নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
রাজশাহীতে অজানা রোগে মাত্র দুই দিনের ব্যবধানে মারা যাওয়া দুই সহোদর শিশু নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত ছিল না বলে নমুনা পরীক্ষায় নিশ্চিত হওয়া গেছে। তবে তাদের মৃত্যুর কারণ এখনো অজানা।
চিকিৎসকেরা ধারণা করেছিলেন, কুড়িয়ে আনা বরই খেয়ে নিপাহ ভাইরাস বা অন্য কোনো প্রাণঘাতী জীবাণুতে আক্রান্ত হয়ে থাকতে পারে শিশু দুটি। দুই শিশুর বাবা–মা কুড়িয়ে আনা সেই বরই না খেলেও শিশুদের মাধ্যমে তাঁরাও সংক্রমিত হয়ে থাকতে পারেন—এমন আশঙ্কায় হাসপাতাল থেকে তাঁদের যেতে দেওয়া হয়নি।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের আইসোলেশন ইউনিটে বাবা–মাকে রাখা হয়েছে। তাঁরা মাশিয়ার মরদেহ দাফনেও যেতে পারেননি। মাশিয়ার সঙ্গে বাবা–মায়েরও নমুনা পরীক্ষার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছিল। সবার রিপোর্টেই নিপাহ ভাইরাস কিংবা মিশেরিয়া ব্যাকটেরিয়ার উপস্থিতি মেলেনি।
দুই সন্তানকে হারানোর পর আইসোলেশনে মানসিকভাবে ভেঙে পড়লেও শারীরিকভাবে সুস্থ আছেন শিশু দুটির বাবা মনজুর রহমান। তবে মা পলি খাতুনের জ্বর এসেছে।
আজ রোববার দুপুরের পর পলি খাতুনের জ্বর মেপে দেখা গেছে ১০১ ডিগ্রি। রামেক হাসপাতালের আইসিইউ ইনচার্জ ডা. আবু হেনা মোস্তফা কামাল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘দুপুরে পলি খাতুনের জ্বর দেখলাম ১০১ ডিগ্রি। তিনিও মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। সে কারণেও জ্বর হতে পারে। আমরা ওষুধ দিয়েছিলাম। বিকেলে জ্বর একটু কমেছে। আজকের রাতটা পর্যবেক্ষণে রাখব। জ্বর না বাড়লে আগামীকাল (সোমবার) ছুটি দিয়ে দেব।’
মারা যাওয়া দুই শিশু হলো—মুনতাহা মারিশা ও মুফতাউল মাশিয়া। আগামী ২ মার্চ মুনতাহা মারিশার বয়স হতো ২ বছর। আর ৩০ মে পাঁচ বছর পূর্ণ হতো মুফতাউল মাশিয়ার বয়স। তাদের বাবার নাম মনজুর রহমান (৩৫) রাজশাহী ক্যাডেট কলেজের গণিতের প্রভাষক। বাড়ি দুর্গাপুর উপজেলার চুনিয়াপাড়া গ্রামে। তবে স্ত্রী পলি খাতুন (৩০) ও দুই মেয়েকে নিয়ে চারঘাটের সারদায় ক্যাডেট কলেজের কোয়ার্টারেই থাকতেন তিনি।
গত ১৩ ফেব্রুয়ারি কলেজ ক্যাম্পাসের গাছ থেকে পড়া বরই কুড়িয়ে এনে দুই শিশুকে খেতে দিয়েছিলেন গৃহকর্মী। পরদিন ১৪ ফেব্রুয়ারি ছোট মেয়ে মারিশার জ্বর আসে, সঙ্গে বমি। হাসপাতালে নেওয়ার পথে সে মারা যায়। দুদিন পর ১৬ ফেব্রুয়ারি মাশিয়ারও জ্বর ও বমি শুরু হয়। তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, রাজশাহীর সিএমএইচ হয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) ভর্তি করা হয়। পরদিন গতকাল শনিবার বিকেলে মাশিয়াও মারা যায়।
রাজশাহীতে অজানা রোগে মাত্র দুই দিনের ব্যবধানে মারা যাওয়া দুই সহোদর শিশু নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত ছিল না বলে নমুনা পরীক্ষায় নিশ্চিত হওয়া গেছে। তবে তাদের মৃত্যুর কারণ এখনো অজানা।
চিকিৎসকেরা ধারণা করেছিলেন, কুড়িয়ে আনা বরই খেয়ে নিপাহ ভাইরাস বা অন্য কোনো প্রাণঘাতী জীবাণুতে আক্রান্ত হয়ে থাকতে পারে শিশু দুটি। দুই শিশুর বাবা–মা কুড়িয়ে আনা সেই বরই না খেলেও শিশুদের মাধ্যমে তাঁরাও সংক্রমিত হয়ে থাকতে পারেন—এমন আশঙ্কায় হাসপাতাল থেকে তাঁদের যেতে দেওয়া হয়নি।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের আইসোলেশন ইউনিটে বাবা–মাকে রাখা হয়েছে। তাঁরা মাশিয়ার মরদেহ দাফনেও যেতে পারেননি। মাশিয়ার সঙ্গে বাবা–মায়েরও নমুনা পরীক্ষার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছিল। সবার রিপোর্টেই নিপাহ ভাইরাস কিংবা মিশেরিয়া ব্যাকটেরিয়ার উপস্থিতি মেলেনি।
দুই সন্তানকে হারানোর পর আইসোলেশনে মানসিকভাবে ভেঙে পড়লেও শারীরিকভাবে সুস্থ আছেন শিশু দুটির বাবা মনজুর রহমান। তবে মা পলি খাতুনের জ্বর এসেছে।
আজ রোববার দুপুরের পর পলি খাতুনের জ্বর মেপে দেখা গেছে ১০১ ডিগ্রি। রামেক হাসপাতালের আইসিইউ ইনচার্জ ডা. আবু হেনা মোস্তফা কামাল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘দুপুরে পলি খাতুনের জ্বর দেখলাম ১০১ ডিগ্রি। তিনিও মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। সে কারণেও জ্বর হতে পারে। আমরা ওষুধ দিয়েছিলাম। বিকেলে জ্বর একটু কমেছে। আজকের রাতটা পর্যবেক্ষণে রাখব। জ্বর না বাড়লে আগামীকাল (সোমবার) ছুটি দিয়ে দেব।’
মারা যাওয়া দুই শিশু হলো—মুনতাহা মারিশা ও মুফতাউল মাশিয়া। আগামী ২ মার্চ মুনতাহা মারিশার বয়স হতো ২ বছর। আর ৩০ মে পাঁচ বছর পূর্ণ হতো মুফতাউল মাশিয়ার বয়স। তাদের বাবার নাম মনজুর রহমান (৩৫) রাজশাহী ক্যাডেট কলেজের গণিতের প্রভাষক। বাড়ি দুর্গাপুর উপজেলার চুনিয়াপাড়া গ্রামে। তবে স্ত্রী পলি খাতুন (৩০) ও দুই মেয়েকে নিয়ে চারঘাটের সারদায় ক্যাডেট কলেজের কোয়ার্টারেই থাকতেন তিনি।
গত ১৩ ফেব্রুয়ারি কলেজ ক্যাম্পাসের গাছ থেকে পড়া বরই কুড়িয়ে এনে দুই শিশুকে খেতে দিয়েছিলেন গৃহকর্মী। পরদিন ১৪ ফেব্রুয়ারি ছোট মেয়ে মারিশার জ্বর আসে, সঙ্গে বমি। হাসপাতালে নেওয়ার পথে সে মারা যায়। দুদিন পর ১৬ ফেব্রুয়ারি মাশিয়ারও জ্বর ও বমি শুরু হয়। তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, রাজশাহীর সিএমএইচ হয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) ভর্তি করা হয়। পরদিন গতকাল শনিবার বিকেলে মাশিয়াও মারা যায়।
পুরোপুরি পাকেনি সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরের হাওরের ধান। তবে অকালবন্যার শঙ্কায় ১ বৈশাখ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে ধান কাটা শুরু হয়েছে। কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, ইতিমধ্যে ৩০ ভাগের বেশি জমির বোরো ফসল ঘরে তুলেছেন কৃষক।
১৭ মিনিট আগেবরগুনার আমতলী উপজেলার খেকুয়ানী মাধ্যমিক বিদ্যালয় ভবনের নিচতলায় বসছে পানের বাজার। খেকুয়ানী বাজারের ইজারাদার শাহ আলম শিকদার এ বাজার বসাচ্ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
১ ঘণ্টা আগেরাজধানীর উত্তরার রেসিডেনসিয়াল ল্যাবরেটরি কলেজে নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। কলেজের চেয়ারম্যানের যাচ্ছেতাই নিয়মে চলছে প্রতিষ্ঠানটি। দুটি বিষয়ের মাত্র তিনজন শিক্ষক দিয়ে চলছে কলেজটির শিক্ষা কার্যক্রম।
২ ঘণ্টা আগেভারতীয় চেইন হসপিটাল ফর্টিস এসকর্টস হার্ট ইনস্টিটিউটের নাম ভাঙিয়ে শতকোটি টাকা লোপাটের অভিযোগ উঠেছে এএফসি হেলথ লিমিটেড নামের একটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে। প্রতিষ্ঠানটি ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা ও কুমিল্লায় ‘ফর্টিস’ নামে চারটি শাখা
২ ঘণ্টা আগে