Ajker Patrika

সান্তাহারে অপহৃত যুবক রাজশাহীতে উদ্ধার

আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার সান্তাহার পৌর শহর থেকে ইমন কুমার প্রামাণিক (২৭) নামের এক যুবককে অপহরণ করার এক দিন পর অচেতন অবস্থায় রাজশাহীর ঘোড়ামারা এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাতে ইমনকে রাজশাহী থেকে বাড়িতে নিয়ে এসেছে তাঁর পরিবার। এর আগে গত রোববার রাতে অপহরণকারীরা তাঁকে নওগাঁ শহর থেকে অপহরণ করে।

ইমন কুমার প্রামাণিক সান্তাহার পৌর শহরের হাউজিং কলোনি এলাকার বিকাশ চন্দ্রের ছেলে। এ ঘটনায় ইমন কুমারের বাবা বিকাশ চন্দ্র গত সোমবার বিকেলে আদমদীঘি থানায় জিডি করেছেন।

ইমন কুমারের বাবা বিকাশ চন্দ্র জানান, ইমন গত রোববার সন্ধ্যায় নওগাঁ শহরের নওজোয়ান মাঠে এক বন্ধুর কাছে থেকে পাওনা টাকা নিতে বাসা থেকে বেরিয়ে যান। এরপর তিনি রাতে আর বাড়ি ফিরে আসেননি এবং তাঁর মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। পরে অনেক জায়গায় সন্ধান করে ইমনের কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। গত সোমবার দুপুরে বিকাশ চন্দ্রের মোবাইল ফোনে একটি অজ্ঞাতনামা নম্বর থেকে ফোন আসে। ওই ফোনে এক ব্যক্তি ইমনকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য ১৫ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করে, আর যদি বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়, তাহলে ইমনকে মেরে ফেলা হবে। ফোনের কথা অনুযায়ী ওই ব্যক্তির দেওয়া বিকাশ নম্বরে ১৫ হাজার টাকা পাঠিয়ে দেন বাবা বিকাশ চন্দ্র। পরে আবারও ইমনের ফোন ব্যবহার করে আরও ১০ হাজার টাকা দাবি করেন অপহরণকারী। এর পর থেকে ইমনের ও অপহরণকারীর ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

বিকাশ চন্দ্র আরও জানান, গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে তাঁর নম্বরে রাজশাহী শহরের ঘোড়ামারা থেকে এক ব্যক্তির ফোনকল আসে। ফোনে জানানো হয়, ইমন কুমার প্রামাণিক নামের এক যুবককে তাঁরা অচেতন অবস্থায় পেয়েছেন। বর্তমানে ইমন কুমার তাঁদের হেফাজতে রয়েছেন। সংবাদ পেয়ে ইমনের বাবাসহ পরিবারের সদস্যরা দ্রুত রাজশাহী যান এবং তাঁদের ছেলেকে সেখানে দেখতে পান।

বিকাশ চন্দ্র জানান, ওই এলাকার লোকজন তাঁকে জানান, গতকাল সকালে তাঁরা অচেতন অবস্থায় ইমনকে রেললাইনের পাশে পড়ে থাকতে দেখেন। সেখান থেকে লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে স্থানীয় এক পল্লিচিকিৎসকের নিকট নিয়ে যান। সেখানে সামান্য সময়ের জন্য ইমনের জ্ঞান ফিরলে তিনি তাঁর পরিবারের ঠিকানা বলতে পারেন।

এ বিষয়ে সান্তাহার শহর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ হাবিবুর রহমান হাবিব বলেন, জ্ঞান ফিরলে তাঁকে বিস্তারিত জিজ্ঞাসা করা হবে। ইমন বর্তমানে নওগাঁ সরকারি কলেজ থেকে অনার্স ফাইনাল পরীক্ষা দিচ্ছেন এবং তাঁর বাবা বিকাশ চন্দ্র সান্তাহার পৌরসভার একজন অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারী।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত