Ajker Patrika

একটি 'বাবুই পাখির গাছ'

লালপুর (নাটোর) প্রতিনিধি
আপডেট : ১৬ অক্টোবর ২০২১, ১১: ১৪
একটি 'বাবুই পাখির গাছ'

ছোট ছোট পাতার একটি ছোট্ট কাঁঠালগাছ। সেই গাছেই দলবেঁধে বাবুই পাখির বাস। গাছটিতে যতগুলো পাতা চোখে পড়ে, তার সঙ্গে মিশে থাকে প্রায় ততগুলো পাখি। পাতার আড়াল থেকেই তোলে কিচিরমিচির আওয়াজ। প্রতিদিন কাঁচা ভোরে ও সন্ধ্যা নামলে কিচিরমিচির ডাকে প্রাণ জুড়িয়ে যায় এর আশপাশে থাকা মানুষের। স্থানীয় মানুষ তাই এই গাছের নাম দিয়েছে 'বাবুই পাখির গাছ'।

প্রতিদিন সন্ধ্যা নামলেই রাজশাহীর কাটাখালী বাসস্ট্যান্ডে দেখা মেলে ছোট্ট কাঁঠালগাছটির কাণ্ড, ডালপালা, শাখা-প্রশাখা, পাতায় পাতায় নিশ্চিন্তে বসে আছে বাবুই পাখি। ভোরের আলো ফুটতেই বেরিয়ে পরে খাবারের সন্ধানে। ঠিক সন্ধ্যা নামার মুখে আবার ফেরে অভয়ারণ্য এই কাঁঠালগাছে। দল বেঁধে এক শান্তির নীড়ে বসবাস ওদের। ছোট আকারের এই কাঁঠালগাছ রীতিমতো দখলে নিয়েছে তারা। মানুষের মুখে বদলে দিয়েছে গাছটির নাম। 

স্থানীয় দোকানদার আবুল কালাম বলেন, তিন বছর ধরে দোকানে কাজ করছেন তিনি। আসার পর থেকেই দেখছেন এই গাছে বিশাল একদল বাবুই পাখির বাস। প্রতিদিন সকালে দিনের আলো ফুটতেই পাখিগুলো খাবারের সন্ধানে বেরিয়ে পড়ে। দিনের আলো নিভে সন্ধ্যা নামলে আবার ফিরে আসে। ডিম থেকে বাচ্চা ফোটানোর জন্য বছরের প্রায় তিন মাস এদের দেখা যায় না। তবে বাচ্চা ফোটানো হলে আবার ফিরে আসে।

স্কুলশিক্ষক আজগর আলী বলেন, 'বছর পাঁচেক আগে কাঁঠালগাছগুলো লাগানো হয়। এর নিচে বসার জন্য গাছের গোড়া পাকা করা হয়েছে। গাছগুলো লাগানোর কিছুদিন পর থেকে ধীরে ধীরে বাবুই পাখিগুলো এখানে এসে বাস করতে শুরু করে। এখানকার কেউ বাবুই পাখিদের বিরক্ত করে না।' 

আরেক চা-দোকানি আকবর আলী বলেন, কয়েক বছর আগে গাছটি লাগানো হয়েছে। হঠাৎ করে বাবুই পাখিরা এসে বাস করতে শুরু করে। এখন গাছটি মানুষের মুখে মুখে 'বাবুই পাখির গাছ' বলে পরিচিত হয়ে গেছে। 

কাটাখালী পৌরসভার মেয়র আব্বাস আলী বলেন, পৌরসভার সৌন্দর্যের সঙ্গে এই 'বাবুই পাখির গাছ' নতুন মাত্রা যোগ করেছে। কেউ যেন পাখিদের বিরক্ত না করে, সে বিষয়েও সতর্ক নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, যাতে পাখিগুলো নিশ্চিন্তে বসবাস করতে পারে। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত