নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

রাজশাহীর বাগমারা উপজেলায় আগুনে পুড়ে মারা যাওয়া স্কুলশিক্ষিকা ফরিদা ইয়াসমিনের ছেলেও চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। ঢাকায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার রাতে ফরিদার ছেলে রাফিউল বাশার (১৮) মারা যান। রাফিউলের শরীরের ৫০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। বাগমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, রাফিউলের মৃত্যুর খবর তাঁকে রাতেই দেওয়া হয়েছে। এরপর রাতেই মরদেহ ঢাকা থেকে গ্রামের বাড়িতে এনে দাফন করা হয়।
নিহত রাফিউলের বড় ভাই রাশেদুল বাশার (২৫) এখনো শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন। তাঁর শরীরের ২০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। তবে তাঁর শারীরিক অবস্থা এখন শঙ্কামুক্ত বলে স্বজনদের বরাত দিয়ে জানান ওসি আমিনুল ইসলাম।
গত শুক্রবার ভোরে বাগমারা উপজেলার হাসনিপুর গ্রামের মাদারীগঞ্জ বাজারে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। আগুনে ঘরেই দগ্ধ হয়ে মারা যান রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার শিবপুর বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ফরিদা ইয়াসমিন। আর দগ্ধ হওয়ার পর তিনতলা থেকে লাফ দিয়েছিলেন তাঁর দুই ছেলে। তাঁদের মধ্যে একজন মারা গেলেন।
আহত অবস্থায় চিকিৎসাধীন রাশেদুল রাজশাহীর একটি বেসরকারি মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী। আর মারা যাওয়া রাফিউল উচ্চমাধ্যমিক পাস করে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য পরীক্ষা দিয়েছিলেন। তাঁদের বাবা এজাজুল বাশার স্বপন দুর্গাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মচারী।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, দুর্ঘটনার সময় এজাজুল বাশার স্বপন বাড়িতে ছিলেন না। ঈদ করতে তিনি গ্রামের বাড়ি গিয়েছিলেন। এই পরিবার যে বাড়িতে থাকে, সেটি ‘আশা’ নামের একটি সিনেমা হল ছিল। হল বন্ধ হওয়ার পর এজাজুল সেটি কিনে নেন। এর তৃতীয় তলায় তিনি পরিবার নিয়ে থাকতেন। এই ভবনে কয়েকজন ভাড়াটেও ছিলেন। তবে ঈদে তাঁরা গ্রামের বাড়িতে গিয়েছেন। এ ছাড়া ভবনের বিভিন্ন স্থান নানা পণ্যের গুদাম হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের বাগমারা স্টেশনের কর্মকর্তা মেহেদি হাসান জানান, ভবনের দ্বিতীয় তলায় রান্নাঘর ছিল। সেখান থেকেই আগুনের সূত্রপাত বলে ধারণা করা হচ্ছে। ভবনে আগুন লাগার পর স্থানীয়রা তা নেভানোর চেষ্টা করেন। ব্যর্থ হয়ে ফায়ার সার্ভিসে খবর দেন। এরপর ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট গিয়ে আগুন নেভায়। পরে তৃতীয় তলার একটি কক্ষে স্কুলশিক্ষিকার মরদেহ পাওয়া যায়। নিচে আহত অবস্থায় পড়ে ছিলেন দুই ছেলে।

রাজশাহীর বাগমারা উপজেলায় আগুনে পুড়ে মারা যাওয়া স্কুলশিক্ষিকা ফরিদা ইয়াসমিনের ছেলেও চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। ঢাকায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার রাতে ফরিদার ছেলে রাফিউল বাশার (১৮) মারা যান। রাফিউলের শরীরের ৫০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। বাগমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, রাফিউলের মৃত্যুর খবর তাঁকে রাতেই দেওয়া হয়েছে। এরপর রাতেই মরদেহ ঢাকা থেকে গ্রামের বাড়িতে এনে দাফন করা হয়।
নিহত রাফিউলের বড় ভাই রাশেদুল বাশার (২৫) এখনো শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন। তাঁর শরীরের ২০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। তবে তাঁর শারীরিক অবস্থা এখন শঙ্কামুক্ত বলে স্বজনদের বরাত দিয়ে জানান ওসি আমিনুল ইসলাম।
গত শুক্রবার ভোরে বাগমারা উপজেলার হাসনিপুর গ্রামের মাদারীগঞ্জ বাজারে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। আগুনে ঘরেই দগ্ধ হয়ে মারা যান রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার শিবপুর বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ফরিদা ইয়াসমিন। আর দগ্ধ হওয়ার পর তিনতলা থেকে লাফ দিয়েছিলেন তাঁর দুই ছেলে। তাঁদের মধ্যে একজন মারা গেলেন।
আহত অবস্থায় চিকিৎসাধীন রাশেদুল রাজশাহীর একটি বেসরকারি মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী। আর মারা যাওয়া রাফিউল উচ্চমাধ্যমিক পাস করে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য পরীক্ষা দিয়েছিলেন। তাঁদের বাবা এজাজুল বাশার স্বপন দুর্গাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মচারী।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, দুর্ঘটনার সময় এজাজুল বাশার স্বপন বাড়িতে ছিলেন না। ঈদ করতে তিনি গ্রামের বাড়ি গিয়েছিলেন। এই পরিবার যে বাড়িতে থাকে, সেটি ‘আশা’ নামের একটি সিনেমা হল ছিল। হল বন্ধ হওয়ার পর এজাজুল সেটি কিনে নেন। এর তৃতীয় তলায় তিনি পরিবার নিয়ে থাকতেন। এই ভবনে কয়েকজন ভাড়াটেও ছিলেন। তবে ঈদে তাঁরা গ্রামের বাড়িতে গিয়েছেন। এ ছাড়া ভবনের বিভিন্ন স্থান নানা পণ্যের গুদাম হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের বাগমারা স্টেশনের কর্মকর্তা মেহেদি হাসান জানান, ভবনের দ্বিতীয় তলায় রান্নাঘর ছিল। সেখান থেকেই আগুনের সূত্রপাত বলে ধারণা করা হচ্ছে। ভবনে আগুন লাগার পর স্থানীয়রা তা নেভানোর চেষ্টা করেন। ব্যর্থ হয়ে ফায়ার সার্ভিসে খবর দেন। এরপর ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট গিয়ে আগুন নেভায়। পরে তৃতীয় তলার একটি কক্ষে স্কুলশিক্ষিকার মরদেহ পাওয়া যায়। নিচে আহত অবস্থায় পড়ে ছিলেন দুই ছেলে।

পুরান ঢাকার বংশালের আগামসিহ লেনে মো. সজীব হোসেনকে (২০) পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তাঁর স্বজনেরা। সজীবের মায়ের অভিযোগ, মেয়েবন্ধুর মামা ১৫ দিন আগে সজীবকে হত্যার হুমকি দিয়েছিলেন। তাঁর ছেলেকে তাঁরাই খুন করেছেন।
২ মিনিট আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর) আসনে বিএনপির নেতা-কর্মীদের অন্তর্দ্বন্দ্ব ক্রমেই প্রকট হয়ে উঠছে। সংঘাতে প্রাণ গেছে দলের দুই কর্মীর। একই স্থানে সমাবেশ ডাকাকে কেন্দ্র করে ঘটেছে সংঘাত। হয়েছে পাল্টাপাল্টি মামলা। বিপরীতে এর মধ্যে ভোটের মাঠ অনেকটাই গুছিয়ে এনেছে বিএনপির
৪ মিনিট আগে
ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের সাবেক চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলামকে গ্রেপ্তারের পর বিভিন্ন স্থানে আন্দোলন শুরু হয়েছে। গত শনিবার মধ্যরাতে রংপুর শহরে প্রতিষ্ঠানটির কার্যালয় অবরোধ করেন গ্রাহকেরা। এরপর গতকাল রোববার শহরে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন তাঁরা।
১২ মিনিট আগে
চট্টগ্রামের রাউজান এখন আতঙ্কের উপজেলা। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকে একে একে হত্যাকাণ্ডে অস্থির উপজেলাটি। সংঘর্ষ ও হত্যাকাণ্ড নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খাচ্ছে পুলিশ। রাজনৈতিক বিরোধ, আধিপত্য বিস্তার, চাঁদাবাজিসহ নানা কারণে ২০২৪ সালের ২৮ আগস্ট থেকে গত শনিবার (২৫ অক্টোবর) পর্যন্ত এখানে ১৬ জন নিহত
১৬ মিনিট আগেপুরান ঢাকায় তরুণ খুন
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

পুরান ঢাকার বংশালের আগামসিহ লেনে মো. সজীব হোসেনকে (২০) পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তাঁর স্বজনেরা। সজীবের মায়ের অভিযোগ, মেয়েবন্ধুর মামা ১৫ দিন আগে সজীবকে হত্যার হুমকি দিয়েছিলেন। তাঁর ছেলেকে তাঁরাই খুন করেছেন।
এ ঘটনায় রোববার রাত ৯টা পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি। কাউকে গ্রেপ্তারও করতে পারেনি পুলিশ।
রোববার দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গের সামনে নিহত সজীবের বড় বোন শান্তা আক্তার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘৫ বছর ধরে খাদিজা নামের এক মেয়ের সঙ্গে সজীবের সম্পর্ক ছিল। সম্পর্কের দুই-তিন বছর পরে মেয়েটি অন্য একটি ছেলের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে যায়। কিন্তু তাতেও সজীব তার চেষ্টা চালিয়ে যায়। শনিবার ওই মেয়ের বাসায় সজীবের মরদেহ পাওয়া যায়। নির্মমভাবে মেরে তার গলায়, পায়ে জিআই তার দিয়ে পেঁচিয়ে রাখা হয়।’
শান্তা আক্তার আরও বলেন, ‘শনিবার বেলা আড়াইটার দিকে সজীব বাসা থেকে বের হয়। শুরুতে ফোনে কয়েকবার কথা হয়। এর পর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বারবার ফোন দিলেও আর ধরে না। পরে শুনতে পাই, যেই মেয়েকে সজীব পছন্দ করত, সেই মেয়ের বাসায় তার মরদেহ পাওয়া গেছে।’
সজীবদের বাসাও বংশালের আগামসিহ লেনে। তিনি এবার উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছিলেন। তবে কৃতকার্য হতে পারেননি।
রোববার বিকেলে সরেজমিনে দেখা যায়, বংশালের আগামসিহ লেনের হক বেকারি গলিতে চারতলা একটি ভবন। ভবনটির নিচতলায় দোকান ও কারখানা। দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলায় জুতার গুদাম ও অফিস। বাবা-মা, এক ভাইসহ চারতলার বাসায় থাকেন খাদিজা।
বিকেলে বাসাটি তালাবদ্ধ পাওয়া যায়। দ্বিতীয় তলার অফিস ও তৃতীয় তলার জুতার গুদামও তালাবদ্ধ ছিল।
ভবনটির এক ব্যক্তি জানান, নিহতের খবর সন্ধ্যায় জানতে পারেন। তার আগে কোনো ধরনের শব্দ বা গন্ডগোলের শব্দ বাসার ভেতর থেকে শোনা যায়নি। সন্ধ্যায় পুলিশ আসার পর ঘটনা জানতে পারেন।
স্থানীয় লোকজন জানান, বাড়িটিতে কেউ একজন নিহত হয়েছে তা কেউ বুঝতে পারেননি। পুলিশ আসার পর ঘটনা জানাজানি হয়।
নিহত সজীবের মা নুরুন্নাহার বেগম কান্নায় ভেঙে পড়ে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শনিবার দুপুরে সজীব বাসা থেকে বের হয়। এরপর এক ঘণ্টার মধ্যে তিনবার তার সঙ্গে কথা হয়। পরে আর ফোন ধরে না, সন্ধ্যায় তার মৃত্যুর খবর দেয় পুলিশ।’
নুরুন্নাহার বলেন, ‘সজীব ঘটনার ১৫ দিন আগে খাদিজার বাসায় যায়। সে সময় সজীবের বাবাকে ফোন দেন খাদিজার মামা কামাল। তখন ফোনে সজীবের বাবাকে বলা হয়, “আপনার ছেলে এসে আমার ভাগনিকে বিরক্ত করতেছে। আপনার ছেলে এগুলো বন্ধ না করলে, তাকে বিরক্ত করলে মেরে ফেলে দিব।’”
নুরুন্নাহার আরও বলেন, ‘আমার ছেলে মনে হয় মেয়ের বাসায় গিয়েছিল। তখন তারা মিলে মেরে ফেলছে। আমার ছেলে সুস্থ ছিল।’
রোববার দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে সজীব হোসেনের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পরে রাতে জানাজা শেষে তাঁর মরদেহ আজিমপুর কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
এর আগে পুলিশ জানায়, শনিবার সন্ধ্যায় জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে তারা মরদেহ উদ্ধার করে। প্রাথমিকভাবে মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত না হলেও পরিবারের অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এ ঘটনায় রোববার নিহতের মামা মোরশেদ আহমেদ বলেন, ‘বংশাল থানার পুলিশ অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করতে বলে। তবে এটা পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। আমরা হত্যা মামলা করব। তারা না নিলে কোর্টে মামলা করব।’
নিহত সজীবের পরিবারের অভিযোগ ও মামলার বিষয়ে বংশাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলামের সঙ্গে বহুবার ফোন করে ও খুদে বার্তা পাঠিয়ে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।

পুরান ঢাকার বংশালের আগামসিহ লেনে মো. সজীব হোসেনকে (২০) পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তাঁর স্বজনেরা। সজীবের মায়ের অভিযোগ, মেয়েবন্ধুর মামা ১৫ দিন আগে সজীবকে হত্যার হুমকি দিয়েছিলেন। তাঁর ছেলেকে তাঁরাই খুন করেছেন।
এ ঘটনায় রোববার রাত ৯টা পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি। কাউকে গ্রেপ্তারও করতে পারেনি পুলিশ।
রোববার দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গের সামনে নিহত সজীবের বড় বোন শান্তা আক্তার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘৫ বছর ধরে খাদিজা নামের এক মেয়ের সঙ্গে সজীবের সম্পর্ক ছিল। সম্পর্কের দুই-তিন বছর পরে মেয়েটি অন্য একটি ছেলের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে যায়। কিন্তু তাতেও সজীব তার চেষ্টা চালিয়ে যায়। শনিবার ওই মেয়ের বাসায় সজীবের মরদেহ পাওয়া যায়। নির্মমভাবে মেরে তার গলায়, পায়ে জিআই তার দিয়ে পেঁচিয়ে রাখা হয়।’
শান্তা আক্তার আরও বলেন, ‘শনিবার বেলা আড়াইটার দিকে সজীব বাসা থেকে বের হয়। শুরুতে ফোনে কয়েকবার কথা হয়। এর পর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বারবার ফোন দিলেও আর ধরে না। পরে শুনতে পাই, যেই মেয়েকে সজীব পছন্দ করত, সেই মেয়ের বাসায় তার মরদেহ পাওয়া গেছে।’
সজীবদের বাসাও বংশালের আগামসিহ লেনে। তিনি এবার উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছিলেন। তবে কৃতকার্য হতে পারেননি।
রোববার বিকেলে সরেজমিনে দেখা যায়, বংশালের আগামসিহ লেনের হক বেকারি গলিতে চারতলা একটি ভবন। ভবনটির নিচতলায় দোকান ও কারখানা। দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলায় জুতার গুদাম ও অফিস। বাবা-মা, এক ভাইসহ চারতলার বাসায় থাকেন খাদিজা।
বিকেলে বাসাটি তালাবদ্ধ পাওয়া যায়। দ্বিতীয় তলার অফিস ও তৃতীয় তলার জুতার গুদামও তালাবদ্ধ ছিল।
ভবনটির এক ব্যক্তি জানান, নিহতের খবর সন্ধ্যায় জানতে পারেন। তার আগে কোনো ধরনের শব্দ বা গন্ডগোলের শব্দ বাসার ভেতর থেকে শোনা যায়নি। সন্ধ্যায় পুলিশ আসার পর ঘটনা জানতে পারেন।
স্থানীয় লোকজন জানান, বাড়িটিতে কেউ একজন নিহত হয়েছে তা কেউ বুঝতে পারেননি। পুলিশ আসার পর ঘটনা জানাজানি হয়।
নিহত সজীবের মা নুরুন্নাহার বেগম কান্নায় ভেঙে পড়ে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শনিবার দুপুরে সজীব বাসা থেকে বের হয়। এরপর এক ঘণ্টার মধ্যে তিনবার তার সঙ্গে কথা হয়। পরে আর ফোন ধরে না, সন্ধ্যায় তার মৃত্যুর খবর দেয় পুলিশ।’
নুরুন্নাহার বলেন, ‘সজীব ঘটনার ১৫ দিন আগে খাদিজার বাসায় যায়। সে সময় সজীবের বাবাকে ফোন দেন খাদিজার মামা কামাল। তখন ফোনে সজীবের বাবাকে বলা হয়, “আপনার ছেলে এসে আমার ভাগনিকে বিরক্ত করতেছে। আপনার ছেলে এগুলো বন্ধ না করলে, তাকে বিরক্ত করলে মেরে ফেলে দিব।’”
নুরুন্নাহার আরও বলেন, ‘আমার ছেলে মনে হয় মেয়ের বাসায় গিয়েছিল। তখন তারা মিলে মেরে ফেলছে। আমার ছেলে সুস্থ ছিল।’
রোববার দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে সজীব হোসেনের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পরে রাতে জানাজা শেষে তাঁর মরদেহ আজিমপুর কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
এর আগে পুলিশ জানায়, শনিবার সন্ধ্যায় জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে তারা মরদেহ উদ্ধার করে। প্রাথমিকভাবে মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত না হলেও পরিবারের অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এ ঘটনায় রোববার নিহতের মামা মোরশেদ আহমেদ বলেন, ‘বংশাল থানার পুলিশ অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করতে বলে। তবে এটা পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। আমরা হত্যা মামলা করব। তারা না নিলে কোর্টে মামলা করব।’
নিহত সজীবের পরিবারের অভিযোগ ও মামলার বিষয়ে বংশাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলামের সঙ্গে বহুবার ফোন করে ও খুদে বার্তা পাঠিয়ে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।

রাজশাহীর বাগমারা উপজেলায় আগুনে পুড়ে মারা যাওয়া স্কুলশিক্ষিকা ফরিদা ইয়াসমিনের এক ছেলেও চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। ঢাকায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার রাতে ফরিদার ছেলে রাফিউল বাশার (১৮) মারা যান। রাফিউলের শরীরের ৫০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। বাগমারা থা
০১ জুলাই ২০২৩
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর) আসনে বিএনপির নেতা-কর্মীদের অন্তর্দ্বন্দ্ব ক্রমেই প্রকট হয়ে উঠছে। সংঘাতে প্রাণ গেছে দলের দুই কর্মীর। একই স্থানে সমাবেশ ডাকাকে কেন্দ্র করে ঘটেছে সংঘাত। হয়েছে পাল্টাপাল্টি মামলা। বিপরীতে এর মধ্যে ভোটের মাঠ অনেকটাই গুছিয়ে এনেছে বিএনপির
৪ মিনিট আগে
ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের সাবেক চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলামকে গ্রেপ্তারের পর বিভিন্ন স্থানে আন্দোলন শুরু হয়েছে। গত শনিবার মধ্যরাতে রংপুর শহরে প্রতিষ্ঠানটির কার্যালয় অবরোধ করেন গ্রাহকেরা। এরপর গতকাল রোববার শহরে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন তাঁরা।
১২ মিনিট আগে
চট্টগ্রামের রাউজান এখন আতঙ্কের উপজেলা। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকে একে একে হত্যাকাণ্ডে অস্থির উপজেলাটি। সংঘর্ষ ও হত্যাকাণ্ড নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খাচ্ছে পুলিশ। রাজনৈতিক বিরোধ, আধিপত্য বিস্তার, চাঁদাবাজিসহ নানা কারণে ২০২৪ সালের ২৮ আগস্ট থেকে গত শনিবার (২৫ অক্টোবর) পর্যন্ত এখানে ১৬ জন নিহত
১৬ মিনিট আগেরিমন রহমান, রাজশাহী

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর) আসনে বিএনপির নেতা-কর্মীদের অন্তর্দ্বন্দ্ব ক্রমেই প্রকট হয়ে উঠছে। সংঘাতে প্রাণ গেছে দলের দুই কর্মীর। একই স্থানে সমাবেশ ডাকাকে কেন্দ্র করে ঘটেছে সংঘাত। হয়েছে পাল্টাপাল্টি মামলা। বিপরীতে এর মধ্যে ভোটের মাঠ অনেকটাই গুছিয়ে এনেছে বিএনপির প্রধান প্রতিপক্ষ জামায়াতে ইসলামী।
রাজশাহী-১ আসনে বরাবরই ছিল বিএনপির আধিপত্য। ১৯৯১, ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে এখান থেকে এমপি নির্বাচিত হন সাবেক মন্ত্রী ব্যারিস্টার আমিনুল হক। ২০১৯ সালে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। এবার আসনটিতে দলের মনোনয়নপ্রত্যাশী হিসেবে তাঁর ভাই মেজর জেনারেল (অব.) শরীফ উদ্দিনসহ অন্তত আটজনের নাম শোনা যাচ্ছে। বাকি মনোনয়নপ্রত্যাশীর মধ্যে রয়েছেন আমিনুল হকের ফুফাতো বোনের ছেলে ব্যারিস্টার মাহফুজুর রহমান মিলন, শিল্পপতি সুলতানুল ইসলাম তারেক, জেলা বিএনপির সদস্যসচিব বিশ্বনাথ সরকার, মহানগর বিএনপির সাবেক নেতা কে এম জুয়েল, জিয়া পরিষদের সহকারী মহাসচিব আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বিপ্লব, যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী শাহাদাত হোসেন শাহিন। এ ছাড়া ব্যারিস্টার আমিনুল হকের স্ত্রী আভা হকের নামও শোনা যাচ্ছে।
ব্যারিস্টার আমিনুল হকের আমলে এলাকায় রাস্তাঘাটের ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। তাঁর অবদানের কথা এখনো মনে রেখেছেন এলাকাবাসী। ২০০৮ সালে তিনি প্রার্থী হতে পারেননি। আওয়ামী লীগের ওমর ফারুক চৌধুরীর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে পরাজিত হন তাঁর ভাই এম এনামুল হক। পরের তিনটি বিতর্কিত নির্বাচনেও এমপি হন ফারুক।
জুলাই অভ্যুত্থানের পর আসনটি আবারও ফিরে পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী বিএনপির নেতা-কর্মীরা। তবে এ ক্ষেত্রে নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্ব-সংঘাতই তাঁদের জন্য প্রধান বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে; বিশেষ করে শরীফ উদ্দিন ও সুলতানুল ইসলাম তারেকের সমর্থকেরা একের পর এক সংঘাতে জড়াচ্ছেন। আবার শরীফ উদ্দিনের অনুসারীদের মধ্যে দুই পক্ষের সংঘর্ষে প্রাণহানির ঘটনাও ঘটেছে।
গত ১১ মার্চ তানোর উপজেলার কৃষ্ণপুর গ্রামে বিএনপির ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে শরীফ উদ্দিনকে বরণ করা নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে গানিউল ইসলাম নামের একজন নিহত হন। ২৭ মার্চ তানোরে শরীফের ইফতার মাহফিলের জন্য চাঁদা তোলাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে কৃষক দলনেতা নেকশার আলী নিহত হন।
তানোর উপজেলা সদরে গত ১৫ ডিসেম্বর সুলতানুল ইসলাম তারেকের অনুসারীদের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় শরীফ উদ্দিনের অনুসারীদের। ৪ জানুয়ারি ভবানীপুরে তারেকের সমাবেশে তাঁর সমর্থকদের সঙ্গে শরীফ সমর্থকদের সংঘর্ষ হয়। ৮ ফেব্রুয়ারি গোদাগাড়ীর বারোমাইল এলাকায় শরীফের অনুসারীদের হামলার শিকার হন তারেকের অনুসারী কয়েকজন নেতা। সবশেষ গত ২ সেপ্টেম্বর দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে গোদাগাড়ীতে একই স্থানে উভয় পক্ষের সমাবেশ আহ্বানকে কেন্দ্র করে ১৪৪ ধারা জারি করে প্রশাসন। এসব ঘটনায় পাল্টাপাল্টি মামলা করা হয়েছে।
দুই গ্রুপের দ্বন্দ্ব-সংঘাতের বাইরে নিজের মতো করে ভোটের মাঠে দৌড়ঝাঁপ করছেন সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ও উপজেলা বিএনপির সদস্য ব্যারিস্টার মাহফুজুর রহমান মিলন। দলের দুঃসময়ে তিনি অনেকে নেতা-কর্মীকে বিনা মূল্যে আইনি সেবা দিয়েছেন। তিনি পরিচ্ছন্ন ইমেজের জন্য সবার কাছে পরিচিত। অন্য মনোনয়নপ্রত্যাশীরা মাঠে নেমেছেন জুলাই অভ্যুত্থানের পর।
মনোনয়ন পাওয়ার ব্যাপারে যথেষ্ট আশাবাদী ব্যারিস্টার মাহফুজুর রহমান মিলন। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কারও বাবা, মামা, ভাই এমপি ছিলেন বলেই তিনি মনোনয়ন পাবেন, বিষয়টি এমন নয়। এবার জনপ্রিয়তা, ক্লিন ইমেজ এবং দলের জন্য অবদান বিবেচনা করা হবে। আমি দলের দুঃসময়ে রাজনৈতিক মামলা থেকে বহু নেতা-কর্মীকে জামিন করিয়েছি। শুধু আমাদের উপজেলা নয়, পুরো রাজশাহীতে বিনা মূল্যে এ সেবা দিয়েছি। জনগণ তাদের যোগ্য প্রতিনিধি খুঁজে নেবে। দলও সবকিছু বিবেচনা করবে।’
সুলতানুল ইসলাম তারেক বলেন, ‘দুঃসময়ে আমি সবাইকে সহযোগিতা করেছি। দলকে অর্থসহায়তা দিয়েছি। দল সবকিছু বিবেচনা করবে।’ শরীফ উদ্দিনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাঁকে পাওয়া যায়নি।
রাজশাহী-১ আসনে দলের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমানকে আগেই প্রার্থী ঘোষণা করেছে জামায়াতে ইসলামী। তিনি ১৯৮৬ সালেও এমপি ছিলেন। এবারও জোরেশোরে ভোটের মাঠে নেমেছেন তিনি। নেতা-কর্মীদের নিয়ে নির্বাচনী এলাকা চষে বেড়াচ্ছেন, দলীয় বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছেন। একক প্রার্থী হওয়ায় পুরো দল তাঁর হয়ে কাজ করছে।
রাজশাহী জেলা জামায়াতের আমির আব্দুল খালেক বলেন, ‘প্রার্থী ঘোষণার পর আমাদের মাঠ গোছানোর কাজও শেষ। সাংগঠনিকভাবে ভোটের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছি। মানুষের কাছ থেকে দারুণ সাড়া মিলছে।’
রাজশাহীতে এবি পার্টির সমন্বয়ক ড. মুহাম্মদ আব্দুর রহমান মুহসেনী সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে এলাকায় পোস্টার সাঁটিয়েছেন। তবে জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ (এনসিপি) অন্য কোনো দলের কেউ এখনো মাঠে নামেননি।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর) আসনে বিএনপির নেতা-কর্মীদের অন্তর্দ্বন্দ্ব ক্রমেই প্রকট হয়ে উঠছে। সংঘাতে প্রাণ গেছে দলের দুই কর্মীর। একই স্থানে সমাবেশ ডাকাকে কেন্দ্র করে ঘটেছে সংঘাত। হয়েছে পাল্টাপাল্টি মামলা। বিপরীতে এর মধ্যে ভোটের মাঠ অনেকটাই গুছিয়ে এনেছে বিএনপির প্রধান প্রতিপক্ষ জামায়াতে ইসলামী।
রাজশাহী-১ আসনে বরাবরই ছিল বিএনপির আধিপত্য। ১৯৯১, ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে এখান থেকে এমপি নির্বাচিত হন সাবেক মন্ত্রী ব্যারিস্টার আমিনুল হক। ২০১৯ সালে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। এবার আসনটিতে দলের মনোনয়নপ্রত্যাশী হিসেবে তাঁর ভাই মেজর জেনারেল (অব.) শরীফ উদ্দিনসহ অন্তত আটজনের নাম শোনা যাচ্ছে। বাকি মনোনয়নপ্রত্যাশীর মধ্যে রয়েছেন আমিনুল হকের ফুফাতো বোনের ছেলে ব্যারিস্টার মাহফুজুর রহমান মিলন, শিল্পপতি সুলতানুল ইসলাম তারেক, জেলা বিএনপির সদস্যসচিব বিশ্বনাথ সরকার, মহানগর বিএনপির সাবেক নেতা কে এম জুয়েল, জিয়া পরিষদের সহকারী মহাসচিব আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বিপ্লব, যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী শাহাদাত হোসেন শাহিন। এ ছাড়া ব্যারিস্টার আমিনুল হকের স্ত্রী আভা হকের নামও শোনা যাচ্ছে।
ব্যারিস্টার আমিনুল হকের আমলে এলাকায় রাস্তাঘাটের ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। তাঁর অবদানের কথা এখনো মনে রেখেছেন এলাকাবাসী। ২০০৮ সালে তিনি প্রার্থী হতে পারেননি। আওয়ামী লীগের ওমর ফারুক চৌধুরীর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে পরাজিত হন তাঁর ভাই এম এনামুল হক। পরের তিনটি বিতর্কিত নির্বাচনেও এমপি হন ফারুক।
জুলাই অভ্যুত্থানের পর আসনটি আবারও ফিরে পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী বিএনপির নেতা-কর্মীরা। তবে এ ক্ষেত্রে নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্ব-সংঘাতই তাঁদের জন্য প্রধান বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে; বিশেষ করে শরীফ উদ্দিন ও সুলতানুল ইসলাম তারেকের সমর্থকেরা একের পর এক সংঘাতে জড়াচ্ছেন। আবার শরীফ উদ্দিনের অনুসারীদের মধ্যে দুই পক্ষের সংঘর্ষে প্রাণহানির ঘটনাও ঘটেছে।
গত ১১ মার্চ তানোর উপজেলার কৃষ্ণপুর গ্রামে বিএনপির ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে শরীফ উদ্দিনকে বরণ করা নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে গানিউল ইসলাম নামের একজন নিহত হন। ২৭ মার্চ তানোরে শরীফের ইফতার মাহফিলের জন্য চাঁদা তোলাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে কৃষক দলনেতা নেকশার আলী নিহত হন।
তানোর উপজেলা সদরে গত ১৫ ডিসেম্বর সুলতানুল ইসলাম তারেকের অনুসারীদের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় শরীফ উদ্দিনের অনুসারীদের। ৪ জানুয়ারি ভবানীপুরে তারেকের সমাবেশে তাঁর সমর্থকদের সঙ্গে শরীফ সমর্থকদের সংঘর্ষ হয়। ৮ ফেব্রুয়ারি গোদাগাড়ীর বারোমাইল এলাকায় শরীফের অনুসারীদের হামলার শিকার হন তারেকের অনুসারী কয়েকজন নেতা। সবশেষ গত ২ সেপ্টেম্বর দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে গোদাগাড়ীতে একই স্থানে উভয় পক্ষের সমাবেশ আহ্বানকে কেন্দ্র করে ১৪৪ ধারা জারি করে প্রশাসন। এসব ঘটনায় পাল্টাপাল্টি মামলা করা হয়েছে।
দুই গ্রুপের দ্বন্দ্ব-সংঘাতের বাইরে নিজের মতো করে ভোটের মাঠে দৌড়ঝাঁপ করছেন সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ও উপজেলা বিএনপির সদস্য ব্যারিস্টার মাহফুজুর রহমান মিলন। দলের দুঃসময়ে তিনি অনেকে নেতা-কর্মীকে বিনা মূল্যে আইনি সেবা দিয়েছেন। তিনি পরিচ্ছন্ন ইমেজের জন্য সবার কাছে পরিচিত। অন্য মনোনয়নপ্রত্যাশীরা মাঠে নেমেছেন জুলাই অভ্যুত্থানের পর।
মনোনয়ন পাওয়ার ব্যাপারে যথেষ্ট আশাবাদী ব্যারিস্টার মাহফুজুর রহমান মিলন। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কারও বাবা, মামা, ভাই এমপি ছিলেন বলেই তিনি মনোনয়ন পাবেন, বিষয়টি এমন নয়। এবার জনপ্রিয়তা, ক্লিন ইমেজ এবং দলের জন্য অবদান বিবেচনা করা হবে। আমি দলের দুঃসময়ে রাজনৈতিক মামলা থেকে বহু নেতা-কর্মীকে জামিন করিয়েছি। শুধু আমাদের উপজেলা নয়, পুরো রাজশাহীতে বিনা মূল্যে এ সেবা দিয়েছি। জনগণ তাদের যোগ্য প্রতিনিধি খুঁজে নেবে। দলও সবকিছু বিবেচনা করবে।’
সুলতানুল ইসলাম তারেক বলেন, ‘দুঃসময়ে আমি সবাইকে সহযোগিতা করেছি। দলকে অর্থসহায়তা দিয়েছি। দল সবকিছু বিবেচনা করবে।’ শরীফ উদ্দিনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাঁকে পাওয়া যায়নি।
রাজশাহী-১ আসনে দলের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমানকে আগেই প্রার্থী ঘোষণা করেছে জামায়াতে ইসলামী। তিনি ১৯৮৬ সালেও এমপি ছিলেন। এবারও জোরেশোরে ভোটের মাঠে নেমেছেন তিনি। নেতা-কর্মীদের নিয়ে নির্বাচনী এলাকা চষে বেড়াচ্ছেন, দলীয় বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছেন। একক প্রার্থী হওয়ায় পুরো দল তাঁর হয়ে কাজ করছে।
রাজশাহী জেলা জামায়াতের আমির আব্দুল খালেক বলেন, ‘প্রার্থী ঘোষণার পর আমাদের মাঠ গোছানোর কাজও শেষ। সাংগঠনিকভাবে ভোটের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছি। মানুষের কাছ থেকে দারুণ সাড়া মিলছে।’
রাজশাহীতে এবি পার্টির সমন্বয়ক ড. মুহাম্মদ আব্দুর রহমান মুহসেনী সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে এলাকায় পোস্টার সাঁটিয়েছেন। তবে জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ (এনসিপি) অন্য কোনো দলের কেউ এখনো মাঠে নামেননি।

রাজশাহীর বাগমারা উপজেলায় আগুনে পুড়ে মারা যাওয়া স্কুলশিক্ষিকা ফরিদা ইয়াসমিনের এক ছেলেও চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। ঢাকায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার রাতে ফরিদার ছেলে রাফিউল বাশার (১৮) মারা যান। রাফিউলের শরীরের ৫০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। বাগমারা থা
০১ জুলাই ২০২৩
পুরান ঢাকার বংশালের আগামসিহ লেনে মো. সজীব হোসেনকে (২০) পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তাঁর স্বজনেরা। সজীবের মায়ের অভিযোগ, মেয়েবন্ধুর মামা ১৫ দিন আগে সজীবকে হত্যার হুমকি দিয়েছিলেন। তাঁর ছেলেকে তাঁরাই খুন করেছেন।
২ মিনিট আগে
ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের সাবেক চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলামকে গ্রেপ্তারের পর বিভিন্ন স্থানে আন্দোলন শুরু হয়েছে। গত শনিবার মধ্যরাতে রংপুর শহরে প্রতিষ্ঠানটির কার্যালয় অবরোধ করেন গ্রাহকেরা। এরপর গতকাল রোববার শহরে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন তাঁরা।
১২ মিনিট আগে
চট্টগ্রামের রাউজান এখন আতঙ্কের উপজেলা। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকে একে একে হত্যাকাণ্ডে অস্থির উপজেলাটি। সংঘর্ষ ও হত্যাকাণ্ড নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খাচ্ছে পুলিশ। রাজনৈতিক বিরোধ, আধিপত্য বিস্তার, চাঁদাবাজিসহ নানা কারণে ২০২৪ সালের ২৮ আগস্ট থেকে গত শনিবার (২৫ অক্টোবর) পর্যন্ত এখানে ১৬ জন নিহত
১৬ মিনিট আগেফারইস্ট ইনস্যুরেন্স
রংপুরে শনিবার রাত থেকে চলে অবরোধ কর্মসূচি।
ঢাকা দুদকের সামনে মানববন্ধন কর্মকর্তা-গ্রাহকদের।
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের সাবেক চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলামকে গ্রেপ্তারের পর বিভিন্ন স্থানে আন্দোলন শুরু হয়েছে। গত শনিবার মধ্যরাতে রংপুর শহরে প্রতিষ্ঠানটির কার্যালয় অবরোধ করেন গ্রাহকেরা। এরপর গতকাল রোববার শহরে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন তাঁরা। এদিকে প্রতিষ্ঠান থেকে আত্মসাৎ হওয়া প্রায় ৪ হাজার ৫০০ কোটি টাকা উদ্ধারের দাবিতে গতকাল সকালে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন করেন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা, কর্মচারী ও ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাহকেরা।
ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইনস্যুরেন্সের রংপুর বিভাগীয় কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০২১ থেকে ২০২৫ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত রংপুর বিভাগের আট জেলায় প্রায় ৩০ গ্রাহকের বিমার মেয়াদ শেষ হয়েছে, যার বিপরীতে প্রায় ১৩৭ কোটি টাকার বেশি পরিশোধ বকেয়া রয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী, ৯০ দিনের মধ্যে টাকা দেওয়ার বাধ্যবাধকতা থাকলেও গ্রাহকেরা বছরের পর বছর শুধু আশ্বাসই পাচ্ছেন।
অন্তত ১০ জন গ্রাহকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, শনিবার মধ্যরাতে অফিসের কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারী আসবাব ও দামি সরঞ্জাম বিক্রি করে বাইরে নেওয়ার চেষ্টা করলে সন্দেহ হয় স্থানীয় গ্রাহকদের। তাঁরা তাৎক্ষণিক অফিসে গিয়ে মালপত্র আটক করেন এবং কর্মকর্তাদের অবরুদ্ধ করে রাখেন।
এ খবর ছড়িয়ে পড়লে গতকাল সকাল থেকে অফিসের সামনে গ্রাহকেরা ভিড় করতে শুরু করেন। দুপুর গড়াতেই জাহাজ কোম্পানী-স্টেশন রোডে জামাল মার্কেটে অফিস ঘেরাও করে নগরীর প্রধান সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন তাঁরা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, জাহাজ কোম্পানী-স্টেশন রোড অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন গ্রাহকেরা। এ সময় অফিসের লকার, চেয়ার, টেবিল, আসবাবপত্রসহ একটি ট্রাক দেখা যায় এবং অফিসকক্ষে কর্মকর্তাদের অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। বিক্ষোভকারীদের সামাল দিতে পুলিশ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। সড়কের দুদিকে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। তবে বিকেল সাড়ে ৫টায় সড়ক থেকে সরে যান গ্রাহকেরা। গতকাল সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত কর্মকর্তাদের অবরুদ্ধ করে রাখা হয়।
অভিযোগ রয়েছে, রংপুর বিভাগের প্রায় ৩০ হাজার গ্রাহকের ১৩৭ কোটি টাকার বেশি বিমাদাবি এখনো পরিশোধ করেনি ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানি।
ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের রংপুর জোনাল অফিসের জ্যেষ্ঠ ভাইস প্রেসিডেন্ট আব্দুল কাদের বীর বলেন, ‘২৯ হাজার গ্রাহক টাকা পায়। গত ২০ অক্টোবর মিটিং হয়েছে, বর্তমান চেয়ারম্যান বলেছেন, তাঁরা ফাঁকা প্রতিষ্ঠান পেয়েছেন। কোম্পানির প্রচুর সম্পদ রয়েছে। বিক্রি হচ্ছে না এ মুর্হূতে। ২০২৬ সালের মধ্যে বকেয়া বিমা পরিশোধ করবে। অফিস এখানে থাকবে। যেগুলো বিক্রি হয়েছে, সেগুলো অতিরিক্ত ও নষ্ট মালপত্র। মালপত্র বিক্রির বিষয়টি আমি আগে থেকে জানতাম না। খবর পেয়ে রাতে আসি। রাত থেকেই এখানে যেতে পারি নাই।’
দুদকের সামনে মানববন্ধন
ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানি থেকে আত্মসাৎ হওয়া টাকা উদ্ধারের দাবিতে গতকাল ঢাকায় দুদক কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন করেন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা, কর্মচারী ও ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাহকেরা। এ সময় তাঁরা সাবেক চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম ও পরিচালক এম এ খালেকের কঠোর শাস্তির দাবি করেন। পরে তাঁরা দুদকে একটি স্মারকলিপিও জমা দেন।
প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) কামরুল হাসান বলেন, ‘আমরা গ্রাহকদের টাকার ন্যায্যপ্রাপ্তি চাই। যারা প্রতিষ্ঠানটি ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।’
রিকভারি সেকশনের ইনচার্জ মাসুদ বলেন, ‘নজরুল-খালেক চক্র নজিরবিহীন লুটপাট চালিয়ে ঐতিহ্যবাহী এ প্রতিষ্ঠানটিকে ধ্বংস করেছে। টাকা পাচার করে তারা বিদেশে নিয়ে গেছে, এখন আইনের ফাঁকফোকর গলে বাঁচার চেষ্টা করছে।’
গ্রাহকদের দাবি, ২০০০ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে তাঁদের অবদানে ফারইস্ট লাইফের তহবিলে জমা হয় প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকা। কিন্তু তৎকালীন চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম ও পরিচালক এম এ খালেক ভুয়া বিনিয়োগ, কাগুজে খরচ ও ম্যানেজমেন্ট কারসাজির মাধ্যমে বিপুল অর্থ আত্মসাৎ করেন। এর বড় অংশ বিদেশে পাচার করা হয় বলে অভিযোগ। বর্তমানে প্রায় ৪০ লাখ গ্রাহক প্রাপ্য অর্থ না পেয়ে প্রতিদিন প্রতিষ্ঠানটির কার্যালয়ে ঘুরছেন, অভিযোগ জানাচ্ছেন।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার রাজধানীর বংশাল এলাকা থেকে সাবেক চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে দুদক।

ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের সাবেক চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলামকে গ্রেপ্তারের পর বিভিন্ন স্থানে আন্দোলন শুরু হয়েছে। গত শনিবার মধ্যরাতে রংপুর শহরে প্রতিষ্ঠানটির কার্যালয় অবরোধ করেন গ্রাহকেরা। এরপর গতকাল রোববার শহরে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন তাঁরা। এদিকে প্রতিষ্ঠান থেকে আত্মসাৎ হওয়া প্রায় ৪ হাজার ৫০০ কোটি টাকা উদ্ধারের দাবিতে গতকাল সকালে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন করেন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা, কর্মচারী ও ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাহকেরা।
ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইনস্যুরেন্সের রংপুর বিভাগীয় কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০২১ থেকে ২০২৫ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত রংপুর বিভাগের আট জেলায় প্রায় ৩০ গ্রাহকের বিমার মেয়াদ শেষ হয়েছে, যার বিপরীতে প্রায় ১৩৭ কোটি টাকার বেশি পরিশোধ বকেয়া রয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী, ৯০ দিনের মধ্যে টাকা দেওয়ার বাধ্যবাধকতা থাকলেও গ্রাহকেরা বছরের পর বছর শুধু আশ্বাসই পাচ্ছেন।
অন্তত ১০ জন গ্রাহকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, শনিবার মধ্যরাতে অফিসের কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারী আসবাব ও দামি সরঞ্জাম বিক্রি করে বাইরে নেওয়ার চেষ্টা করলে সন্দেহ হয় স্থানীয় গ্রাহকদের। তাঁরা তাৎক্ষণিক অফিসে গিয়ে মালপত্র আটক করেন এবং কর্মকর্তাদের অবরুদ্ধ করে রাখেন।
এ খবর ছড়িয়ে পড়লে গতকাল সকাল থেকে অফিসের সামনে গ্রাহকেরা ভিড় করতে শুরু করেন। দুপুর গড়াতেই জাহাজ কোম্পানী-স্টেশন রোডে জামাল মার্কেটে অফিস ঘেরাও করে নগরীর প্রধান সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন তাঁরা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, জাহাজ কোম্পানী-স্টেশন রোড অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন গ্রাহকেরা। এ সময় অফিসের লকার, চেয়ার, টেবিল, আসবাবপত্রসহ একটি ট্রাক দেখা যায় এবং অফিসকক্ষে কর্মকর্তাদের অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। বিক্ষোভকারীদের সামাল দিতে পুলিশ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। সড়কের দুদিকে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। তবে বিকেল সাড়ে ৫টায় সড়ক থেকে সরে যান গ্রাহকেরা। গতকাল সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত কর্মকর্তাদের অবরুদ্ধ করে রাখা হয়।
অভিযোগ রয়েছে, রংপুর বিভাগের প্রায় ৩০ হাজার গ্রাহকের ১৩৭ কোটি টাকার বেশি বিমাদাবি এখনো পরিশোধ করেনি ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানি।
ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের রংপুর জোনাল অফিসের জ্যেষ্ঠ ভাইস প্রেসিডেন্ট আব্দুল কাদের বীর বলেন, ‘২৯ হাজার গ্রাহক টাকা পায়। গত ২০ অক্টোবর মিটিং হয়েছে, বর্তমান চেয়ারম্যান বলেছেন, তাঁরা ফাঁকা প্রতিষ্ঠান পেয়েছেন। কোম্পানির প্রচুর সম্পদ রয়েছে। বিক্রি হচ্ছে না এ মুর্হূতে। ২০২৬ সালের মধ্যে বকেয়া বিমা পরিশোধ করবে। অফিস এখানে থাকবে। যেগুলো বিক্রি হয়েছে, সেগুলো অতিরিক্ত ও নষ্ট মালপত্র। মালপত্র বিক্রির বিষয়টি আমি আগে থেকে জানতাম না। খবর পেয়ে রাতে আসি। রাত থেকেই এখানে যেতে পারি নাই।’
দুদকের সামনে মানববন্ধন
ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানি থেকে আত্মসাৎ হওয়া টাকা উদ্ধারের দাবিতে গতকাল ঢাকায় দুদক কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন করেন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা, কর্মচারী ও ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাহকেরা। এ সময় তাঁরা সাবেক চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম ও পরিচালক এম এ খালেকের কঠোর শাস্তির দাবি করেন। পরে তাঁরা দুদকে একটি স্মারকলিপিও জমা দেন।
প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) কামরুল হাসান বলেন, ‘আমরা গ্রাহকদের টাকার ন্যায্যপ্রাপ্তি চাই। যারা প্রতিষ্ঠানটি ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।’
রিকভারি সেকশনের ইনচার্জ মাসুদ বলেন, ‘নজরুল-খালেক চক্র নজিরবিহীন লুটপাট চালিয়ে ঐতিহ্যবাহী এ প্রতিষ্ঠানটিকে ধ্বংস করেছে। টাকা পাচার করে তারা বিদেশে নিয়ে গেছে, এখন আইনের ফাঁকফোকর গলে বাঁচার চেষ্টা করছে।’
গ্রাহকদের দাবি, ২০০০ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে তাঁদের অবদানে ফারইস্ট লাইফের তহবিলে জমা হয় প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকা। কিন্তু তৎকালীন চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম ও পরিচালক এম এ খালেক ভুয়া বিনিয়োগ, কাগুজে খরচ ও ম্যানেজমেন্ট কারসাজির মাধ্যমে বিপুল অর্থ আত্মসাৎ করেন। এর বড় অংশ বিদেশে পাচার করা হয় বলে অভিযোগ। বর্তমানে প্রায় ৪০ লাখ গ্রাহক প্রাপ্য অর্থ না পেয়ে প্রতিদিন প্রতিষ্ঠানটির কার্যালয়ে ঘুরছেন, অভিযোগ জানাচ্ছেন।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার রাজধানীর বংশাল এলাকা থেকে সাবেক চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে দুদক।

রাজশাহীর বাগমারা উপজেলায় আগুনে পুড়ে মারা যাওয়া স্কুলশিক্ষিকা ফরিদা ইয়াসমিনের এক ছেলেও চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। ঢাকায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার রাতে ফরিদার ছেলে রাফিউল বাশার (১৮) মারা যান। রাফিউলের শরীরের ৫০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। বাগমারা থা
০১ জুলাই ২০২৩
পুরান ঢাকার বংশালের আগামসিহ লেনে মো. সজীব হোসেনকে (২০) পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তাঁর স্বজনেরা। সজীবের মায়ের অভিযোগ, মেয়েবন্ধুর মামা ১৫ দিন আগে সজীবকে হত্যার হুমকি দিয়েছিলেন। তাঁর ছেলেকে তাঁরাই খুন করেছেন।
২ মিনিট আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর) আসনে বিএনপির নেতা-কর্মীদের অন্তর্দ্বন্দ্ব ক্রমেই প্রকট হয়ে উঠছে। সংঘাতে প্রাণ গেছে দলের দুই কর্মীর। একই স্থানে সমাবেশ ডাকাকে কেন্দ্র করে ঘটেছে সংঘাত। হয়েছে পাল্টাপাল্টি মামলা। বিপরীতে এর মধ্যে ভোটের মাঠ অনেকটাই গুছিয়ে এনেছে বিএনপির
৪ মিনিট আগে
চট্টগ্রামের রাউজান এখন আতঙ্কের উপজেলা। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকে একে একে হত্যাকাণ্ডে অস্থির উপজেলাটি। সংঘর্ষ ও হত্যাকাণ্ড নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খাচ্ছে পুলিশ। রাজনৈতিক বিরোধ, আধিপত্য বিস্তার, চাঁদাবাজিসহ নানা কারণে ২০২৪ সালের ২৮ আগস্ট থেকে গত শনিবার (২৫ অক্টোবর) পর্যন্ত এখানে ১৬ জন নিহত
১৬ মিনিট আগেরাজনৈতিক বিরোধ
মো. আরফাত হোসাইন, রাউজান (চট্টগ্রাম)

চট্টগ্রামের রাউজান এখন আতঙ্কের উপজেলা। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকে একে একে হত্যাকাণ্ডে অস্থির উপজেলাটি। সংঘর্ষ ও হত্যাকাণ্ড নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খাচ্ছে পুলিশ। রাজনৈতিক বিরোধ, আধিপত্য বিস্তার, চাঁদাবাজিসহ নানা কারণে ২০২৪ সালের ২৮ আগস্ট থেকে গত শনিবার (২৫ অক্টোবর) পর্যন্ত এখানে ১৬ জন নিহত হয়েছেন। তাঁদের ১২ জনই রাজনৈতিক কারণে প্রাণ হারান বলে জানা গেছে।
সর্বশেষ শনিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে রাউজানে নিজ বাড়ির অদূরে গুলিতে নিহত হন যুবদলের কর্মী আলমগীর ওরফে আলম (৪৫)। রাউজান পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের চারাবটতল এলাকার কায়কোবাদ চৌধুরী জামে মসজিদের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় সন্ত্রাসীদের গুলিতে তাঁর এক আত্মীয় রিয়াদ (২৫) আহত হন। তিনি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
পুলিশ জানিয়েছে, মোটরসাইকেল চালিয়ে যাওয়ার পথে ওত পেতে থাকা সন্ত্রাসীরা তাঁকে লক্ষ্য করে অতর্কিতে গুলি ছোড়ে। এতে ঘটনাস্থলেই আলমের মৃত্যু হয়। তাঁর দেহে ৫টি গুলির আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। তিনি রাউজান পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব রাউজানের চৌধুরীবাড়ির আবদুস সাত্তারের ছেলে। পুলিশের ধারণা, পূর্বশত্রুতা ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে।
রাউজান পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের চারাবটতল, রাবারবাগান, আলিখীল, কলমপতি ও ওয়াহেদিখীল এলাকার বেশ কয়েকজন বাসিন্দা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, তিনি রাউজানে তথা তাঁর এলাকায় ডাকাত আলম বা আলইম্যা ডাকাত হিসেবে পরিচিত।
চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির বিলুপ্ত কমিটির আহ্বায়ক গোলাম আকবর খোন্দকার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বলেন, নিহত আলমগীর আওয়ামী শাসনামলে দীর্ঘ ১২ বছর কারাভোগের পর সম্প্রতি কারামুক্ত হয়েছিলেন। রাউজানের বিরাজমান অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে সন্ত্রাসীদের গুলিতে নির্মমভাবে খুন হলেন তিনি। বিবৃতিতে তিনি অবিলম্বে এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের এবং খুনের নির্দেশদাতাদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান।
স্থানীয় অনেকে জানান, ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে সংঘাত লেগে আছে। এর মধ্যে একটি পক্ষের নেতৃত্বে আছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান (পদ স্থগিত) গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী। আরেক পক্ষে আছেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য গোলাম আকবর খোন্দকার।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ৫ আগস্টের পর কিছু বিচ্ছিন্ন সংঘর্ষ ও মারামারি হলেও হত্যাকাণ্ড শুরু হয় ২৮ আগস্ট। ওই দিন পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের চৌধুরী মার্কেট এলাকায় পিটিয়ে হত্যা করা হয় রাঙামাটির কাউখালী উপজেলার বেতবুনিয়া ইউনিয়ন শ্রমিক লীগের নেতা আব্দুল মান্নানকে।
এদিকে ৭ অক্টোবর সন্ধ্যায় চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে বিএনপির কর্মী মুহাম্মদ আবদুল হাকিমকে (৫২) প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। সড়কের ওপর থামানো প্রাইভেট কারে মুহুর্মুহু গুলি করে তাঁকে হত্যা করা হয়। নিহত আবদুল হাকিম রাউজানের বাগোয়ান ইউনিয়নের পাঁচখাইন গ্রামের বাসিন্দা।
তিনি ২০২৪ সালে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর রাউজানে বিএনপির রাজনীতিতে সক্রিয় হন। তিনি বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান (পদ স্থগিত) গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীর অনুসারী হিসেবে পরিচিত ছিলেন। তবে দলীয় কোনো পদ ছিল না তাঁর। নিহত আবদুল হাকিম ভেষজ পণ্যের ব্যবসা করতেন। পাশাপাশি গরুর খামারি ছিলেন তিনি। এ ছাড়া এক বছর ধরে কর্ণফুলী নদী থেকে বালু উত্তোলনের ব্যবসাও করছিলেন।
এর আগে ৬ জুলাই দুপুর ১২টায় কদলপুরে প্রকাশ্যে স্ত্রী-কন্যার সামনে মো. সেলিম উদ্দিনকে গুলি চালিয়ে হত্যা করে বোরকা পরা অস্ত্রধারীরা। পরে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে তারা পালিয়ে যায়। তাদের পালিয়ে যাওয়ার একটি সিসিটিভি ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
এ ছাড়া ১ সেপ্টেম্বর রাউজানের সাবেক সংসদ সদস্য ফজলে করিমের বাগানবাড়ি থেকে মো. ইউসুফ মিয়া নামের একজনের লাশ উদ্ধার করা হয়। নিখোঁজের চার দিন পর ২৯ অক্টোবর উরকিরচর ইউনিয়নের মইশকরম এলাকায় পাওয়া যায় আজম খান নামের একজনের লাশ। নিখোঁজের তিন দিনের মাথায় ১১ নভেম্বর মেলে ওলামা লীগের সদস্য আবু তাহেরের লাশ। ২৪ জানুয়ারি সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হন ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর আলম। ১৯ ফেব্রুয়ারি যুবলীগের কর্মী মুহাম্মদ হাসানকে পিটিয়ে হত্যা করে একদল দুর্বৃত্ত।
বিএনপির নেতাদের বিরুদ্ধে ফেসবুকে পোস্ট দেওয়াকে কেন্দ্র করে ১৫ মার্চ পিটুনি ও ছুরিকাঘাতে নিহত হন কমরউদ্দিন জিতু। ২১ মার্চ পূর্ব গুজরা ইউনিয়নের বৃহত্তর হোয়ারাপাড়ায় পিটিয়ে হত্যা করা হয় মো. রুবেলকে। ৪ এপ্রিল হলদিয়া ইউনিয়নের ইয়াছিন নগরে মা ও দুই ভাইয়ের হাতে প্রকৌশলী নূর আলম বকুল খুন হন বলে অভিযোগ ওঠে। ১৭ এপ্রিল পাহাড়তলী ইউনিয়নের মহামুনি দীঘি থেকে খানপাড়া গ্রামের মো. ইব্রাহিমের ছেলে মো. জাফরের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ১৯ এপ্রিল রাতে গুলি করে এবং চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয় বাগোয়ান ইউনিয়নের গরিব উল্লাহ পাড়ার আবদুল্লাহ মানিককে। এর ঠিক তিন দিন পর ২২ এপ্রিল দোকানে ডেকে এনে মাথায় গুলি চালিয়ে হত্যা করা হয় সদর ইউনিয়নের শমশেরনগর গাজীপাড়া এলাকার বাসিন্দা যুবদল নেতা মো. ইব্রাহিমকে।
এসব ঘটনার মধ্যে ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর হত্যা মামলায় পাঁচ এবং যুবলীগের কর্মী হাসান হত্যা মামলায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। যদিও পুলিশ বলছে, শতাধিক আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে স্বজনদের অভিযোগ, অনেক হত্যায় জড়িত ব্যক্তিরা এলাকায় ঘুরলেও পুলিশ ধরছে না।
নিহত আব্দুল হাকিমের ভাই মুহাম্মদ পারভেজ জানান, তাঁর ভাইয়ের সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে কারও শত্রুতা ছিল না। তিনি গিয়াস উদ্দিন কাদেরের অনুসারী। কী কারণে তাঁকে হত্যা করা হলো, তা তদন্ত করে দোষীদের শাস্তির দাবি করেন পারভেজ।
নিহত যুবদল নেতা সেলিম উদ্দিনের স্ত্রী ফেরদৌস আকতার বলেন, ‘চোখের সামনে বোরকা পরা সন্ত্রাসীরা গুলি করে আমার স্বামীকে হত্যা করেছে। আমি খুনিদের বিচার চাই।’
নিহত কমর উদ্দিনের স্ত্রী ডেইজি আকতার বলেন, ‘আমার স্বামীকে বাজারে প্রকাশ্যে হত্যা করা হয়েছে। আমি নাম উল্লেখ করে মামলা করলেও পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করছে না।’
অপরাধী কোনো দলের হতে পারে না উল্লেখ করে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা যুবদলের সহসভাপতি ও রাউজানের সাবেক সংসদ সদস্য গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীর অনুসারী সাবের সুলতান কাজল বলেন, ‘সন্ত্রাসীদের পরিচয় সন্ত্রাসী। তারা কোনো দলের হতে পারে না। আমাদের নেতা গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী সন্ত্রাসীদের সমর্থন করেন না। আমরা রাউজানের বর্তমান পরিস্থিতির অবসান চাই। এভাবে চলতে পারে না।’ তিনি আরও বলেন, রাউজানে এখনো স্বৈরাচারের অনেক দোসর থেকে গেছে। যারা আগের রূপ পাল্টে চলার চেষ্টা করছে। তাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে টাকা কামানো। আমরা ১৭ বছর নির্যাতিত ছিলাম। হামলা-মামলার শিকার হয়েছি। রাজপথে থেকে রাজনীতি করেছি। আমরা কোনো অপরাধীকে প্রশ্রয় দিতে রাজি না।’
রাউজান উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও উত্তর জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক গোলাম আকবর খোন্দকারের অনুসারী জসিম উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘রাউজানে কঠিন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। একের পর এক হত্যাকাণ্ড হলেও এগুলো থামানো যাচ্ছে না। পুলিশ-প্রশাসন আসামিদের গ্রেপ্তার করছে না। পুলিশের ভূমিকা না থাকায় আসামিদের সাহস বেড়ে যাচ্ছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আধিপত্য বিস্তার রাউজানে এই মুহূর্তে বড় ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমরা যুবদলের কর্মী আলম হত্যার বিচার চাই।’
তবে রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, ‘রাউজানে হত্যাকাণ্ডগুলোর ৬টি হয়েছে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে। বাকিগুলো পারিবারিক বা অন্য কারণে হয়েছে। আমরা তো মামলা নিচ্ছি। পরে তদন্তে দেখা যায়, এগুলো হত্যাকাণ্ড না। তারপরও প্রতিটি ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা করা হচ্ছে।’ ৬টি হত্যা মামলায় ৩০ আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি। মোট মামলায় ৮০-৯০ আসামি গ্রেপ্তারের বিষয়টি তিনি উল্লেখ করেন।
এ বিষয়ে রাউজান-রাঙ্গুনিয়া সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মো. বেলায়েত হোসেন বলেন, ‘আধিপত্য বিস্তার থামানো যাচ্ছে না বলেই রাউজানে বেশি হত্যাকাণ্ড হচ্ছে। অন্তঃকোন্দল ও গ্রুপিং (বিভক্তি) বারবার সামনে আসছে।’ তিনি আরও বলেন, রাউজানে পাহাড়-টিলা রয়েছে। অপরাধীরা হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে পাহাড়ে চলে যায়। যার কারণে পুলিশের পক্ষে কঠিন হয়ে যায় অপরাধীদের ধরা। তারপরও আমরা পিছিয়ে নেই। শতাধিক সন্ত্রাসী ইতিমধ্যে গ্রেপ্তার হয়েছে। অনেকে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। আমরা আমাদের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’

চট্টগ্রামের রাউজান এখন আতঙ্কের উপজেলা। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকে একে একে হত্যাকাণ্ডে অস্থির উপজেলাটি। সংঘর্ষ ও হত্যাকাণ্ড নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খাচ্ছে পুলিশ। রাজনৈতিক বিরোধ, আধিপত্য বিস্তার, চাঁদাবাজিসহ নানা কারণে ২০২৪ সালের ২৮ আগস্ট থেকে গত শনিবার (২৫ অক্টোবর) পর্যন্ত এখানে ১৬ জন নিহত হয়েছেন। তাঁদের ১২ জনই রাজনৈতিক কারণে প্রাণ হারান বলে জানা গেছে।
সর্বশেষ শনিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে রাউজানে নিজ বাড়ির অদূরে গুলিতে নিহত হন যুবদলের কর্মী আলমগীর ওরফে আলম (৪৫)। রাউজান পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের চারাবটতল এলাকার কায়কোবাদ চৌধুরী জামে মসজিদের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় সন্ত্রাসীদের গুলিতে তাঁর এক আত্মীয় রিয়াদ (২৫) আহত হন। তিনি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
পুলিশ জানিয়েছে, মোটরসাইকেল চালিয়ে যাওয়ার পথে ওত পেতে থাকা সন্ত্রাসীরা তাঁকে লক্ষ্য করে অতর্কিতে গুলি ছোড়ে। এতে ঘটনাস্থলেই আলমের মৃত্যু হয়। তাঁর দেহে ৫টি গুলির আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। তিনি রাউজান পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব রাউজানের চৌধুরীবাড়ির আবদুস সাত্তারের ছেলে। পুলিশের ধারণা, পূর্বশত্রুতা ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে।
রাউজান পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের চারাবটতল, রাবারবাগান, আলিখীল, কলমপতি ও ওয়াহেদিখীল এলাকার বেশ কয়েকজন বাসিন্দা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, তিনি রাউজানে তথা তাঁর এলাকায় ডাকাত আলম বা আলইম্যা ডাকাত হিসেবে পরিচিত।
চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির বিলুপ্ত কমিটির আহ্বায়ক গোলাম আকবর খোন্দকার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বলেন, নিহত আলমগীর আওয়ামী শাসনামলে দীর্ঘ ১২ বছর কারাভোগের পর সম্প্রতি কারামুক্ত হয়েছিলেন। রাউজানের বিরাজমান অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে সন্ত্রাসীদের গুলিতে নির্মমভাবে খুন হলেন তিনি। বিবৃতিতে তিনি অবিলম্বে এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের এবং খুনের নির্দেশদাতাদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান।
স্থানীয় অনেকে জানান, ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে সংঘাত লেগে আছে। এর মধ্যে একটি পক্ষের নেতৃত্বে আছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান (পদ স্থগিত) গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী। আরেক পক্ষে আছেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য গোলাম আকবর খোন্দকার।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ৫ আগস্টের পর কিছু বিচ্ছিন্ন সংঘর্ষ ও মারামারি হলেও হত্যাকাণ্ড শুরু হয় ২৮ আগস্ট। ওই দিন পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের চৌধুরী মার্কেট এলাকায় পিটিয়ে হত্যা করা হয় রাঙামাটির কাউখালী উপজেলার বেতবুনিয়া ইউনিয়ন শ্রমিক লীগের নেতা আব্দুল মান্নানকে।
এদিকে ৭ অক্টোবর সন্ধ্যায় চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে বিএনপির কর্মী মুহাম্মদ আবদুল হাকিমকে (৫২) প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। সড়কের ওপর থামানো প্রাইভেট কারে মুহুর্মুহু গুলি করে তাঁকে হত্যা করা হয়। নিহত আবদুল হাকিম রাউজানের বাগোয়ান ইউনিয়নের পাঁচখাইন গ্রামের বাসিন্দা।
তিনি ২০২৪ সালে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর রাউজানে বিএনপির রাজনীতিতে সক্রিয় হন। তিনি বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান (পদ স্থগিত) গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীর অনুসারী হিসেবে পরিচিত ছিলেন। তবে দলীয় কোনো পদ ছিল না তাঁর। নিহত আবদুল হাকিম ভেষজ পণ্যের ব্যবসা করতেন। পাশাপাশি গরুর খামারি ছিলেন তিনি। এ ছাড়া এক বছর ধরে কর্ণফুলী নদী থেকে বালু উত্তোলনের ব্যবসাও করছিলেন।
এর আগে ৬ জুলাই দুপুর ১২টায় কদলপুরে প্রকাশ্যে স্ত্রী-কন্যার সামনে মো. সেলিম উদ্দিনকে গুলি চালিয়ে হত্যা করে বোরকা পরা অস্ত্রধারীরা। পরে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে তারা পালিয়ে যায়। তাদের পালিয়ে যাওয়ার একটি সিসিটিভি ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
এ ছাড়া ১ সেপ্টেম্বর রাউজানের সাবেক সংসদ সদস্য ফজলে করিমের বাগানবাড়ি থেকে মো. ইউসুফ মিয়া নামের একজনের লাশ উদ্ধার করা হয়। নিখোঁজের চার দিন পর ২৯ অক্টোবর উরকিরচর ইউনিয়নের মইশকরম এলাকায় পাওয়া যায় আজম খান নামের একজনের লাশ। নিখোঁজের তিন দিনের মাথায় ১১ নভেম্বর মেলে ওলামা লীগের সদস্য আবু তাহেরের লাশ। ২৪ জানুয়ারি সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হন ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর আলম। ১৯ ফেব্রুয়ারি যুবলীগের কর্মী মুহাম্মদ হাসানকে পিটিয়ে হত্যা করে একদল দুর্বৃত্ত।
বিএনপির নেতাদের বিরুদ্ধে ফেসবুকে পোস্ট দেওয়াকে কেন্দ্র করে ১৫ মার্চ পিটুনি ও ছুরিকাঘাতে নিহত হন কমরউদ্দিন জিতু। ২১ মার্চ পূর্ব গুজরা ইউনিয়নের বৃহত্তর হোয়ারাপাড়ায় পিটিয়ে হত্যা করা হয় মো. রুবেলকে। ৪ এপ্রিল হলদিয়া ইউনিয়নের ইয়াছিন নগরে মা ও দুই ভাইয়ের হাতে প্রকৌশলী নূর আলম বকুল খুন হন বলে অভিযোগ ওঠে। ১৭ এপ্রিল পাহাড়তলী ইউনিয়নের মহামুনি দীঘি থেকে খানপাড়া গ্রামের মো. ইব্রাহিমের ছেলে মো. জাফরের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ১৯ এপ্রিল রাতে গুলি করে এবং চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয় বাগোয়ান ইউনিয়নের গরিব উল্লাহ পাড়ার আবদুল্লাহ মানিককে। এর ঠিক তিন দিন পর ২২ এপ্রিল দোকানে ডেকে এনে মাথায় গুলি চালিয়ে হত্যা করা হয় সদর ইউনিয়নের শমশেরনগর গাজীপাড়া এলাকার বাসিন্দা যুবদল নেতা মো. ইব্রাহিমকে।
এসব ঘটনার মধ্যে ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর হত্যা মামলায় পাঁচ এবং যুবলীগের কর্মী হাসান হত্যা মামলায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। যদিও পুলিশ বলছে, শতাধিক আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে স্বজনদের অভিযোগ, অনেক হত্যায় জড়িত ব্যক্তিরা এলাকায় ঘুরলেও পুলিশ ধরছে না।
নিহত আব্দুল হাকিমের ভাই মুহাম্মদ পারভেজ জানান, তাঁর ভাইয়ের সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে কারও শত্রুতা ছিল না। তিনি গিয়াস উদ্দিন কাদেরের অনুসারী। কী কারণে তাঁকে হত্যা করা হলো, তা তদন্ত করে দোষীদের শাস্তির দাবি করেন পারভেজ।
নিহত যুবদল নেতা সেলিম উদ্দিনের স্ত্রী ফেরদৌস আকতার বলেন, ‘চোখের সামনে বোরকা পরা সন্ত্রাসীরা গুলি করে আমার স্বামীকে হত্যা করেছে। আমি খুনিদের বিচার চাই।’
নিহত কমর উদ্দিনের স্ত্রী ডেইজি আকতার বলেন, ‘আমার স্বামীকে বাজারে প্রকাশ্যে হত্যা করা হয়েছে। আমি নাম উল্লেখ করে মামলা করলেও পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করছে না।’
অপরাধী কোনো দলের হতে পারে না উল্লেখ করে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা যুবদলের সহসভাপতি ও রাউজানের সাবেক সংসদ সদস্য গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীর অনুসারী সাবের সুলতান কাজল বলেন, ‘সন্ত্রাসীদের পরিচয় সন্ত্রাসী। তারা কোনো দলের হতে পারে না। আমাদের নেতা গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী সন্ত্রাসীদের সমর্থন করেন না। আমরা রাউজানের বর্তমান পরিস্থিতির অবসান চাই। এভাবে চলতে পারে না।’ তিনি আরও বলেন, রাউজানে এখনো স্বৈরাচারের অনেক দোসর থেকে গেছে। যারা আগের রূপ পাল্টে চলার চেষ্টা করছে। তাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে টাকা কামানো। আমরা ১৭ বছর নির্যাতিত ছিলাম। হামলা-মামলার শিকার হয়েছি। রাজপথে থেকে রাজনীতি করেছি। আমরা কোনো অপরাধীকে প্রশ্রয় দিতে রাজি না।’
রাউজান উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও উত্তর জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক গোলাম আকবর খোন্দকারের অনুসারী জসিম উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘রাউজানে কঠিন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। একের পর এক হত্যাকাণ্ড হলেও এগুলো থামানো যাচ্ছে না। পুলিশ-প্রশাসন আসামিদের গ্রেপ্তার করছে না। পুলিশের ভূমিকা না থাকায় আসামিদের সাহস বেড়ে যাচ্ছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আধিপত্য বিস্তার রাউজানে এই মুহূর্তে বড় ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমরা যুবদলের কর্মী আলম হত্যার বিচার চাই।’
তবে রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, ‘রাউজানে হত্যাকাণ্ডগুলোর ৬টি হয়েছে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে। বাকিগুলো পারিবারিক বা অন্য কারণে হয়েছে। আমরা তো মামলা নিচ্ছি। পরে তদন্তে দেখা যায়, এগুলো হত্যাকাণ্ড না। তারপরও প্রতিটি ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা করা হচ্ছে।’ ৬টি হত্যা মামলায় ৩০ আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি। মোট মামলায় ৮০-৯০ আসামি গ্রেপ্তারের বিষয়টি তিনি উল্লেখ করেন।
এ বিষয়ে রাউজান-রাঙ্গুনিয়া সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মো. বেলায়েত হোসেন বলেন, ‘আধিপত্য বিস্তার থামানো যাচ্ছে না বলেই রাউজানে বেশি হত্যাকাণ্ড হচ্ছে। অন্তঃকোন্দল ও গ্রুপিং (বিভক্তি) বারবার সামনে আসছে।’ তিনি আরও বলেন, রাউজানে পাহাড়-টিলা রয়েছে। অপরাধীরা হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে পাহাড়ে চলে যায়। যার কারণে পুলিশের পক্ষে কঠিন হয়ে যায় অপরাধীদের ধরা। তারপরও আমরা পিছিয়ে নেই। শতাধিক সন্ত্রাসী ইতিমধ্যে গ্রেপ্তার হয়েছে। অনেকে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। আমরা আমাদের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’

রাজশাহীর বাগমারা উপজেলায় আগুনে পুড়ে মারা যাওয়া স্কুলশিক্ষিকা ফরিদা ইয়াসমিনের এক ছেলেও চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। ঢাকায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার রাতে ফরিদার ছেলে রাফিউল বাশার (১৮) মারা যান। রাফিউলের শরীরের ৫০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। বাগমারা থা
০১ জুলাই ২০২৩
পুরান ঢাকার বংশালের আগামসিহ লেনে মো. সজীব হোসেনকে (২০) পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তাঁর স্বজনেরা। সজীবের মায়ের অভিযোগ, মেয়েবন্ধুর মামা ১৫ দিন আগে সজীবকে হত্যার হুমকি দিয়েছিলেন। তাঁর ছেলেকে তাঁরাই খুন করেছেন।
২ মিনিট আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর) আসনে বিএনপির নেতা-কর্মীদের অন্তর্দ্বন্দ্ব ক্রমেই প্রকট হয়ে উঠছে। সংঘাতে প্রাণ গেছে দলের দুই কর্মীর। একই স্থানে সমাবেশ ডাকাকে কেন্দ্র করে ঘটেছে সংঘাত। হয়েছে পাল্টাপাল্টি মামলা। বিপরীতে এর মধ্যে ভোটের মাঠ অনেকটাই গুছিয়ে এনেছে বিএনপির
৪ মিনিট আগে
ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের সাবেক চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলামকে গ্রেপ্তারের পর বিভিন্ন স্থানে আন্দোলন শুরু হয়েছে। গত শনিবার মধ্যরাতে রংপুর শহরে প্রতিষ্ঠানটির কার্যালয় অবরোধ করেন গ্রাহকেরা। এরপর গতকাল রোববার শহরে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন তাঁরা।
১২ মিনিট আগে