Ajker Patrika

অধিক উৎপাদনে অর্ধেক দামে বিক্রি হচ্ছে আমসত্ত্ব

মো. তারেক রহমান, চাঁপাইনবাবগঞ্জ
আপডেট : ৩০ আগস্ট ২০২১, ২০: ৪২
অধিক উৎপাদনে অর্ধেক দামে বিক্রি হচ্ছে আমসত্ত্ব

আমের রাজধানী খ্যাত জেলা চাঁপাইনবাবগঞ্জ সারা দেশে আমসত্ত্ব সরবরাহের সবচেয়ে বড় উৎস। এ জেলা থেকে প্রতিদিন হাজার হাজার মণ আমসত্ত্ব রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে যাচ্ছে। তবে অন্যান্য বছরের তুলনায় চলতি বছরে আমের উৎপাদন বেশি থাকায় এবং লকডাউনের প্রভাবে আমের দাম কম হওয়ায় বাড়ে আমসত্ত্ব উৎপাদনের পরিমাণ। এ কারণে প্রভাব পড়েছে এর দামেও। গত বছরের তুলনায় প্রায় অর্ধেক দামে গ্রামে গ্রামে গিয়ে আমসত্ত্ব কিনছেন পাইকারি ব্যবসায়ীরা। 

পাইকারি ব্যবসায়ী ও আড়তদাররা জানান, চাঁপাইনবাবগঞ্জের সবচেয়ে বেশি আমসত্ত্ব উৎপাদন হয় শিবগঞ্জ উপজেলায়। বাণিজ্যিকভাবে বড় পরিসরে জেলায় এখনো তেমন কোনো আমসত্ত্ব তৈরির প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠেনি। তাই পুরোটাই গৃহিণীদের কাছ থেকেই সরবরাহ হয় আমসত্ত্ব। লকডাউনে আমের দাম কম থাকায় আমসত্ত্ব বানানোতে বেশ আগ্রহ দেখান গৃহিণীরা। 

বাড়ি বাড়ি গিয়ে গৃহিণীদের কাছ থেকে আমসত্ত্ব কিনছেন ব্যবসায়ীরাগৃহিণীরা বলছেন, জেলায় সবচেয়ে বেশি আমসত্ত্ব তৈরি হয় আশ্বিনা আমের। গত বছর এই জাতের আমের আমসত্ত্ব বিক্রি হয়েছে ৭০ থেকে ১১০ টাকা কেজি দরে। অথচ চলতি বছর বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৬০ টাকায়। বাড়ি বাড়ি গিয়ে সংগ্রহ করা পাইকারি ব্যবসায়ীরা জানান, অন্যান্য বছরের তুলনায় চলতি মৌসুমে অন্তত ৪ থেকে ৫ গুণ বেশি আমসত্ত্ব তৈরি হয়েছে। ফলে দাম কম। 

শিবগঞ্জ উপজেলার কানসাট ইউনিয়নের শিবনারায়ণপুর গ্রামের সাহারুল ইসলাম। গত ২০ বছর ধরে গৃহিণীদের থেকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে আমসত্ত্ব কিনে আড়তে বিক্রি করেন। সাহারুল ইসলাম বলেন, অন্যান্য বছরে কয়েকটি গ্রাম ঘুরে ঘুরে এক মণ আমতা (আমসত্ত্ব) কিনতে পেরেছি ৷ অথচ গত বুধবার (১৮ আগস্ট) একটি গ্রাম থেকেই ৫ মণ আমতা কিনেছি। আমি ছাড়াও একই সময়ে আরও কয়েকজন ব্যবসায়ী আমতা কিনেছে। গত বছর ৭০ থেকে ১০০ টাকা দিয়েও খুঁজে খুঁজে কিনতে হয়েছে। অথচ এবার দাম ৪০ থেকে ৫০ টাকার মধ্যেই। অবস্থা এমন যে, আড়তে জিজ্ঞেস করে আমতা কিনতে বের হতে হচ্ছে। কারণ তারা যদি পরে কিনে না নেয়। আমের অনেক ফলন হয়েছে, তাই দাম এত কম। 

আমের উৎপাদন বেশি আর লকডাউন থাকায় এবার আমসত্ত্বের দাম কমপ্রতিবছর বাড়িতে আমসত্ত্ব তৈরি করে পাইকারি ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করেন গৃহিণী শাহনাজ বেগম। তিনি জানান, বাড়ির আশপাশে অনেক বাগান। এখান থেকে আম কুড়িয়ে ও নিজেদের বাগানের আমগুলো সাধারণত বিক্রি করে দেয়। কিন্তু এ বছর আমের এত কম দাম যে, তা বিক্রি না করে আমতা বানিয়েছি। কিন্তু আমতা বানিয়েও কোনো লাভ হয়নি। কারণ এ বছর প্রায় অর্ধেক দাম হয়ে গেছে। 

কানসাট-গোলাপ বাজার গ্রামের গৃহবধূ নুরেসা খাতুন বলেন, এ বছর আশ্বিনা আমের সময় অনেক বৃষ্টিপাত হয়েছে ৷ আমসত্ত্ব বানাতে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন রোদের। কিন্তু রোদ না পেয়ে অনেক আমসত্ত্ব নষ্ট হয়েছে। তারপরও যেগুলো করতে পেরেছি, বাড়ির সামনে পাইকার এসে নিতে চায় না। অনেক কম দাম বলছে। কি আর করার, বাধ্য হয়েই দিতে হচ্ছে। 

কানসাট গোলাপনগর মোড়ের আড়তদার মো. আলী হোসেন জানান, এ বছর আমের উৎপাদন বেশি, তাই দামও অনেক কম। পাইকারি ব্যবসায়ীরা গ্রামে বাড়ি বাড়ি গিয়ে আমসত্ত্ব সংগ্রহ করে আমাদের এখানে এসে বিক্রি করে। গৃহিণীদের থেকে কেনা দামের ৩-৫ টাকা লাভে এসব বিক্রি করে। প্রতিদিন আড়তে আমসত্ত্ব সংগ্রহ করে ট্রাকে করে রাজধানী ঢাকার শ্যামবাজারে চলে যায়। পরে সেখান থেকে কোল্ড স্টোরেজে সংগ্রহ করে রাখা হয় এবং সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ে। 

সারা দেশ থেকে অনলাইনে অর্ডার নিয়ে আমসত্ত্ব সরবরাহ করেন চাঁপাই ম্যাংগো'র ব্যবস্থাপক শহিদুল হক হায়দারী। সারা দেশের গ্রাহকদের থেকে অর্ডার নিয়ে গ্রামে গ্রামে গৃহিণীদের নিয়ে কয়েকটি আমসত্ত্ব বানানোর দল গঠন করেছেন তিনি। সেসব নারীরা শহিদুল ইসলাম হায়দারীর নির্দেশনা অনুযায়ী আমসত্ত্ব তৈরি করেন। এতে ওই নারীরা দাম যেমন বেশি পান, তেমনি শহিদুল ইসলাম তাদের থেকে মানসম্মত আমসত্ত্বও সংগ্রহ করতে পারেন। তিনি বলেন, একদিকে আমের উৎপাদন বেশি, অন্যদিকে কঠোর লকডাউনের প্রভাবে আমের দাম কম। তাই গৃহিণীরা এ বছর আমসত্ত্ব উৎপাদনের ওপর গুরুত্ব দিয়েছিল। স্বাভাবিকভাবেই উৎপাদন বেশি হওয়ায় চলতি বছরে আমসত্ত্বের দাম অনেক কম। 

আমসত্ত্বমজুত করছেন ব্যবসায়ীরামানসম্মত ও সঠিক উপায়ে বানালে অধিক দাম পাওয়া সম্ভব উল্লেখ করে শহিদুল হক বলেন, জেলায় এখনো বাণিজ্যিকভাবে আমসত্ত্ব উৎপাদন শুরু হয়নি। তবে ভালো মানসম্মত আমসত্ত্ব পেতে নারীদের সঠিক নির্দেশনা ও প্রশিক্ষণ দেওয়া প্রয়োজন। কারণ বাজারে থাকা বেশির ভাগ আমসত্ত্বের পুরুত্ব ঠিক নেই। আবার অনেকেই ভালো করে রোদে না শুকিয়ে বাজারজাত করেন। 

চাঁপাইনবাবগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম বলেন, এ বছর ফলন বেশি হয়েছে। তবে ফলন বেশি হওয়ার থেকে করোনার বেশি প্রভাব পড়েছে আম ও আমসত্ত্বের দামে। করোনা পরিস্থিতির কারণে আম বাইরে যেতে পারেনি। তাই অনেকেই আমসত্ত্ব উৎপাদনের দিকে ঝুঁকে পড়েন। কিন্তু অধিক পরিমাণে উৎপাদন হওয়ার কারণে দাম অনেক কমে গেছে। 

মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম বলেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের পাঁচ উপজেলায় এ বছর প্রায় ৩৫ হাজার হেক্টর জমিতে আম বাগান রয়েছে। চলতি মৌসুমে এসব আম বাগানের প্রায় ২৭ লাখ গাছ থেকে আড়াই লাখ মেট্রিক টন আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে কৃষি বিভাগ। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘মোন্থা’ প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে, আঘাত হানবে কোথায়

দুশ্চিন্তা, হতাশা দূর হবে হাদিসে বর্ণিত এই চার দোয়ায়

হঠাৎ পদত্যাগ করলেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে রেজিস্ট্রার

গায়ে থুতু পড়া নিয়ে ড্যাফোডিল ও সিটি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের রাতভর সংঘর্ষ, অগ্নিসংযোগ

নির্বাচনে যেতে চায় জাপার একাংশ, কৌশল তুলে ধরবে জাতির সামনে

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার, পরিবারের দাবি হত্যাকাণ্ড

কমলনগর (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি 
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে স্বপ্না আক্তার (২৫) নামের এক গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ সোমবার সকালে উপজেলার চরমার্টিন ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কোরবান আলী ব্যাপারী বাড়ি থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। স্বপ্নার ভাইয়ের দাবি, ভগ্নিপতিসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাঁর বোনকে হত্যা করে বাড়ির টয়লেটে ঝুলিয়ে রেখেছেন। এ ঘটনায় স্বপ্নার স্বামী মাইন উদ্দিনসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন পালিয়েছেন।

মৃত স্বপ্না কোরবান আলী ব্যাপারী বাড়ির মাইন উদ্দিনের স্ত্রী। তিনি নোয়াখালী সুধারাম থানার মাইজচরা এলাকার মুনছুর আহমদের মেয়ে।

জানা গেছে, প্রায় ১০ বছর আগে স্বপ্নার সঙ্গে মাইন উদ্দিনের বিয়ে হয়। এই দম্পতির দুই ছেলে রয়েছে।

‎স্বপ্নার ভাই মো. ইউছুপ বলেন, ‘তিন বছর আগে আমার ভগ্নিপতি মাইন উদ্দিন চাকরি করতে ওমানে যান। দুই মাস আগে ওখানে একটি দুর্ঘটনায় তাঁর পা ভেঙে যায়। পরে তিনি দেশে চলে আসেন। দেশে আসার পর থেকে বোনের সঙ্গে ভগ্নিপতি মাইন উদ্দিনের বনিবনা হচ্ছিল না। ভগ্নিপতি মাইন উদ্দিন ও তাঁর মা-বোনদের সঙ্গে সব সময় বোনের ঝগড়া লেগে থাকত। গতকাল রোববার রাতে বোনের শাশুড়ি ও ননদ আমাকে মোবাইল ফোনে বোনের সঙ্গে ঝগড়ার কথা বলেন। একপর্যায়ে তাঁরা আমার বোনকে মেরে ফেলার হুমকিও দেন। আজ সকালে বোনের শাশুড়ি আমাকে ফোন দিয়ে বলেন—স্বপ্না গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।’

‎হাজিরহাট তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. জাহাঙ্গির আলম বলেন, ‘খবর পেয়ে আমরা লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছি। ময়নাতদন্তের রিপোর্টের পর প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে। তবে প্রাথমিক তদন্তে আমরা ধারণা করছি, এটি হত্যা নয়, আত্মহত্যা।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘মোন্থা’ প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে, আঘাত হানবে কোথায়

দুশ্চিন্তা, হতাশা দূর হবে হাদিসে বর্ণিত এই চার দোয়ায়

হঠাৎ পদত্যাগ করলেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে রেজিস্ট্রার

গায়ে থুতু পড়া নিয়ে ড্যাফোডিল ও সিটি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের রাতভর সংঘর্ষ, অগ্নিসংযোগ

নির্বাচনে যেতে চায় জাপার একাংশ, কৌশল তুলে ধরবে জাতির সামনে

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বাবার বঁটির আঘাতে মেয়ে খুন

নবীগঞ্জ (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি 
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

হবিগঞ্জের নবীগঞ্জে এক বাবার বঁটির আঘাতে তাঁর মেয়ে খুন হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। আজ সোমবার (২৭ অক্টোবর) দুপুরে উপজেলার করগাঁও ইউনিয়নের কুড়িশাইল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত মেয়ের নাম পূর্ণিমা রানী দাশ (২২)। অভিযুক্ত বাবার নাম মতি লাল দাশ।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ছয় মাস আগে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মনোমালিন্যের জেরে পূর্ণিমা রানী স্বামীর বাড়ি থেকে বাবার বাড়ি কুড়িশাইলে আসেন। স্বামীর বাড়িতে থাকার সময় মোবাইল ফোনে অন্য পুরুষের সঙ্গে যোগাযোগ ও সন্দেহজনক চলাফেরার অভিযোগে দাম্পত্যসম্পর্কে ভাঙন ধরে। পিত্রালয়ে ফিরে আসার পরও পূর্ণিমা বিভিন্ন সময় মোবাইলে কথা বলতেন এবং সম্প্রতি এক তরুণের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কের সূত্রে ঢাকায় পালিয়ে যান। পরে পরিবার ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সহযোগিতায় তাঁকে বাড়িতে ফিরিয়ে আনা হয়। এ ঘটনার পর থেকে পরিবারটিকে স্থানীয় বাসিন্দারা কটু মন্তব্য করতে থাকেন। এসব মন্তব্যে মানসিকভাবে চাপে পড়েন পূর্ণিমার বাবা মতি লাল দাশ। আজ দুপুরে এমন পরিস্থিতিতে ক্ষিপ্ত হয়ে ঘুমন্ত মেয়ের মাথায় বঁটি দিয়ে আঘাত করেন তিনি। গুরুতর আহত অবস্থায় মতি লাল নিজেই গ্রাম পুলিশসহ মেয়েকে নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক পূর্ণিমাকে মৃত ঘোষণা করেন।

খবর পেয়ে নবীগঞ্জ থানা-পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এবং অভিযুক্ত পিতা মতি লাল দাশকে আটক করে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ কামরুজ্জামান বলেন, মতি লাল মেয়ের আচরণ ও প্রতিবেশীদের কটু মন্তব্যে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন। ক্ষোভ ও লজ্জা থেকে তিনি এ হত্যাকাণ্ড ঘটান। নিহত মেয়েটির মা অভিযোগ দিলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘মোন্থা’ প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে, আঘাত হানবে কোথায়

দুশ্চিন্তা, হতাশা দূর হবে হাদিসে বর্ণিত এই চার দোয়ায়

হঠাৎ পদত্যাগ করলেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে রেজিস্ট্রার

গায়ে থুতু পড়া নিয়ে ড্যাফোডিল ও সিটি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের রাতভর সংঘর্ষ, অগ্নিসংযোগ

নির্বাচনে যেতে চায় জাপার একাংশ, কৌশল তুলে ধরবে জাতির সামনে

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে সরকার প্রস্তুত: উপদেষ্টা সাখাওয়াত

চরফ্যাশন সংবাদদাতাভোলা প্রতিনিধি
সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন উপদেষ্টা ড. এম সাখাওয়াত হোসেন। ছবি: আজকের পত্রিকা
সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন উপদেষ্টা ড. এম সাখাওয়াত হোসেন। ছবি: আজকের পত্রিকা

বাংলাদেশ নৌপরিবহন এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশ্য এখন স্পষ্ট। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে সরকার প্রস্তুত। আর নির্বাচন আয়োজনের দায়িত্ব সম্পূর্ণ নির্বাচন কমিশনের। সেখানে সরকারের কোনো হস্তক্ষেপের সুযোগ নেই। অন্তর্বর্তী সরকার শুধু সহযোগিতা করবে।

‎আজ সোমবার (২৭ অক্টোবর) দুপুর ১২টায় ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার বেতুয়া নদীবন্দর টার্মিনাল ভবন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।

উপদেষ্টা সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘আমাদের মূল উদ্দেশ্য প্রান্তিক জনগণের স্বার্থে কাজ করা। আমরা সেটাই করে যাচ্ছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘ঢাকার সঙ্গে চরফ্যাশনের যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম নৌপথ। এখানকার মানুষের নৌপথের যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে বেতুয়া নদীবন্দর টার্মিনাল ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। এমন টার্মিনাল ভবন বাংলাদেশের কোথাও আমার চোখে পড়েনি। টার্মিনালটি আপনাদের, এটাকে সুন্দর রাখার দায়িত্বও আপনাদের। এ দেশের ঐতিহ্য রক্ষার্থে শতবর্ষী প্যাডেল স্টিমার পুনরায় চালু করেছি। আমাদের পরিকল্পনা রয়েছে, এই প্যাডেল স্টিমার ঢাকা-বরিশাল নৌপথে চলবে। তবে সপ্তাহে এক দিন ঢাকা-ভোলা নৌপথে চলবে।’

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) চেয়ারম্যান কমডোর আরিফ আহমেদ মোস্তফা, চরফ্যাশন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাসনা শারমিন মিথি, সহকারী কমিশনার (ভূমি) এমাদুল হোসেন, সহকারী পুলিশ সুপার (চরফ্যাশন সার্কেল) মেহেদী হাসান প্রমুখ। এ ছাড়া উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন কর্মকর্তা, বাংলাদেশ নৌবাহিনী, পুলিশ সদস্য ও স্থানীয় সুধীজন উপস্থিত ছিলেন।

‎পরে বিকেল ৪টার দিকে উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন চরফ্যাশন উপজেলার নুরাবাদ ইউনিয়নের গাছীর খাল লঞ্চঘাটে নবনির্মিত পল্টুনের উদ্বোধন করেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘মোন্থা’ প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে, আঘাত হানবে কোথায়

দুশ্চিন্তা, হতাশা দূর হবে হাদিসে বর্ণিত এই চার দোয়ায়

হঠাৎ পদত্যাগ করলেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে রেজিস্ট্রার

গায়ে থুতু পড়া নিয়ে ড্যাফোডিল ও সিটি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের রাতভর সংঘর্ষ, অগ্নিসংযোগ

নির্বাচনে যেতে চায় জাপার একাংশ, কৌশল তুলে ধরবে জাতির সামনে

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

আমনখেতে ইঁদুরের উপদ্রব, দুশ্চিন্তায় কৃষক

ফরিদগঞ্জ (চাঁদপুর) প্রতিনিধি 
ধানখেতে ইঁদুরের উৎপাত বেড়েছে। ছবি: আজকের পত্রিকা
ধানখেতে ইঁদুরের উৎপাত বেড়েছে। ছবি: আজকের পত্রিকা

চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার মাঠে মাঠে আমন ধানের শীষ বের হতে শুরু করেছে। কিন্তু ধানখেতে ইঁদুরের উপদ্রব বেড়েছে। প্রতিনিয়ত ধানগাছ কেটে নষ্ট করে ফেলছে ইঁদুর। ইঁদুরনিধনে ফাঁদ পাতলেও তাতে সমস্যা কমছে না। ইঁদুরের যন্ত্রণায় অতিষ্ট হয়ে পড়েছেন কৃষক।

উপজেলা কৃষি কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে উপজেলায় আমনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৭ হাজার ৯৯০ হেক্টর। চাষ হয়েছে ৮ হাজার ৬০ হেক্টর জমিতে। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে আমন চাষ করা হয়েছে।

উপজেলার কয়েকটি গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে, চাষিরা ইঁদুরের উপদ্রব থেকে ধান রক্ষা করতে খেতের মধ্যে বাঁশের কঞ্চি গেড়ে তাতে পলিথিন টাঙিয়ে দিয়েছেন। অনেকে আবার খেতের চারপাশে ইঁদুর মারার ফাঁদ তৈরি করে রেখেছেন।

সাহেবগঞ্জ গ্রামের চাষি নুর মোহাম্মদ জানান, তিনি এবার দুই বিঘা জমিতে আমন চাষ করেছেন। এখন ধানের শীষ বের হচ্ছে। এই অবস্থায় খেতে ইঁদুরের উপদ্রব দেখা দেওয়ায় তিনি দুশ্চিন্তায় আছেন। ওষুধ ছিটিয়ে কোনো লাভ হচ্ছে না। এখন তিনি খেতের মধ্যে পলিথিন বেঁধে দিয়েছেন। বাতাসে পলিথিন উড়লে শব্দ হয়। আর সেই শব্দ শুনে ইঁদুর পালিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

নুরুল আমিন, মনা মিয়াসহ আরও বেশ কয়েকজন কৃষক জানান, ধানখেতে ইঁদুর মারার ওষুধ দিয়েছেন, তাতেও কোনো কাজ হচ্ছে না। খেতের ধানগাছ ইঁদুর কেটে ফেলছে। স্প্রে করে ও ওষুধ দিয়ে উপকার মিলছে না। ইঁদুরের উপদ্রব কমছে না। কেউ কেউ খেতের চারপাশে ইঁদুর মারার ফাঁদ তৈরি করে রেখেছেন। তবুও ইঁদুরের উৎপাত কমছে না।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কল্লোল কিশোর সরকার বলেন, ইঁদুরনিধনে বিষ, টোপসহ বিভিন্ন বিষয়ে কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। ইঁদুর তাড়ানোর জন্য কীটনাশক প্রয়োগসহ বিভিন্ন পদ্ধতি নিয়ে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা মাঠপর্যায়ে কাজ করছেন। কৃষি কর্মকর্তাদের পরামর্শ মোতাবেক কাজ করলে ইঁদুর নিধন করা সম্ভব হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘মোন্থা’ প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে, আঘাত হানবে কোথায়

দুশ্চিন্তা, হতাশা দূর হবে হাদিসে বর্ণিত এই চার দোয়ায়

হঠাৎ পদত্যাগ করলেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে রেজিস্ট্রার

গায়ে থুতু পড়া নিয়ে ড্যাফোডিল ও সিটি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের রাতভর সংঘর্ষ, অগ্নিসংযোগ

নির্বাচনে যেতে চায় জাপার একাংশ, কৌশল তুলে ধরবে জাতির সামনে

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত