নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নাটোরের সিংড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হতে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের কর্মী দেলোয়ার হোসেন পাশা (৪৫)। নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের কারণে আরেক প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের শ্যালক লুৎফুল হাবিব রুবেলের লোকজন তাঁকে তুলে নিয়ে নির্যাতন করে।
এ ঘটনায় দলীয় চাপ আর তুমুল সমালোচনার মুখে পড়েন প্রতিমন্ত্রী পলক। এ কারণে পলক তাঁর শ্যালক রুবেলকে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের নির্দেশ দেন। রুবেল মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেবেন বলে আজ রোববার এক ভিডিও বার্তায় জানিয়েছেন। ফলে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় উপজেলা চেয়ারম্যান হতে যাচ্ছেন নির্যাতনের শিকার আওয়ামী লীগ কর্মী দেলোয়ার।
দেলোয়ার হোসেন পাশা এখন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আজ রোববার বেলা ৩টার দিকে হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, বিছানা বসে আছেন দেলোয়ার। বাঁ চোখ এখনো লাল হয়ে আছে। বিছানায় বেশ কয়েকটি খবরের কাগজ ছড়ানো-ছিটানো। আশপাশে সিংড়া থেকে আসা ১০-১২ জন সমর্থক বসে আছেন।
হাসপাতালের বিছানায় বসেই দেলোয়ার সার্বিক বিষয়ে আজকের পত্রিকার সঙ্গে কথা বলেন। তিনি বলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান হওয়ার স্বপ্ন তাঁর দীর্ঘদিনের। যদিও আগে কখনো কোনো নির্বাচনে অংশ নেননি। একবার ইউনিয়ন পরিষদে (ইউপি) চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিলেও দলীয় চাপের কারণে করেননি। এবার বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় উপজেলা চেয়ারম্যান হতে যাওয়ার খবরটি তিনি আজ দুপুরেই শুনেছেন। খবরটি শুনে তিনি খুশি।
দেলোয়ার দাবি করেন, নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জিতে আসার সক্ষমতা তাঁর ছিল। তবে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতাতেই উপজেলা চেয়ারম্যান হতে যাচ্ছেন। গত শুক্রবার প্রতিমন্ত্রী পলক হাসপাতালে তাঁকে দেখতে আসায় খুশি হয়েছেন বলেও জানিয়েছেন দেলোয়ার। তিনি বলেন, ‘সেদিন স্যার (প্রতিমন্ত্রী) এসেছিলেন। তিনি এসেছিলেন বলে আমি খুশি।’
উপজেলা চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নিয়ে কী করবেন, এমন প্রশ্নের জবাবে দেলোয়ার বলেন, ‘আমি সিংড়াকে একটা স্মার্ট ও আধুনিক উপজেলা হিসেবে গড়ে তুলব। আমি নিজে সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়েছি। তাই সিংড়াকে সন্ত্রাসমুক্ত করে গড়ে তুলতে কাজ করব। এ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতা পাব বলে আমি আশা করি।’
দেলোয়ার হোসেন বলেন, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে থেকে লুৎফুল হাবিব রুবেলের লোকজন তাঁকে মাইক্রোবাসে তুলে নেয়। এরপরই শুরু হয় মার। তাতে তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। যখন জ্ঞান ফেরে, তখন দেখেন তিনি রামেক হাসপাতালে ভর্তি আছেন। শরীরে এখনো ব্যথা রয়েছে। শারীরিকভাবে তিনি দুর্বল। পুরোপুরি সেরে উঠতে আরও কয়েক দিন লাগবে।
আগামী ৮ মে নাটোরের সিংড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচন হবে। সেখানে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হন নাটোর-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের শ্যালক লুৎফুল হাবিব রুবেল। নির্বাচনে অংশ নিতে তিনি ইউপি চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগ করেন।
মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ১৫ এপ্রিল জেলা নির্বাচন কার্যালয়ের সামনে থেকে দেলোয়ার হোসেনকে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায় একদল লোক। নির্যাতনের পর বিকেলে একটি মাইক্রোবাসে তুলে তাঁকে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়। এরপর দেলোয়ারকে রামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় ওই রাতে তাঁকে হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রাখা হয়। পরে শারীরিক অবস্থার উন্নতি হলে তাঁকে সাধারণ ওয়ার্ডে দেওয়া হয়।
এই অপহরণ ও নির্যাতনের সঙ্গে জড়িত হিসেবে প্রতিমন্ত্রী পলকের শ্যালক রুবেলের নাম আসে। গত শুক্রবার হাসপাতালে দেলোয়ারকে দেখতে গিয়ে পলক বলেন, এ ঘটনায় তিনি বিব্রত, লজ্জিত, দুঃখিত ও ক্ষমাপ্রার্থী। পরে সেদিনই তিনি তাঁর শ্যালককে নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার নির্দেশ দেন। আজ রোববার এক ভিডিও বার্তায় রুবেল বলেন, তিনি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেবেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নাটোর জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সিংড়া উপজেলা নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা আবদুল লতিফ শেখ আজ বিকেলে আজকের পত্রিকাকে বলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী লুৎফুল হাবিব রুবেলের পক্ষে দুপুরে প্রত্যাহারপত্র জমা দিয়েছেন তাজপুর ইউপি চেয়ারম্যান মো. মিনহাজ উদ্দিন। এখন শুধু দেলোয়ার হোসেনই প্রার্থী থাকলেন। আগামীকাল সোমবার পর্যন্ত প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের সময় আছে। দেলোয়ার হোসেন যদি তাঁর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার না করেন, তাহলে পরদিন মঙ্গলবার তাঁকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করা হবে।
আরও পড়ুন:

বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নাটোরের সিংড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হতে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের কর্মী দেলোয়ার হোসেন পাশা (৪৫)। নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের কারণে আরেক প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের শ্যালক লুৎফুল হাবিব রুবেলের লোকজন তাঁকে তুলে নিয়ে নির্যাতন করে।
এ ঘটনায় দলীয় চাপ আর তুমুল সমালোচনার মুখে পড়েন প্রতিমন্ত্রী পলক। এ কারণে পলক তাঁর শ্যালক রুবেলকে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের নির্দেশ দেন। রুবেল মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেবেন বলে আজ রোববার এক ভিডিও বার্তায় জানিয়েছেন। ফলে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় উপজেলা চেয়ারম্যান হতে যাচ্ছেন নির্যাতনের শিকার আওয়ামী লীগ কর্মী দেলোয়ার।
দেলোয়ার হোসেন পাশা এখন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আজ রোববার বেলা ৩টার দিকে হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, বিছানা বসে আছেন দেলোয়ার। বাঁ চোখ এখনো লাল হয়ে আছে। বিছানায় বেশ কয়েকটি খবরের কাগজ ছড়ানো-ছিটানো। আশপাশে সিংড়া থেকে আসা ১০-১২ জন সমর্থক বসে আছেন।
হাসপাতালের বিছানায় বসেই দেলোয়ার সার্বিক বিষয়ে আজকের পত্রিকার সঙ্গে কথা বলেন। তিনি বলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান হওয়ার স্বপ্ন তাঁর দীর্ঘদিনের। যদিও আগে কখনো কোনো নির্বাচনে অংশ নেননি। একবার ইউনিয়ন পরিষদে (ইউপি) চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিলেও দলীয় চাপের কারণে করেননি। এবার বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় উপজেলা চেয়ারম্যান হতে যাওয়ার খবরটি তিনি আজ দুপুরেই শুনেছেন। খবরটি শুনে তিনি খুশি।
দেলোয়ার দাবি করেন, নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জিতে আসার সক্ষমতা তাঁর ছিল। তবে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতাতেই উপজেলা চেয়ারম্যান হতে যাচ্ছেন। গত শুক্রবার প্রতিমন্ত্রী পলক হাসপাতালে তাঁকে দেখতে আসায় খুশি হয়েছেন বলেও জানিয়েছেন দেলোয়ার। তিনি বলেন, ‘সেদিন স্যার (প্রতিমন্ত্রী) এসেছিলেন। তিনি এসেছিলেন বলে আমি খুশি।’
উপজেলা চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নিয়ে কী করবেন, এমন প্রশ্নের জবাবে দেলোয়ার বলেন, ‘আমি সিংড়াকে একটা স্মার্ট ও আধুনিক উপজেলা হিসেবে গড়ে তুলব। আমি নিজে সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়েছি। তাই সিংড়াকে সন্ত্রাসমুক্ত করে গড়ে তুলতে কাজ করব। এ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতা পাব বলে আমি আশা করি।’
দেলোয়ার হোসেন বলেন, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে থেকে লুৎফুল হাবিব রুবেলের লোকজন তাঁকে মাইক্রোবাসে তুলে নেয়। এরপরই শুরু হয় মার। তাতে তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। যখন জ্ঞান ফেরে, তখন দেখেন তিনি রামেক হাসপাতালে ভর্তি আছেন। শরীরে এখনো ব্যথা রয়েছে। শারীরিকভাবে তিনি দুর্বল। পুরোপুরি সেরে উঠতে আরও কয়েক দিন লাগবে।
আগামী ৮ মে নাটোরের সিংড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচন হবে। সেখানে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হন নাটোর-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের শ্যালক লুৎফুল হাবিব রুবেল। নির্বাচনে অংশ নিতে তিনি ইউপি চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগ করেন।
মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ১৫ এপ্রিল জেলা নির্বাচন কার্যালয়ের সামনে থেকে দেলোয়ার হোসেনকে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায় একদল লোক। নির্যাতনের পর বিকেলে একটি মাইক্রোবাসে তুলে তাঁকে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়। এরপর দেলোয়ারকে রামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় ওই রাতে তাঁকে হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রাখা হয়। পরে শারীরিক অবস্থার উন্নতি হলে তাঁকে সাধারণ ওয়ার্ডে দেওয়া হয়।
এই অপহরণ ও নির্যাতনের সঙ্গে জড়িত হিসেবে প্রতিমন্ত্রী পলকের শ্যালক রুবেলের নাম আসে। গত শুক্রবার হাসপাতালে দেলোয়ারকে দেখতে গিয়ে পলক বলেন, এ ঘটনায় তিনি বিব্রত, লজ্জিত, দুঃখিত ও ক্ষমাপ্রার্থী। পরে সেদিনই তিনি তাঁর শ্যালককে নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার নির্দেশ দেন। আজ রোববার এক ভিডিও বার্তায় রুবেল বলেন, তিনি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেবেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নাটোর জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সিংড়া উপজেলা নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা আবদুল লতিফ শেখ আজ বিকেলে আজকের পত্রিকাকে বলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী লুৎফুল হাবিব রুবেলের পক্ষে দুপুরে প্রত্যাহারপত্র জমা দিয়েছেন তাজপুর ইউপি চেয়ারম্যান মো. মিনহাজ উদ্দিন। এখন শুধু দেলোয়ার হোসেনই প্রার্থী থাকলেন। আগামীকাল সোমবার পর্যন্ত প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের সময় আছে। দেলোয়ার হোসেন যদি তাঁর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার না করেন, তাহলে পরদিন মঙ্গলবার তাঁকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করা হবে।
আরও পড়ুন:

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নাটোরের সিংড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হতে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের কর্মী দেলোয়ার হোসেন পাশা (৪৫)। নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের কারণে আরেক প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের শ্যালক লুৎফুল হাবিব রুবেলের লোকজন তাঁকে তুলে নিয়ে নির্যাতন করে।
এ ঘটনায় দলীয় চাপ আর তুমুল সমালোচনার মুখে পড়েন প্রতিমন্ত্রী পলক। এ কারণে পলক তাঁর শ্যালক রুবেলকে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের নির্দেশ দেন। রুবেল মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেবেন বলে আজ রোববার এক ভিডিও বার্তায় জানিয়েছেন। ফলে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় উপজেলা চেয়ারম্যান হতে যাচ্ছেন নির্যাতনের শিকার আওয়ামী লীগ কর্মী দেলোয়ার।
দেলোয়ার হোসেন পাশা এখন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আজ রোববার বেলা ৩টার দিকে হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, বিছানা বসে আছেন দেলোয়ার। বাঁ চোখ এখনো লাল হয়ে আছে। বিছানায় বেশ কয়েকটি খবরের কাগজ ছড়ানো-ছিটানো। আশপাশে সিংড়া থেকে আসা ১০-১২ জন সমর্থক বসে আছেন।
হাসপাতালের বিছানায় বসেই দেলোয়ার সার্বিক বিষয়ে আজকের পত্রিকার সঙ্গে কথা বলেন। তিনি বলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান হওয়ার স্বপ্ন তাঁর দীর্ঘদিনের। যদিও আগে কখনো কোনো নির্বাচনে অংশ নেননি। একবার ইউনিয়ন পরিষদে (ইউপি) চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিলেও দলীয় চাপের কারণে করেননি। এবার বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় উপজেলা চেয়ারম্যান হতে যাওয়ার খবরটি তিনি আজ দুপুরেই শুনেছেন। খবরটি শুনে তিনি খুশি।
দেলোয়ার দাবি করেন, নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জিতে আসার সক্ষমতা তাঁর ছিল। তবে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতাতেই উপজেলা চেয়ারম্যান হতে যাচ্ছেন। গত শুক্রবার প্রতিমন্ত্রী পলক হাসপাতালে তাঁকে দেখতে আসায় খুশি হয়েছেন বলেও জানিয়েছেন দেলোয়ার। তিনি বলেন, ‘সেদিন স্যার (প্রতিমন্ত্রী) এসেছিলেন। তিনি এসেছিলেন বলে আমি খুশি।’
উপজেলা চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নিয়ে কী করবেন, এমন প্রশ্নের জবাবে দেলোয়ার বলেন, ‘আমি সিংড়াকে একটা স্মার্ট ও আধুনিক উপজেলা হিসেবে গড়ে তুলব। আমি নিজে সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়েছি। তাই সিংড়াকে সন্ত্রাসমুক্ত করে গড়ে তুলতে কাজ করব। এ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতা পাব বলে আমি আশা করি।’
দেলোয়ার হোসেন বলেন, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে থেকে লুৎফুল হাবিব রুবেলের লোকজন তাঁকে মাইক্রোবাসে তুলে নেয়। এরপরই শুরু হয় মার। তাতে তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। যখন জ্ঞান ফেরে, তখন দেখেন তিনি রামেক হাসপাতালে ভর্তি আছেন। শরীরে এখনো ব্যথা রয়েছে। শারীরিকভাবে তিনি দুর্বল। পুরোপুরি সেরে উঠতে আরও কয়েক দিন লাগবে।
আগামী ৮ মে নাটোরের সিংড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচন হবে। সেখানে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হন নাটোর-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের শ্যালক লুৎফুল হাবিব রুবেল। নির্বাচনে অংশ নিতে তিনি ইউপি চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগ করেন।
মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ১৫ এপ্রিল জেলা নির্বাচন কার্যালয়ের সামনে থেকে দেলোয়ার হোসেনকে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায় একদল লোক। নির্যাতনের পর বিকেলে একটি মাইক্রোবাসে তুলে তাঁকে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়। এরপর দেলোয়ারকে রামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় ওই রাতে তাঁকে হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রাখা হয়। পরে শারীরিক অবস্থার উন্নতি হলে তাঁকে সাধারণ ওয়ার্ডে দেওয়া হয়।
এই অপহরণ ও নির্যাতনের সঙ্গে জড়িত হিসেবে প্রতিমন্ত্রী পলকের শ্যালক রুবেলের নাম আসে। গত শুক্রবার হাসপাতালে দেলোয়ারকে দেখতে গিয়ে পলক বলেন, এ ঘটনায় তিনি বিব্রত, লজ্জিত, দুঃখিত ও ক্ষমাপ্রার্থী। পরে সেদিনই তিনি তাঁর শ্যালককে নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার নির্দেশ দেন। আজ রোববার এক ভিডিও বার্তায় রুবেল বলেন, তিনি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেবেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নাটোর জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সিংড়া উপজেলা নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা আবদুল লতিফ শেখ আজ বিকেলে আজকের পত্রিকাকে বলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী লুৎফুল হাবিব রুবেলের পক্ষে দুপুরে প্রত্যাহারপত্র জমা দিয়েছেন তাজপুর ইউপি চেয়ারম্যান মো. মিনহাজ উদ্দিন। এখন শুধু দেলোয়ার হোসেনই প্রার্থী থাকলেন। আগামীকাল সোমবার পর্যন্ত প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের সময় আছে। দেলোয়ার হোসেন যদি তাঁর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার না করেন, তাহলে পরদিন মঙ্গলবার তাঁকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করা হবে।
আরও পড়ুন:

বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নাটোরের সিংড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হতে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের কর্মী দেলোয়ার হোসেন পাশা (৪৫)। নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের কারণে আরেক প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের শ্যালক লুৎফুল হাবিব রুবেলের লোকজন তাঁকে তুলে নিয়ে নির্যাতন করে।
এ ঘটনায় দলীয় চাপ আর তুমুল সমালোচনার মুখে পড়েন প্রতিমন্ত্রী পলক। এ কারণে পলক তাঁর শ্যালক রুবেলকে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের নির্দেশ দেন। রুবেল মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেবেন বলে আজ রোববার এক ভিডিও বার্তায় জানিয়েছেন। ফলে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় উপজেলা চেয়ারম্যান হতে যাচ্ছেন নির্যাতনের শিকার আওয়ামী লীগ কর্মী দেলোয়ার।
দেলোয়ার হোসেন পাশা এখন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আজ রোববার বেলা ৩টার দিকে হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, বিছানা বসে আছেন দেলোয়ার। বাঁ চোখ এখনো লাল হয়ে আছে। বিছানায় বেশ কয়েকটি খবরের কাগজ ছড়ানো-ছিটানো। আশপাশে সিংড়া থেকে আসা ১০-১২ জন সমর্থক বসে আছেন।
হাসপাতালের বিছানায় বসেই দেলোয়ার সার্বিক বিষয়ে আজকের পত্রিকার সঙ্গে কথা বলেন। তিনি বলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান হওয়ার স্বপ্ন তাঁর দীর্ঘদিনের। যদিও আগে কখনো কোনো নির্বাচনে অংশ নেননি। একবার ইউনিয়ন পরিষদে (ইউপি) চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিলেও দলীয় চাপের কারণে করেননি। এবার বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় উপজেলা চেয়ারম্যান হতে যাওয়ার খবরটি তিনি আজ দুপুরেই শুনেছেন। খবরটি শুনে তিনি খুশি।
দেলোয়ার দাবি করেন, নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জিতে আসার সক্ষমতা তাঁর ছিল। তবে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতাতেই উপজেলা চেয়ারম্যান হতে যাচ্ছেন। গত শুক্রবার প্রতিমন্ত্রী পলক হাসপাতালে তাঁকে দেখতে আসায় খুশি হয়েছেন বলেও জানিয়েছেন দেলোয়ার। তিনি বলেন, ‘সেদিন স্যার (প্রতিমন্ত্রী) এসেছিলেন। তিনি এসেছিলেন বলে আমি খুশি।’
উপজেলা চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নিয়ে কী করবেন, এমন প্রশ্নের জবাবে দেলোয়ার বলেন, ‘আমি সিংড়াকে একটা স্মার্ট ও আধুনিক উপজেলা হিসেবে গড়ে তুলব। আমি নিজে সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়েছি। তাই সিংড়াকে সন্ত্রাসমুক্ত করে গড়ে তুলতে কাজ করব। এ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতা পাব বলে আমি আশা করি।’
দেলোয়ার হোসেন বলেন, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে থেকে লুৎফুল হাবিব রুবেলের লোকজন তাঁকে মাইক্রোবাসে তুলে নেয়। এরপরই শুরু হয় মার। তাতে তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। যখন জ্ঞান ফেরে, তখন দেখেন তিনি রামেক হাসপাতালে ভর্তি আছেন। শরীরে এখনো ব্যথা রয়েছে। শারীরিকভাবে তিনি দুর্বল। পুরোপুরি সেরে উঠতে আরও কয়েক দিন লাগবে।
আগামী ৮ মে নাটোরের সিংড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচন হবে। সেখানে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হন নাটোর-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের শ্যালক লুৎফুল হাবিব রুবেল। নির্বাচনে অংশ নিতে তিনি ইউপি চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগ করেন।
মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ১৫ এপ্রিল জেলা নির্বাচন কার্যালয়ের সামনে থেকে দেলোয়ার হোসেনকে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায় একদল লোক। নির্যাতনের পর বিকেলে একটি মাইক্রোবাসে তুলে তাঁকে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়। এরপর দেলোয়ারকে রামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় ওই রাতে তাঁকে হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রাখা হয়। পরে শারীরিক অবস্থার উন্নতি হলে তাঁকে সাধারণ ওয়ার্ডে দেওয়া হয়।
এই অপহরণ ও নির্যাতনের সঙ্গে জড়িত হিসেবে প্রতিমন্ত্রী পলকের শ্যালক রুবেলের নাম আসে। গত শুক্রবার হাসপাতালে দেলোয়ারকে দেখতে গিয়ে পলক বলেন, এ ঘটনায় তিনি বিব্রত, লজ্জিত, দুঃখিত ও ক্ষমাপ্রার্থী। পরে সেদিনই তিনি তাঁর শ্যালককে নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার নির্দেশ দেন। আজ রোববার এক ভিডিও বার্তায় রুবেল বলেন, তিনি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেবেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নাটোর জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সিংড়া উপজেলা নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা আবদুল লতিফ শেখ আজ বিকেলে আজকের পত্রিকাকে বলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী লুৎফুল হাবিব রুবেলের পক্ষে দুপুরে প্রত্যাহারপত্র জমা দিয়েছেন তাজপুর ইউপি চেয়ারম্যান মো. মিনহাজ উদ্দিন। এখন শুধু দেলোয়ার হোসেনই প্রার্থী থাকলেন। আগামীকাল সোমবার পর্যন্ত প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের সময় আছে। দেলোয়ার হোসেন যদি তাঁর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার না করেন, তাহলে পরদিন মঙ্গলবার তাঁকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করা হবে।
আরও পড়ুন:


সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলায় গরু চুরি করতে গিয়ে গণপিটুনিতে সানোয়ার হোসেন সানু (৬০) নামের এক ব্যক্তির মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক চুরি মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ভোরে সদরের বহুলী ইউনিয়নের চকমোক্তারগাতি এলাকার একটি ধানখেত থেকে ওই ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। সানু সদর উপজেলার
৪ মিনিট আগে
সিরাজগঞ্জের কাজীপুরের ঐতিহ্যবাহী সোনামুখী মেলা অনুমোদনের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও মেলা চালিয়ে যাচ্ছিলেন আয়োজকেরা। প্রশাসনের পক্ষ থেকে আয়োজক কমিটিকে বারবার মেলা বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হলেও কোনো কাজ হয়নি।
৬ মিনিট আগে
ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে আবু সাদাদ সায়েম (৫০) নামের এক আসামির লাশ ধানখেত থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে উপজেলার দক্ষিণ মাইজপাড়া গ্রামে লাশটি পাওয়া যায়। জমিসংক্রান্ত বিরোধে প্রতিপক্ষের সঙ্গে মারামারির ঘটনায় করা মামলায় গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে সায়েমকে ধরতে অভিযান চালিয়েছিল পুলিশ।
৬ মিনিট আগে
সিলেটে আবদুর রাজ্জাক নামে এক আওয়ামী লীগ নেতার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে দক্ষিণ সুরমার মোল্লারগাঁও ইউনিয়নের তেলিরাই গ্রামের নিজ বাসার ছাদে তাঁর লাশ মেলে। পুলিশ বলছে, নিহতের শরীরের বিভিন্ন অংশে ছুরিকাঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
১৩ মিনিট আগেসিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি

সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলায় গরু চুরি করতে গিয়ে গণপিটুনিতে সানোয়ার হোসেন সানু (৬০) নামের এক ব্যক্তির মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক চুরি মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
আজ শুক্রবার ভোরে সদরের বহুলী ইউনিয়নের চকমোক্তারগাতি এলাকার একটি ধানখেত থেকে ওই ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। সানু সদর উপজেলার বহুলীর আলমপুর বাজার এলাকার বাদুল্লা মিয়ার ছেলে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের বরাতে পুলিশ জানায়, আজ ভোরে সানোয়ার রায়গঞ্জ উপজেলার নিজামগাতি গ্রামের হাসান আলীর বাড়িতে গরু চুরি করতে যান। এ সময় বাড়ির লোকজন টের পাওয়ায় পালাতে গিয়ে ফুলজোড় নদীতে ঝাঁপ দেন তিনি। পরে নদী সাঁতরে চকমোক্তারগাতি এলাকায় যান। সেখানে একটি ধানখেতের মধ্যে স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁকে গণপিটুনি দিলে ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়।
এ বিষয়ে সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মামুন মিয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ওই ব্যক্তির নামে একাধিক চুরির মামলা রয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, তিনি হয়তো গরু চুরি করতে গিয়েছিলেন। তিনি ঢাকায় থাকতেন, মাঝে মাঝে চুরি করতে এলাকায় আসতেন বলে স্থানীয় বাসিন্দারা আমাদের জানিয়েছেন। নিহত ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।’
সদর থানার উপপরিদর্শক (তদন্ত) আহসানুজ্জামান বলেন, এ ঘটনায় নিহত ব্যক্তির পরিবার এখনো লিখিত অভিযোগ বা মামলা করেনি। লাশ আইনিপ্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলায় গরু চুরি করতে গিয়ে গণপিটুনিতে সানোয়ার হোসেন সানু (৬০) নামের এক ব্যক্তির মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক চুরি মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
আজ শুক্রবার ভোরে সদরের বহুলী ইউনিয়নের চকমোক্তারগাতি এলাকার একটি ধানখেত থেকে ওই ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। সানু সদর উপজেলার বহুলীর আলমপুর বাজার এলাকার বাদুল্লা মিয়ার ছেলে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের বরাতে পুলিশ জানায়, আজ ভোরে সানোয়ার রায়গঞ্জ উপজেলার নিজামগাতি গ্রামের হাসান আলীর বাড়িতে গরু চুরি করতে যান। এ সময় বাড়ির লোকজন টের পাওয়ায় পালাতে গিয়ে ফুলজোড় নদীতে ঝাঁপ দেন তিনি। পরে নদী সাঁতরে চকমোক্তারগাতি এলাকায় যান। সেখানে একটি ধানখেতের মধ্যে স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁকে গণপিটুনি দিলে ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়।
এ বিষয়ে সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মামুন মিয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ওই ব্যক্তির নামে একাধিক চুরির মামলা রয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, তিনি হয়তো গরু চুরি করতে গিয়েছিলেন। তিনি ঢাকায় থাকতেন, মাঝে মাঝে চুরি করতে এলাকায় আসতেন বলে স্থানীয় বাসিন্দারা আমাদের জানিয়েছেন। নিহত ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।’
সদর থানার উপপরিদর্শক (তদন্ত) আহসানুজ্জামান বলেন, এ ঘটনায় নিহত ব্যক্তির পরিবার এখনো লিখিত অভিযোগ বা মামলা করেনি। লাশ আইনিপ্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।


হাসপাতালের বিছানায় বসেই দেলোয়ার সার্বিক বিষয়ে আজকের পত্রিকার সঙ্গে কথা বলেন। তিনি বলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান হওয়ার স্বপ্ন তাঁর দীর্ঘদিনের। যদিও আগে কখনো কোনো নির্বাচনে অংশ নেননি। একবার ইউনিয়ন পরিষদে (ইউপি) চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিলেও দলীয় চাপের কারণে করেননি। এবার বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় উপ
২১ এপ্রিল ২০২৪
সিরাজগঞ্জের কাজীপুরের ঐতিহ্যবাহী সোনামুখী মেলা অনুমোদনের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও মেলা চালিয়ে যাচ্ছিলেন আয়োজকেরা। প্রশাসনের পক্ষ থেকে আয়োজক কমিটিকে বারবার মেলা বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হলেও কোনো কাজ হয়নি।
৬ মিনিট আগে
ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে আবু সাদাদ সায়েম (৫০) নামের এক আসামির লাশ ধানখেত থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে উপজেলার দক্ষিণ মাইজপাড়া গ্রামে লাশটি পাওয়া যায়। জমিসংক্রান্ত বিরোধে প্রতিপক্ষের সঙ্গে মারামারির ঘটনায় করা মামলায় গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে সায়েমকে ধরতে অভিযান চালিয়েছিল পুলিশ।
৬ মিনিট আগে
সিলেটে আবদুর রাজ্জাক নামে এক আওয়ামী লীগ নেতার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে দক্ষিণ সুরমার মোল্লারগাঁও ইউনিয়নের তেলিরাই গ্রামের নিজ বাসার ছাদে তাঁর লাশ মেলে। পুলিশ বলছে, নিহতের শরীরের বিভিন্ন অংশে ছুরিকাঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
১৩ মিনিট আগেকাজীপুর (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি

সিরাজগঞ্জের কাজীপুরের ঐতিহ্যবাহী সোনামুখী মেলা অনুমোদনের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও মেলা চালিয়ে যাচ্ছিলেন আয়োজকেরা। প্রশাসনের পক্ষ থেকে আয়োজক কমিটিকে বারবার মেলা বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হলেও কোনো কাজ হয়নি। পরে আজ শুক্রবার বেলা ১১টায় মেলায় উচ্ছেদ অভিযান চালায় যৌথ বাহিনী।
অভিযানের নেতৃত্ব দেন কাজীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোস্তাফিজুর রহমান। তাঁকে সহযোগিতা করেন কাজীপুর সেনাক্যাম্পের সদস্য, থানা-পুলিশ ও আনসার সদস্যরা।
জানা গেছে, ১০ থেকে ২৪ অক্টোবর পর্যন্ত ১৫ দিনের জন্য কাজীপুরের সোনামুখী মেলার অনুমোদন দিয়েছিল সিরাজগঞ্জের জেলা প্রশাসন। অনুমোদনের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও মেলা বন্ধ না করে নিয়মিত মেলা চালিয়ে যাচ্ছিলেন আয়োজকেরা। পরে মেলায় উচ্ছেদ অভিযান চালায় যৌথ বাহিনী।
কাজীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘মেলা বন্ধ করতে আয়োজক কমিটিকে বারবার বলা হয়েছে, কিন্তু বন্ধ করেনি। সরকারি নির্দেশনা অমান্য করায় আজকে অভিযান চালিয়ে সব উচ্ছেদ করা হয়েছে।’

ইউএনও আরও বলেন, ‘মেলায় ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্প ব্যবসায়ীদের পক্ষে তিনজন তাঁদের অপরাধ স্বীকার করেন এবং এমন অপরাধ আর করবেন না মর্মে মুচলেকা প্রদান করেন। ভোগ্যপণ্যের আর্থিক ক্ষয়ক্ষতির বিষয় বিবেচনা করে ব্যবসায়ীদের নিজেদের সবকিছু দ্রুত সরিয়ে নেওয়ার জন্য সুযোগ দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে সরকারি নির্দেশনা অমান্য করা ও অননুমোদিতভাবে মেলা চালিয়ে যাওয়ায় আয়োজক কমিটির বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক নিয়মিত মামলা দায়েরের জন্য কাজীপুর থানাকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’
এ বিষয়ে কাজীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আলম বলেন, ‘মেলার আয়োজক কমিটির বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা করার নির্দেশনা আমরা এখনো পাইনি। তবে তিনজনকে ধরে নিয়ে আসা হয়েছে। মেলার সবকিছু সরিয়ে না নেওয়া পর্যন্ত তাদের ছাড়া হবে না।’

সিরাজগঞ্জের কাজীপুরের ঐতিহ্যবাহী সোনামুখী মেলা অনুমোদনের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও মেলা চালিয়ে যাচ্ছিলেন আয়োজকেরা। প্রশাসনের পক্ষ থেকে আয়োজক কমিটিকে বারবার মেলা বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হলেও কোনো কাজ হয়নি। পরে আজ শুক্রবার বেলা ১১টায় মেলায় উচ্ছেদ অভিযান চালায় যৌথ বাহিনী।
অভিযানের নেতৃত্ব দেন কাজীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোস্তাফিজুর রহমান। তাঁকে সহযোগিতা করেন কাজীপুর সেনাক্যাম্পের সদস্য, থানা-পুলিশ ও আনসার সদস্যরা।
জানা গেছে, ১০ থেকে ২৪ অক্টোবর পর্যন্ত ১৫ দিনের জন্য কাজীপুরের সোনামুখী মেলার অনুমোদন দিয়েছিল সিরাজগঞ্জের জেলা প্রশাসন। অনুমোদনের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও মেলা বন্ধ না করে নিয়মিত মেলা চালিয়ে যাচ্ছিলেন আয়োজকেরা। পরে মেলায় উচ্ছেদ অভিযান চালায় যৌথ বাহিনী।
কাজীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘মেলা বন্ধ করতে আয়োজক কমিটিকে বারবার বলা হয়েছে, কিন্তু বন্ধ করেনি। সরকারি নির্দেশনা অমান্য করায় আজকে অভিযান চালিয়ে সব উচ্ছেদ করা হয়েছে।’

ইউএনও আরও বলেন, ‘মেলায় ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্প ব্যবসায়ীদের পক্ষে তিনজন তাঁদের অপরাধ স্বীকার করেন এবং এমন অপরাধ আর করবেন না মর্মে মুচলেকা প্রদান করেন। ভোগ্যপণ্যের আর্থিক ক্ষয়ক্ষতির বিষয় বিবেচনা করে ব্যবসায়ীদের নিজেদের সবকিছু দ্রুত সরিয়ে নেওয়ার জন্য সুযোগ দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে সরকারি নির্দেশনা অমান্য করা ও অননুমোদিতভাবে মেলা চালিয়ে যাওয়ায় আয়োজক কমিটির বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক নিয়মিত মামলা দায়েরের জন্য কাজীপুর থানাকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’
এ বিষয়ে কাজীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আলম বলেন, ‘মেলার আয়োজক কমিটির বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা করার নির্দেশনা আমরা এখনো পাইনি। তবে তিনজনকে ধরে নিয়ে আসা হয়েছে। মেলার সবকিছু সরিয়ে না নেওয়া পর্যন্ত তাদের ছাড়া হবে না।’


হাসপাতালের বিছানায় বসেই দেলোয়ার সার্বিক বিষয়ে আজকের পত্রিকার সঙ্গে কথা বলেন। তিনি বলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান হওয়ার স্বপ্ন তাঁর দীর্ঘদিনের। যদিও আগে কখনো কোনো নির্বাচনে অংশ নেননি। একবার ইউনিয়ন পরিষদে (ইউপি) চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিলেও দলীয় চাপের কারণে করেননি। এবার বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় উপ
২১ এপ্রিল ২০২৪
সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলায় গরু চুরি করতে গিয়ে গণপিটুনিতে সানোয়ার হোসেন সানু (৬০) নামের এক ব্যক্তির মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক চুরি মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ভোরে সদরের বহুলী ইউনিয়নের চকমোক্তারগাতি এলাকার একটি ধানখেত থেকে ওই ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। সানু সদর উপজেলার
৪ মিনিট আগে
ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে আবু সাদাদ সায়েম (৫০) নামের এক আসামির লাশ ধানখেত থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে উপজেলার দক্ষিণ মাইজপাড়া গ্রামে লাশটি পাওয়া যায়। জমিসংক্রান্ত বিরোধে প্রতিপক্ষের সঙ্গে মারামারির ঘটনায় করা মামলায় গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে সায়েমকে ধরতে অভিযান চালিয়েছিল পুলিশ।
৬ মিনিট আগে
সিলেটে আবদুর রাজ্জাক নামে এক আওয়ামী লীগ নেতার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে দক্ষিণ সুরমার মোল্লারগাঁও ইউনিয়নের তেলিরাই গ্রামের নিজ বাসার ছাদে তাঁর লাশ মেলে। পুলিশ বলছে, নিহতের শরীরের বিভিন্ন অংশে ছুরিকাঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
১৩ মিনিট আগেহালুয়াঘাট (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি

ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে আবু সাদাদ সায়েম (৫০) নামের এক আসামির লাশ ধানখেত থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে উপজেলার দক্ষিণ মাইজপাড়া গ্রামে লাশটি পাওয়া যায়। জমিসংক্রান্ত বিরোধে প্রতিপক্ষের সঙ্গে মারামারির ঘটনায় করা মামলায় গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে সায়েমকে ধরতে অভিযান চালিয়েছিল পুলিশ।
মৃত সায়েম ওই এলাকার মোসলেম উদ্দিন বিল্লালের ছেলে।
এলাকাবাসী জানান, মোসলেম উদ্দিনের সঙ্গে তাঁর ছোট ভাই মোজাম্মেল হোসেনের জমি নিয়ে বিরোধ রয়েছে। সম্প্রতি এ নিয়ে বাগ্বিতণ্ডা ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় মোজাম্মেল থানায় মামলা করেন। গতকাল রাতে হালুয়াঘাট থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মানিকের নেতৃত্বে মোসলেম উদ্দিনের বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। এ সময় মোসলেম উদ্দিনের ছেলে সায়েম ঘর থেকে বের না হলে পুলিশ গ্রিলের তালা ভেঙে ঘরে প্রবেশ করে। এ সময় সায়েম পেছনের দরজা দিয়ে দৌড়ে পালিয়ে যান। অনেক খোঁজাখুঁজির পর আজ ভোরে বাড়ির পেছনে ধানখেতে ছেলেকে পড়ে থাকতে দেখতে পান তাঁর বাবা। স্বজনেরা তাঁকে হালুয়াঘাট উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
মোসলেম উদ্দিন বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে ছোট ভাই মোজাম্মেল হোসেনের সঙ্গে আমার জমি নিয়ে বিরোধ ছিল। এর ফলে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরে থানায় তারা মামলা করে।’
মৃতের ভাই জসিম উদ্দিন অভিযোগ করে বলেন, ‘এসআই মানিকের সহযোগিতায় বাদীপক্ষের লোকজন পরিকল্পিতভাবে আমার ভাইকে হত্যা করে ধানখেতে ফেলে রেখে যায়। অথচ মামলায় আমাদের গ্রেপ্তার করবে না বলে আমার কাছ থেকে ৩০ হাজার টাকা নেয় এসআই মানিক। আমার প্রশ্ন, পুলিশ কীভাবে গ্রিলের তালা ভেঙে গভীর রাতে ঘরে আসতে পারে? আমি আমার ভাই হত্যার বিচার চাই।’
এদিকে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে হালুয়াঘাট থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মানিক মিয়া বলেন, ‘আমি আসামি ধরতে যাই, কিন্তু না পেয়ে ফিরে আসি।’ আসামির বাড়িতে কোনো বাদী নিয়ে যাননি বলেও তিনি সাংবাদিকদের কাছে দাবি করেন। এসআই মানিক আরও বলেন, ‘আমার নামে যে অপপ্রচার চালাচ্ছে, আমাকে তিনি কোনো দিন দেখেনই নাই। তাঁর সঙ্গে কোনো দিন কথা হয় নাই। একটা মানুষ যদি এভাবে মিথ্যা কথা বলে, আমার এখন কী করার আছে।’
এ বিষয়ে হালুয়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুল ইসলাম হারুন বলেন, প্রাথমিকভাবে ঘটনার তদন্ত চলমান রয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে আবু সাদাদ সায়েম (৫০) নামের এক আসামির লাশ ধানখেত থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে উপজেলার দক্ষিণ মাইজপাড়া গ্রামে লাশটি পাওয়া যায়। জমিসংক্রান্ত বিরোধে প্রতিপক্ষের সঙ্গে মারামারির ঘটনায় করা মামলায় গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে সায়েমকে ধরতে অভিযান চালিয়েছিল পুলিশ।
মৃত সায়েম ওই এলাকার মোসলেম উদ্দিন বিল্লালের ছেলে।
এলাকাবাসী জানান, মোসলেম উদ্দিনের সঙ্গে তাঁর ছোট ভাই মোজাম্মেল হোসেনের জমি নিয়ে বিরোধ রয়েছে। সম্প্রতি এ নিয়ে বাগ্বিতণ্ডা ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় মোজাম্মেল থানায় মামলা করেন। গতকাল রাতে হালুয়াঘাট থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মানিকের নেতৃত্বে মোসলেম উদ্দিনের বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। এ সময় মোসলেম উদ্দিনের ছেলে সায়েম ঘর থেকে বের না হলে পুলিশ গ্রিলের তালা ভেঙে ঘরে প্রবেশ করে। এ সময় সায়েম পেছনের দরজা দিয়ে দৌড়ে পালিয়ে যান। অনেক খোঁজাখুঁজির পর আজ ভোরে বাড়ির পেছনে ধানখেতে ছেলেকে পড়ে থাকতে দেখতে পান তাঁর বাবা। স্বজনেরা তাঁকে হালুয়াঘাট উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
মোসলেম উদ্দিন বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে ছোট ভাই মোজাম্মেল হোসেনের সঙ্গে আমার জমি নিয়ে বিরোধ ছিল। এর ফলে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরে থানায় তারা মামলা করে।’
মৃতের ভাই জসিম উদ্দিন অভিযোগ করে বলেন, ‘এসআই মানিকের সহযোগিতায় বাদীপক্ষের লোকজন পরিকল্পিতভাবে আমার ভাইকে হত্যা করে ধানখেতে ফেলে রেখে যায়। অথচ মামলায় আমাদের গ্রেপ্তার করবে না বলে আমার কাছ থেকে ৩০ হাজার টাকা নেয় এসআই মানিক। আমার প্রশ্ন, পুলিশ কীভাবে গ্রিলের তালা ভেঙে গভীর রাতে ঘরে আসতে পারে? আমি আমার ভাই হত্যার বিচার চাই।’
এদিকে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে হালুয়াঘাট থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মানিক মিয়া বলেন, ‘আমি আসামি ধরতে যাই, কিন্তু না পেয়ে ফিরে আসি।’ আসামির বাড়িতে কোনো বাদী নিয়ে যাননি বলেও তিনি সাংবাদিকদের কাছে দাবি করেন। এসআই মানিক আরও বলেন, ‘আমার নামে যে অপপ্রচার চালাচ্ছে, আমাকে তিনি কোনো দিন দেখেনই নাই। তাঁর সঙ্গে কোনো দিন কথা হয় নাই। একটা মানুষ যদি এভাবে মিথ্যা কথা বলে, আমার এখন কী করার আছে।’
এ বিষয়ে হালুয়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুল ইসলাম হারুন বলেন, প্রাথমিকভাবে ঘটনার তদন্ত চলমান রয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।


হাসপাতালের বিছানায় বসেই দেলোয়ার সার্বিক বিষয়ে আজকের পত্রিকার সঙ্গে কথা বলেন। তিনি বলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান হওয়ার স্বপ্ন তাঁর দীর্ঘদিনের। যদিও আগে কখনো কোনো নির্বাচনে অংশ নেননি। একবার ইউনিয়ন পরিষদে (ইউপি) চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিলেও দলীয় চাপের কারণে করেননি। এবার বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় উপ
২১ এপ্রিল ২০২৪
সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলায় গরু চুরি করতে গিয়ে গণপিটুনিতে সানোয়ার হোসেন সানু (৬০) নামের এক ব্যক্তির মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক চুরি মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ভোরে সদরের বহুলী ইউনিয়নের চকমোক্তারগাতি এলাকার একটি ধানখেত থেকে ওই ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। সানু সদর উপজেলার
৪ মিনিট আগে
সিরাজগঞ্জের কাজীপুরের ঐতিহ্যবাহী সোনামুখী মেলা অনুমোদনের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও মেলা চালিয়ে যাচ্ছিলেন আয়োজকেরা। প্রশাসনের পক্ষ থেকে আয়োজক কমিটিকে বারবার মেলা বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হলেও কোনো কাজ হয়নি।
৬ মিনিট আগে
সিলেটে আবদুর রাজ্জাক নামে এক আওয়ামী লীগ নেতার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে দক্ষিণ সুরমার মোল্লারগাঁও ইউনিয়নের তেলিরাই গ্রামের নিজ বাসার ছাদে তাঁর লাশ মেলে। পুলিশ বলছে, নিহতের শরীরের বিভিন্ন অংশে ছুরিকাঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
১৩ মিনিট আগেসিলেট প্রতিনিধি

সিলেটে আবদুর রাজ্জাক নামে এক আওয়ামী লীগ নেতার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে দক্ষিণ সুরমার মোল্লারগাঁও ইউনিয়নের তেলিরাই গ্রামের নিজ বাসার ছাদে তাঁর লাশ মেলে। পুলিশ বলছে, নিহতের শরীরের বিভিন্ন অংশে ছুরিকাঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
নিহত আবদুর রাজ্জাক দক্ষিণ সুরমা উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও দক্ষিণ সুরমা উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সাবেক সাধারণ সম্পাদক। তিনি দক্ষিণ সুরমার মোল্লারগাঁও ইউনিয়নের তেলিরাই গ্রামের মরহুম মৌলুল হোসেনের ছেলে।
জানা গেছে, আজ ফজরের নামাজ পড়ে বাসার ছাদে হাঁটতে যান আবদুর রাজ্জাক। সকাল ৯টার দিকে পরিবারের সদস্যরা তাঁকে বাসায় খুঁজে না পেয়ে ছাদে গিয়ে তাঁর রক্তাক্ত মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে। পরে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে।
সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (গণমাধ্যম) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘আজ সকাল সাড়ে ৬টা থেকে ৯টার মধ্যে আবদুর রাজ্জাককে খুন করা হয়েছে। তাঁর শরীরের বিভিন্ন অংশে ছুরিকাঘাতের চিহ্ন রয়েছে। হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্ঘাটনে পুলিশ কাজ করছে। আমরা ওই ছুরিটি উদ্ধার করেছি। এখন বিভিন্নজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করছি। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।’

সিলেটে আবদুর রাজ্জাক নামে এক আওয়ামী লীগ নেতার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে দক্ষিণ সুরমার মোল্লারগাঁও ইউনিয়নের তেলিরাই গ্রামের নিজ বাসার ছাদে তাঁর লাশ মেলে। পুলিশ বলছে, নিহতের শরীরের বিভিন্ন অংশে ছুরিকাঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
নিহত আবদুর রাজ্জাক দক্ষিণ সুরমা উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও দক্ষিণ সুরমা উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সাবেক সাধারণ সম্পাদক। তিনি দক্ষিণ সুরমার মোল্লারগাঁও ইউনিয়নের তেলিরাই গ্রামের মরহুম মৌলুল হোসেনের ছেলে।
জানা গেছে, আজ ফজরের নামাজ পড়ে বাসার ছাদে হাঁটতে যান আবদুর রাজ্জাক। সকাল ৯টার দিকে পরিবারের সদস্যরা তাঁকে বাসায় খুঁজে না পেয়ে ছাদে গিয়ে তাঁর রক্তাক্ত মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে। পরে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে।
সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (গণমাধ্যম) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘আজ সকাল সাড়ে ৬টা থেকে ৯টার মধ্যে আবদুর রাজ্জাককে খুন করা হয়েছে। তাঁর শরীরের বিভিন্ন অংশে ছুরিকাঘাতের চিহ্ন রয়েছে। হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্ঘাটনে পুলিশ কাজ করছে। আমরা ওই ছুরিটি উদ্ধার করেছি। এখন বিভিন্নজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করছি। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।’


হাসপাতালের বিছানায় বসেই দেলোয়ার সার্বিক বিষয়ে আজকের পত্রিকার সঙ্গে কথা বলেন। তিনি বলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান হওয়ার স্বপ্ন তাঁর দীর্ঘদিনের। যদিও আগে কখনো কোনো নির্বাচনে অংশ নেননি। একবার ইউনিয়ন পরিষদে (ইউপি) চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিলেও দলীয় চাপের কারণে করেননি। এবার বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় উপ
২১ এপ্রিল ২০২৪
সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলায় গরু চুরি করতে গিয়ে গণপিটুনিতে সানোয়ার হোসেন সানু (৬০) নামের এক ব্যক্তির মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক চুরি মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ভোরে সদরের বহুলী ইউনিয়নের চকমোক্তারগাতি এলাকার একটি ধানখেত থেকে ওই ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। সানু সদর উপজেলার
৪ মিনিট আগে
সিরাজগঞ্জের কাজীপুরের ঐতিহ্যবাহী সোনামুখী মেলা অনুমোদনের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও মেলা চালিয়ে যাচ্ছিলেন আয়োজকেরা। প্রশাসনের পক্ষ থেকে আয়োজক কমিটিকে বারবার মেলা বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হলেও কোনো কাজ হয়নি।
৬ মিনিট আগে
ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে আবু সাদাদ সায়েম (৫০) নামের এক আসামির লাশ ধানখেত থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে উপজেলার দক্ষিণ মাইজপাড়া গ্রামে লাশটি পাওয়া যায়। জমিসংক্রান্ত বিরোধে প্রতিপক্ষের সঙ্গে মারামারির ঘটনায় করা মামলায় গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে সায়েমকে ধরতে অভিযান চালিয়েছিল পুলিশ।
৬ মিনিট আগে