Ajker Patrika

বেতন বন্ধ, মঙ্গলবার থেকে ট্রেন চালাবেন না স্টাফ-কর্মচারীরা

ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি
আপডেট : ১১ জানুয়ারি ২০২২, ১৪: ২০
বেতন বন্ধ, মঙ্গলবার থেকে ট্রেন চালাবেন না স্টাফ-কর্মচারীরা

বেঁধে দেওয়া সময়সীমার মধ্যে দাবি বাস্তবায়ন না হওয়ায় আগামীকাল মঙ্গলবার থেকে ট্রেন চালানো বন্ধ ও কর্মবিরতির হুমকি দিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে রানিং স্টাফ ও শ্রমিক কর্মচারী সমিতি। আজ সোমবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে পাবনা জেলার ঈশ্বরদীর ফতে মোহাম্মদপুরে রানিং স্টাফ ও শ্রমিক কর্মচারীদের ঈশ্বরদী শাখা কার্যালয়ে পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী এক সভায়, ট্রেন চালানো বন্ধের এ ঘোষণা দেওয়া হয়।

এ সভায় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটি কেন্দ্রীয় কমিটির সহসাধারণ সম্পাদক রবিউল ইসলাম রবি, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান, জাতীয় শ্রমিক লীগ ঈশ্বরদী আঞ্চলিক শাখার সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম ও সমিতির উপদেষ্টা জাহিদুল আলম সনু।

এর আগে গতকাল রোববার রাতে সমিতির কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এমন ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল। 

মাসের প্রথম সপ্তাহে বেতন প্রদানের দাবিতে দীর্ঘদিন থেকে পাকশী রেল বিভাগসহ পশ্চিম ও পূর্বাঞ্চলের রানিং স্টাফ ও শ্রমিক কর্মচারীরা আন্দোলন করে আসছেন। দাবি আদায়ের জন্য আজ সোমবার ছিল বেঁধে দেওয়া সময়সীমার শেষদিন। কিন্তু রেল কর্তৃপক্ষ তা বাস্তবায়ন না করায় আগামীকাল মঙ্গলবার থেকে তাঁরা ট্রেন বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছেন। এ আন্দোলনে পাকশী রেলওয়ে ৩৮০ জন রানিং স্টাফ ও শ্রমিক কর্মচারী যুক্ত হয়েছেন। তাঁরা রেলওয়ের ট্রেন চালক, সহকারী ট্রেন চালক ও উপসহকারী ট্রেন চালক পদে কর্মরত। 

সংগঠনটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, রেলওয়ে পে অফিসের মাধ্যমে ২০২০ সালের জুন পর্যন্ত তাঁরা প্রতি মাসের ৭ তারিখের মধ্যে নিয়মিত বেতন-ভাতা পেয়ে আসছেন। কিন্তু সে বছরের জুলাই থেকে রেল কর্তৃপক্ষ ‘ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার’ পদ্ধতিতে ব্যাংকের মাধ্যমে বেতন-ভাতা পরিশোধের রীতি চালু করে। এ পদ্ধতিতে তাঁদের বেতন-ভাতা পেতে হয়রানির শিকার হতে হয়। অনেক সময় লেগে যায়। নতুন পদ্ধতিতে প্রতি মাসের ১৫ তারিখ পর্যন্ত অপেক্ষা করেও বেতন পান না তাঁরা। 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন রানিং স্টাফ বলেন, ‘আমাদের গতকাল পর্যন্ত বেতন হয়নি। অফিস থেকে বলা হচ্ছে, চলতি মাসের বিল পাস হয়নি। বেতন পেতে আরও কয়েক দিন অপেক্ষা করতে হবে। এভাবে প্রতি মাসে দেরি করা হচ্ছে।’

সমিতির সহ-সাধারণ সম্পাদক রবিউল ইসলাম বলেন, ‘আমরা সোমবার পর্যন্ত অপেক্ষা করেছি। কিন্তু কর্তৃপক্ষ কিছু জানায়নি। বাধ্য হয়ে আমরা কর্মবিরতি পালন ও ট্রেন না চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’ 

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে পাকশী রেলওয়ের বিভাগীয় যান্ত্রিক প্রকৌশলী (লোকো) আশীষ কুমার মণ্ডল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রেলওয়ে রানিং স্টাফ ও শ্রমিক কর্মচারীদের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ চলছে। বিষয়টি এরই মধ্যে রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। সেই সঙ্গে আমরা চেষ্টা করছি তাঁদের সংকট নিরসন করে দ্রুত বেতন-ভাতা পরিশোধের।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত