Ajker Patrika

মঞ্চে না ডাকায় ছাত্রলীগ নেতার ভাঙচুর 

তাড়াশ (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি
আপডেট : ০৫ মার্চ ২০২৩, ১৬: ৩৫
মঞ্চে না ডাকায় ছাত্রলীগ নেতার ভাঙচুর 

সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগাঠনিক সম্পাদক রানা মণ্ডলকে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাইকে ঘোষণা দিয়ে মঞ্চে না ডাকায় তাঁর নেতৃত্বে অনুষ্ঠানের প্যান্ডেলের চেয়ার ও মঞ্চ ভাঙচুরে ঘটনা ঘটেছে। 

আজ রোববার বেলা একটার দিকে উপজেলার সগুনা ইউনিয়নের ধামাইচহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। আর এ ঘটনার আকস্মিকতায় সেখানে উপস্থিত শিশু শিক্ষার্থীরা ভয়ে কান্নাকাটি করতে থাকে। আবার কেউ বা দৌড়াদৌড়ি করতে থাকে। আর এভাবে প্রায় ১০ থেকে ১৫ মিনিট তাণ্ডব চলার পর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানটি পণ্ড হয়ে যায়। 

বিষয়টি ধামাইচহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মোস্তফা কামাল নিশ্চিত করেছেন। 

স্থানীয়রা জানান, আজ ধামাইচহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বার্ষিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের দিন ছিল। আর সকালে বিদ্যালয়ে মাঠে স্থাপিত মঞ্চে যথারীতি আমন্ত্রিত অতিথি, শিক্ষার্থী, অভিভাবক, ম্যানেজিং কমিটির সদস্য এবং শিক্ষকদের নিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়। 

কিন্তু বেলা একটার দিকে তাড়াশ উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগাঠনিক সম্পাদক রানা মণ্ডলকে ওই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাইকে ঘোষণা দিয়ে মঞ্চে না ডাকায় তিনি তাঁর ১০ থেকে ১২ জন সমর্থক নিয়ে আচমকা অনুষ্ঠান স্থলে ঢুকে পড়েন।

এ সময় তাঁকে মঞ্চে না ডাকায় তিনি আয়োজকদের অকথ্য ভাষায় গালাগাল দিতে থাকেন। আর এমন আচরণ দেখে আয়োজকেরা তাঁকে নিবৃত করার চেষ্টা করলে তিনি তাঁর সমর্থকদের নিয়ে প্যান্ডেলে থাকা চেয়ার ও মঞ্চ ভাঙচুর করতে থাকেন। এভাবে প্রায় ১০ থেকে ১৫ মিনিট তাণ্ডব চালিয়ে প্রায় ৫৫টি চেয়ার ও মঞ্চের অংশবিশেষ ভেঙে  ফেলেন। 

আর এ দৃশ্য দেখে উপস্থিত শিশু শিক্ষার্থীরা ভয়ে কান্নাকাটি করতে থাকে। আবার কেউ বা দৌড়াদৌড়ি করতে থাকে। তখন হামলাকারীরা বীরদর্পে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। তারপর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানটি পণ্ড হয়ে যায়। খবর পেয়ে তাড়াশ থানা-পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। 

এ প্রসঙ্গে ধামাইচহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মোস্তফা কামাল বলেন, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে যা ঘটেছে, তা ন্যক্কারজনক। আর বিদ্যালয়ের এসএমসির সভাপতি আবু হাসেম খোকন বলেন, ‘বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। যা মেনে নেওয়া যায় না।’ 

তবে রানা মণ্ডল বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, ‘আমি ঘটনাস্থলে ছিলাম না। এলাকার কতিপয় জুনিয়র ছেলে এমন ঘটনা ঘটিয়েছে বলে জেনেছি।’ 

তাড়াশ উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. ইকবাল হাসান রুবেল বলেন, ‘বিষয়টি আমি সাংবাদিকদের মাধ্যমে জেনেছি। আর সত্যিই যদি ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রানা মণ্ডল এ ঘটনা ঘটিয়ে থাকেন, তাহলে তদন্ত করে তাঁর বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ বিষয়ে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।’

এ প্রসঙ্গে তাড়াশ থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি) মো. শহিদুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তবে এখনো কেউ অভিযোগ দেয়নি। যদি অভিযোগ আসে, তাহলে বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত