Ajker Patrika

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্ত

ভারত থেকে গরু আনতে গিয়ে প্রাণ হারাচ্ছে বাংলাদেশিরা

  • ২৫ কিমি নদী সীমান্তে হতাহত ও নিখোঁজের ঘটনা বেড়েছে।
  • মাদকের চালান আনতে দেওয়া হয় ৪০-৫০ হাজার টাকা।
আব্দুল বাশির, চাঁপাইনবাবগঞ্জ
আপডেট : ১৪ আগস্ট ২০২৫, ০০: ৪০
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

সীমান্তঘেঁষা জেলা চাঁপাইনবাবগঞ্জে নদীপথে সাঁতরে অবৈধভাবে গরু-মহিষ ও মাদকদ্রব্য আনতে গিয়ে রাখাল হতাহত ও নিখোঁজের ঘটনা যেন এখন নিত্যকার ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। জানা গেছে, অর্থের লোভে চোরাকারবারিদের হয়ে কাজ করতে গিয়ে প্রাণ দিতে হচ্ছে বাংলাদেশি রাখালদের।

স্থানীয়রা বলছেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের ২৫ কিলোমিটার দীর্ঘ নদী সীমান্তে বাংলাদেশি রাখালদের হতাহত ও নিখোঁজের ঘটনা বেড়েছে। এলাকাবাসীর মতে, চাঁপাইনবাবগঞ্জে পদ্মার তীরবর্তী দুর্গম চরাঞ্চলের এই ২৫ কিলোমিটার সীমান্ত ভয়ংকর এক সীমান্ত। মূলত ভাড়ায় গরু-মহিষ ও মাদক আনতে জীবন বাজি রেখে বাংলাদেশি কিশোর-যুবকেরা সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতে যাচ্ছেন। এদের কেউ গুলিবিদ্ধ হয়ে বা বিভিন্নভাবে নির্যাতনের শিকার হয়ে মারা যাচ্ছেন।

সীমান্তের লোকজনের দাবি, গত ২০ জুলাই রাতে উপজেলার নারায়ণপুর ইউনিয়নের জোহুরপুর সীমান্তে নাচোল উপজেলার নেজামপুর এলাকার মোহাম্মদ লালচানকে (২৭) বৈদ্যুতিক শক দিয়ে নির্যাতনে হত্যা করা হয়। এ দিকে ২ আগস্ট শিবগঞ্জ উপজেলার তারাপুর হঠাৎপাড়া এলাকার শফিকুল ইসলাম (৪৫) ও সেলিম রেজা (৩৬) নামের দুজনের মরদেহ পদ্মা নদী থেকে ৪ ঘণ্টার ব্যবধানে স্থানীয়রা উদ্ধার করে নৌ পুলিশকে হস্তান্তর করে।

সীমান্তের বাসিন্দাদের ভাষ্য, ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) হাতে দেশের সবচেয়ে বেশি হতাহতের ঘটনা ঘটে চাঁপাইনবাবগঞ্জের পদ্মার চরাঞ্চলের পাঁচটি বিওপির (ওহেদপুর, জোহুরপুর, রঘুনাথপুর, মনোহরপুর ও ফতেপুর) এই সীমান্তে।

খোঁজ নিয়ে আরও জানা গেছে, চাঁপাইনবাবগঞ্জের সদর উপজেলার বাখের আলী, সুন্দরপুর, জোহুরপুর, জোহুরপুর টেক, নারায়ণপুর, শিবগঞ্জ উপজেলার বিশরশিয়া, দশরশিয়া, গাইপাড়া, খাঁকচাপাড়া, মনোহরপুর, রঘুনাথপুর, ফতেপুর, নিশিপাড়া, ঠুটাপাড়া, দোভাগী ফিল্টেরবাজার, নামোজগনাথপুর সীমান্ত এলাকায় গড়ে উঠেছে গরু ও মাদক পাচার সিন্ডিকেট। গরু ও মাদক আনতে তারা যুবক ও তরুণদের সঙ্গে মোটা অঙ্কের টাকায় মৌখিক চুক্তি করছে। এক জোড়া গরু পদ্মায় ভাসিয়ে আনতে পারলে দেওয়া হয় ৫০ হাজার টাকা। আর মাদকের চালান আনতে পারলে দেওয়া হয় ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা। একটি সূত্র জানায়, ভাসিয়ে আনা গরু-মহিষ তত্তিপুর, রামচন্দ্রপুর, কালিনগরসহ বিভিন্ন হাটে দুই, আড়াই ও সাড়ে ৩ লাখ টাকায় জোড়া বিক্রি করা হয়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে চাঁপাইনবাবগঞ্জের ৫৩ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল ফাহাদ মাহমুদ রিংকু আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা বিভিন্ন মারফত জানতে পারছি টাকার লোভে গরু আনতে গিয়ে ভারতে বিএসএফের হাতে তারা হত্যার শিকার হচ্ছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

অরকার আক্রমণে তরুণী প্রশিক্ষকের মৃত্যু, ভাইরাল ভিডিওটি সম্পর্কে যা জানা গেল

জি এম কাদেরের সাংগঠনিক কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞা ও মামলা প্রত্যাহার

ভারতকে পাকিস্তানি সেনাপ্রধানের পারমাণবিক যুদ্ধের হুমকি, যা বলল যুক্তরাষ্ট্র

প্লট–ফ্ল্যাট বরাদ্দে সচিব, এমপি, মন্ত্রী, বিচারপতিসহ যাঁদের কোটা বাতিল

জর্ডান-মিসরকে নিয়ে বৃহত্তর ইসরায়েল প্রতিষ্ঠা করতে চান নেতানিয়াহু

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত