Ajker Patrika

১০ বছরেও হয়নি সংস্কার, হাঁটুকাদায় চলাচলে দুর্ভোগ

আব্দুল বাশির, চাঁপাইনবাবগঞ্জ
কসবা হাটখোলা বাজার থেকে পাইকড়া পর্যন্ত সড়কটি দীর্ঘদিন ধরে বেহাল। এমপি-চেয়ারম্যানসহ বিভিন্ন জনপ্রতিনিধিরা কথা দেন, কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয় না। ছবি: আজকের পত্রিকা
কসবা হাটখোলা বাজার থেকে পাইকড়া পর্যন্ত সড়কটি দীর্ঘদিন ধরে বেহাল। এমপি-চেয়ারম্যানসহ বিভিন্ন জনপ্রতিনিধিরা কথা দেন, কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয় না। ছবি: আজকের পত্রিকা

পরিবারের কেউ অসুস্থ হলে খাটে করে কাঁধে তুলে দুই কিলোমিটার কাদাপথ পাড়ি দিতে হয়। পায়ে হেঁটে, হাঁটু পর্যন্ত কাদা মাড়িয়ে যেতে হয় হাসপাতালে কিংবা ক্লিনিকে। এমন দুর্ভোগের বাস্তব চিত্র চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলার কসবা ইউনিয়নের পাইকড়া গ্রামীণ সড়কে।

সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, কসবার হাটখোলা বাজার থেকে পাইকড়া পর্যন্ত এই সড়ক দীর্ঘদিন ধরে বেহাল। গত ১০ বছর ধরে স্থানীয় বাসিন্দারা এমপি-চেয়ারম্যানসহ বিভিন্ন জনপ্রতিনিধির কাছে ধরনা দিয়েও আশ্বাস ছাড়া কিছুই পাননি। এতে কসবা, পাইকড়া ও গোলাবাড়ী গ্রামের অন্তত ১০ থেকে ১২ হাজার মানুষ চরম দুর্ভোগে রয়েছে।

বৃষ্টি হলেই রাস্তায় হাঁটু সমান কাদা জমে। যানবাহন চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়। পথচারীরা লুঙ্গি বা প্যান্ট হাঁটু পর্যন্ত গুটিয়ে, হাতে স্যান্ডেল নিয়ে চলাচল করেন। স্কুলগামী শিক্ষার্থীদের বই-খাতা কাদায় নষ্ট হয়ে যায় প্রায়ই।

কসবা হাটখোলা বাজার থেকে পাইকড়া পর্যন্ত সড়কটি দীর্ঘদিন ধরে বেহাল। এমপি-চেয়ারম্যানসহ বিভিন্ন জনপ্রতিনিধিরা কথা দেন, কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয় না। ছবি: আজকের পত্রিকা
কসবা হাটখোলা বাজার থেকে পাইকড়া পর্যন্ত সড়কটি দীর্ঘদিন ধরে বেহাল। এমপি-চেয়ারম্যানসহ বিভিন্ন জনপ্রতিনিধিরা কথা দেন, কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয় না। ছবি: আজকের পত্রিকা

স্থানীয় বাসিন্দা ও কসবা উজিরপুর দরগা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আব্দুল জব্বার বলেন, ‘আমি প্রতিদিন দেড় কিলোমিটার হাঁটুকাদা মাড়িয়ে স্কুলে যাই। পায়ে জুতা পরিবর্তন করি, অনেক সময় পোশাকও বদলাতে হয়। এটা খুবই লজ্জার বিষয়। এত গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা—স্কুল, মাদ্রাসা, ক্লিনিক ও ভোটকেন্দ্র থাকার পরও কেন রাস্তা হচ্ছে না, বুঝে উঠতে পারছি না। ১০ বছর ধরে এমপি সাহেব বলছেন—আপনাদের রাস্তা এক নম্বরে আছে, কিন্তু আজও কাজ শুরু হয়নি।’

স্থানীয় কৃষক মো. আলাল আলী বলেন, ‘খোদা না খাস্তে কেউ অসুস্থ হলে খাট ছাড়া বের হওয়া সম্ভব না। এমন দুর্দশা। কসবা নামে ইউনিয়ন হলেও গ্রামে যেন কিছুই নেই। এমনকি কন্যার বিয়েও দিতে পারছি না এই রাস্তায় যাতায়াতের কষ্টের কারণে।’

স্থানীয়দের দাবি, রাস্তাটি পাকা না হলেও অন্তত চলাচলের উপযোগী করে তোলা হোক। তা না হলে দুর্ভোগ আরও বাড়বে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত