Ajker Patrika

কবরস্থান কমিটি নিয়ে বিএনপির দ্বন্দ্ব, সংঘাতের শঙ্কায় ভোট স্থগিত

পাবনা প্রতিনিধিচাটমোহর (পাবনা) প্রতিনিধি 
আব্দুল কুদ্দুস (ছাতা)– শরিফুল ইসলাম (চেয়ার)। ছবি: সংগৃহীত
আব্দুল কুদ্দুস (ছাতা)– শরিফুল ইসলাম (চেয়ার)। ছবি: সংগৃহীত

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির আশঙ্কায় পাবনার চাটমোহরে ‘জান্নাতুল বাকি’ নামের কবরস্থান কমিটির সভাপতি পদের নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে। আজ বুধবার স্থগিতের এই কথা জানায় নির্বাচন পরিচালনা কমিটি।

বিষয়টি নিশ্চিত করে নির্বাচন কমিশনের প্রধান ও বর্তমান কমিটির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মতিন মাস্টার বলেন, ‘২৪ মে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও এলাকায় আইনশৃঙ্খলার অবনতির আশঙ্কায় আমরা নির্বাচন পরিচালনা কমিটি এই নির্বাচন স্থগিত ঘোষণা করেছি।

দু-এক দিনের মধ্যে গ্রামের প্রধান বর্গ ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে বসে সমঝোতার মাধ্যমে আমরা একটি গ্রহণযোগ্য কমিটি উপহার দেব।’

স্থগিত বিষয়ে চাটমোহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মঞ্জুরুল আলম বলেন, ‘নির্বাচন পরিচালনা কমিটি সেখানে নির্বাচন স্থগিত ঘোষণা করেছে বলে জেনেছি। এই নির্বাচন ঘিরে এলাকায় আইনশৃঙ্খলা অবনতি হওয়ার সম্ভাবনা ছিল।

তবে তারা নিজেরা যদি সবার সম্মতিতে একটা গ্রহণযোগ্য কমিটি দিতে পারে, তাহলে সেটাই ভালো হয়। তবে কেউ যদি এ নিয়ে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটানোর চেষ্টা করে, তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

জানতে চাইলে সভাপতি পদপ্রার্থী উপজেলা যুবদলের ১ নম্বর যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল কুদ্দুস আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নির্বাচন স্থগিত করেছে নির্বাচন পরিচালনা কমিটি। এখন সবাই বসে আলোচনার মাধ্যমে সভাপতি বানাক তারা। আমি আর এর মধ্যে নাই।

যাকে সভাপতি বানায় বানাক, আমার কোনো আপত্তি নাই। আমি আর কমিটির মধ্যে থাকব না। অনেক কথা শুনতে হয়েছে। অনেক হুমকিও আসছে। সেগুলো আর বলতে চাই না।’ অপর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মূলগ্রাম ইউনিয়ন শ্রমিক দলের সভাপতি শরিফুল ইসলাম এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

উল্লেখ্য, উপজেলার মূলগ্রাম ইউনিয়নের বালুদিয়ার, মহরমখালী ও জগতলা (আংশিক) তিন গ্রামের সমাজ নিয়ে গঠিত ‘জান্নাতুল বাকি’ কবরস্থান কমিটির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর কমিটি গঠনের জন্য তোড়জোড় শুরু হয়।

কিন্তু সভাপতি কে হবেন—এমন বিষয় নিয়ে স্থানীয় বিএনপির দুটি পক্ষের মধ্যে তৈরি হয় দ্বন্দ্ব। পরে বিষয়টি থানা পর্যন্ত গড়ায়। এলাকাবাসীরা দাবি জানান, ভোটের মাধ্যমে সভাপতি নির্বাচন করা হোক। পরে থানার ওসির পরামর্শে সভাপতি পদে নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

এরপর গঠন করা হয় সাত সদস্যের নির্বাচন পরিচালনা কমিটি। ঘোষণা করা হয় তফসিল। দুজন প্রার্থী জামানত দিয়ে মনোনয়ন ফরম তুলে জমা দেন। যাচাই-বাছাই শেষে তাঁদের মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করে নির্বাচন পরিচালনা কমিটি। দেওয়া হয় প্রতীক বরাদ্দ। দুই প্রার্থীর পোস্টারে ছেয়ে যায় এলাকা। ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ভোট প্রার্থনা করেন প্রার্থীরা। তৈরি হয় নির্বাচনী আমেজ। এলাকাবাসীর মাঝেও দেখা দেয় ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা।

এ নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয় কবরস্থান কমিটির সভাপতি পদের নির্বাচনের খবর। তবে এ নিয়ে এলাকায় বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনাও বিরাজ করতে থাকে। মানুষের মাঝে সংশয় ও উৎকণ্ঠা দেখা দিলে অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে নির্বাচন স্থগিত ঘোষণা করে নির্বাচন পরিচালনা কমিটি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ডিসেম্বরেই নির্বাচন হওয়া উচিত: সেনাপ্রধান

শেখ হাসিনাসহ ৩৯৩ জনের বিরুদ্ধে করা মামলা প্রত্যাহার করে নিলেন বিএনপি নেতা

৪ ধরনের শৃঙ্খলাভঙ্গে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের শাস্তি চাকরিচ্যুতি

বদলে গেল স্কুল-কলেজের শপথ, বাদ মুক্তিযুদ্ধ ও অসাম্প্রদায়িক চেতনা

শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্য পরিষদের চেয়ারম্যান আটক

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত