পাবনা প্রতিনিধি
‘মন্ডতোষ ইউনিয়নে ভোট হবে উৎফুল্ল মনে, আমরা ওপেন ভোট দেব। ভোট হবে একমাত্র নৌকার। একমাত্র মকবুল সাহেবের নৌকার। এর বাইরে কোনো লোক কোনো এজেন্টও থাকবে না, কিচ্ছু থাকবে না। আমরা মমিনপাড়া সেন্টার (ভোটকেন্দ্র) দখল করে রাখব। সেই জায়গায় আপনারা শুধু সহযোগিতা করবেন আমাদের।’
গতকাল রোববার রাতে উপজেলার মল্লিকচক গ্রামে স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের নিয়ে মতবিনিময় সভায় ভাঙ্গুড়া উপজেলার মন্ডতোষ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নুর ইসলাম মিন্টু এভাবেই হুমকি দেন।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পাবনা-৩ আসনে নৌকা মনোনীত প্রার্থী হলেন তিনবারের এমপি ও জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মকবুল হোসেন। আর স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও চাটমোহর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল হামিদ মাস্টার।
ভাঙ্গুড়া উপজেলার মন্ডতোষ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আফসার আলী এই নির্বাচনে ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল হামিদ মাস্টারের পক্ষে কাজ করছেন। আর এ নিয়ে ক্ষুব্ধ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নুর ইসলাম মিন্টু। তিনি কাজ করছেন নৌকার প্রার্থী মকবুল হোসেনের পক্ষে।
গতকাল রোববার রাতে উপজেলার মল্লিকচক গ্রামে নির্বাচন সামনে রেখে মতবিনিময় সভায় নুর ইসলাম মিন্টু বক্তব্য দেন। সভা চলাকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নুর ইসলাম মিন্টুর আইডি থেকে লাইভ করা হয়। সেই ভিডিও এ প্রতিনিধির হাতে এসেছে।
ভিডিওতে দেখা যায়, মন্ডতোষ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নুর ইসলাম মিন্টু বলছেন, ‘মল্লিকচক গ্রাম বিভিন্ন সমস্যায় জর্জরিত ছিল। কয়েকটা শয়তানের কারণে বিধ্বস্ত ছিল। এটা কে সমাধান করছে, ভাঙ্গুড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম হাসানায়েন রাসেল (এমপির ছেলে) এবং এমপি সাহেবের (মকবুল হোসেন) নির্দেশনায় আজকে মল্লিকচকে শান্তি ফিরে আইছে। সেই জায়গা থেকে মকবুল হোসেনের নৌকাকে বিজয়ী করতে মল্লিকচকের যত লোক আছি, আমরা মমিনপাড়া সেন্টারটা (ভোটকেন্দ্র) দখল করে রাখব। মমিনপাড়া সেন্টারে আমরা ওপেন ভোট দেব। যাতে ভাঙ্গুড়ার মানুষ বলতে পারে, আমরা ওপেন ভোট করিছি।’
বক্তব্যে নুর ইসলাম মিন্টু আরও বলেন, ‘ইনশা আল্লাহ যত সন্ত্রাসী থাক, শত্রু থাক, এই এলাকার চেয়ারম্যান আফসার আলী যে নাটক করছেন, তার কোনো দাম নাই। আফসারের সাঙ্গপাঙ্গ যা আছে, ওদের হাড়-হুড্ডি ভাইঙ্গে এই এলাকা থেকে আমরা শেষ কইরে দেব। মন্ডতোষ ইউনিয়নকে একদম নিট অ্যান্ড ক্লিন করে রাখব। মন্ডতোষ ইউনিয়নে ভোট হবে উৎফুল্ল মনে, একমাত্র নৌকার। একমাত্র মকবুল সাহেবের নৌকার। এর বাইরে কোনো লোক কোনো এজেন্টও থাকবে না, কিচ্ছু থাকবে না। সেই জায়গায় আপনারা শুধু সহযোগিতা করবেন আমাদের।’
এ বিষয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল হামিদ মাস্টার বলেন, ‘প্রচারণা শুরুর অনেক আগে থেকেই নৌকার নেতা-কর্মীরা বিভিন্নভাবে আমাকে এবং আমার সমর্থক লোকজনকে হুমকি-ধমকি দিচ্ছে। বিভিন্ন সভায় তারা নৌকা ছাড়া কাউকে ভোট করতে দেওয়া হবে না, নৌকায় ভোট না দিলে ভোট কেন্দ্রে আসার দরকার নাই, নৌকার বাইরে কেউ ভোট দিলে হাত-পা ভেঙে দেয়া হবে—এমন হুমকি ও উসকানিমূলক বক্তব্য দিচ্ছে। এতে ভোটারদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। এমন পরিস্থিতি থাকলে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না। ভোটকে উৎসবমুখর ও গ্রহণযোগ্য করতে প্রধানমন্ত্রীর যে চ্যালেঞ্জ, সেটি প্রশ্নবিদ্ধ হবে। তাই নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসনের কঠোর পদক্ষেপ কামনা করছি।’
এ বিষয়ে মন্ডতোষ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নুর ইসলাম মিন্টু বলেন, ‘ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের একটা মিটিং ছিল। গ্রামের মানুষ তো ভাই, তাদের বিভিন্ন সমস্যার কথা শুনে বক্তব্য দিতে গিয়ে দু-একটা কথা স্লিপিং হয়ে গেছে। এটা আসলে আমার বলা ঠিক হয়নি। যেহেতু প্রধানমন্ত্রী বলছেন, আমাদের উৎসবমুখর ভোট করতে হবে। এর তো কোনো বিকল্প নেই। বহির্বিশ্বের কাছে প্রমাণ করতে হবে, গ্রহণযোগ্য ভোট হয়েছে। আসলে ভাই, কথা বলতে বলতে দু-চারটা কথা বেশি হয়ে গেছে। এই আরকি।’
রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মু. আসাদুজ্জামানের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করা হলে তিনিও ফোন রিসিভ করেননি।
‘মন্ডতোষ ইউনিয়নে ভোট হবে উৎফুল্ল মনে, আমরা ওপেন ভোট দেব। ভোট হবে একমাত্র নৌকার। একমাত্র মকবুল সাহেবের নৌকার। এর বাইরে কোনো লোক কোনো এজেন্টও থাকবে না, কিচ্ছু থাকবে না। আমরা মমিনপাড়া সেন্টার (ভোটকেন্দ্র) দখল করে রাখব। সেই জায়গায় আপনারা শুধু সহযোগিতা করবেন আমাদের।’
গতকাল রোববার রাতে উপজেলার মল্লিকচক গ্রামে স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের নিয়ে মতবিনিময় সভায় ভাঙ্গুড়া উপজেলার মন্ডতোষ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নুর ইসলাম মিন্টু এভাবেই হুমকি দেন।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পাবনা-৩ আসনে নৌকা মনোনীত প্রার্থী হলেন তিনবারের এমপি ও জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মকবুল হোসেন। আর স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও চাটমোহর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল হামিদ মাস্টার।
ভাঙ্গুড়া উপজেলার মন্ডতোষ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আফসার আলী এই নির্বাচনে ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল হামিদ মাস্টারের পক্ষে কাজ করছেন। আর এ নিয়ে ক্ষুব্ধ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নুর ইসলাম মিন্টু। তিনি কাজ করছেন নৌকার প্রার্থী মকবুল হোসেনের পক্ষে।
গতকাল রোববার রাতে উপজেলার মল্লিকচক গ্রামে নির্বাচন সামনে রেখে মতবিনিময় সভায় নুর ইসলাম মিন্টু বক্তব্য দেন। সভা চলাকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নুর ইসলাম মিন্টুর আইডি থেকে লাইভ করা হয়। সেই ভিডিও এ প্রতিনিধির হাতে এসেছে।
ভিডিওতে দেখা যায়, মন্ডতোষ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নুর ইসলাম মিন্টু বলছেন, ‘মল্লিকচক গ্রাম বিভিন্ন সমস্যায় জর্জরিত ছিল। কয়েকটা শয়তানের কারণে বিধ্বস্ত ছিল। এটা কে সমাধান করছে, ভাঙ্গুড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম হাসানায়েন রাসেল (এমপির ছেলে) এবং এমপি সাহেবের (মকবুল হোসেন) নির্দেশনায় আজকে মল্লিকচকে শান্তি ফিরে আইছে। সেই জায়গা থেকে মকবুল হোসেনের নৌকাকে বিজয়ী করতে মল্লিকচকের যত লোক আছি, আমরা মমিনপাড়া সেন্টারটা (ভোটকেন্দ্র) দখল করে রাখব। মমিনপাড়া সেন্টারে আমরা ওপেন ভোট দেব। যাতে ভাঙ্গুড়ার মানুষ বলতে পারে, আমরা ওপেন ভোট করিছি।’
বক্তব্যে নুর ইসলাম মিন্টু আরও বলেন, ‘ইনশা আল্লাহ যত সন্ত্রাসী থাক, শত্রু থাক, এই এলাকার চেয়ারম্যান আফসার আলী যে নাটক করছেন, তার কোনো দাম নাই। আফসারের সাঙ্গপাঙ্গ যা আছে, ওদের হাড়-হুড্ডি ভাইঙ্গে এই এলাকা থেকে আমরা শেষ কইরে দেব। মন্ডতোষ ইউনিয়নকে একদম নিট অ্যান্ড ক্লিন করে রাখব। মন্ডতোষ ইউনিয়নে ভোট হবে উৎফুল্ল মনে, একমাত্র নৌকার। একমাত্র মকবুল সাহেবের নৌকার। এর বাইরে কোনো লোক কোনো এজেন্টও থাকবে না, কিচ্ছু থাকবে না। সেই জায়গায় আপনারা শুধু সহযোগিতা করবেন আমাদের।’
এ বিষয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল হামিদ মাস্টার বলেন, ‘প্রচারণা শুরুর অনেক আগে থেকেই নৌকার নেতা-কর্মীরা বিভিন্নভাবে আমাকে এবং আমার সমর্থক লোকজনকে হুমকি-ধমকি দিচ্ছে। বিভিন্ন সভায় তারা নৌকা ছাড়া কাউকে ভোট করতে দেওয়া হবে না, নৌকায় ভোট না দিলে ভোট কেন্দ্রে আসার দরকার নাই, নৌকার বাইরে কেউ ভোট দিলে হাত-পা ভেঙে দেয়া হবে—এমন হুমকি ও উসকানিমূলক বক্তব্য দিচ্ছে। এতে ভোটারদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। এমন পরিস্থিতি থাকলে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না। ভোটকে উৎসবমুখর ও গ্রহণযোগ্য করতে প্রধানমন্ত্রীর যে চ্যালেঞ্জ, সেটি প্রশ্নবিদ্ধ হবে। তাই নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসনের কঠোর পদক্ষেপ কামনা করছি।’
এ বিষয়ে মন্ডতোষ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নুর ইসলাম মিন্টু বলেন, ‘ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের একটা মিটিং ছিল। গ্রামের মানুষ তো ভাই, তাদের বিভিন্ন সমস্যার কথা শুনে বক্তব্য দিতে গিয়ে দু-একটা কথা স্লিপিং হয়ে গেছে। এটা আসলে আমার বলা ঠিক হয়নি। যেহেতু প্রধানমন্ত্রী বলছেন, আমাদের উৎসবমুখর ভোট করতে হবে। এর তো কোনো বিকল্প নেই। বহির্বিশ্বের কাছে প্রমাণ করতে হবে, গ্রহণযোগ্য ভোট হয়েছে। আসলে ভাই, কথা বলতে বলতে দু-চারটা কথা বেশি হয়ে গেছে। এই আরকি।’
রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মু. আসাদুজ্জামানের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করা হলে তিনিও ফোন রিসিভ করেননি।
আসমা বলেন, ‘মাংসের দাম বেশি। তাই সরা বছর গরুর মাংস কেনার সামর্থ্য হয় না। আমরাও মানুষ। আমাদেরও খেতে ইচ্ছে করে। তাই এক টুকরো মাংসের আশায় ঈদের দিনে ব্যাগ নিয়ে শহরে এসেছি।’
৩২ মিনিট আগেসারিয়াকান্দিতে দাদা বাড়ি ঈদ করতে এসে পুকুরে ডুবে আদুরী আক্তার (৯) নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার দুপুরের দিকে উপজেলার ফুলবাড়ি ইউনিয়নের ছাগলধরা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগেমোর্শেদুর রহমান কামাল বলেন, ‘আজকে ঈদের দিন। সবাই আনন্দ করতাছে। আর আমি আমার পরিবার ও প্রতিবেশী লোকজন নিয়া পুকুর থেকে মরা মাছ তুলতেছি। আমার জানা মতে তো কোনো শত্রু নেই। তাইলে কেডা আমার এই ক্ষতিটা করল। দুই পুকুরে প্রায় ১০ লাখ টাকার মাছ ছিল আমার। সব মইরা শেষ। ১৫ বছরের জমানো পুঁজি সব শেষ।
২ ঘণ্টা আগেপ্রায় ২৫ বছর আগে প্রতারণার ফাঁদে পড়ে ভারতে পাচার হন খুলনার রূপসা উপজেলার কিলো গ্রামের আনোয়ারা গাজী (৪৫)। বয়স তখন মাত্র ২০ বছর। অবশেষে ২৫ বছর পর তিনি ফিরলেন নিজ মাতৃভূমিতে।
২ ঘণ্টা আগে