প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাই
তৌফিকুল ইসলাম, ঢাকা
পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার পাকশীতে পদ্মা নদীর ওপর দাঁড়িয়ে রয়েছে ঐতিহাসিক হার্ডিঞ্জ ব্রিজ। শতবর্ষী এ সেতুতে ট্রেন চলাচল ক্রমেই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে যাচ্ছে। ফলে হার্ডিঞ্জ ব্রিজের পাশে নতুন আরেকটি রেলসেতু নির্মাণের পরিকল্পনা করছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের খসড়া প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, নতুন রেলসেতুটি নির্মাণে ব্যয় হতে পারে প্রায় ৯ হাজার ৫৭০ কোটি টাকা।
রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ইতিমধ্যে প্রকল্পের খসড়ার সম্ভাব্যতা যাচাই রেলওয়েকে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। সেই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিদ্যমান হার্ডিঞ্জ ব্রিজের ঠিক ৩০০ মিটার উত্তরে নতুন ১ দশমিক ৮ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের রেলসেতু নির্মাণের জন্য অ্যালাইনমেন্ট নির্ধারণ করা হয়েছে প্রাথমিকভাবে। এ ছাড়া সেতুর উভয় পাশে ৫ কিলোমিটার ভায়াডাক্ট নির্মাণ করা হবে সেতুর সংযোগ লাইন হিসেবে। প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাই চূড়ান্ত হলে সেতুর নকশার কাজ শুরু হবে। নতুন সেতু নির্মাণে প্রাথমিকভাবে ৯ হাজার ৫৭০ কোটি টাকা খরচ হতে পারে বলে ধারণা দেওয়া হয়েছে প্রতিবেদনে। তবে প্রকল্পের সম্ভাব্যতা সমীক্ষা যাচাই এবং নকশা চূড়ান্ত হওয়ার পর ব্যয় কমবেশি হতে পারে।
জানতে চাইলে বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. আফজাল হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিদ্যমান হার্ডিঞ্জ ব্রিজের পাশে নতুন একটি রেলসেতু নির্মাণ করা হবে। সেতু নির্মাণের জন্য সম্ভাব্যতা সমীক্ষার কাজ চলছে। সেতুর ডিজাইনসহ সবকিছু নতুন করে করার পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে।’
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রেল যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে সুবিধাদি প্রস্তুতিমূলক কারিগরি সহায়তা নামে একটি প্রকল্প চলছে রেলওয়েতে। এই প্রকল্পের আওতায় মোট ১১ প্রকল্পের সম্ভাব্যতা সমীক্ষা ও ডিটেইল ডিজাইনের কাজ চলমান রয়েছে, যার মধ্যে নতুন হার্ডিঞ্জ ব্রিজ নির্মাণের সমীক্ষাও আছে। এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের (এডিবি) অর্থায়নে এ সমীক্ষা প্রকল্প চলছে। ২০২৩ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করে বাংলাদেশ রেলওয়ে। পরামর্শক হিসেবে যৌথ উদ্যোগে কাজটি পেয়েছে জাপানের ওসিজি, ফ্রান্সের ইজিআইএস, মালয়েশিয়ার এইচএসএস এবং বাংলাদেশের সুদেব কনসাল্ট ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড। এ কাজে পরামর্শক খাতে ব্যয় হচ্ছে ১৯৩ কোটি ৬৪ লাখ ২৮ হাজার ৫০৬ টাকা।
রেল যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে সুবিধাদি প্রস্তুতিমূলক কারিগরি সহায়তা প্রকল্পের পরিচালক মো. আবিদুর রহমান বলেন, এখনো সম্ভাব্যতা সমীক্ষা চূড়ান্ত হয়নি। কাজ চলছে।
ডিটেইল ডিজাইন এবং সম্ভবত সমীক্ষা চূড়ান্ত হলে প্রকল্পের উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব (ডিপিপি) তৈরি করা হবে। তারপর ডিপিপি রেল মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়া হবে। সেখান থেকে সেটি পরিকল্পনা কমিশনে যাবে। এই প্রকল্পের আওতায় মোট ১১টি প্রকল্পের সম্ভাব্যতা সমীক্ষা চলছে, যেগুলোর কাজ ২০২৬ সালের জুনে শেষ হবে।
এদিকে নতুন ব্রিজ নির্মাণের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে রেলওয়ের প্রকৌশলীরা জানিয়েছেন, বর্তমানে যে হার্ডিঞ্জ ব্রিজ রয়েছে, তা শত বছরের পুরোনো। এটি ঐতিহাসিক হলেও ট্রেন চলাচলে সীমাবদ্ধতা সৃষ্টি করছে। নতুন ডুয়েলগেজ ডাবল লাইনবিশিষ্ট ব্রিজ নির্মাণ করা হলে রেলযোগাযোগ আরও সহজ এবং গতিশীল হবে।
১১০ বছরে হার্ডিঞ্জ ব্রিজ: পদ্মার বুকে দাঁড়িয়ে আছে ১১০ বছরের পুরোনো ঐতিহাসিক হার্ডিঞ্জ ব্রিজ। একদিকে অপরূপ সৌন্দর্য, অন্যদিকে ইতিহাসের নিদর্শন এটি। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে ব্রিজটি ক্ষতিগ্রস্ত হলে আজও এটির ওপর দিয়ে নিয়মিত চলাচল করছে ট্রেন।
রেলওয়ের পাকশী বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ২০১৫ সালে হার্ডিঞ্জ ব্রিজ ১০০ বছর পূর্ণ করে। এরপর রেল বিভাগ একটি মূল্যায়ন (অ্যাসেসমেন্ট) করে, যাতে দেখা যায়—এ ব্রিজ দিয়ে ২০৪০ সাল পর্যন্ত নিরাপদে ট্রেন চলাচল সম্ভব, যদি নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ অব্যাহত থাকে।
ব্রিজের স্টিল অংশ ও রেললাইনসম্পর্কিত ফিটিংস নিয়মিত মেরামত করা হয়। রেলওয়ের নিয়ম অনুযায়ী, প্রতি ৫ বছরে একবার ব্রিজটি রং করা হয় এবং ৩ বছর পরপর বিয়ারিংয়ের রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়। এসব কার্যক্রমের মাধ্যমে ঝুঁকিমুক্তভাবে ট্রেন চলাচল নিশ্চিত করা হচ্ছে।
বর্তমানে হার্ডিঞ্জ ব্রিজ দিয়ে সর্বোচ্চ ২৫ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন চলাচলের অনুমতি রয়েছে। কারণ যুদ্ধের সময় ব্রিজটি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। সংস্কারের পর সর্বোচ্চ গতি ছিল ৪০ কিলোমিটার। কিন্তু সেতুর বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ট্রেন চলার গতিও কমেছে।
হার্ডিঞ্জ ব্রিজ দিয়ে প্রতিদিন গড়ে মোট ২৮টি ট্রেন নিয়মিত চলাচল করছে, যার মধ্যে ১৮টি যাত্রীবাহী ও ১০টি মালবাহী।
অবিভক্ত ভারতের কলকাতার সঙ্গে আসাম ও ইস্টার্ন বেঙ্গলের যোগাযোগ সহজ করতে ১৮৮৯ সালে পদ্মা নদীর ওপর একটি রেলসেতু নির্মাণের প্রস্তাব দেয় ইস্টার্ন বেঙ্গল রেলওয়ে। দীর্ঘ আলোচনা শেষে ১৯০৮ সালে প্রকল্পটি অনুমোদন পায়। শুরুতে একমুখী লাইনের পরিকল্পনা থাকলেও পরবর্তী সময়ে ডাবল লাইনের সেতু নির্মাণের সিদ্ধান্ত হয়। তারপর ঐতিহাসিক এই হার্ডিঞ্জ ব্রিজের নির্মাণকাজ শুরু হয় ১৯১০ সালে এবং শেষ হয় ১৯১৫ সালে। ব্যয় হয় ৪ কোটি ৭৫ লাখ ৫০ হাজার ভারতীয় রুপি। ১৯১৫ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি প্রথম পরীক্ষামূলক ট্রেন চলে এবং ৪ মার্চ আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয় হার্ডিঞ্জ ব্রিজ।
পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার পাকশীতে পদ্মা নদীর ওপর দাঁড়িয়ে রয়েছে ঐতিহাসিক হার্ডিঞ্জ ব্রিজ। শতবর্ষী এ সেতুতে ট্রেন চলাচল ক্রমেই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে যাচ্ছে। ফলে হার্ডিঞ্জ ব্রিজের পাশে নতুন আরেকটি রেলসেতু নির্মাণের পরিকল্পনা করছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের খসড়া প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, নতুন রেলসেতুটি নির্মাণে ব্যয় হতে পারে প্রায় ৯ হাজার ৫৭০ কোটি টাকা।
রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ইতিমধ্যে প্রকল্পের খসড়ার সম্ভাব্যতা যাচাই রেলওয়েকে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। সেই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিদ্যমান হার্ডিঞ্জ ব্রিজের ঠিক ৩০০ মিটার উত্তরে নতুন ১ দশমিক ৮ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের রেলসেতু নির্মাণের জন্য অ্যালাইনমেন্ট নির্ধারণ করা হয়েছে প্রাথমিকভাবে। এ ছাড়া সেতুর উভয় পাশে ৫ কিলোমিটার ভায়াডাক্ট নির্মাণ করা হবে সেতুর সংযোগ লাইন হিসেবে। প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাই চূড়ান্ত হলে সেতুর নকশার কাজ শুরু হবে। নতুন সেতু নির্মাণে প্রাথমিকভাবে ৯ হাজার ৫৭০ কোটি টাকা খরচ হতে পারে বলে ধারণা দেওয়া হয়েছে প্রতিবেদনে। তবে প্রকল্পের সম্ভাব্যতা সমীক্ষা যাচাই এবং নকশা চূড়ান্ত হওয়ার পর ব্যয় কমবেশি হতে পারে।
জানতে চাইলে বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. আফজাল হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিদ্যমান হার্ডিঞ্জ ব্রিজের পাশে নতুন একটি রেলসেতু নির্মাণ করা হবে। সেতু নির্মাণের জন্য সম্ভাব্যতা সমীক্ষার কাজ চলছে। সেতুর ডিজাইনসহ সবকিছু নতুন করে করার পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে।’
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রেল যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে সুবিধাদি প্রস্তুতিমূলক কারিগরি সহায়তা নামে একটি প্রকল্প চলছে রেলওয়েতে। এই প্রকল্পের আওতায় মোট ১১ প্রকল্পের সম্ভাব্যতা সমীক্ষা ও ডিটেইল ডিজাইনের কাজ চলমান রয়েছে, যার মধ্যে নতুন হার্ডিঞ্জ ব্রিজ নির্মাণের সমীক্ষাও আছে। এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের (এডিবি) অর্থায়নে এ সমীক্ষা প্রকল্প চলছে। ২০২৩ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করে বাংলাদেশ রেলওয়ে। পরামর্শক হিসেবে যৌথ উদ্যোগে কাজটি পেয়েছে জাপানের ওসিজি, ফ্রান্সের ইজিআইএস, মালয়েশিয়ার এইচএসএস এবং বাংলাদেশের সুদেব কনসাল্ট ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড। এ কাজে পরামর্শক খাতে ব্যয় হচ্ছে ১৯৩ কোটি ৬৪ লাখ ২৮ হাজার ৫০৬ টাকা।
রেল যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে সুবিধাদি প্রস্তুতিমূলক কারিগরি সহায়তা প্রকল্পের পরিচালক মো. আবিদুর রহমান বলেন, এখনো সম্ভাব্যতা সমীক্ষা চূড়ান্ত হয়নি। কাজ চলছে।
ডিটেইল ডিজাইন এবং সম্ভবত সমীক্ষা চূড়ান্ত হলে প্রকল্পের উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব (ডিপিপি) তৈরি করা হবে। তারপর ডিপিপি রেল মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়া হবে। সেখান থেকে সেটি পরিকল্পনা কমিশনে যাবে। এই প্রকল্পের আওতায় মোট ১১টি প্রকল্পের সম্ভাব্যতা সমীক্ষা চলছে, যেগুলোর কাজ ২০২৬ সালের জুনে শেষ হবে।
এদিকে নতুন ব্রিজ নির্মাণের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে রেলওয়ের প্রকৌশলীরা জানিয়েছেন, বর্তমানে যে হার্ডিঞ্জ ব্রিজ রয়েছে, তা শত বছরের পুরোনো। এটি ঐতিহাসিক হলেও ট্রেন চলাচলে সীমাবদ্ধতা সৃষ্টি করছে। নতুন ডুয়েলগেজ ডাবল লাইনবিশিষ্ট ব্রিজ নির্মাণ করা হলে রেলযোগাযোগ আরও সহজ এবং গতিশীল হবে।
১১০ বছরে হার্ডিঞ্জ ব্রিজ: পদ্মার বুকে দাঁড়িয়ে আছে ১১০ বছরের পুরোনো ঐতিহাসিক হার্ডিঞ্জ ব্রিজ। একদিকে অপরূপ সৌন্দর্য, অন্যদিকে ইতিহাসের নিদর্শন এটি। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে ব্রিজটি ক্ষতিগ্রস্ত হলে আজও এটির ওপর দিয়ে নিয়মিত চলাচল করছে ট্রেন।
রেলওয়ের পাকশী বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ২০১৫ সালে হার্ডিঞ্জ ব্রিজ ১০০ বছর পূর্ণ করে। এরপর রেল বিভাগ একটি মূল্যায়ন (অ্যাসেসমেন্ট) করে, যাতে দেখা যায়—এ ব্রিজ দিয়ে ২০৪০ সাল পর্যন্ত নিরাপদে ট্রেন চলাচল সম্ভব, যদি নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ অব্যাহত থাকে।
ব্রিজের স্টিল অংশ ও রেললাইনসম্পর্কিত ফিটিংস নিয়মিত মেরামত করা হয়। রেলওয়ের নিয়ম অনুযায়ী, প্রতি ৫ বছরে একবার ব্রিজটি রং করা হয় এবং ৩ বছর পরপর বিয়ারিংয়ের রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়। এসব কার্যক্রমের মাধ্যমে ঝুঁকিমুক্তভাবে ট্রেন চলাচল নিশ্চিত করা হচ্ছে।
বর্তমানে হার্ডিঞ্জ ব্রিজ দিয়ে সর্বোচ্চ ২৫ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন চলাচলের অনুমতি রয়েছে। কারণ যুদ্ধের সময় ব্রিজটি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। সংস্কারের পর সর্বোচ্চ গতি ছিল ৪০ কিলোমিটার। কিন্তু সেতুর বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ট্রেন চলার গতিও কমেছে।
হার্ডিঞ্জ ব্রিজ দিয়ে প্রতিদিন গড়ে মোট ২৮টি ট্রেন নিয়মিত চলাচল করছে, যার মধ্যে ১৮টি যাত্রীবাহী ও ১০টি মালবাহী।
অবিভক্ত ভারতের কলকাতার সঙ্গে আসাম ও ইস্টার্ন বেঙ্গলের যোগাযোগ সহজ করতে ১৮৮৯ সালে পদ্মা নদীর ওপর একটি রেলসেতু নির্মাণের প্রস্তাব দেয় ইস্টার্ন বেঙ্গল রেলওয়ে। দীর্ঘ আলোচনা শেষে ১৯০৮ সালে প্রকল্পটি অনুমোদন পায়। শুরুতে একমুখী লাইনের পরিকল্পনা থাকলেও পরবর্তী সময়ে ডাবল লাইনের সেতু নির্মাণের সিদ্ধান্ত হয়। তারপর ঐতিহাসিক এই হার্ডিঞ্জ ব্রিজের নির্মাণকাজ শুরু হয় ১৯১০ সালে এবং শেষ হয় ১৯১৫ সালে। ব্যয় হয় ৪ কোটি ৭৫ লাখ ৫০ হাজার ভারতীয় রুপি। ১৯১৫ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি প্রথম পরীক্ষামূলক ট্রেন চলে এবং ৪ মার্চ আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয় হার্ডিঞ্জ ব্রিজ।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডা. শিপলু সরকার বলেন, ‘আমার রোগী আমি যেকোনো সময় চেম্বারে দেখব। আমি কী দেখে কী লিখব, সেটা আমার ব্যাপার।’ তিনি গণমাধ্যমকর্মীকে তাঁর চেম্বারে গিয়ে কথা বলতে বলেন।
৯ মিনিট আগেপ্রতিদিন শেরপুর ও নালিতাবাড়ীর দুটি পৌরসভা এবং পাঁচটি ইউনিয়নের হাজারো মানুষ এ সড়ক দিয়ে যাতায়াত করেন। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে প্রায় ১১ কোটি টাকা ব্যয়ে সড়কটির ১৭ কিলোমিটার অংশ প্রশস্ত ও সংস্কার করা হয়। তবে কাজটি শেষ হতে সময় লাগে চার বছর। ২০২০ সালে কাজ শেষ হলেও এক বছর না যেতেই ফের ভেঙে পড়ে সড়কটি।
৩৬ মিনিট আগেরাসেল বলেন, `আগে এত খাটুনি ছিল যে মাঝেমাঝে পা ফুলে যেত, কিন্তু মন ভরে থাকত। এখন সারাদিন বসে থাকি, তবু মনটা খালি। আগে বিকেল হলেই খদ্দের আসত দলে দলে। চিৎকার করে বলতে হতো, এই ভাই, একটু অপেক্ষা করেন, টেবিল ফাঁকা হচ্ছে। আর এখন? আমরা চারজন কর্মচারী বসে থাকি, কারো সঙ্গে কথা বলারও মানুষ নাই।’
৪১ মিনিট আগেশুক্রবার মোংলা থেকে ছেড়ে আসা সিরাজগঞ্জ বাজার অভিমুখী চিটাগুড়বাহী ট্রেনটি বিকেল ৫টা ৩৮ মিনিটে উথলী রেলস্টেশনে প্রবেশ করে। পরে ক্রসিং শেষে ট্রেনটি লুপ লাইন থেকে মেইন লাইনে প্রবেশ করার সময় গার্ডব্রেকের একটি বগির পিছনের ৪টি চাকা লাইনচ্যুত হয়। পরে লাইনচ্যুত বগিটি রেখে বাকি ওয়াগনগুলো নিয়ে ট্রেনটি...
১ ঘণ্টা আগে