আক্কেলপুর (জয়পুরহাট) প্রতিনিধি
দশম শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়ে পড়াশোনা করছে না, তাই বকাঝকা করেছিলেন বাবা। পরে রাতে না খেয়েই ঘুমাতে যায় মেয়ে। সকালে বোন তাকে ডাকতে গিয়ে দেখেন বোনের মরদেহ ঝুলছে ঘরের আড়ার সঙ্গে। পরিবারের দাবি, মেয়ে আত্মহত্যা করেছে।
আজ রোববার সকালে জয়পুরহাটের আক্কেলপুরের শিয়ালা গ্রাম থেকে ওই শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পরে পুলিশ স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে ও পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ না থাকায়, ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহ হস্তান্তর করা হয়।
বিষয়টি আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন আক্কেলপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর সিদ্দিক।
স্কুলছাত্রীর নাম সাদিয়া আক্তার লুনা (১৭)। সে ওই গ্রামের আব্দুস ছোবহান খানের দ্বিতীয় মেয়ে। সাদিয়া স্থানীয় কাশিড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।
পুলিশ, এলাকাবাসী ও নিহতের পরিবার বলছে, সাদিয়া আক্তারের বাবা আব্দুস ছোবহান পেশায় একজন কৃষক। তাঁর দুই মেয়ে ও এক ছেলে সন্তান রয়েছে। ছোট মেয়ে সাদিয়া দশম শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগে পড়াশোনা করত। গতকাল শনিবার বিকেলে আব্দুস ছোবহান সাদিয়াকে ভালো করে পড়াশোনা করার জন্য বাকাবকি করেন। সেই অভিমানে সাদিয়া রাতে আর খাবার না খেয়ে বাড়ির দোতলায় নিজ ঘরে গিয়ে ঘুমিয়ে পড়ে। পরে আজ সকালে সাদিয়ার বড় বোন সাদিয়াকে ডাকতে সাদিয়ার ঘরে গিয়ে দেখেন, ঘরে বাঁশের আড়ার সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ঝুলে রয়েছে সাদিয়া। সে সময় সাদিয়ার বড় বোন চিৎকার করে তাঁর বাবাকে ডাকলে, পরিবারের লোকজন সাদিয়ার মরদেহ নিচে নামায়। পরে বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়।
সাদিয়ার বড় বোন লিজা আক্তার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি কলেজে পড়াশোনা করি। রাতে আমি নিচ তালায় ঘুমিয়েছিলাম। আর আমার বোন রাতে না খেয়ে ওপর তলায় তার ঘরে ঘুমাতে যায়। সকাল পাঁচটার দিকে আমি সাদিয়াকে ডাকতে ওর ঘরে গিয়ে দেখি, সাদিয়া গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ঝুলে আছে। আমার বোনের দীর্ঘদিন থেকে মাথারও সমস্যা ছিল। স্থানীয় কবিরাজের চিকিৎসাও চলছিল।’
সাদিয়ার বাবা আব্দুস ছোবহান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার মেয়ে পঞ্চম শ্রেণিতে জিপিএ-৫ পেয়েছিল। পরে জিনের আছরের কারণে মাঝে মধ্যেই ঘরের এক কোনায় লুকায়ে থাকত। এমন অবস্থায় সে তেমন পড়াশোনা করত না। শনিবার বিকেলে সাদিয়া মনোযোগ দিয়ে পড়াশোনা করে না দেখে, আমি বকাঝকা করেছিলাম।’
তিনি আরও বলেন, ‘রাতে খেয়েছিল কি না আমি জানি না। ওই অভিমানেই মেয়ে আমার গলায় ফাঁস দিয়ে নিজের জীবন শেষ করেছে।’
এ বিষয়ে আক্কেলপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর সিদ্দিক আজকের পত্রিকা বলেন, ‘খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। সেখানে প্রাথমিক তদন্ত এবং সাদিয়ার বাবা-মা উপস্থিত গ্রামবাসীর কাছে স্বীকার করেছেন যে, শনিবার বিকেলে বাবা সাদিয়াকে পড়াশোনার জন্য বকাঝকা করেছিলেন। সেই অভিমানে সে রাতের খাবারও খায়নি। পরে সে এই কাজ করেছে।’
ওসি আরও বলেন, ‘পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ না পাওয়ায়, মরদেহ ময়নাতদন্ত ছাড়াই পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় একটি ইউডি মামলা দায়ের হয়েছে।’
দশম শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়ে পড়াশোনা করছে না, তাই বকাঝকা করেছিলেন বাবা। পরে রাতে না খেয়েই ঘুমাতে যায় মেয়ে। সকালে বোন তাকে ডাকতে গিয়ে দেখেন বোনের মরদেহ ঝুলছে ঘরের আড়ার সঙ্গে। পরিবারের দাবি, মেয়ে আত্মহত্যা করেছে।
আজ রোববার সকালে জয়পুরহাটের আক্কেলপুরের শিয়ালা গ্রাম থেকে ওই শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পরে পুলিশ স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে ও পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ না থাকায়, ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহ হস্তান্তর করা হয়।
বিষয়টি আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন আক্কেলপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর সিদ্দিক।
স্কুলছাত্রীর নাম সাদিয়া আক্তার লুনা (১৭)। সে ওই গ্রামের আব্দুস ছোবহান খানের দ্বিতীয় মেয়ে। সাদিয়া স্থানীয় কাশিড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।
পুলিশ, এলাকাবাসী ও নিহতের পরিবার বলছে, সাদিয়া আক্তারের বাবা আব্দুস ছোবহান পেশায় একজন কৃষক। তাঁর দুই মেয়ে ও এক ছেলে সন্তান রয়েছে। ছোট মেয়ে সাদিয়া দশম শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগে পড়াশোনা করত। গতকাল শনিবার বিকেলে আব্দুস ছোবহান সাদিয়াকে ভালো করে পড়াশোনা করার জন্য বাকাবকি করেন। সেই অভিমানে সাদিয়া রাতে আর খাবার না খেয়ে বাড়ির দোতলায় নিজ ঘরে গিয়ে ঘুমিয়ে পড়ে। পরে আজ সকালে সাদিয়ার বড় বোন সাদিয়াকে ডাকতে সাদিয়ার ঘরে গিয়ে দেখেন, ঘরে বাঁশের আড়ার সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ঝুলে রয়েছে সাদিয়া। সে সময় সাদিয়ার বড় বোন চিৎকার করে তাঁর বাবাকে ডাকলে, পরিবারের লোকজন সাদিয়ার মরদেহ নিচে নামায়। পরে বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়।
সাদিয়ার বড় বোন লিজা আক্তার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি কলেজে পড়াশোনা করি। রাতে আমি নিচ তালায় ঘুমিয়েছিলাম। আর আমার বোন রাতে না খেয়ে ওপর তলায় তার ঘরে ঘুমাতে যায়। সকাল পাঁচটার দিকে আমি সাদিয়াকে ডাকতে ওর ঘরে গিয়ে দেখি, সাদিয়া গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ঝুলে আছে। আমার বোনের দীর্ঘদিন থেকে মাথারও সমস্যা ছিল। স্থানীয় কবিরাজের চিকিৎসাও চলছিল।’
সাদিয়ার বাবা আব্দুস ছোবহান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার মেয়ে পঞ্চম শ্রেণিতে জিপিএ-৫ পেয়েছিল। পরে জিনের আছরের কারণে মাঝে মধ্যেই ঘরের এক কোনায় লুকায়ে থাকত। এমন অবস্থায় সে তেমন পড়াশোনা করত না। শনিবার বিকেলে সাদিয়া মনোযোগ দিয়ে পড়াশোনা করে না দেখে, আমি বকাঝকা করেছিলাম।’
তিনি আরও বলেন, ‘রাতে খেয়েছিল কি না আমি জানি না। ওই অভিমানেই মেয়ে আমার গলায় ফাঁস দিয়ে নিজের জীবন শেষ করেছে।’
এ বিষয়ে আক্কেলপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর সিদ্দিক আজকের পত্রিকা বলেন, ‘খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। সেখানে প্রাথমিক তদন্ত এবং সাদিয়ার বাবা-মা উপস্থিত গ্রামবাসীর কাছে স্বীকার করেছেন যে, শনিবার বিকেলে বাবা সাদিয়াকে পড়াশোনার জন্য বকাঝকা করেছিলেন। সেই অভিমানে সে রাতের খাবারও খায়নি। পরে সে এই কাজ করেছে।’
ওসি আরও বলেন, ‘পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ না পাওয়ায়, মরদেহ ময়নাতদন্ত ছাড়াই পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় একটি ইউডি মামলা দায়ের হয়েছে।’
চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার নারায়ণহাট ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. আবু জাফর মাহমুদের স্বপদে ফেরার খবর সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ার পর ক্ষিপ্ত ইউনিয়নবাসী তাঁকে প্রতিহতের ঘোষণা দিয়েছেন। একই সঙ্গে তাঁর কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। গত শুক্র ও শনিবারের পর আজ রোববার তাঁকে শক্ত হাতে প্রতিহতের এ ঘোষণা
৪ মিনিট আগেকুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) স্বতন্ত্র ‘ডি’ ইউনিটের (ধর্মতত্ত্ব অনুষদ) ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। আজ রোববার রাত সাড়ে ৯টায় থিওলজি অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ অনুষদের ডিন ও পরীক্ষার সমন্বয়ক অধ্যাপক ড. আ ব ম ছিদ্দিকুর রহমান আশ্রাফীর স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এই ফল প্রকাশ করা হয়।
১১ মিনিট আগেজন্মগতভাবে প্রতিবন্ধী সেই মানিক পা দিয়ে লিখে এবার হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) ভর্তি পরীক্ষায় ‘বি’ ইউনিটে মেধাতালিকায় ১৯২তম স্থান অধিকার করেছেন। পাবলিক পরীক্ষার মতো বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষায়ও পা দিয়ে লিখে সফলতা পেয়েছেন তিনি।
১৫ মিনিট আগেরাজধানীতে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের কর্মসূচি থেকে ট্রেনে ফেরার সময় টিকিট না থাকায় কয়েক শিক্ষার্থীকে ট্রেন থেকে নামিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে টিটিই (ট্রাভেল টিকিট এক্সামিনার) ও রেল পুলিশের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় একজন আহত হয়েছেন।
৩৩ মিনিট আগে