Ajker Patrika

নাব্যসংকটে ভিড়ছে না জাহাজ, বাঘাবাড়ী নৌবন্দরে বাড়তি খরচ

শরীফুল ইসলাম ইন্না, সিরাজগঞ্জ 
আপডেট : ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৯: ৪১
নাব্যসংকটে ভিড়ছে না জাহাজ, বাঘাবাড়ী নৌবন্দরে বাড়তি খরচ

সিরাজগঞ্জের বাঘাবাড়ী নৌবন্দরে নাব্যতার সংকটে ব্যাহত হচ্ছে পণ্য পরিবহন কার্যক্রম। উত্তরবঙ্গের প্রধান এই নৌবন্দরে সরাসরি ভিড়তে পারছে না পণ্যবাহী কোনো জাহাজ। বাঘাবাড়ী থেকে প্রায় ৭৫ মাইল দূরে মানিকগঞ্জের বাহাদুরাবাদ নামক স্থানে যমুনা নদীতে জাহাজগুলোকে অবস্থান করতে হচ্ছে। সেখান থেকে লাইটার জাহাজে করে পণ্য খালাস করতে হচ্ছে। এ কারণে বন্দরে মালপত্র আনতে বস্তাপ্রতি ১৮ টাকা বাড়তি খরচ হচ্ছে বলে দাবি ব্যবসায়ীদের। এতে লোকসানের মুখে পড়তে হচ্ছে তাঁদের।

তবে বন্দর কর্তৃপক্ষের দাবি, নদীতে পানির গভীরতার চেয়ে অতিরিক্ত মালপত্র নিয়ে আসার কারণে বড় বড় জাহাজ আসতে পারছে না। বন্দরটি প্রথম শ্রেণিতে উন্নীত করা হলে এই সমস্যা আর থাকবে না।

বন্দর সূত্রে জানা গেছে, নদীপথে দেশের চট্টগ্রাম, মোংলা ও নারায়ণগঞ্জ বন্দর থেকে পণ্য আসে বাঘাবাড়ী বন্দরে। যা পরে চলে যায় উত্তরাঞ্চলের ১৬ জেলায়। দৌলতদিয়া থেকে বাঘাবাড়ী নৌবন্দর পর্যন্ত ৪৫ কিলোমিটার নৌপথের বিভিন্ন পয়েন্টে পানির গভীরতা কমে গেছে। এখন সেখানে পানির গভীরতা ৭-৮ ফুট। এ ছাড়া পলি জমে সরু হয়ে গেছে নৌ-চ্যানেল।

বাঘাবাড়ী ঘাটের নৌযান লেবার অ্যাসোসিয়েশনের সহসভাপতি আব্দুল ওয়াহাব মাস্টার বলেন, চার মাস ধরে বাঘাবাড়ী বন্দরে মাল নিয়ে জাহাজ ভিড়তে পারছে না। মানিকগঞ্জের বাহাদুরাবাদে নোঙর করা জাহাজ থেকে মালপত্র আনা হচ্ছে বাল্কহেড, নৌকা ও লাইটার জাহাজে করে। এতে ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।

বাঘাবাড়ী বন্দরের ইজারাদার আব্দুস সালাম বলেন, ‘খালি জাহাজ আসতেই ৮-৯ ফুট গভীর পানির দরকার। সেখানে পানির গভীরতা রয়েছে ৭-৮ ফুট। একটি জাহাজ ২০ হাজার বস্তা মাল নিয়ে এলে ১০-১২ হাজার বস্তা খালাস করতে হয় লাইটার জাহাজে করে। এতে প্রতি বস্তায় ১৮ টাকা অতিরিক্ত খরচ হয়।’

বাঘাবাড়ী নৌবন্দরের সহকারী বন্দর ও পরিবহন কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, বাঘাবাড়ী নৌবন্দরটি দ্বিতীয় শ্রেণির। এই হিসাবে এখানে গড়ে সাড়ে ৭ ফুট পানি থাকা দরকার। বর্তমানে ৯ ফুট গভীর পানি রয়েছে। বড় জাহাজ ঢুকতে হলে অবশ্যই ১২ ফুট পানি থাকতে হবে। সে কারণেই জাহাজগুলো বন্দর পর্যন্ত ভিড়তে পারছে না। বন্দরটি প্রথম শ্রেণির নৌবন্দর হিসেবে উন্নীতকরণের কাজ অব্যাহত রয়েছে। এটি বাস্তবায়িত হলে বড় জাহাজগুলোও ভিড়তে পারে। অতিরিক্ত মালপত্র নিয়ে আসার কারণে বড় জাহাজগুলো ভিড়তে পারে না। বন্দরটি প্রথম শ্রেণিতে উন্নীত করা হলে পানির গভীরতা থাকবে ১২ ফুট। তখন আর সমস্যা হবে না।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

প্রশিক্ষণ ছাড়াই মাঠে ৪২৬ সহায়ক পুলিশ কর্মকর্তা

গ্রাহকের ২,৬৩৫ কোটি টাকা দিচ্ছে না ৪৬ বিমা কোম্পানি

১০০ বছর পর জানা গেল ‘অপ্রয়োজনীয়’ প্রত্যঙ্গটি নারীর প্রজননের জন্য গুরুত্বপূর্ণ

‘এই টাকা দিয়ে কী হয়, আমি এত চাপ নিচ্ছি, লাখ পাঁচেক দিতে বলো’, ওসির অডিও ফাঁস

কিশোরগঞ্জে আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল, যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত