Ajker Patrika

আজ পুঠিয়ার মাইপাড়া গণহত্যা দিবস

পুঠিয়া (রাজশাহী) প্রতিনিধি 
আজ পুঠিয়ার মাইপাড়া গণহত্যা দিবস

১৯৭১ সালে এ দেশের নানা প্রান্তে পাকিস্তানি সেনাদের চালানো হত্যাযজ্ঞের মধ্যে একটি হলো রাজশাহী জেলার পুঠিয়া উপজেলা। পুঠিয়া উপজেলার মাইপাড়া গ্রামজুড়ে বেলা ২টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত চালায় তাণ্ডব। সেই তারিখটি ছিল ১২ এপ্রিল। 

আজ পুঠিয়ার মাইপাড়া গণহত্যা দিবস। মহান মুক্তিযুদ্ধে বিজয় অর্জনের পর থেকে এই এলাকায় দিবসটি ছোট পরিসরে পালিত হয়ে আসছে। 

স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধা ও প্রবীণদের তথ্য অনুযায়ী, এ দিনে প্রায় ২৮০-৩০০ জন সাধারণ মানুষ গণহত্যার শিকার হয়েছিলেন। তবে বিড়ালদহ এলাকায় নির্মিত মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিসৌধে ১১৮ জনের নামের তালিকা রয়েছে। শহীদদের মধ্যে অধিকাংশ ছিলেন বহিরাগত ও অপরিচিত। আর পাকিস্তানি সেনারা অনেক শহীদের লাশ একত্রে অগ্নিসংযোগ করে পুড়িয়ে দেয়। যার কারণে সকলের পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি। এদিকে স্বাধীনতার ৫২ বছর পূর্ণ হলেও উপজেলার বিহারিপাড়ার সেই গণকবরটি আজও জরাজীর্ণ ও অরক্ষিত অবস্থায় পড়ে আছে। 

 ১২ এপ্রিল ঘটে যাওয়া হত্যাযজ্ঞের বিষয় উল্লেখ করে বানেশ্বর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও বীর মুক্তিযোদ্ধা গাজি সুলতান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ওই দিন ছোট বাচ্চা থেকে বৃদ্ধ পর্যন্ত কেউ পাকবাহিনীর হাত থেকে রেহাই পায়নি। পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে মানুষের বাড়িঘর, গরু-ছাগল। এলাকায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে ছিল শত শত মানুষের লাশ। কয়েক দিন পর্যন্ত ওই শহীদদের লাশগুলো শেয়াল-কুকুরে খেয়েছে। আবার কোথাও কোথাও লাশের স্তূপে পাকবাহিনীরা ডিজেল-পেট্রল ঢেলে পুড়িয়ে ছাই করে দিয়েছে। 

বীর মুক্তিযোদ্ধা গাজি সুলতান আরও বলেন, স্বাধীনতার ৫২ বছর হয়ে গেল কিন্তু বিহারিপাড়া এলাকায় গণকবরটির আজও সঠিক মূল্যায়ন করা হয়নি। তবে এটা সম্মানের যে বিড়ালদহ গণহত্যায় শহীদদের নামে মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করা হয়েছে। 

স্থানীয় প্রবীণ ব্যক্তি ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি কাজি মুক্তাদির শরিফ (৬৮) বলেন, ‘১৯৭১ সালে আমার বয়স ১৪ বছর। সে সময় আমি অষ্টম শ্রেণিতে পড়াশোনা করি। ১২ এপ্রিল ঠিক দুপুর ১২টার দিকে সাজোঁয়াযানসহ পাকসেনারা মাইপাড়ায় অবস্থান নেয়। স্থানীয় রাজাকারদের সহযোগিতায় বেলা ২টার দিকে মাইপাড়া লোহার ব্রিজের কাছ থেকে হত্যাযজ্ঞ চালানো শুরু করে। বৃষ্টির মতো গুলি আর মর্টার শেলের আঘাতে স্তব্ধ হয়ে যায় আশপাশের কয়েকটি গ্রাম। মুহূর্তের মধ্যে অগ্নিকাণ্ডের ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে যায়। চারদিকে মানুষ, গরু-ছাগল পোড়া গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে। এলাকার লোকজন এদিক-সেদিক ছোটাছুটি করে পালিয়ে আত্মরক্ষা করেছেন।’ 

রাজশাহী পুঠিয়া উপজেলার বিহারিপাড়া এলাকার গণকবরমুক্তাদির শরীফ আরও বলেন, সন্ধ্যার দিকে বৃষ্টি শুরু হলে গুলির আওয়াজ থেমে যায়। এরপর ওই রাতে পাকসেনারা রাজশাহী শহরের দিকে চলে যায়। পরে ওই রাতে কেউ কেউ বাড়ি-ঘর দেখতে আসেন। সে সময় চারদিকে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে আছে লাশ আর লাশ। পাকবাহিনীরা কোথাও কোথাও লাশের স্তূপ করে অগ্নিসংযোগ করেছিল। 

১৯৭১ সালের ওই দিনে ঘটে যাওয়া ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে ছায়দুল ইসলাম (৭২) নামে মাইপাড়া গ্রামের প্রবীণ বাসিন্দা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘১২ এপ্রিল আমাদের মাইপাড়া গ্রামের জন্য একটি মর্মান্তিক দিন ছিল। ওই গ্রামে দেশীয় দোসরদের সহযোগিতায় পাকবাহিনী চারদিক থেকে ঘিরে ফেলে। সেদিন গুলি ও শেলের আঘাতের কাছে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা পিছু হটতে বাধ্য হন। আর পাকবাহিনী এলাকাজুড়ে গণহত্যা আর অগ্নিসংযোগ চালিয়েছে। সেদিন তাদের হাত থেকে পশু-পাখিও রেহাই পায়নি। বাতাসে চারদিকে শুধু পোড়া লাশের দুর্গন্ধ ভেসে আসে। ঘটনার দুদিন পর বেঁচে থাকা লোকজন এলাকায় আসতে শুরু করেন। তাঁরা নিজেদের পরিচিত শহীদদের শনাক্ত করে পারিবারিক গোরস্থানে দাফন করেছেন। আবার অনেকের চেহারা বীভৎস হওয়ায় তাঁদের পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি। সে কারণে তাদের একত্রিত করে বিভিন্ন জঙ্গলের ফাঁকা স্থানে মাটিতে পুঁতে রাখা হয়েছিল।’

ছায়দুল ইসলাম আরও বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিসৌধে ১১৮ জনের নাম তালিকা থাকলেও ওই দিন কমপক্ষে ২৮০ থেকে ৩০০ জন শহীদ হয়েছিলেন।’

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও ভারপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার নুরুল হাই মোহাম্মদ আনাছ আজকের পত্রিকাকে বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় নিহতের গণকবরগুলো সরকার সংরক্ষণ ও সংস্কারে কাজ করছেন। এটা সারা দেশেই পর্যায়ক্রমে হচ্ছে। বিহারিপাড়ার গণকবরের বিষয়টি সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রূপের ঈর্ষায় ৩ মেয়েশিশুকে চুবিয়ে হত্যা, দেখে ফেলায় রেহাই পায়নি নিজের ছেলে

কে এই কৃষ্ণ নন্দী, তাঁকে জামায়াত প্রার্থী করল কেন

এবার ৪.১ মাত্রার ভূমিকম্পে কাঁপল দেশ

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩ শিক্ষককে বরখাস্ত, পাঁচ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার

জাপানের ‘লৌহমানবী’ কি দেশকে চীনের সঙ্গে যুদ্ধের মুখে ঠেলে দিচ্ছেন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

দেশজুড়ে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টদের দ্বিতীয় দিনের অর্ধদিবস কর্মবিরতি

ঢামেক প্রতিবেদক
এর আগে ৩০ নভেম্বর ২ ঘণ্টা ও গতকাল ৩ নভেম্বর অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালন করা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
এর আগে ৩০ নভেম্বর ২ ঘণ্টা ও গতকাল ৩ নভেম্বর অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালন করা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

দশম গ্রেড বাস্তবায়নের দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ সারাদেশে সব সরকারি হাসপাতালে অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালন করছেন মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টরা।

আজ বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) সকাল ৮টা থেকে শুরু হয় তাঁদের এই কর্মসূচি। চলবে বেলা ১২টা পর্যন্ত। এর আগে, ৩০ নভেম্বর ২ ঘণ্টা ও গতকাল ৩ নভেম্বর অর্ধদিবস কর্মবিরতি করেছিলেন তাঁরা।

কর্মবিরতি পালনে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টেরা সমবেত হন ঢাকা মেডিকেলের বহির্বিভাগে। আন্দোলনে নেতারা জানান, মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টদের ১০ম গ্রেড বাস্তবায়নের ফাইলটি জনপ্রশাসনে মন্ত্রণালয়ে প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এটি সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগ ও মন্ত্রণালয়ে বারবার উপস্থাপিত হয়ে আসছে। কিন্তু দুঃখের বিষয়, নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে আন্দোলন, সংগ্রাম, দাপ্তরিক চিঠি চালাচালি, জনপ্রশাসন বিধি শাখার সব চাহিদা পূরণ করা সত্ত্বেও সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সদিচ্ছার অভাব, আমলাতান্ত্রিক জটিলতা ও নানাবিধ উদ্দেশ্যে মন্ত্রণালয় অবিরতভাবে সময়ক্ষেপণ ও জটিলতা তৈরি করছে।

অথচ এর আগে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার, ডিপ্লোমা নার্স ও ডিপ্লোমা কৃষিবিদরা ১১তম গ্রেড থেকে ১০ম গ্রেডে উন্নীত হয়েছে। দাবি মেনে নেওয়া না হলে এরপর কঠোর কর্মসূচি পালন করা হবে হুঁশিয়ারি দেন নেতারা।

তবে, হাসপাতালের জরুরি বিভাগ এই কর্মবিরতির আওতার বাইরে থাকবে বলে জানান তাঁরা।

এই কর্মবিরতিতে হাসপাতালে আগত রোগীদের দুর্ভোগ পোহাতে দেখা গেছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এই ভোগান্তি আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রূপের ঈর্ষায় ৩ মেয়েশিশুকে চুবিয়ে হত্যা, দেখে ফেলায় রেহাই পায়নি নিজের ছেলে

কে এই কৃষ্ণ নন্দী, তাঁকে জামায়াত প্রার্থী করল কেন

এবার ৪.১ মাত্রার ভূমিকম্পে কাঁপল দেশ

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩ শিক্ষককে বরখাস্ত, পাঁচ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার

জাপানের ‘লৌহমানবী’ কি দেশকে চীনের সঙ্গে যুদ্ধের মুখে ঠেলে দিচ্ছেন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

নেছারাবাদে স্কুলঘেঁষা বালুর পাহাড়! শিক্ষার্থীদের নিত্যসঙ্গী ধুলা-দুর্ভোগ

নেছারাবাদ (পিরোজপুর) প্রতিনিধি
বিদ্যালয়ের বাউন্ডারির পাশে ও প্রধান ফটকের সামনে বালুর স্তূপ। ছবি: আজকের পত্রিকা
বিদ্যালয়ের বাউন্ডারির পাশে ও প্রধান ফটকের সামনে বালুর স্তূপ। ছবি: আজকের পত্রিকা

নেছারাবাদের ৪৭ নম্বর পশ্চিম কামারকাঠি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ঘেঁষে বালুর স্তূপ রেখে ব্যবসা করছেন এক ব্যক্তি। বিদ্যালয়ের বাউন্ডারির পাশে ও প্রধান ফটকের সামনে এভাবে বালুর স্তূপ করায় মারাত্মক ভোগান্তিতে পড়েছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষকেরা জানান, বাতাসে উড়ে আসা বালুর কারণে শিক্ষার্থীরা ঠিকমতো মাঠে খেলাধুলা করতে পারছে না। শুধু তা-ই নয়, বালু ঢুকে নোংরা হচ্ছে ক্লাসরুম, ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বিদ্যালয়ের স্বাভাবিক কার্যক্রম। এতে অ্যালার্জিসহ শরীরে নানা রোগের আশঙ্কা করছেন শিক্ষক ও অভিভাবকেরা।

বিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা বলেন, প্রতিদিনই ক্লাসরুমে বালুর স্তর জমে থাকে। বারবার পরিষ্কার করেও কোনো স্থায়ী সমাধান হচ্ছে না। দীর্ঘদিন ধরে এমন পরিস্থিতি চলছে।

বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. মনিরুল ইসলাম রনি বলেন, বিদ্যালয়ের পাশে একটি পুকুর ছিল। পুকুরটি ভরে এখন বালুর ব্যবসা করা হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘আমাদের বিদ্যালয়টি নদীর পাশে। বাতাস এলে বালু উড়ে এসে শ্রেণিকক্ষ ময়লা হয়। ক্লাস করতে কষ্ট হয় বাচ্চাদের। বালুর কারণে মাঠে খেলতে পারে না শিক্ষার্থীরা।’

জানা গেছে, নেছারাবাদ উপজেলার মো. রফিকুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি ওই স্কুলের পাশে বালু রেখে ব্যবসা করে আসছেন। ব্যবসার শুরুতে তিনি একটি টিনের বেড়া দিয়েছিলেন। কয়েক মাস আগে বেড়াটি খুলে ফেলা হয়। এতে চরম ভোগান্তি ও স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়েছে বিদ্যালয়ের ছোট শিক্ষার্থীরা।

স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. নুরুল আমীন লিটন বলেন, ‘মো. রফিকুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি স্কুলের পাশে বালুর ব্যবসা করছেন। এতে বিদ্যালয়ের অনেক সমস্যা হচ্ছে।’

এ বিষয়ে অভিভাবক ও এলাকাবাসীর অভিযোগ, বিদ্যালয়ের পাশে এ ধরনের অবৈধ ব্যবসা শিক্ষা কার্যক্রমে মারাত্মক ব্যাঘাত সৃষ্টি করছে। তারা দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

এ ব্যাপারে কথা বলার জন্য ওই বালু ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাঁকে পাওয়া যায়নি।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শারিতা সরমিন বলেন, ‘বালু ব্যবসার শুরুতে তারা একটি টিনের বেড়া দিয়েছিল। এখন সেই বেড়া খুলে ফেলেছে। বাতাসে বালু এসে শ্রেণিকক্ষ নষ্ট হচ্ছে। বালুর কারণে খেলার মাঠ ব্যবহার করতে পারছে না শিক্ষার্থীরা। এতে ক্রমেই স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়ছে শিক্ষার্থীরা।’

নেছারাবাদ উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা খোন্দকার জসিম আহমেদ বলেন, ‘বিষয়টি এত দিন কেউ আমাকে জানায়নি। এভাবে বিদ্যালয়ের ক্ষতি করে ব্যবসা করতে পারবে না। আমি আইনগত ব্যবস্থা নেব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রূপের ঈর্ষায় ৩ মেয়েশিশুকে চুবিয়ে হত্যা, দেখে ফেলায় রেহাই পায়নি নিজের ছেলে

কে এই কৃষ্ণ নন্দী, তাঁকে জামায়াত প্রার্থী করল কেন

এবার ৪.১ মাত্রার ভূমিকম্পে কাঁপল দেশ

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩ শিক্ষককে বরখাস্ত, পাঁচ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার

জাপানের ‘লৌহমানবী’ কি দেশকে চীনের সঙ্গে যুদ্ধের মুখে ঠেলে দিচ্ছেন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

নোয়াখালীতে বিআরটিসির ডিপোতে দুটি দোতলা বাসে আগুন

নোয়াখালী প্রতিনিধি
আগুনে পুড়ে যাওয়া বাস। ছবি: আজকের পত্রিকা
আগুনে পুড়ে যাওয়া বাস। ছবি: আজকের পত্রিকা

নোয়াখালীতে বিআরটিসির ডিপোতে দুটি দোতলা বাসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এতে বাস দুটি সম্পূর্ণ পুড়ে যায়। পুড়ে যাওয়া বাস দুটি নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের যাতায়াতে ব্যবহার করা হতো। বুধবার দিবাগত গভীর রাতে সোনাপুর বিআরটিসির ডিপোতে এই ঘটনা ঘটে।

বিআরটিসি নোয়াখালীর ম্যানেজার (অপারেশন) আরিফুর রহমান তুষার জানান, প্রতিদিনের মতো ডিপোতে বাসগুলো আসার পর রাতে সিকিউরিটি গেট বন্ধ করে দেয়। রাত আড়াইটার দিকে হঠাৎ দুটি গাড়িতে আগুন জ্বলতে দেখেন ভেতরে থাকা কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। দ্রুত তাঁরা আগুন জ্বলতে থাকা বাস দুটির পাশ থেকে অন্য গাড়িগুলো সরিয়ে নেন। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে আগুন নেভান।

আরিফুর রহমান আরও জানান, দুর্বৃত্তরা রশি ব্যবহার করে বিআরটিসি ডিপোর দেয়াল টপকে ভেতরে প্রবেশ করে এই ঘটনা ঘটিয়েছে। এ বিষয়ে ঊধ্বর্তন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। পরে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আগুনে পুড়ে যাওয়া বাস। ছবি: আজকের পত্রিকা
আগুনে পুড়ে যাওয়া বাস। ছবি: আজকের পত্রিকা

মাইজদী ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার শামসুল আলম জানান, খবর পেয়ে মাইজদী ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রায় এক ঘণ্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রূপের ঈর্ষায় ৩ মেয়েশিশুকে চুবিয়ে হত্যা, দেখে ফেলায় রেহাই পায়নি নিজের ছেলে

কে এই কৃষ্ণ নন্দী, তাঁকে জামায়াত প্রার্থী করল কেন

এবার ৪.১ মাত্রার ভূমিকম্পে কাঁপল দেশ

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩ শিক্ষককে বরখাস্ত, পাঁচ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার

জাপানের ‘লৌহমানবী’ কি দেশকে চীনের সঙ্গে যুদ্ধের মুখে ঠেলে দিচ্ছেন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

স্থগিতাদেশ তুলে ব্রাকসুর নতুন রোডম্যাপ প্রকাশ

বেরোবি সংবাদদাতা
স্থগিতাদেশ তুলে ব্রাকসুর নতুন রোডম্যাপ প্রকাশ

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (বেরোবি) কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (ব্রাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের স্থগিতাদেশ তুলে নতুন রোডম্যাপ প্রকাশ করেছে ব্রাকসু নির্বাচন কমিশন। বুধবার (৩ ডিসেম্বর) রাত ৯টায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মো. শাহজামানসহ সকল কমিশনারের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়। এ ছাড়াও এক‌ই সময়ে সাম্প্রতিক বিষয় নিয়ে যৌথ বিবৃতিও দেয় কমিশন।

নতুন রোডম্যাপ অনুযায়ী, ৪ ও ৭ ডিসেম্বর প্রাথমিক তালিকা সম্পর্কে প্রার্থীদের আপত্তি গ্রহণ ও নিষ্পত্তি এবং ৭ ডিসেম্বর বেলা ২টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত মনোনয়নপত্র বিতরণ, ৮ ও ৯ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র বিতরণ ও দাখিল (ডোপ টেস্টের রিপোর্টসহ), ১০ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র বাছাই ও প্রার্থীদের প্রাথমিক তালিকা প্রকাশ, ১১ ডিসেম্বর প্রাথমিক তালিকা সম্পর্কে প্রার্থীদের আপত্তি গ্রহণ ও নিষ্পত্তি এবং ২৪ ডিসেম্বর সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ শেষে ভোট গণনা এবং গণনা শেষে ফলাফল ঘোষণা করা হবে‌।

ব্রাকসুর সকল কমিশনারের স্বাক্ষরিত যৌথ বিবৃতিতে জানানো হয়, তফসিল অনুযায়ী নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে মনোনয়নপত্র বিতরণ কার্যক্রম চলমান থাকাকালে ভোটার তালিকায় উল্লেখযোগ্য অসংগতি শনাক্ত হ‌ওয়ায় নির্বাচন কমিশন নীতিগত কারণে নির্বাচনী কার্যক্রম সাময়িকভাবে স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছিল। নির্বাচন কমিশন আগেও জানিয়েছে, এখনো স্পষ্ট বলছে, নির্বাচন-সংক্রান্ত যেকোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে কোনো ব্যক্তি, গ্রুপ বা পক্ষের চাপ বা প্রভাব ছিল না এবং এ ধরনের অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন, অসত্য ও বিভ্রান্তিকর।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, নির্বাচন কমিশন সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ, স্বশাসিত ও স্বতন্ত্র কমিশন। বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থীর সমান অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা, একটি সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য ও আইনি মানসম্মত নির্বাচন আয়োজন করা কমিশনের প্রধান দায়িত্ব। ভুল ভোটার তালিকার ভিত্তিতে নির্বাচন পরিচালনা করলে নির্বাচনপ্রক্রিয়া প্রশ্নবিদ্ধ হওয়ার ঝুঁকি ছিল, তাই প্রয়োজনীয় সংশোধন সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচনী কার্যক্রম সাময়িকভাবে স্থগিত রাখা হয়েছিল।

কোনো পক্ষ, সংগঠন বা ব্যক্তির স্বার্থে কমিশন কখনোই কাজ করেনি এবং পরবর্তী সময়েও করবে না। কমিশন শুধু বিশ্ববিদ্যালয়ের নীতি, ব্রাকসু ও হল শিক্ষার্থী সংসদ নির্বাচনের গঠনতন্ত্র, নির্বাচন নীতিমালা ও তথ্যভিত্তিক বাস্তব পরিস্থিতির আলোকে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। শিক্ষার্থীদের কাছে আহ্বান—গুজব, অপপ্রচার ও ভুল তথ্য পরিহার করে দায়িত্বশীল আচরণ করুন। ভোটার তালিকা সংশোধন কার্যক্রম দ্রুত সম্পন্ন হ‌ওয়ামাত্রই নির্বাচন কমিশন পরবর্তী নির্বাচনী কার্যক্রম শুরু করেছে। সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ নির্বাচন নিশ্চিত করতে নির্বাচন কমিশন সব সময় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

উল্লেখ্য, এর আগে ১ ডিসেম্বর বিকেলে জরুরি সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীদের ভোটার তালিকায় অসংগতি থাকার কারণ দেখিয়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য কার্যক্রম স্থগিত করেছিল নির্বাচন কমিশন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রূপের ঈর্ষায় ৩ মেয়েশিশুকে চুবিয়ে হত্যা, দেখে ফেলায় রেহাই পায়নি নিজের ছেলে

কে এই কৃষ্ণ নন্দী, তাঁকে জামায়াত প্রার্থী করল কেন

এবার ৪.১ মাত্রার ভূমিকম্পে কাঁপল দেশ

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩ শিক্ষককে বরখাস্ত, পাঁচ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার

জাপানের ‘লৌহমানবী’ কি দেশকে চীনের সঙ্গে যুদ্ধের মুখে ঠেলে দিচ্ছেন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত