Ajker Patrika

চাকরিপ্রত্যাশীকে পরীক্ষা কেন্দ্রে যেতে বাধা ও হামলার অভিযোগ 

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি
চাকরিপ্রত্যাশীকে পরীক্ষা কেন্দ্রে যেতে বাধা ও হামলার অভিযোগ 

সিরাজগঞ্জের সদর উপজেলার শহীদ আহসান উল-হাবীব উচ্চবিদ্যালয়ের অফিস সহায়ক পদে চাকরিপ্রত্যাশী মো. আবু হানিফের ওপর হামলা ও পরীক্ষার কেন্দ্রে যেতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় পাঁচজনের নামে গতকাল মঙ্গলবার রাতে সদর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন আবু হানিফ।

অভিযোগ ওঠা ব্যক্তিরা হলেন শহীদ আহসান উল-হাবীব উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাসুদ রানা মুন্সি, ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি আব্দুল মতিন, সহায়ক পদে চাকরিপ্রত্যাশী তারিকুল ইসলাম ও ওমর ফারুক (রেজাউল) এবং পরিচ্ছন্ন কর্মী পদে চাকরিপ্রত্যাশী শামীম রেজা।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মাসুদ রানা মুন্সি হামলার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। অভিযোগ পাওয়ার বিষয় নিশ্চিত করেন সিরাজগঞ্জ সদর থানার ডিউটি অফিসার ইয়ামিন সরকার।

জিডিতে আবু হানিফ জানান, তিনি জেলার সদর উপজেলার পাঁচ ঠাকুরী গ্রামের বাসিন্দা। শহীদ আহসান উল-হাবীব উচ্চ বিদ্যালয়ের জন্য অফিস সহায়ক ও পরিচ্ছন্নতাকর্মী পদে নিয়োগের জন্য ১৬ জুলাই ২০২৩ সালে স্থানীয় পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। অফিস সহায়ক পদে নিয়োগের জন্য লিখিত পরীক্ষা গত ৯ জানুয়ারি হওয়ার কথা ছিল।

লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার জন্য কেন্দ্রে হাজির হন বলে জানান আবু হানিফ। তিনি বলেন, ‘শহীদ আহসান উল-হাবীব উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাসুদ রানা মুন্সি, ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি আব্দুল মতিন, সহায়ক পদে চাকরি প্রত্যাশী তারিকুল ইসলাম, ওমর ফারুক (রেজাউল) এবং পরিচ্ছন্ন কর্মী পদে চাকরি প্রত্যাশী শামীম রেজাসহ অজ্ঞাত লোক আমাকে প্রশাসনিক ভবনের বারান্দা থেকে ডেকে শরীরের বিভিন্ন স্থানে ঘুষি ও লাথি মেরে জখম করেন। আমার প্রবেশপত্র ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। পরে ঘটনার সাক্ষীরা এগিয়ে এসে আমাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করেন।’

এদিকে নিয়োগের ঘটনায় ৩০ লাখ ঘুষের বিনিময়ে শহীদ আহসান উল-হাবীব উচ্চবিদ্যালয়ে দুটি পদে প্রধান শিক্ষক ও ব্যবস্থাপনা কমিটি পছন্দের প্রার্থীকে নিয়োগ দিচ্ছেন বলে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার বরাবর লিখিত গত ৪ জানুয়ারি অভিযোগ দেন চাকরিপ্রত্যাশী আবু হানিফ। এই অভিযোগ দেওয়ার কারণে হামলা ও পরীক্ষা কেন্দ্রে মারধর করা হয় বলে দাবি আবু হানিফের।

এ বিষয়ে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ও সালেহা ইসহাক সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আফসার আলী বলেন, ‘নিয়োগ সংক্রান্ত তিনটি প্রতিষ্ঠানের অভিযোগ আমার কাছে এসেছিল। আমি এগুলো তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে নির্দেশ দিয়েছি। কিন্তু তিনি যদি তদন্ত না করেন তাহলে বিষয়টি আমি দেখব।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত