কাজীপুর (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি
ঢোলের বাজনা, কাঁসার ঘণ্টা আর বাঁশির তালে চলছে লাঠির কসরত। প্রতিপক্ষের আঘাত-প্রতিঘাত ঠেকাতে লাঠিয়ালেরা দৃষ্টিনন্দন ভঙ্গিতে মেতে উঠেছেন খেলায়। খেলাটি দেখতে উৎসুক শিশু-কিশোর, যুবক-যুবতী, বৃদ্ধ-বৃদ্ধা সবাই ভিড় জমিয়েছেন মাঠের চারপাশে।
গ্রামবাংলার বিলুপ্তপ্রায় ঐতিহ্যকে বর্তমান প্রজন্মের সামনে তুলে ধরতেই এমন ব্যতিক্রমী আয়োজন করা হয় সিরাজগঞ্জের কাজীপুর উপজেলার মাইজবাড়ি ইউনিয়নের ছালাভরা কুনকুনিয়া গ্রামে। আজ সোমবার দিনব্যাপী আয়োজন হয় শতবর্ষের পুরোনো লাঠি খেলা ও গ্রামীণ মেলা। আয়োজকদের দাবি, প্রায় দেড় শ বছর ধরে গ্রামের মানুষেরা নিজেরাই এই আয়োজন করে আসছেন।
স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বাংলা জ্যৈষ্ঠ মাসের দ্বিতীয় বুধবার থেকে শুরু হয় লাঠিখেলার প্রস্তুতি। পরের সোমবার সকালে আয়োজন হয় মূল মেলার। এ দিনই শেষ হয় লাঠিখেলা ও অন্যান্য প্রতিযোগিতা। মেলার অংশ হিসেবে একটি বাঁশ লাল কাপড়, রং ও চুল দিয়ে সাজিয়ে ‘মাদার বাঁশ’ নামে পূজা করা হয়।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বিশাল একটি উঠানের চারপাশে হাজারো দর্শক। মাঝখানে চলছে লাঠিখেলা, আর পাশেই সঙ্গ দিচ্ছে ঢোল, কাঁসা ও বাঁশি। খেলার পাশাপাশি দর্শকদের বিনোদনে পরিবেশন করা হচ্ছে জাদু প্রদর্শনী। এর মধ্যে রয়েছে রাক্ষুসে খেলা, রামদা দিয়ে শরীর কোপানো, জীবন্ত মানুষকে মাটির নিচে পুঁতে রাখাসহ নানা আকর্ষণীয় প্রদর্শনী।
আয়োজক সাইদুল প্রামাণিক বলেন, ‘আমার বাবা শাজা প্রামাণিক এই লাঠিখেলার আয়োজন করতেন। তিনি মারা যাওয়ার পর আমরা দায়িত্ব নিয়েছি। আমাদের দেখে আরও দুটি দল অংশ নেয়। বাংলার ঐতিহ্য ধরে রাখাই আমাদের উদ্দেশ্য।’
গ্রামের প্রবীণ বাসিন্দা আব্দুল জব্বার বলেন, ‘আমি ছোটবেলা থেকেই এই লাঠিখেলার মেলা দেখে আসছি। এ উপলক্ষে গ্রামে উৎসবের পরিবেশ তৈরি হয়, আত্মীয়স্বজনেরা আসেন।’
খেলা দেখতে আসা তরুণ সজিব বলেন, ‘শুনেছি এখানে লাঠিখেলা হয়। বন্ধুদের নিয়ে দেখতে এসেছি, খুব ভালো লাগছে।’ যুথী নামের এক স্কুলছাত্রী বলে, ‘লাঠিখেলা দেখতে এসে চুড়ির দোকান থেকে কাচের চুড়ি কিনেছি।’
খেলোয়াড় শহীদুল ইসলাম বলেন, ‘বাপ-দাদার কাছ থেকে লাঠিখেলা শিখেছি। দেশ স্বাধীনের পর থেকেই খেলছি। খেলে আনন্দ পাই, দর্শকরাও খুশি হন।’
আরেক লাঠিয়াল আজগর বলেন, ‘শতবর্ষের ঐতিহ্য আমাদের এই মাদার মেলা। আমাদের খেলা দেখে হাজারও মানুষ আনন্দ পান।’
এ বিষয়ে কাজীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) দেওয়ান আকরামুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ডিসি অফিস থেকে এ মেলার কোনো অনুমোদন দেওয়া হয়নি।
ঢোলের বাজনা, কাঁসার ঘণ্টা আর বাঁশির তালে চলছে লাঠির কসরত। প্রতিপক্ষের আঘাত-প্রতিঘাত ঠেকাতে লাঠিয়ালেরা দৃষ্টিনন্দন ভঙ্গিতে মেতে উঠেছেন খেলায়। খেলাটি দেখতে উৎসুক শিশু-কিশোর, যুবক-যুবতী, বৃদ্ধ-বৃদ্ধা সবাই ভিড় জমিয়েছেন মাঠের চারপাশে।
গ্রামবাংলার বিলুপ্তপ্রায় ঐতিহ্যকে বর্তমান প্রজন্মের সামনে তুলে ধরতেই এমন ব্যতিক্রমী আয়োজন করা হয় সিরাজগঞ্জের কাজীপুর উপজেলার মাইজবাড়ি ইউনিয়নের ছালাভরা কুনকুনিয়া গ্রামে। আজ সোমবার দিনব্যাপী আয়োজন হয় শতবর্ষের পুরোনো লাঠি খেলা ও গ্রামীণ মেলা। আয়োজকদের দাবি, প্রায় দেড় শ বছর ধরে গ্রামের মানুষেরা নিজেরাই এই আয়োজন করে আসছেন।
স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বাংলা জ্যৈষ্ঠ মাসের দ্বিতীয় বুধবার থেকে শুরু হয় লাঠিখেলার প্রস্তুতি। পরের সোমবার সকালে আয়োজন হয় মূল মেলার। এ দিনই শেষ হয় লাঠিখেলা ও অন্যান্য প্রতিযোগিতা। মেলার অংশ হিসেবে একটি বাঁশ লাল কাপড়, রং ও চুল দিয়ে সাজিয়ে ‘মাদার বাঁশ’ নামে পূজা করা হয়।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বিশাল একটি উঠানের চারপাশে হাজারো দর্শক। মাঝখানে চলছে লাঠিখেলা, আর পাশেই সঙ্গ দিচ্ছে ঢোল, কাঁসা ও বাঁশি। খেলার পাশাপাশি দর্শকদের বিনোদনে পরিবেশন করা হচ্ছে জাদু প্রদর্শনী। এর মধ্যে রয়েছে রাক্ষুসে খেলা, রামদা দিয়ে শরীর কোপানো, জীবন্ত মানুষকে মাটির নিচে পুঁতে রাখাসহ নানা আকর্ষণীয় প্রদর্শনী।
আয়োজক সাইদুল প্রামাণিক বলেন, ‘আমার বাবা শাজা প্রামাণিক এই লাঠিখেলার আয়োজন করতেন। তিনি মারা যাওয়ার পর আমরা দায়িত্ব নিয়েছি। আমাদের দেখে আরও দুটি দল অংশ নেয়। বাংলার ঐতিহ্য ধরে রাখাই আমাদের উদ্দেশ্য।’
গ্রামের প্রবীণ বাসিন্দা আব্দুল জব্বার বলেন, ‘আমি ছোটবেলা থেকেই এই লাঠিখেলার মেলা দেখে আসছি। এ উপলক্ষে গ্রামে উৎসবের পরিবেশ তৈরি হয়, আত্মীয়স্বজনেরা আসেন।’
খেলা দেখতে আসা তরুণ সজিব বলেন, ‘শুনেছি এখানে লাঠিখেলা হয়। বন্ধুদের নিয়ে দেখতে এসেছি, খুব ভালো লাগছে।’ যুথী নামের এক স্কুলছাত্রী বলে, ‘লাঠিখেলা দেখতে এসে চুড়ির দোকান থেকে কাচের চুড়ি কিনেছি।’
খেলোয়াড় শহীদুল ইসলাম বলেন, ‘বাপ-দাদার কাছ থেকে লাঠিখেলা শিখেছি। দেশ স্বাধীনের পর থেকেই খেলছি। খেলে আনন্দ পাই, দর্শকরাও খুশি হন।’
আরেক লাঠিয়াল আজগর বলেন, ‘শতবর্ষের ঐতিহ্য আমাদের এই মাদার মেলা। আমাদের খেলা দেখে হাজারও মানুষ আনন্দ পান।’
এ বিষয়ে কাজীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) দেওয়ান আকরামুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ডিসি অফিস থেকে এ মেলার কোনো অনুমোদন দেওয়া হয়নি।
ব্যবসায়ীরা জানান, আগের মতো এখন আর খাল-বিল, নদীনালা আগের মতো নেই। পানি সংকটের কারণে নৌকার ব্যবহার কমেছে। পাশাপাশি মানুষের ক্রয়ক্ষমতাও হ্রাস পেয়েছে। ফলে আগের তুলনায় কম দামে বিক্রি করতে হচ্ছে, যাতে লাভ তো দূরের কথা, পুঁজি তুলে আনা কষ্টকর হয়ে পড়েছে।
৮ মিনিট আগেগণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ১৭ জুলাই শিক্ষার্থী সাজিদ আব্দুল্লাহ মৃত্যুবরণ করেন। তাঁর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ উদঘাটনের লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের কাছে এ সংক্রান্ত যদি কোনো প্রকার তথ্য থাকে, তবে তা ২৩ জুলাইয়ের মধ্যে লিখিত আকারে তদন্ত কমিটির আহ্বায়কের কাছে জানানোর জন্
৪০ মিনিট আগেভোলার চরফ্যাশনে প্রথমবারের মতো বস্তায় আদা চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন কৃষকেরা। বন্যা, লোনা পানি ও জমির সংকটের কারণে যখন অনেকেই চাষাবাদ থেকে পিছিয়ে পড়ছেন, তখন কম খরচে, কম জায়গায়, ঝুঁকিমুক্তভাবে আদা চাষ কৃষকদের জন্য নতুন সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দিয়েছে।
৪১ মিনিট আগেমোহাম্মদপুর এলাকাসহ আশপাশে সাম্প্রতিক সময়ে ছিনতাই ও সন্ত্রাসী তৎপরতা বেড়ে যাওয়ায় গোয়েন্দা নজরদারি ও টহল জোরদার করা হয়। গোপন তথ্যের ভিত্তিতে, মোহাম্মদপুরের মোহাম্মাদিয়া হাউজিং এলাকায় একটি কিশোর গ্যাং দেশীয় অস্ত্রসহ ছিনতাইয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
৪৩ মিনিট আগে