Ajker Patrika

যমুনার পানি বৃদ্ধিতে সৃষ্টি হয়েছে তীব্র নদীভাঙন

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি
আপডেট : ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১৯: ০৭
যমুনার পানি বৃদ্ধিতে সৃষ্টি হয়েছে তীব্র নদীভাঙন

সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীতে পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয়েছে তীব্র নদীভাঙন। গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনা নদীর সিরাজগঞ্জ শহররক্ষা বাঁধ হার্ড পয়েন্ট এলাকায় ৩৬ সেন্টিমিটার ও কাজীপুর মেঘাইঘাট পয়েন্টে ২৫ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে। পানি বৃদ্ধির কারণে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার জালালপুর ইউনিয়নে জালালপুর গ্রামে তীব্র নদীভাঙন শুরু হয়েছে।

আজ রোববার দুপুরে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ১০টি বাড়িঘর নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙনের মুখে রয়েছে অর্ধশতাধিক ঘরবাড়ি, তাঁত কারখানা ও ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান। স্থানীয় এলাকাবাসী ভাঙনের হাত থেকে রক্ষা পেতে ঘরসহ আসবাব অন্যত্র সরিয়ে নিচ্ছে। আগামী চার-পাঁচ দিন যমুনা নদীতে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।

সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের পানি পরিমাপক হাসানুর রহমান বলেন, গত কয়েক দিন হলো যমুনা নদীতে পানি বেড়েই চলেছে। গত ২৪ ঘন্টায় যমুনা নদীর সিরাজগঞ্জ শহররক্ষা বাঁধ হার্ড পয়েন্ট এলাকায় ৩৬ সেন্টিমিটার ও কাজীপুর মেঘাইঘাট পয়েন্টে ২৫ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। সিরাজগঞ্জ শহররক্ষা বাঁধ হার্ড পয়েন্ট এলাকায় পানির বিপৎসীমা ধরা হয় ১৩ দশমিক ৩৫ মিটার। রোববার সকাল ৬টায় এই পয়েন্টে পানি রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৮৪ মিটার। গত ২৪ ঘন্টায় (গত শনিবার সকাল ৬টা থেকে গতকাল রোববার সকাল ৬টা পর্যন্ত) যমুনা নদীর সিরাজগঞ্জ শহররক্ষা বাঁধ হার্ড পয়েন্ট এলাকায় ৩৬ সেন্টিমিটার পানি বেড়ে বিপৎসীমার ১৫১ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

জালালপুর গ্রামের সমাজসেবক আব্দুস সালাম বলেন, রোববার দুপুরে হঠাৎ করে জালালপুর গ্রামে নদীভাঙন শুরু হয়। মুহূর্তের মধ্যে দিনু পোদ্দার, শহিদুল ইসলাম, ইমান আলী, খলিলুর রহমান, আনোয়ার হোসেনের বাড়িসহ ১০টি ঘরবাড়ি নদীতে বিলীন হয়ে যায়। ভাঙনের খবরটি পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলীকে অবগত করা হয়েছে। যেভাবে নদী ভাঙছে তাতে বাড়িঘর রক্ষা করা কঠিন হয়ে পড়েছে। ভাঙন রোধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান তিনি।

নদী ভাঙনের ফলে দুপুর পর্যন্ত অন্তত ১০ টি বাড়িঘর বিলীন হয়ে গেছে। ছবি: আজকের পত্রিকাঅপরদিকে কাজীপুর মেঘাইঘাট পয়েন্টে পানির বিপৎসীমা ধরা হয় ১৫ দশমিক ২৫ সেন্টিমিটার। রোববার সকাল ৬টায় এই পয়েন্টে পানি রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ দশমিক ৬৫ মিটার। গত ২৪ ঘণ্টায় (গত শনিবার সকাল ৬টা থেকে গতকাল রোববার সকাল ৬টা পর্যন্ত) এই পয়েন্টে ২৫ সেন্টিমিটার পানি বেড়ে বিপৎসীমার ১৬০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘শাহজাদপুর উপজেলার জালালপুর ইউনিয়নের জালালপুর গ্রামে নদীভাঙনের খবরটি আমরা পেয়েছি। সেখানে  অফিসের কর্মকর্তাদের পাঠানো হয়েছে। ভাঙনরোধে তাঁরা কাজ শুরু করবেন। যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। আগামী চার-পাঁচ দিন নদীতে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে। তবে এই মুহূর্তে বন্যার আশঙ্কা নেই।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

কৌশলে বিনিয়োগ সরাচ্ছে বহুজাতিক কোম্পানি

বিমান বিধ্বস্ত: এক ঘণ্টা পর উদ্ধার হন পাইলট, তখনো বেঁচে ছিলেন

মোহাম্মদপুর থানায় ভুক্তভোগীকে হেনস্তা: চার পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার, ৩ ছিনতাইকারী গ্রেপ্তার

‘ওসি হয়েও আমার কম দামি ফোন, দামি ফোন নিয়ে ঘুরলে ছিনতাই তো হবেই’, ভুক্তভোগীকে মোহাম্মদপুরের ওসি

রংপুরের ১০ কিমি সড়কে ৩৬৫ টন পাথর উধাও

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত