Ajker Patrika

প্রধানমন্ত্রীকে হত্যাচেষ্টা মামলার পলাতক আসামি কারাগারে

পাবনা প্রতিনিধি
প্রধানমন্ত্রীকে হত্যাচেষ্টা মামলার পলাতক আসামি কারাগারে

প্রধানমন্ত্রীকে হত্যাচেষ্টা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি জাকারিয়া পিন্টুকে আদালতের মাধ্যমে পাবনা জেলহাজতে পাঠিয়েছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। এর আগে পাবনার ঈশ্বরদীতে তৎকালীন আওয়ামী লীগের বিরোধী দলীয় নেত্রী বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ট্রেনবহরে হামলা ও গুলিবর্ষণের মামলায় তাঁকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। 

আজ সোমবার পাবনার বিশেষ ট্রাইব্যুনাল আদালত-২ এর মাধ্যমে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়। 

এর আগে গত শনিবার কক্সবাজার জেলার টেকনাফ এলাকায় অভিযান চালিয়ে জাকারিয়া পিন্টুকে (৫০) গ্রেপ্তার করে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)-২। পরদিন রোববার গ্রেপ্তারকৃত আসামিকে পাবনা ঈশ্বরদী থানা-পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পরে বিশেষ নিরাপত্তাজনিত কারণে তাঁকে রাতেই জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়। 

গ্রেপ্তারকৃত পিন্টু পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার পিয়ারখালী কাঁচাপরীপাড়া মহল্লার মৃত আব্দুস ছামাদের ছেলে। আটককৃত শীর্ষ সন্ত্রাসী পিন্টু ঈশ্বরদী পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। 

আদালত থেকে আসামি জাকারিয়া পিন্টুকে কারাগারে নিয়ে যাচ্ছে পুলিশ।পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম বলেন, ২০১৯ সালে ৩ জুলাই ঈশ্বরদী বিএনপির ৯ শীর্ষ নেতার মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণা করেন আদালত। রায় ঘোষণার দিন থেকেই পলাতক ছিলেন পিন্টু। জাকারিয়া পিন্টুর এই মামলা ছাড়াও ভেড়ামারা থানায় অস্ত্র মামলায় ১৭ বছরের দণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি। এ ছাড়াও তাঁর বিরুদ্ধে মোট ২৪টি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে ৮টি মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামি তিনি। 

উল্লেখ্য, তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৪ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর রূপসা এক্সপ্রেস ট্রেনযোগে খুলনা থেকে সৈয়দপুর যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে পথসভা করার কথা থাকলেও বর্ণিত আসামি বিএনপি নেতা জাকারিয়া পিন্টুসহ তাঁর নেতৃত্বে মামলার অন্যান্য আসামিরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে ঈশ্বরদী স্টেশন এলাকায় ট্রেনে গুলি ও বোমা বর্ষণ করেন। 

এ ঘটনায় ঈশ্বরদী জিআরপি থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে ওই দিনই একটি মামলা করেন। পরে মামলাটির তদন্ত শুরু করে সিআইডি। ১৯৯৭ সালে ৩ এপ্রিল ৫২ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দেওয়া হয়। এদের মধ্যে পাঁচজন মারা গেলে তাঁদের চার্জশিট থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। ২০১৯ সালে ৩ জুলাই জাকারিয়া পিন্টুসহ ৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেন আদালত। সেই সঙ্গে ২৫ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ১৩ জনকে ১০ বছর মেয়াদ কারাদণ্ড ঘোষণা করা হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ঢাবিতে ‘তুর্কি এনজিও সমর্থিত’ সংগঠনের ‘বৃহত্তর বাংলাদেশ’ মানচিত্রে ভারতের অংশ, বললেন জয়শঙ্কর

কালো জাদুর অভিযোগে মবের তাণ্ডব, এক পরিবারে পাঁচজনকে জীবন্ত পুড়িয়ে হত্যা

খিলগাঁওয়ে পুরি-শিঙাড়া বিক্রেতাকে পিটিয়ে হত্যা

ফ্লাইটে অসুস্থ ব্যক্তিকে সহযাত্রীর চড়, তারপর থেকে তিনি নিখোঁজ

সাপের বিষে তৈরি যে মদ পাওয়া যায় এশিয়ার বিভিন্ন দেশে

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত