Ajker Patrika

চৈত্রের ভোরে শীতের কুয়াশা! 

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
চৈত্রের ভোরে শীতের কুয়াশা! 

প্রকৃতিতে চৈত্র মাস। খরতাপের মৌসুম। ভোর শুরু হওয়ার কথা সূর্যের ঝলমলে আলোয়। কিন্তু আজ বুধবার ভোরে ভিন্ন চিত্র দেখা গেল রাজশাহীতে। ঘনকুয়াশায় ঢেকে ছিল রাজশাহীর প্রকৃতি। কনকনে শীত ছাড়াই কুয়াশা দেখে অবাক রাজশাহীবাসী।

রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের তথ্য অনুযায়ী, বুধবার রাজশাহীতে সূর্যোদয় হয়েছে ভোর ৬টা ৮ মিনিটে। কিন্তু ঘন কুয়াশার কারণে সূর্যের মুখ দেখা যায়নি। ভোরে সূর্যোদয়ের পর পরই ঘন কুয়াশার চাদরে ঢেকে যায় প্রকৃতি। প্রায় আধা ঘণ্টা পর প্রকৃতি আবার স্বাভাবিক হয়ে ওঠে। 

আবহাওয়া অফিস বলছে, শীত বিদায় নেওয়ার পর গ্রীষ্মের শুরুতেই রাজশাহীর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত উঠেছে। কয়েক দিন ধরে অল্প অল্প বৃষ্টিও হচ্ছে। আগের দিন মঙ্গলবার রাতেও বৃষ্টি পড়েছে ছিটে-ফোটা। মেঘের গর্জনের সঙ্গে বিদ্যুৎও চমকেছে। এরপর হঠাৎ কুয়াশা দেখে আবহাওয়া কার্যালয়ের কর্মকর্তারাও অবাক হয়েছেন। 

রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক রাজীব খান বলেন, ‘প্রায় আধা ঘণ্টা ঘন কুয়াশায় ঢেকে ছিল প্রকৃতি। বুধবার ভোর ৬টায় রাজশাহীর তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ২১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কেন এই কুয়াশা এখনো জানাতে পারিনি।’ 

শীত না থাকলেও কুয়াশা দেখে অনেকের মন ভুললেও ভাবিয়েছে আমচাষিদের। এমন কুয়াশা রাজশাহীর আমের মুকুল ও গুটির জন্য ক্ষতিকর বলে জানিয়েছেন রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোজদার হোসেন। 

মোজদার হোসেন বলেন, কুয়াশা বেশি হলে ‘পাউডারি মিলডিউ’ নামের এক ধরনের রোগ হতে পারে আমের মুকুলে। দীর্ঘ সময় কুয়াশা থাকলে আমের গুটির ও মুকুলের ক্ষতি হবে। তবে কুয়াশা বেশিক্ষণ না থাকায় ক্ষতি হবে না।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত