Ajker Patrika

সিরাজগঞ্জে যমুনার পানি বেড়েই চলেছে, ক্ষতিগ্রস্ত ৫ হাজারের বেশি পরিবার

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি
আপডেট : ০৭ জুলাই ২০২৪, ১১: ২৯
Thumbnail image

সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। তবে পানি বাড়ার হার অনেকটাই কমেছে। গতকাল শনিবার সকাল ৬টা থেকে আজ রবিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনা নদীর পানি ৩ সেন্টিমিটার বেড়ে সিরাজগঞ্জ শহররক্ষা বাঁধ হার্ড পয়েন্ট এলাকায় বিপৎসীমার ৬১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বলে পানি উন্নয়ন বোর্ডের পানি পরিমাপক হাসানুজ্জামান নিশ্চিত করেছেন। 

সরেজমিনে দেখা যায়, পানিতে ডুবে গেছে ঘরবাড়ি, রাস্তা-ঘাট, ফসলি জমি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। বন্যায় ঘরবাড়ি ছেড়ে বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধ ও অন্যের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন তাঁরা। এ ছাড়া গবাদিপশু নিয়েও বিপাকে পড়েছেন অনেকে। গোখাদ্যের সংকট দেখা দিয়েছে। 

এদিকে পানি বাড়ার কারণে কাজীপুর উপজেলার নদীতীরবর্তী অঞ্চল খাসরাজবাড়ী, তেকানি, নিশ্চিন্তপুর ও চরগিরিশ এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে জেলার ৩৪টি ইউনিয়নের ৫ হাজার ৩৬২টি পরিবারের প্রায় ২৪ হাজার মানুষ। 

বন্যাকবলিত হয়ে পড়া জেলার পাঁচটি উপজেলার ৪৯টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ৫০০ হেক্টর ফসলি জমিসহ অসংখ্য তাঁত কারখানা পানিতে তলিয়ে গেছে। ফলে কর্মহীন হয়ে পড়েছেন কৃষক ও শ্রমিকেরা। দুর্গত এসব এলাকায় বিতরণের জন্য ইতিমধ্যে ৯০ মেট্রিক টন চাল ও ৩০০ প্যাকেট শুকনো খাবার বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে।

সদর উপজেলার সয়দাবাদ ইউনিয়নের ছাতিয়ানতলী গ্রামের তাঁতশ্রমিক মাহাবুব বলেন, প্রায় এক সপ্তাহ হলো তাঁত কারখানায় বন্যার পানি ঢুকেছে। কাজ করা যাচ্ছে না। মালিক কারখানা বন্ধ করে রেখেছে। রাস্তা-ঘাট, ঘরের মধ্যেও পানি উঠেছে। চরম বিপদে পড়েছি। 

সিরাজগঞ্জে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে পাঁচ হাজারের বেশি পরিবার। সদর উপজেলার ছাতিয়ানতলি গ্রাম থেকে তোলা। ছবি: আজকের পত্রিকাএকই গ্রামের জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘পানির অবস্থা খুব ভয়াবহ। বাড়িতে যাওয়ার উপায় নাই। ঘরের মধ্যে কোমরপানি। বউ -ছয়ালপাল নিয়ে বিপদে আছি। ঘরে চাউল আছে, পাক করার জাগা নাই। খুব অশান্তিতে আছি। সংসারে যা আছে, পানিতে ক্ষতিগ্রস্ত হইছে।’

জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. আকতারুজ্জামান বলেন, বন্যায় সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার ৮টি, কাজীপুরে ১০টি, শাহজাদপুরে ৫টি, বেলকুচির ৪টি ও চৌহালী উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের ৫ হাজার ৩৬২টি পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। এসব মানুষের জন্য ইতিমধ্যে ৯০ মেট্রিকটন চাল ও ৩০০ প্যাকেট শুকনো খাবার বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত