সারিয়াকান্দি (বগুড়া) প্রতিনিধি
বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে নিখোঁজ ভাইবোনের মরদেহ উদ্ধার করেছে রাজশাহী ডুবুরি দল। আজ মঙ্গল সকাল সাড়ে ৭টায় নিরা আক্তারের (১২) ও সাড়ে ১০টায় তার ভাই জিসানের (৮) মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
উদ্ধার হওয়া দুজন উপজেলার পৌর এলাকার চরবাটিয়া গ্রামের মশিদুল সরকারের সন্তান।
জানা যায়, গতকাল সোমবার সকালে প্রতিদিনের মতো নিরা আক্তার উপজেলা পৌর এলাকার চরবাটিয়া গ্রাম থেকে খেয়ানৌকায় যমুনা নদী পাড়ি দিয়ে উপজেলা সদরের মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে পড়তে গিয়েছিল। সে সারিয়াকান্দি পাইলট বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী। দুপুর ১টায় তার স্কুল ছুটি হয়। স্কুল ছুটি হলে আবারও সে খেয়ানৌকায় যমুনা নদী পাড়ি দিয়ে নিজ বাড়ি বাটির চরে ফিরে আসে। বাড়িতে এসে তার ছোট ভাই জিসানকে নিয়ে সে যমুনা নদীতে গোসল করতে যায়। এ সময় মা তাদের নদীতে গোসল করতে যেতে নিষেধ করেন। কিন্তু তারা মায়ের কথা না মেনে চলে যায়। গোসল করার একপর্যায়ে তারা দুজনই যমুনায় নিখোঁজ হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী রাজিব মিয়া (৬) বলে, ‘নিরা, জিসান, আশরাফুল, জিম, আলেফা, জান্নাতিসহ কয়েকজন হামরা দলবান্দে যমুনা নদীতে গোসল করবের গেছিলেম। একসময় দেকি জিসান ভাসে যাচ্চে। তকন হামি ওর বোন নিরাকে জানাই। নিরা তকন জিসানক বাঁচানোর জন্য তার কাছে যায়। হামরা ছোট বাচ্চারা কয়েকজন চেষ্টা করে জিসানোক টানে নিয়ে আসি। কিন্তু ততক্ষণে দেখি নিরা বেশি পানিতে ডুবাডুবি করিচ্চে। নিরার ডুবাডুবি দেকে জিসান আবার ওর বোনকে ধরার জন্যে নিরার কাছে যায়। এ রকম করতেই দুজনই পানিতে তলে যায়। নদীপাড়ে একজন লুঙ্গি পরা বড় মানুষ দাঁড়ে আছিল। হামরা তাক এতই কলেম, কিন্তু লুঙ্গি ভিজার ভয়ে তাই পানিত নামল না।’
নিরার বাবা মশিদুল সরকার বলেন, ‘হামি হামার বড় ছেলে নীরব মিয়াকে নিয়ে ধান ভাঙার জন্যে উপজেলা সদর সারেখান্তি গেছিলেম। জোহরের নামাজের আজানের পর জিসানের স্কুলের দপ্তরি মোবাইলে হামাক কয় যে জিসান আর নিরা পানিত পড়ছে। তখনই হামি নদীর পাড়ে আসে দেকি নদীর পাড়ত মানুষ জড়ো হয়া গেছে। হামার দুই ছোলই তো সাঁতার জানে। কেমনে হামার বাবা-মা চলে গেল। বড় বড় বন্যাত হামার বাড়িত এক কোমর করে পানি হছে। তাও হামার বড় কোনো ক্ষতি হয়নি। আজ শুকনে নদী হামার বাবা-মাক কাড়ে নিল।’
নিরার মা নাজমা বেগম বলেন, ‘হামি হামার বাবা-মাক নদীতে গোসল করবের মানা করছিলেম। কার ডাকে যে ওরা হামার কতা শুনল না। হামার বাবা-মাক একসঙ্গে যমুনা নদী কাড়ে নিছে।’
সারিয়াকান্দি ফায়ার সার্ভিসের লিডার ময়েজ উদ্দীন বলেন, ‘সোমবার বেলা ৩টায় সংবাদ পেয়ে আমরা দ্রুত ঘটনাস্থল পরিদর্শন করি। এরপর যমুনায় নিখোঁজ শিশুদের খুঁজতে ফায়ার সার্ভিসের রাজশাহী ডুবুরি দলকে কল করি। তারা বুধবার সকালে উদ্ধার অভিযান শুরু করে। এরপর তাদের চেষ্টায় সকাল সাড়ে ৭টায় মেয়েকে এবং সাড়ে ১০টায় ছেলেকে মৃত অবস্থায় যমুনা নদী থেকে উদ্ধার করা হয়।’
সারিয়াকান্দি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, ‘যমুনায় নিখোঁজ শিশুদের উদ্ধারে সারিয়াকান্দি থানার পুলিশ ডুবুরি দলকে সার্বক্ষণিক সহযোগিতা করেছে। আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টার পর তাদের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।’
বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে নিখোঁজ ভাইবোনের মরদেহ উদ্ধার করেছে রাজশাহী ডুবুরি দল। আজ মঙ্গল সকাল সাড়ে ৭টায় নিরা আক্তারের (১২) ও সাড়ে ১০টায় তার ভাই জিসানের (৮) মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
উদ্ধার হওয়া দুজন উপজেলার পৌর এলাকার চরবাটিয়া গ্রামের মশিদুল সরকারের সন্তান।
জানা যায়, গতকাল সোমবার সকালে প্রতিদিনের মতো নিরা আক্তার উপজেলা পৌর এলাকার চরবাটিয়া গ্রাম থেকে খেয়ানৌকায় যমুনা নদী পাড়ি দিয়ে উপজেলা সদরের মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে পড়তে গিয়েছিল। সে সারিয়াকান্দি পাইলট বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী। দুপুর ১টায় তার স্কুল ছুটি হয়। স্কুল ছুটি হলে আবারও সে খেয়ানৌকায় যমুনা নদী পাড়ি দিয়ে নিজ বাড়ি বাটির চরে ফিরে আসে। বাড়িতে এসে তার ছোট ভাই জিসানকে নিয়ে সে যমুনা নদীতে গোসল করতে যায়। এ সময় মা তাদের নদীতে গোসল করতে যেতে নিষেধ করেন। কিন্তু তারা মায়ের কথা না মেনে চলে যায়। গোসল করার একপর্যায়ে তারা দুজনই যমুনায় নিখোঁজ হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী রাজিব মিয়া (৬) বলে, ‘নিরা, জিসান, আশরাফুল, জিম, আলেফা, জান্নাতিসহ কয়েকজন হামরা দলবান্দে যমুনা নদীতে গোসল করবের গেছিলেম। একসময় দেকি জিসান ভাসে যাচ্চে। তকন হামি ওর বোন নিরাকে জানাই। নিরা তকন জিসানক বাঁচানোর জন্য তার কাছে যায়। হামরা ছোট বাচ্চারা কয়েকজন চেষ্টা করে জিসানোক টানে নিয়ে আসি। কিন্তু ততক্ষণে দেখি নিরা বেশি পানিতে ডুবাডুবি করিচ্চে। নিরার ডুবাডুবি দেকে জিসান আবার ওর বোনকে ধরার জন্যে নিরার কাছে যায়। এ রকম করতেই দুজনই পানিতে তলে যায়। নদীপাড়ে একজন লুঙ্গি পরা বড় মানুষ দাঁড়ে আছিল। হামরা তাক এতই কলেম, কিন্তু লুঙ্গি ভিজার ভয়ে তাই পানিত নামল না।’
নিরার বাবা মশিদুল সরকার বলেন, ‘হামি হামার বড় ছেলে নীরব মিয়াকে নিয়ে ধান ভাঙার জন্যে উপজেলা সদর সারেখান্তি গেছিলেম। জোহরের নামাজের আজানের পর জিসানের স্কুলের দপ্তরি মোবাইলে হামাক কয় যে জিসান আর নিরা পানিত পড়ছে। তখনই হামি নদীর পাড়ে আসে দেকি নদীর পাড়ত মানুষ জড়ো হয়া গেছে। হামার দুই ছোলই তো সাঁতার জানে। কেমনে হামার বাবা-মা চলে গেল। বড় বড় বন্যাত হামার বাড়িত এক কোমর করে পানি হছে। তাও হামার বড় কোনো ক্ষতি হয়নি। আজ শুকনে নদী হামার বাবা-মাক কাড়ে নিল।’
নিরার মা নাজমা বেগম বলেন, ‘হামি হামার বাবা-মাক নদীতে গোসল করবের মানা করছিলেম। কার ডাকে যে ওরা হামার কতা শুনল না। হামার বাবা-মাক একসঙ্গে যমুনা নদী কাড়ে নিছে।’
সারিয়াকান্দি ফায়ার সার্ভিসের লিডার ময়েজ উদ্দীন বলেন, ‘সোমবার বেলা ৩টায় সংবাদ পেয়ে আমরা দ্রুত ঘটনাস্থল পরিদর্শন করি। এরপর যমুনায় নিখোঁজ শিশুদের খুঁজতে ফায়ার সার্ভিসের রাজশাহী ডুবুরি দলকে কল করি। তারা বুধবার সকালে উদ্ধার অভিযান শুরু করে। এরপর তাদের চেষ্টায় সকাল সাড়ে ৭টায় মেয়েকে এবং সাড়ে ১০টায় ছেলেকে মৃত অবস্থায় যমুনা নদী থেকে উদ্ধার করা হয়।’
সারিয়াকান্দি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, ‘যমুনায় নিখোঁজ শিশুদের উদ্ধারে সারিয়াকান্দি থানার পুলিশ ডুবুরি দলকে সার্বক্ষণিক সহযোগিতা করেছে। আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টার পর তাদের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।’
শেকৃবির আবু রায়হান বলেন, ‘ডিপ্লোমা শিক্ষার্থীদের দাবি অযৌক্তিক, তাই আমরা বিরোধিতা করছি।’ পরে শেকৃবির শিক্ষার্থীরা ডিএইর ডিজির কাছে ডিপ্লোমা শিক্ষার্থীদের দাবির বিপরীতে নিজেদের পাঁচ দফা দাবি তুলে ধরেন।
৩ মিনিট আগেসৌদি আরবে সড়ক দুর্ঘটনায় মিজানুর রহমান (৪৮) নামের বাংলাদেশি এক গাড়িচালক নিহত হয়েছেন। আজ সোমবার বাংলাদেশ সময় ভোর ৫টার দিকে সৌদি আরবের আবহা শহরের মাহাইল এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত মিজানুর রহমান চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার গুপ্টি পশ্চিম ইউনিয়নের আদশা গ্রামের মৃত এরশাদ মিজির ছেলে।
৭ মিনিট আগেফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় হঠাৎ কালবৈশাখী ঝড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে ৯ গ্রামে। ঝড়ে গাছপালা, কাঁচা-পাকা ঘরবাড়িসহ বিভিন্ন ফসলের ক্ষতি হয়েছে। বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ রয়েছে।
১৫ মিনিট আগেমচমচে শিঙাড়া। দেখলেই চোখ জুড়িয়ে যায়। ত্রিকোণ বা পিরামিড আকৃতির এই খাবার সবার কাছেই ভীষণ লোভনীয়। একটু খিদে মেটাতে দুপুরের আগে বা বিকেলে শিঙাড়া অসম্ভব এক তৃপ্তি আনে। কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলায় এই শিঙাড়া নিয়ে ঘটেছে এক মজার ঘটনা। পাঁচ বন্ধু মিলে অর্ডার করে বানিয়েছেন দুই কেজি করে ওজনের দুটি শিঙাড়া।
১৮ মিনিট আগে