পুঠিয়া (রাজশাহী) প্রতিনিধি
রাজশাহীর পুঠিয়ায় গত কয়েক দিন থেকে জ্বর-সর্দিসহ নানা রোগে আক্রান্ত শিশু রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে এর প্রভাব পড়ছে শিশুদের ওপর বলে জানিয়েছে চিকিৎসকেরা। তবে আতঙ্কিত না হয়ে যথাযথ নিয়মে চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করলে দুই তিন দিনেই শিশুরা স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরবেন বলে জানিয়েছেন তাঁরা।
আজ সোমবার সকালে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ঘুরে দেখা গেছে, শিশু ওয়ার্ড রোগীতে পরিপূর্ণ। বেশির ভাগ শিশু রোগী শ্বাসকষ্ট, জ্বর-সর্দিতে আক্রান্ত। ওয়ার্ডে জায়গা সংকুলান না হওয়ায় কিছু শিশুকে মহিলা ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে। অপরদিকে বহির্বিভাগে চিকিৎসা সেবা নিতে আসা অধিকাংশ রোগীই শিশু। বহির্বিভাগে আগত শিশুরা সর্দি-জ্বর ও কাশিতে আক্রান্ত। রোগীদের অভিভাবকেরা টিকিটের জন্য দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন। আবার অনেক চিকিৎসকের ডাকের অপেক্ষায় বাচ্চাদের কোলে নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন।
টিকিট কাউন্টারে কর্মরতরা বলেন, গত ১০-১৫ দিন থেকে হাসপাতালে শিশু রোগীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। প্রায় প্রতিদিন গড়ে শতাধিক শিশু রোগী আসছে বহির্বিভাগে। জরুরি বিভাগেও প্রায় একই অবস্থা।
জরুরি বিভাগের সহকারী চিকিৎসক রফিকুল ইসলাম বলেন, প্রতিদিন জরুরি বিভাগে গড়ে দেড় শতাধিক রোগী সেবা নিতে আসেন। তাঁদের মধ্যে শিশু রোগীর সংখ্যা বেশি। তবে শিশুরা গুরুতর হলে তাদের হাসপাতালে ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
ঝলমলিয়া গ্রামের আবেদা খাতুন নামে এক শিশুর মা বলেন, আমার মেয়ের বয়স ৪ বছর। গত তিন দিন থেকে তার প্রচণ্ড জ্বর ও কাশি শুরু হয়েছে। এলাকার একজন গ্রাম্য চিকিৎসক দেখিয়েছিলাম। দুই দিন ওষুধ খাইয়েছি কিন্তু কমছে না। তাই আজ সকালে শিশু ডাক্তার দেখাতে হাসপাতালে নিয়ে এসেছি। হাসপাতালে আজ শিশু রোগীর সংখ্যা বেশি থাকায় অনেক ভিড় রয়েছে।
ময়না আকতার নামে অপর এক রোগীর মা বলেন, এখন প্রায় বাড়িতে বাচ্চাদের জ্বর-সর্দি কাশি দেখা দিয়েছে। এ হাসপাতালে একজন মাত্র শিশু ডাক্তার। তাও তিনি আসেন সপ্তাহে সর্বোচ্চ তিন দিন। যার কারণে বেশির ভাগ বাচ্চাদের অভিভাবকেরা হাসপাতালের জরুরি বিভাগ বা স্থানীয় চিকিৎসকদের কাছে সেবা নেন।
কাউসার আহম্মদ নামে অপর এক অভিভাবক বলেন, গতকাল রোববার বিকেল থেকে আমার মেয়ের জ্বর। তাই আজ এসেছি হাসপাতালে। লম্বা ভিড় ঠেলে ডাক্তারের কাছে গেলে করোনারসহ তিনটি পরীক্ষা দিয়েছেন। পরীক্ষার রিপোর্ট আসলে ব্যবস্থাপত্র দেওয়া হবে।
এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জুনিয়র কনসালট্যান্ট মেডিসিন (শিশু) ডাক্তার শুভ্র প্রকাশ পাল বলেন, আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে কখনো ঠান্ডা কখনো গরম পড়ছে। এ কারণে শিশুরা শ্বাসকষ্ট, জ্বর-সর্দিসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। গত কয়েক দিন শিশু রোগীর সংখ্যা অনেক বেড়ে গেছে। আমরা সকল শিশু রোগীদের যথাযথ চিকিৎসা সেবা দিচ্ছি।
শুভ্র প্রকাশ পাল আরও বলেন, সঠিক নিয়মে চিকিৎসা গ্রহণ করলে দুই-তিন দিনের মধ্যে বাচ্চারা সুস্থ হয়ে যাবে। তবে গুরুতর বাচ্চাদের এখানে ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এ আবহাওয়ায় শুধু আক্রান্ত শিশুদের নয়, সুস্থ শিশু যেন আক্রান্ত না হয় সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে।
রাজশাহীর পুঠিয়ায় গত কয়েক দিন থেকে জ্বর-সর্দিসহ নানা রোগে আক্রান্ত শিশু রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে এর প্রভাব পড়ছে শিশুদের ওপর বলে জানিয়েছে চিকিৎসকেরা। তবে আতঙ্কিত না হয়ে যথাযথ নিয়মে চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করলে দুই তিন দিনেই শিশুরা স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরবেন বলে জানিয়েছেন তাঁরা।
আজ সোমবার সকালে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ঘুরে দেখা গেছে, শিশু ওয়ার্ড রোগীতে পরিপূর্ণ। বেশির ভাগ শিশু রোগী শ্বাসকষ্ট, জ্বর-সর্দিতে আক্রান্ত। ওয়ার্ডে জায়গা সংকুলান না হওয়ায় কিছু শিশুকে মহিলা ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে। অপরদিকে বহির্বিভাগে চিকিৎসা সেবা নিতে আসা অধিকাংশ রোগীই শিশু। বহির্বিভাগে আগত শিশুরা সর্দি-জ্বর ও কাশিতে আক্রান্ত। রোগীদের অভিভাবকেরা টিকিটের জন্য দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন। আবার অনেক চিকিৎসকের ডাকের অপেক্ষায় বাচ্চাদের কোলে নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন।
টিকিট কাউন্টারে কর্মরতরা বলেন, গত ১০-১৫ দিন থেকে হাসপাতালে শিশু রোগীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। প্রায় প্রতিদিন গড়ে শতাধিক শিশু রোগী আসছে বহির্বিভাগে। জরুরি বিভাগেও প্রায় একই অবস্থা।
জরুরি বিভাগের সহকারী চিকিৎসক রফিকুল ইসলাম বলেন, প্রতিদিন জরুরি বিভাগে গড়ে দেড় শতাধিক রোগী সেবা নিতে আসেন। তাঁদের মধ্যে শিশু রোগীর সংখ্যা বেশি। তবে শিশুরা গুরুতর হলে তাদের হাসপাতালে ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
ঝলমলিয়া গ্রামের আবেদা খাতুন নামে এক শিশুর মা বলেন, আমার মেয়ের বয়স ৪ বছর। গত তিন দিন থেকে তার প্রচণ্ড জ্বর ও কাশি শুরু হয়েছে। এলাকার একজন গ্রাম্য চিকিৎসক দেখিয়েছিলাম। দুই দিন ওষুধ খাইয়েছি কিন্তু কমছে না। তাই আজ সকালে শিশু ডাক্তার দেখাতে হাসপাতালে নিয়ে এসেছি। হাসপাতালে আজ শিশু রোগীর সংখ্যা বেশি থাকায় অনেক ভিড় রয়েছে।
ময়না আকতার নামে অপর এক রোগীর মা বলেন, এখন প্রায় বাড়িতে বাচ্চাদের জ্বর-সর্দি কাশি দেখা দিয়েছে। এ হাসপাতালে একজন মাত্র শিশু ডাক্তার। তাও তিনি আসেন সপ্তাহে সর্বোচ্চ তিন দিন। যার কারণে বেশির ভাগ বাচ্চাদের অভিভাবকেরা হাসপাতালের জরুরি বিভাগ বা স্থানীয় চিকিৎসকদের কাছে সেবা নেন।
কাউসার আহম্মদ নামে অপর এক অভিভাবক বলেন, গতকাল রোববার বিকেল থেকে আমার মেয়ের জ্বর। তাই আজ এসেছি হাসপাতালে। লম্বা ভিড় ঠেলে ডাক্তারের কাছে গেলে করোনারসহ তিনটি পরীক্ষা দিয়েছেন। পরীক্ষার রিপোর্ট আসলে ব্যবস্থাপত্র দেওয়া হবে।
এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জুনিয়র কনসালট্যান্ট মেডিসিন (শিশু) ডাক্তার শুভ্র প্রকাশ পাল বলেন, আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে কখনো ঠান্ডা কখনো গরম পড়ছে। এ কারণে শিশুরা শ্বাসকষ্ট, জ্বর-সর্দিসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। গত কয়েক দিন শিশু রোগীর সংখ্যা অনেক বেড়ে গেছে। আমরা সকল শিশু রোগীদের যথাযথ চিকিৎসা সেবা দিচ্ছি।
শুভ্র প্রকাশ পাল আরও বলেন, সঠিক নিয়মে চিকিৎসা গ্রহণ করলে দুই-তিন দিনের মধ্যে বাচ্চারা সুস্থ হয়ে যাবে। তবে গুরুতর বাচ্চাদের এখানে ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এ আবহাওয়ায় শুধু আক্রান্ত শিশুদের নয়, সুস্থ শিশু যেন আক্রান্ত না হয় সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে।
কক্সবাজারে আন্তর্জাতিক সংস্থার এক নারী কর্মকর্তা যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন। আজ সোমবার সকালে শহরের সার্কিট হাউস রোডে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় জড়িত এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ।
৯ মিনিট আগেবাংলাদেশের সব প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের স্বীকৃতির ও এমপিওভুক্ত করার দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন শিক্ষক-কর্মচারীরা। আজ সোমবার (১০ মার্চ) রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ১৫ তম দিনের মতো তাঁরা এ কর্মসূচি পালন করেছেন।
১ ঘণ্টা আগেকুড়িগ্রামের উলিপুরে মৌমাছির কামড়ে রফিকুল ইসলাম (৬৫) নামের এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। আজ সোমবার (১০ মার্চ) উপজেলার ছড়ারপাড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগেরংপুরের মিঠাপুকুরে একটি কলেজে এইচএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণের ফি ও মাসিক বেতন কমানোর দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা। আজ সোমবার উপজেলার শঠিবাড়ী ডিগ্রি মহাবিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা শিক্ষা বোর্ডের নির্ধারিত ফি নিয়ে এইচএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণ ও টিউশন ফি ৩০০ টাকার বদলে মানবিকে ১০০ ও বিজ্ঞানে ১২০ টাকা করার
১ ঘণ্টা আগে