কালাই (জয়পুরহাট) প্রতিনিধি
জয়পুরহাট কালাই উপজেলায় বিদ্যুৎ বিভ্রাটের ভয়াবহ পরিস্থিতি বিরাজ করছে। স্থানীয় বাসিন্দা ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অভিযোগ বিদ্যুৎ সংকটের কারণে চালকলসহ বিভিন্ন উৎপাদনমুখী প্রতিষ্ঠানের উৎপাদনও ব্যাহত হচ্ছে। প্রচণ্ড গরমে বিদ্যুৎ না থাকায় চরম দুর্ভোগের মধ্যে রয়েছে এখানকার জনজীবন। এই পরিস্থিতি কবে ঠিক হবে তাও বলতে পারছে না পল্লী বিদ্যুৎ অফিস।
স্থানীয়রা জানান, বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ের কারণে জনদুর্ভোগ বেড়ে গেছে। বিদ্যুতের এই লুকোচুরির কারণে উপজেলার লাখো বাসিন্দা যেমন কষ্ট পাচ্ছেন, তেমনি শিক্ষার্থীদের পড়াশোনারও ব্যাঘাত ঘটছে। অন্যদিকে লোডশেডিংয়ের কারণে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন শিশু ও বয়োবৃদ্ধরা।
পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কালাই জোনাল অফিস সূত্রে জানা গেছে, চাহিদা বেশি কিন্তু বরাদ্দ কম। এ জন্য এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হচ্ছে। তবে কবে নাগাদ বিদ্যুৎ পরিস্থিতির উন্নতি হবে সেটা বলা যাচ্ছে না।
আজ মঙ্গলবার উপজেলায় সরেজমিনে গ্রাহকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শতভাগ বিদ্যুতের আওতাধীন ঘোষণা করা হলেও সেবার মান বাড়েনি এখানো। এই মুহূর্তে উপজেলাবাসীর প্রধান সমস্যা লোডশেডিং। মাঝে মাঝে লোডশেডিং থাকে একটানা কয়েক ঘণ্টা। দিনে ৭-৮ ঘণ্টাও বিদ্যুৎ থাকে না বলে অভিযোগ করেন এখানকার স্থানীয়সহ বিভিন্ন শ্রেণির মানুষ।
এদিকে এমন পরিস্থিতির জন্য কর্তৃপক্ষের অবহেলাকে দায়ী করছেন সাধারণ গ্রাহকেরা। আবার ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের কারণে কম্পিউটার, ফ্রিজ, পানির পাম্প, ফটোকপি মেশিনসহ বিদ্যুৎ চালিত যন্ত্রপাতি বিকল হওয়ার ঝুঁকির আশঙ্কা করছেন অনেকে। এ ছাড়া বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদে ব্যাহত হচ্ছে নতুন ভোটারদের কার্যক্রম।
উপজেলার মাদাই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আফসানা আফরিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, দিনে-রাতে সমানতালে লোডশেডিং হচ্ছে। বিদ্যুৎ চলে গেলে রাতে গরমে ঘুমাতে পারছি না। রাতে ছোট বাচ্চাকে পাখার বাতাস দিয়ে ঘুম পারাতে হচ্ছে।
এসএসসি পরীক্ষার্থী সামিউল হক সায়িম বলেন, সামনে আমার এসএসসি পরীক্ষা। কিন্তু লোডশেডিংয়ের কারণে ঠিকমতো পড়াশোনা করতে পারছি না। পড়াশোনায় বসতে না পারার কারণে ভালোভাবে প্রস্তুতি নেওয়া যাচ্ছে না।
উপজেলার পুনট পূর্ব পাড়ার রাজীব হোসেন বলেন, দিন-রাতে ৭-৮ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকে না। এমনিতেই জ্যৈষ্ঠ মাসের থেকে এই মাসে গরম বেশি। আবার তার ওপর লোডশেডিং। কবে নাগাদ লোডশেডিং থেকে মুক্তি পাব সেটা পল্লী বিদ্যুৎ অফিসও জানে না।
কালাই পৌর বাসিন্দা শাহাদাত হোসেন বলেন, লোডশেডিংয়ের প্রধান কারণ গ্যাস ও জ্বালানি তেলের সংকট। কেননা বিদ্যুৎ কখনো মজুত করে রাখা যায় না। যা উৎপাদন তাই ব্যয়। যত দিন এই সংকট থেকে বাহির না হতে পারবে তত দিন এই লোডশেডিং চলতে থাকবে। বিদ্যুৎ বিভাগকে এই সংকট নিরসনে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য জোর দাবি জানাচ্ছি।
এ বিষয়ে জয়পুরহাট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কালাই জোনাল অফিসের উপ-মহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) হামিদুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, গ্যাস ও জ্বালানি তেলের সংকটের কারণে চাহিদার তুলনায় বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব হচ্ছে না। আমাদের চাহিদা বেশি কিন্তু বরাদ্দ কম। এ জন্য এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হচ্ছে। তবে কবে নাগাদ বিদ্যুৎ ব্যবস্থা স্বাভাবিক হবে সেটা বলা যাচ্ছে না।
বিদ্যুৎ বিভ্রাট সম্পর্কিত আরও পড়ুন:
জয়পুরহাট কালাই উপজেলায় বিদ্যুৎ বিভ্রাটের ভয়াবহ পরিস্থিতি বিরাজ করছে। স্থানীয় বাসিন্দা ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অভিযোগ বিদ্যুৎ সংকটের কারণে চালকলসহ বিভিন্ন উৎপাদনমুখী প্রতিষ্ঠানের উৎপাদনও ব্যাহত হচ্ছে। প্রচণ্ড গরমে বিদ্যুৎ না থাকায় চরম দুর্ভোগের মধ্যে রয়েছে এখানকার জনজীবন। এই পরিস্থিতি কবে ঠিক হবে তাও বলতে পারছে না পল্লী বিদ্যুৎ অফিস।
স্থানীয়রা জানান, বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ের কারণে জনদুর্ভোগ বেড়ে গেছে। বিদ্যুতের এই লুকোচুরির কারণে উপজেলার লাখো বাসিন্দা যেমন কষ্ট পাচ্ছেন, তেমনি শিক্ষার্থীদের পড়াশোনারও ব্যাঘাত ঘটছে। অন্যদিকে লোডশেডিংয়ের কারণে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন শিশু ও বয়োবৃদ্ধরা।
পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কালাই জোনাল অফিস সূত্রে জানা গেছে, চাহিদা বেশি কিন্তু বরাদ্দ কম। এ জন্য এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হচ্ছে। তবে কবে নাগাদ বিদ্যুৎ পরিস্থিতির উন্নতি হবে সেটা বলা যাচ্ছে না।
আজ মঙ্গলবার উপজেলায় সরেজমিনে গ্রাহকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শতভাগ বিদ্যুতের আওতাধীন ঘোষণা করা হলেও সেবার মান বাড়েনি এখানো। এই মুহূর্তে উপজেলাবাসীর প্রধান সমস্যা লোডশেডিং। মাঝে মাঝে লোডশেডিং থাকে একটানা কয়েক ঘণ্টা। দিনে ৭-৮ ঘণ্টাও বিদ্যুৎ থাকে না বলে অভিযোগ করেন এখানকার স্থানীয়সহ বিভিন্ন শ্রেণির মানুষ।
এদিকে এমন পরিস্থিতির জন্য কর্তৃপক্ষের অবহেলাকে দায়ী করছেন সাধারণ গ্রাহকেরা। আবার ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের কারণে কম্পিউটার, ফ্রিজ, পানির পাম্প, ফটোকপি মেশিনসহ বিদ্যুৎ চালিত যন্ত্রপাতি বিকল হওয়ার ঝুঁকির আশঙ্কা করছেন অনেকে। এ ছাড়া বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদে ব্যাহত হচ্ছে নতুন ভোটারদের কার্যক্রম।
উপজেলার মাদাই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আফসানা আফরিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, দিনে-রাতে সমানতালে লোডশেডিং হচ্ছে। বিদ্যুৎ চলে গেলে রাতে গরমে ঘুমাতে পারছি না। রাতে ছোট বাচ্চাকে পাখার বাতাস দিয়ে ঘুম পারাতে হচ্ছে।
এসএসসি পরীক্ষার্থী সামিউল হক সায়িম বলেন, সামনে আমার এসএসসি পরীক্ষা। কিন্তু লোডশেডিংয়ের কারণে ঠিকমতো পড়াশোনা করতে পারছি না। পড়াশোনায় বসতে না পারার কারণে ভালোভাবে প্রস্তুতি নেওয়া যাচ্ছে না।
উপজেলার পুনট পূর্ব পাড়ার রাজীব হোসেন বলেন, দিন-রাতে ৭-৮ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকে না। এমনিতেই জ্যৈষ্ঠ মাসের থেকে এই মাসে গরম বেশি। আবার তার ওপর লোডশেডিং। কবে নাগাদ লোডশেডিং থেকে মুক্তি পাব সেটা পল্লী বিদ্যুৎ অফিসও জানে না।
কালাই পৌর বাসিন্দা শাহাদাত হোসেন বলেন, লোডশেডিংয়ের প্রধান কারণ গ্যাস ও জ্বালানি তেলের সংকট। কেননা বিদ্যুৎ কখনো মজুত করে রাখা যায় না। যা উৎপাদন তাই ব্যয়। যত দিন এই সংকট থেকে বাহির না হতে পারবে তত দিন এই লোডশেডিং চলতে থাকবে। বিদ্যুৎ বিভাগকে এই সংকট নিরসনে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য জোর দাবি জানাচ্ছি।
এ বিষয়ে জয়পুরহাট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কালাই জোনাল অফিসের উপ-মহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) হামিদুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, গ্যাস ও জ্বালানি তেলের সংকটের কারণে চাহিদার তুলনায় বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব হচ্ছে না। আমাদের চাহিদা বেশি কিন্তু বরাদ্দ কম। এ জন্য এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হচ্ছে। তবে কবে নাগাদ বিদ্যুৎ ব্যবস্থা স্বাভাবিক হবে সেটা বলা যাচ্ছে না।
বিদ্যুৎ বিভ্রাট সম্পর্কিত আরও পড়ুন:
ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) ৭৫টি ওয়ার্ডে একযোগে কোরবানির বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম শুরু হয়েছে। কোরবানির বর্জ্য দ্রুত অপসারণ কার্যক্রম সরেজমিন দেখতে কলাবাগান শিশু পার্ক সংলগ্ন সেকেন্ডারি ট্রান্সফার স্টেশন (এসটিএস) পরিদর্শন করেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ
৫ মিনিট আগে১৩ ঘণ্টা পর নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার মেঘনা ফেরিঘাটে অটোরিকশা নদীতে পড়ে নিখোঁজ দুই যাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শনিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে মেঘনা নদী থেকে মরদেহ দুটি উদ্ধার করা হয়। এর আগে ভোর ৫টার দিকে উপজেলার বিশনন্দী ফেরিঘাটে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগেআজ শনিবার সকালে কক্সবাজার সদর থানা এলাকা থেকে জসিমকে গ্রেপ্তার করে নগরের চান্দগাঁও থানা-পুলিশ। তিনি চান্দগাঁও থানার রাহাত্তারপুলে হামিদ আলী মিস্ত্রী বাড়ির মো. রফিকের ছেলে।
১ ঘণ্টা আগেঈদের দিন বিকেলে খেলতে ছিল হামজা। এ সময় পরিবারের সদস্যদের অগোচরে বাড়ির পাশে পুকুরে পড়ে যায় শিশুটি। অনেক খোঁজাখুঁজি করে একপর্যায়ে তাকে পুকুর পানিতে ভাসতে দেখেন স্বজনেরা। পরে দ্রুত উদ্ধার করে মাদারীপুর ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করেন।
১ ঘণ্টা আগে