শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি
বগুড়ার শেরপুরে বাঙ্গালী নদীর বালু উত্তোলনের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে বিক্ষুব্ধ জনগণ। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১টায় উপজেলার খানপুর ইউনিয়নের বড়ইতলি গ্রামে শতাধিক মানুষ এই মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করেন।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন আশরাফ আলী, ময়নুল ইসলাম, মিন্টু প্রামাণিক, ফয়জুল আকন্দ, দুদু মন্ডল, হাসেন আলী, আবদুল জলিল প্রমুখ।
দুদু মন্ডল বলেন, এলাকার প্রভাবশালীরা দীর্ঘদিন থেকে বাঙ্গালী নদীর বালু তুলছে। এর আগে তারা জোর করে নদী তীরবর্তী ফসলি জমি থেকে মাটি কেটেছে। এখন নদীর বালি স্তূপ করে রেখেছে। তারা ৫ বছর ধরে আমার সাড়ে ৩ বিঘা জমি দখল করে রেখেছে। প্রতিবাদ করলেই হুমকি দেয়। তারা প্রভাবশালী হওয়ায় আইনের আশ্রয় নিতে পারি না।
আশরাফ আলী নামের এক বাসিন্দা বলেন, ‘ড্রেজিং মেশিন দিয়ে নদীর বালু তোলার কারণে দুই কূলেই ভাঙন হয়। গত দুই বছরে আমার এক বিঘা জমি নদী গর্ভে চলে গেছে। বাকি জমিগুলোও হুমকির মুখে আছে।’
হুসেন আল বলেন, ‘আমার দুই বিঘা জমি ঘেঁষে মাটি কাটা হয়েছে। বর্ষাকালে এই জমিগুলোও নদীতে চলে যাবে।’
বালু পরিবহনের জন্য দিন রাত প্রায় ২০টি ট্রাক চলাচল করে। এ জন্য এলাকার লোকজন বিশেষকরে শিশুরা রাস্তায় নিরাপদে চলাচল করতে পারে না। মাঝে মাঝে প্রশাসনের লোকজন অভিযান চালালেও আবারও বালু উত্তোলন ও পরিবহনের কাজ শুরু হয়। প্রতিবাদ করলে তাদেরকে পুলিশ দিয়ে হয়রানি করা হয়।
ময়নুল ইসলাম নামের এক ভুক্তভুগী বলেন, ‘আমরা প্রতিবাদ করলে উল্টো আমাদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করে। তখন পুলিশ আমাদেরকে হয়রানি করে। আমরা সর্বশেষ গত ২৯ তারিখে এই ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত মোন্নাফ চৌধুরী, শাহিদুল ইসলাম, বক্কার আলী ও চার্লী সরকারের বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও থানার ওসির কাছে লিখিত অভিযোগ করেছি। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।’
এলাকাবাসী অবিলম্বে বাঙ্গালী নদী থেকে বালু উত্তোলন বন্ধ, ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ প্রদান ও অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য প্রশাসনের প্রতি দাবি জানান।
এ বিষয়ে শেরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুমন জিহাদী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গত বুধবার আমরা সেখানে অভিযানের জন্য গিয়েছিলাম। কিন্তু কাউকে পাওয়া যায়নি। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা হয়েছে। এছাড়াও আগামী সপ্তাহে ওই এলাকার জনগণ, জনপ্রতিনিধি, গণমাধ্যমকর্মী ও স্থানীয় প্রশাসনের উপস্থিতিতে একটি গণশুনানির আয়োজন করে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
বগুড়ার শেরপুরে বাঙ্গালী নদীর বালু উত্তোলনের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে বিক্ষুব্ধ জনগণ। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১টায় উপজেলার খানপুর ইউনিয়নের বড়ইতলি গ্রামে শতাধিক মানুষ এই মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করেন।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন আশরাফ আলী, ময়নুল ইসলাম, মিন্টু প্রামাণিক, ফয়জুল আকন্দ, দুদু মন্ডল, হাসেন আলী, আবদুল জলিল প্রমুখ।
দুদু মন্ডল বলেন, এলাকার প্রভাবশালীরা দীর্ঘদিন থেকে বাঙ্গালী নদীর বালু তুলছে। এর আগে তারা জোর করে নদী তীরবর্তী ফসলি জমি থেকে মাটি কেটেছে। এখন নদীর বালি স্তূপ করে রেখেছে। তারা ৫ বছর ধরে আমার সাড়ে ৩ বিঘা জমি দখল করে রেখেছে। প্রতিবাদ করলেই হুমকি দেয়। তারা প্রভাবশালী হওয়ায় আইনের আশ্রয় নিতে পারি না।
আশরাফ আলী নামের এক বাসিন্দা বলেন, ‘ড্রেজিং মেশিন দিয়ে নদীর বালু তোলার কারণে দুই কূলেই ভাঙন হয়। গত দুই বছরে আমার এক বিঘা জমি নদী গর্ভে চলে গেছে। বাকি জমিগুলোও হুমকির মুখে আছে।’
হুসেন আল বলেন, ‘আমার দুই বিঘা জমি ঘেঁষে মাটি কাটা হয়েছে। বর্ষাকালে এই জমিগুলোও নদীতে চলে যাবে।’
বালু পরিবহনের জন্য দিন রাত প্রায় ২০টি ট্রাক চলাচল করে। এ জন্য এলাকার লোকজন বিশেষকরে শিশুরা রাস্তায় নিরাপদে চলাচল করতে পারে না। মাঝে মাঝে প্রশাসনের লোকজন অভিযান চালালেও আবারও বালু উত্তোলন ও পরিবহনের কাজ শুরু হয়। প্রতিবাদ করলে তাদেরকে পুলিশ দিয়ে হয়রানি করা হয়।
ময়নুল ইসলাম নামের এক ভুক্তভুগী বলেন, ‘আমরা প্রতিবাদ করলে উল্টো আমাদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করে। তখন পুলিশ আমাদেরকে হয়রানি করে। আমরা সর্বশেষ গত ২৯ তারিখে এই ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত মোন্নাফ চৌধুরী, শাহিদুল ইসলাম, বক্কার আলী ও চার্লী সরকারের বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও থানার ওসির কাছে লিখিত অভিযোগ করেছি। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।’
এলাকাবাসী অবিলম্বে বাঙ্গালী নদী থেকে বালু উত্তোলন বন্ধ, ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ প্রদান ও অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য প্রশাসনের প্রতি দাবি জানান।
এ বিষয়ে শেরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুমন জিহাদী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গত বুধবার আমরা সেখানে অভিযানের জন্য গিয়েছিলাম। কিন্তু কাউকে পাওয়া যায়নি। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা হয়েছে। এছাড়াও আগামী সপ্তাহে ওই এলাকার জনগণ, জনপ্রতিনিধি, গণমাধ্যমকর্মী ও স্থানীয় প্রশাসনের উপস্থিতিতে একটি গণশুনানির আয়োজন করে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
ইট-কাঠ-কংক্রিটে ঠাসা দমবন্ধ করা রাজধানী শহরে কিছুটা সময় পরিবারকে নিয়ে ঘুরে আসার এক জনপ্রিয় জায়গা সবুজে ঘেরা হাতিরঝিল প্রকল্প এলাকা। তবে সেনাবাহিনীর হাতে গড়ে ওঠা একসময়ের চোখজুড়ানো সেই হাতিরঝিলের সৌন্দর্য ও স্বাচ্ছন্দ্য আর আগের মতো নেই। এখানে বেড়াতে আসা অনেকে ইদানীং হতাশা নিয়ে ফিরছেন।
৫ ঘণ্টা আগেদেড় বছর আগে রাজশাহীর কাঁকনহাট পৌরসভায় একটি নিয়োগের প্রক্রিয়া চলাকালেই জানা গিয়েছিল কারা নিয়োগ পেতে যাচ্ছেন। চাকরিপ্রার্থী এক তরুণী সংবাদ সম্মেলন করেই এ তথ্য জানিয়েছিলেন। পরে ছয়টি পদের মধ্যে চারটির ক্ষেত্রেই ওই তরুণীর দেওয়া ‘তথ্য’ মিলে যায়। দেড় বছর পর এখন বিষয়টি নিয়ে অনুসন্ধান শুরু করছে দুর্নীতি দমন
৫ ঘণ্টা আগেরাজশাহীর আমের মোকামগুলোতে এখনো ‘ঢলন’ প্রথা বহাল। আড়তদারেরা এখনো ঢলন হিসেবে বাড়তি ওজন নিচ্ছেন চাষিদের কাছ থেকে। তাঁরা ৪০ কেজি বা এক মণ আমের দাম দিয়ে নিচ্ছেন ৪৫ থেকে ৫০ কেজি। অথচ গত বুধবার রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে দিনভর আলোচনা শেষে সিদ্ধান্ত হয়েছিল, এবার রাজশাহী অঞ্চলে আম কেনাবেচা হবে কেজি
৬ ঘণ্টা আগেগত কয়েক দিনের একটানা তাপপ্রবাহের কারণে বিভিন্ন স্থানে ডায়রিয়া ও গরমজনিত নানা রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা কয়েকগুন বেড়েছে। রোগীর চাপ বেশি থাকায় হাসপাতালে দেখা দিয়েছে শয্যাসংকট। ফলে সিট না পেয়ে হাসপাতালের বারান্দাতে চিকিৎসা নিতে দেখা গেছে রোগীদের।
৬ ঘণ্টা আগে