Ajker Patrika

ঘোড়ায় বর পালকিতে কনে, অতিথি হয়ে হেলিকপ্টারে এলেন এমপি

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
আপডেট : ১৮ মার্চ ২০২৩, ১৮: ২২
Thumbnail image

মতিউর রহমান হালিমের দাদা বিয়ে করতে গিয়েছিলেন ঘোড়ায় চড়ে। সেই গল্প শুনেই বড় হয়েছেন মতিউর। মতিউরের শখ, তিনিও ঘোড়ায় চড়ে যাবেন বিয়ে করতে। সেই শখ আজ শনিবার পূরণও করেছেন। মতিউর ঘোড়ায় চড়ে বিয়ে করতে গিয়েছেন। আর কনে এনেছেন পালকিতে। 

এদিকে কনেবাড়িতে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে হেলিকপ্টারে চড়ে এসেছেন স্থানীয় এমপি।

আজ রাজশাহীর বাগমারা উপজেলায় বিয়েতে ঘোড়া, পালকি আর হেলিকপ্টার দেখে চমকে গেছেন লোকজন। 

 কনে আনার জন্য তিন দিনে বানানো হয়েছে পালকি। ছবি: আজকের পত্রিকাবর মতিউর রহমানের বাড়ি ভরট্ট গ্রামে। তাঁর বাবা আবদুল মান্নান মাদ্রাসার শিক্ষক। মা হালিমা খাতুন স্বাস্থ্যকর্মী। তাঁদের একমাত্র সন্তান মতিউর। সোনাডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আজাহারুল হকের একমাত্র মেয়ে ফারহানা আঁখির সঙ্গে মতিউরের বিয়ে হয়েছে। 

আঁখির বিয়েতে অতিথি হিসেবে এসেছিলেন রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনের এমপি ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক। গাড়ি নয়, হেলিকপ্টারে করে ঢাকা থেকে উড়ে আসেন তিনি। বিয়ের অনুষ্ঠান শেষে তিনি আবার হেলিকপ্টারে করেই ফিরে যান। স্থানীয় ফুটবল মাঠে হেলিকপ্টার নামে। গ্রামে প্রথমবার হেলিকপ্টার নামতে দেখতে ফুটবল মাঠে ভিড় করে মানুষ। 

আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে স্থানীয় এমপি এসেছিলেন হেলিকপ্টারে চড়ে। ছবি: আজকের পত্রিকাপরিবারের সদস্যরা জানান, চীন থেকে পড়াশোনা করে আসা মতিউরের সঙ্গে পারিবারিকভাবেই বিয়ের আয়োজন করা হয় বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষার্থী আঁখির। মতিউরের ইচ্ছা অনুযায়ী, একটা ঘোড়া ভাড়া করে আনা হয়। আর গ্রামের প্রবীণ একজন মিস্ত্রিকে দিয়ে তিন দিনে তৈরি করা হয় একটি পালকি। ঘোড়ায় চড়ে বেলা ১১টার দিকে মতিউর বিয়ে করতে যান। তাঁর বাড়ি থেকে কনেবাড়ির দূরত্ব প্রায় এক কিলোমিটার। বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষে পালকিতে করে নববধূকে বাড়িতে নিয়ে আসেন মতিউর। 

মতিউরের চাচা মামনুর রশিদ বলেন, ছেলের দাদা আহম্মদ হোসেন ঘোড়ায় চড়ে বিয়ে করেছিলেন। তিনিও নববধূকে বাড়ি এনেছিলেন পালকিতে করেন। সেই গল্প শুনে বড় হওয়া মতিউরও চেয়েছিলেন একইভাবে বিয়ে করতে। তাঁর ইচ্ছা পূরণ করা হয়েছে। গ্রামবাসীকে চমকে দিতে অনেকটা গোপনেই এ আয়োজন করা হয়েছিল। 

 বর বিয়ে করতে গেছেন ঘোড়ায় চড়ে, কনে এনেছেন পালকিতে। ছবি: আজকের পত্রিকা

কনের বাবা ইউপি চেয়ারম্যান আজাহারুল হক বলেন, তাঁর মেয়ের বিয়েতে স্থানীয় এমপি এনামুল হকসহ প্রায় তিন হাজার মানুষকে দাওয়াত করা হয়েছিল। সবাই এসেছিলেন। বর ঘোড়ায় এসে পালকিতে করে কনে নিয়ে গেছেন। এমপি এসেছিলেন হেলিকপ্টারে। এ বিষয়গুলো গ্রামবাসীর ভালো লেগেছে। সবার কাছেই এই বিয়েটা অনেক দিন মনে থাকবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত