারিতে সব ব্যবসাতেই মন্দা দেখা দিয়েছে। কিন্তু লোকলজ্জার কারণে কাউকে কিছু বলার বা কারও কাছে কিছু চাওয়ার উপায় তাঁদের নেই। ফলে তাঁদেরও দিন যাচ্ছে কষ্টে।
কালাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) টুকটুক তালুকদার বলেন, প্রধানমন্ত্রীর করোনাকালীন মানবিক সহায়তা কার্যক্রমের আওতায় নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্তদের মানবিক সহায়তা প্রদান অব্যাহত আছে।
কিন্তু এই মানবিক সহায়তার দেখা পান না মানিক রবিদাসের মতো লোকেরা। আর মধ্যবিত্ত শ্রেণি সমাজের কাছে ছোট হয়ে যাওয়ার ভয়ে পারে না এই সহায়তা নিতে যেতে।
জয়পুরহাটের কালাই উপজেলা পরিষদের গেটের পাশে ফুটপাতে খোলা জায়গায় কাঠের বাক্স নিয়ে বসে সকাল–সন্ধ্যা পুরোনো জুতা-স্যান্ডেল, ব্যাগ সেলাই ও ভাঙা ছাতা মেরামতের কাজ করতেন মানিক রবিদাস। বয়স ৬৫ ছুঁই ছুঁই। জুতা সেলাই আর ছাতা মেরামতের কাজ করে দিন শেষে তাঁর ৩০০-৪০০ টাকা উপার্জন হতো। সেই আয়ে চলত শ্রমজীবী এ মানুষের ৫ সদস্যের সংসার। করোনা সংক্রমণ শুরুর পর থেকে আয় কমে অর্ধেকে নেমেছিল। এখন কঠোর বিধিনিষেধের পর ঠিকমতো ফুটপাতে কাঠের বাক্স পেতে বসতেই পারছেন না। মানুষের আনাগোনা নেই, আয় রোজগারও বন্ধ। হাত গুটিয়ে বসে আছেন। অচল প্রায় সংসার। পরিবার নিয়ে অনাহারে অর্ধাহারে দিন কাটাচ্ছেন।
সহায় সম্বলহীন মানিক রবিদাসের বাড়ি উপজেলার জিন্দারপুর ইউনিয়নের বেগুনগামে। আজ শুক্রবার বৃষ্টিভেজা সকালে দোকান খোলার আশায় উপজেলা পরিষদের সামনের ফুটপাতে বিষণ্ন মনে ঘুরঘুর করছিলেন। কিন্তু প্রশাসনের ভয়ে ফুটপাতে দোকান খুলে বসার সাহস পাচ্ছিলেন না। কথা হয় মানিক রবিদাসের সঙ্গে। তিন যুগ ধরে তিনি জুতা সেলাইয়ের পেশায় জড়িত। জুতা ও ব্যাগ সেলাইয়ের পাশাপাশি বর্ষা মৌসুমে পুরোনো ছাতা মেরামতের কাজ করেন।
মানিক রবিদাসের আয় করোনা সংক্রমণ শুরুর পর থেকেই কমে গেছে। এখন ভরা বর্ষাকাল। এ সময় অনেকেই পুরোনো ছাতা মেরামতের জন্য আসতেন তাঁর কাছে। কিন্তু এখন এই লকডাউনের মধ্যে তাও বন্ধ। বিধিনিষেধের ভয়ে ঠিকমতো ফুটপাতে দোকান খুলে বসতে পারেন না। লোকজনের আনাগোনা নেই, কাজও তেমন নেই। এখন দিন শেষে ৫০-১০০ টাকা রোজগার হয়। এই আয়ে সংসার চলে না। পাঁচ সদস্যের পরিবার নিয়ে খুব কষ্টে দিন কাটছে।
কতটা কষ্ট, তা মানিক রবিদাসের কথাতেই স্পষ্ট। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘ইঙ্কা (এমন) কষ্ট আর সহ্য করা যাওচেনা (যাচ্ছে না)। কামাই রোজগার বাদ দিয়ে ইঙ্কা করে বসে থাকলে করোনাত মরার আগে বউ–ছল (সন্তান) লিয়ে মোক না খায়াই মরা লাগবে।’
শুধু মানিক রবিদাস নন, লকডাউনে এমন সংকটে পড়েছেন উপজেলার শ্রমজীবী হাজারো মানুষ। করোনা মহামারিতে স্থবির হয়ে পড়েছে খেটে খাওয়া নিম্নবিত্ত থেকে শুরু করে নিম্ন মধ্যবিত্তের জীবন। এই ক্রান্তিকালে লোকলজ্জায় তাঁরা না পারছেন কাউকে কিছু বলতে, না পারছেন বাঁচতে। ফলে তাঁরা মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
সরেজমিনে ঘুরে এমন বহু মানুষের দেখা পাওয়া গেল, যারা খুব কষ্টে দিন পার করছেন। করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) প্রাদুর্ভাব তাঁদের জীবনটাই যেন ওলটপালট করে দিয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি মানবেতর জীবনযাপন করছেন শ্রমজীবী মানুষেরা।
নিম্নবিত্ত মানুষেরা সাধারণত দিন আনে দিন খায়। তাঁদের দৈনিক রোজগারে পরিবারের মুখে হাসি ফোটে। সেই হাসি আজ দূর অতীত। এখন এই সংকটকালে তাঁদের বেঁচে থাকাই যেন দায় হয়ে পড়েছে। কষ্টই এখন তাঁদের নিত্যসঙ্গী।
মধ্যবিত্ত শ্রেণির অনেকেই ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। করোনাভাইরাস মহামারিতে সব ব্যবসাতেই মন্দা দেখা দিয়েছে। কিন্তু লোকলজ্জার কারণে কাউকে কিছু বলার বা কারও কাছে কিছু চাওয়ার উপায় তাঁদের নেই। ফলে তাঁদেরও দিন যাচ্ছে কষ্টে।
কালাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) টুকটুক তালুকদার বলেন, প্রধানমন্ত্রীর করোনাকালীন মানবিক সহায়তা কার্যক্রমের আওতায় নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্তদের মানবিক সহায়তা প্রদান অব্যাহত আছে।
কিন্তু এই মানবিক সহায়তার দেখা পান না মানিক রবিদাসের মতো লোকেরা। আর মধ্যবিত্ত শ্রেণি সমাজের কাছে ছোট হয়ে যাওয়ার ভয়ে পারে না এই সহায়তা নিতে যেতে।
ঘন কুয়াশার কারণে প্রায় ১১ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া এবং আরিচা-কাজিরহাট নৌপথে ফেরি চলাচল শুরু হয়েছে। দীর্ঘ সময় ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় দুই পথের উভয় প্রান্তে আটকা পড়ে অ্যাম্বুলেন্স, ব্যক্তিগত গাড়ি, যাত্রীবাহী বাসসহ দুই শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাক।
২৬ মিনিট আগেরংপুরে ঘন কুয়াশার কারণে সড়কে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একই স্থানে একে একে ছয়টি পরিবহন দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে। এতে প্রাণহানির কোনো ঘটনা না ঘটলেও অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছেন। দুর্ঘটনাকবলিত পরিবহনগুলোর মধ্যে তিনটি যাত্রীবাহী বাসসহ ট্রাক, পিকআপ ও কাভার্ডভ্যান রয়েছে। গাড়িগুলো ঘটনাস্থল থেকে সরিয়ে নেওয়ার কাজ চলছে...
২৭ মিনিট আগেচট্টগ্রামের বিভিন্ন স্থান থেকে বাসে-ট্রাকে করে মানুষ মাহফিলে আসতে থাকে। বিকেল ৪টা নাগাদ প্যারেড ময়দানের আশপাশের রাস্তাঘাট লোকারণ্য হয়ে যায়, বন্ধ হয়ে যায় যান চলাচল। প্যারেড ময়দানসংলগ্ন চকবাজার তেলিপট্টি মোড় থেকে এক্সেস রোড, অলিখাঁ মোড় থেকে গণি বেকারির মোড় পর্যন্ত যানচলাচল সীমিত হয়ে পড়ে।
৪৩ মিনিট আগেমাঝনদীতে আটকা পড়া এসব ফেরিতে ১৫টির মতো যাত্রীবাহী বাস আছে। এসব বাসের যাত্রীরা কনকনে শীতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন। এদিকে পাটুরিয়া ঘাটে ৩০টির মতো যাত্রীবাহী বাস এবং শতাধিক পণ্যবাহী যানবাহন আটকা পড়েছে।
২ ঘণ্টা আগে