Ajker Patrika

সরকারি চাকরিতে ইসিই অন্তর্ভুক্তির দাবি রুয়েট শিক্ষার্থীদের

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
আপডেট : ১৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৬: ০৪
Thumbnail image
রুয়েটের প্রধান ফটকের সামনে মানববন্ধনে ইসিই বিভাগের শিক্ষার্থীরা। ছবি: সংগৃহীত

সরকারি চাকরিতে তড়িৎ ও কম্পিউটার কৌশল (ইসিই) অন্তর্ভুক্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছেন রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) শিক্ষার্থীরা। আজ মঙ্গলবার রুয়েটের প্রধান ফটকের সামনে ইসিই বিভাগের শিক্ষার্থীরা এই কর্মসূচি পালন করেন। পরে তাঁরা দাবির বিষয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।

কর্মসূচিতে শিক্ষার্থীরা জানান, ২০১৫ সালে রুয়েটে ইসিই বিভাগ চালু হয়। এরপর থেকে ইতিমধ্যে চারটি ব্যাচ স্নাতক সম্পন্ন করলেও সরকারি চাকরির অধিকাংশ বিজ্ঞপ্তিতে তাঁদের বিভাগের নাম অন্তর্ভুক্ত হয়নি। ৪১তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তিতে ইসিই বিভাগের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হলেও পরবর্তী সময়ে তা সরিয়ে ফেলা হয়। কুয়েটের ইসিই বিভাগের নাম নিয়মিতই সরকারি চাকরির বিজ্ঞপ্তিতে অন্তর্ভুক্ত থাকে। সেখানকার শিক্ষার্থীরা চাকরির সুযোগ পেলেও রুয়েট বঞ্চিত হচ্ছে।

শিক্ষার্থীরা জানান, বিভাগীয় প্রধান ইতিমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি), সরকারি কর্ম কমিশনে (পিএসসি) এবং বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ মন্ত্রণালয় বরাবর চিঠি পাঠালেও তাতে আশানুরূপ সাড়া মেলেনি। শিক্ষার্থীদের দাবি সরকারি ইলেকট্রিক্যাল, কম্পিউটার, পাওয়ার ও কমিউনিকেশন সংশ্লিষ্ট চাকরির বিজ্ঞপ্তিতে ইসিই বিভাগের নাম অন্তর্ভুক্ত করা এবং তাঁদের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) এবং কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগের সমতুল্য স্বীকৃতি দেওয়া।

বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন কর্মসূচিতে বলেন, চাকরির ব্যবস্থা করতে না পারলে বিভাগ খোলার দরকার কী ছিল? এখন আমরা এতগুলো শিক্ষার্থী যে প্রত্যাশা নিয়ে এই ডিপার্টমেন্টে ভর্তি হয়েছি, আমাদের ক্যারিয়ার-জীবনের নিশ্চয়তা দেওয়ার দায়িত্ব কে নেবে? আমাদের কারিকুলামে ইইই ও সিএসইয়ের শতকরা ৯০ ভাগ করে সিলেবাস অন্তর্ভুক্ত করার পরও আমরা সেসব বিভাগের সমতুল্য সেক্টরগুলোতে চাকরির আবেদন করতে পারছি না।

ব্রিফিংয়ের সময় রুয়েটের ইসিই বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মাঈন উদ্দীন বলেন, রুয়েটে প্রতিবছর পরীক্ষার মাধ্যমে ৬০ জন এই বিভাগে ভর্তি হয়ে থাকেন। এখন পর্যন্ত চারটি ব্যাচ এই বিভাগ থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেছে। আরও পাঁচটি ব্যাচ বর্তমানে চলমান রয়েছে। হতাশার কথা এই যে বিভাগটির ৯ বছর হয়ে গেলেও সরকারি চাকরি সেক্টরে বিভিন্ন পদে যোগ্যতা ও কারিকুলাম সংশ্লিষ্টতা থাকার পরও আমাদের সুযোগ মিলছে না। এটা হতাশাজনক।

মাঈন উদ্দীন বলেন, পিএসসি ও ইউজিসিতে সাবজেক্ট কোড না থাকা ও নির্দিষ্ট কোনো সেক্টরে ইসিইর অন্তর্ভুক্তি না থাকার কারণে এই সমস্যা। ইইই, সিএসই, ইটিই বিভাগ বিসিএসে আবেদন করতে পারলেও এই বিভাগের শিক্ষার্থীরা পারেননি, যা একধরনের বৈষম্য। এই বৈষম্য দূর করা হোক।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত