নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
‘আগে মশা বেড়ে গেলে কাউন্সিলর অফিসে গিয়ে অভিযোগ করতাম। কিছু না হলেও স্প্রে করত। কিন্তু এখন কিছুই দেখি না। যেখানে অভিযোগ করব, সেই কাউন্সিলরদেরও অপসারণ করা হয়েছে। কাউন্সিলর অফিসে গিয়ে শুনলাম, একজন শিক্ষা অফিসার ওয়ার্ডের দায়িত্বে আছেন। তাঁকে কোনো দিন দেখিনি যে অভিযোগ জানাব। এখন মশার অত্যাচারে ঘর-বাড়িতে থাকাটাই কষ্টসাধ্য হয়ে গেছে।’
কথাগুলো বলছিলেন রাজশাহী নগরীর মহিষবাথান এলাকার বাসিন্দা তাইফুর রহমান। শুধু তাইফুরই নন, বরং মশার যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে রাজশাহী নগরবাসী। দিনে কিংবা রাতে—সব সময় কানের কাছে ভন ভন করছে মশা।
নগরবাসী বলছেন, জনপ্রতিনিধিরা না থাকার কারণে সিটি করপোরেশনের মশক নিধন কার্যক্রম ঝিমিয়ে পড়েছে। আর সিটি করপোরেশন বলছে, এখন প্রজনন মৌসুম বলে মশার উৎপাত বেড়েছে। অন্য শহরের তুলনায় এখানে মশা কম।
নগরের উপশহরের বাসিন্দা আকরাম হোসেন বলেন, ‘রাজশাহী শহরে আমি ২৫ বছর ধরে বাস করছি। এত মশা এই শহরে আর দেখিনি। দিনে-রাতে সব সময় মশা গান শোনাচ্ছে। পাঁচ মিনিটের জন্যও যদি ঘরের জানালা খোলা হচ্ছে, সব মশা এসে ঢুকে পড়ছে।’
নগরের কাজীহাটা এলাকার বাসিন্দা রোকেয়া বেগম বলেন, ‘মশার খুব অত্যাচার। বাচ্চারা পড়াশোনা করতে পারছে না। সারাক্ষণ কয়েল জ্বালাতে হচ্ছে। কয়েলের ধোঁয়াতেও বাচ্চাদের সমস্যা হচ্ছে। অনেক দিন ধরে ড্রেন পরিষ্কার না করার কারণে মশার অত্যাচার বেড়েছে।’
নগরের দড়িখড়বোনা এলাকার বাসিন্দা মারুফুল হক বলেন, ‘সিটি করপোরেশনে মেয়র নেই, কাউন্সিলর নেই। কোনো রকম তদারকিও নেই। আসলে মশা নিধনের কোনো কার্যক্রম চলছে কি না তা বুঝতে পারছি না। আমাদের এলাকায় শেষবার কবে মশক নিধন দেখেছি মনে করতে পারছি না।’
তবে রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক) বলছে, ড্রেন পরিষ্কার করে স্প্রে মেশিনের মাধ্যমে লার্ভিসাইড ওষুধ ছিটানো হচ্ছে মশার ডিম ধ্বংসের জন্য। আর ফগার মেশিনের ওষুধের মজুত খুবই অল্প। তা দিয়ে সাত দিনও কার্যক্রম চালানো যাবে না। তাই এটি বন্ধ রাখা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের দাবি, প্রতিদিন প্রতিটি ওয়ার্ডে লার্ভিসাইড ওষুধ স্প্রে করে মশার ডিম ধ্বংস করা হচ্ছে। প্রতি সাত দিন পর পর একেকটি ড্রেনে ওষুধ স্প্রে করা হচ্ছে।
রাসিকের প্রধান পরিচ্ছন্নতা কর্মকর্তা শেখ মো. মামুন ডলার বলেন, ‘মশা এখন বেড়েছে, তা ঠিক। কারণ এখন মশার প্রজনন মৌসুম চলছে। তা ছাড়া বাড়ির পাশের ঝোপঝাড় অনেকে পরিষ্কার রাখছেন না। ছাদবাগানের টবের পানি থেকেও মশা বাড়ছে। এসব ব্যাপারে নগরবাসীকে একটু সচেতন থাকতে হবে; তাহলে মশা কমবে।’
শেখ মো. মামুন ডলার আরও বলেন, ‘আমাদের শহরে মশা তুলনামূলক কম। অন্য শহরে এখন আপনি দাঁড়াতেই পারবেন না। আমরা পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি। মেয়র-কাউন্সিলর থাকলে তদারকিটা ভালো হয়। এখন তাঁরা নেই। ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে সরকারি কর্মকর্তারা দায়িত্বে আছেন। তাঁদের অনেক কাজ থাকে। তারপরও যতটা সম্ভব আমরা সব তদারকি করছি।’
তবে এখন লার্ভিসাইড ওষুধ ও ফগার মেশিনের ওষুধের মজুত খুবই কম—জানিয়ে ডলার বলেন, ‘ওষুধ কিনতে দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। রোববার (আজ) দরপত্র দাখিলের শেষ দিন। সপ্তাহখানেকের মধ্যে ঠিকাদারকে কার্যাদেশ দেওয়া হবে। এরপর ওষুধ এলে মশক নিধন কার্যক্রম আরও জোরদার করা হবে।’
‘আগে মশা বেড়ে গেলে কাউন্সিলর অফিসে গিয়ে অভিযোগ করতাম। কিছু না হলেও স্প্রে করত। কিন্তু এখন কিছুই দেখি না। যেখানে অভিযোগ করব, সেই কাউন্সিলরদেরও অপসারণ করা হয়েছে। কাউন্সিলর অফিসে গিয়ে শুনলাম, একজন শিক্ষা অফিসার ওয়ার্ডের দায়িত্বে আছেন। তাঁকে কোনো দিন দেখিনি যে অভিযোগ জানাব। এখন মশার অত্যাচারে ঘর-বাড়িতে থাকাটাই কষ্টসাধ্য হয়ে গেছে।’
কথাগুলো বলছিলেন রাজশাহী নগরীর মহিষবাথান এলাকার বাসিন্দা তাইফুর রহমান। শুধু তাইফুরই নন, বরং মশার যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে রাজশাহী নগরবাসী। দিনে কিংবা রাতে—সব সময় কানের কাছে ভন ভন করছে মশা।
নগরবাসী বলছেন, জনপ্রতিনিধিরা না থাকার কারণে সিটি করপোরেশনের মশক নিধন কার্যক্রম ঝিমিয়ে পড়েছে। আর সিটি করপোরেশন বলছে, এখন প্রজনন মৌসুম বলে মশার উৎপাত বেড়েছে। অন্য শহরের তুলনায় এখানে মশা কম।
নগরের উপশহরের বাসিন্দা আকরাম হোসেন বলেন, ‘রাজশাহী শহরে আমি ২৫ বছর ধরে বাস করছি। এত মশা এই শহরে আর দেখিনি। দিনে-রাতে সব সময় মশা গান শোনাচ্ছে। পাঁচ মিনিটের জন্যও যদি ঘরের জানালা খোলা হচ্ছে, সব মশা এসে ঢুকে পড়ছে।’
নগরের কাজীহাটা এলাকার বাসিন্দা রোকেয়া বেগম বলেন, ‘মশার খুব অত্যাচার। বাচ্চারা পড়াশোনা করতে পারছে না। সারাক্ষণ কয়েল জ্বালাতে হচ্ছে। কয়েলের ধোঁয়াতেও বাচ্চাদের সমস্যা হচ্ছে। অনেক দিন ধরে ড্রেন পরিষ্কার না করার কারণে মশার অত্যাচার বেড়েছে।’
নগরের দড়িখড়বোনা এলাকার বাসিন্দা মারুফুল হক বলেন, ‘সিটি করপোরেশনে মেয়র নেই, কাউন্সিলর নেই। কোনো রকম তদারকিও নেই। আসলে মশা নিধনের কোনো কার্যক্রম চলছে কি না তা বুঝতে পারছি না। আমাদের এলাকায় শেষবার কবে মশক নিধন দেখেছি মনে করতে পারছি না।’
তবে রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক) বলছে, ড্রেন পরিষ্কার করে স্প্রে মেশিনের মাধ্যমে লার্ভিসাইড ওষুধ ছিটানো হচ্ছে মশার ডিম ধ্বংসের জন্য। আর ফগার মেশিনের ওষুধের মজুত খুবই অল্প। তা দিয়ে সাত দিনও কার্যক্রম চালানো যাবে না। তাই এটি বন্ধ রাখা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের দাবি, প্রতিদিন প্রতিটি ওয়ার্ডে লার্ভিসাইড ওষুধ স্প্রে করে মশার ডিম ধ্বংস করা হচ্ছে। প্রতি সাত দিন পর পর একেকটি ড্রেনে ওষুধ স্প্রে করা হচ্ছে।
রাসিকের প্রধান পরিচ্ছন্নতা কর্মকর্তা শেখ মো. মামুন ডলার বলেন, ‘মশা এখন বেড়েছে, তা ঠিক। কারণ এখন মশার প্রজনন মৌসুম চলছে। তা ছাড়া বাড়ির পাশের ঝোপঝাড় অনেকে পরিষ্কার রাখছেন না। ছাদবাগানের টবের পানি থেকেও মশা বাড়ছে। এসব ব্যাপারে নগরবাসীকে একটু সচেতন থাকতে হবে; তাহলে মশা কমবে।’
শেখ মো. মামুন ডলার আরও বলেন, ‘আমাদের শহরে মশা তুলনামূলক কম। অন্য শহরে এখন আপনি দাঁড়াতেই পারবেন না। আমরা পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি। মেয়র-কাউন্সিলর থাকলে তদারকিটা ভালো হয়। এখন তাঁরা নেই। ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে সরকারি কর্মকর্তারা দায়িত্বে আছেন। তাঁদের অনেক কাজ থাকে। তারপরও যতটা সম্ভব আমরা সব তদারকি করছি।’
তবে এখন লার্ভিসাইড ওষুধ ও ফগার মেশিনের ওষুধের মজুত খুবই কম—জানিয়ে ডলার বলেন, ‘ওষুধ কিনতে দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। রোববার (আজ) দরপত্র দাখিলের শেষ দিন। সপ্তাহখানেকের মধ্যে ঠিকাদারকে কার্যাদেশ দেওয়া হবে। এরপর ওষুধ এলে মশক নিধন কার্যক্রম আরও জোরদার করা হবে।’
‘ফাতেমা আমাদের কলিজার টুকরা ছিল। ছোটবেলা থেকেই ঢাকায় থাকত, মায়ের সাথে। আমাদের সবার ইচ্ছে ছিল বড় হলে সে চিকিৎসক হবে। সব আশা স্বপ্ন আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেল।’ এভাবেই বিলাপ করছিলেন মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বিধ্বস্তে নিহত ফাতেমা আক্তার আনিশার (৯) চাচি মুক্তা বেগম। অদূরেই ভাগ্নে ওসমানকে কোলে
০১ জানুয়ারি ১৯৭০গজারিয়ায় বাল্কহেড থেকে নদীতে পড়ে আল আমিন (৮) নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। আজ মঙ্গলবার উপজেলার বালুয়াকান্দি ইউনিয়নের আড়ালিয়া গ্রামসংলগ্ন মেঘনা নদীর একটি শাখায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
৬ মিনিট আগেদিল্লিতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক উচ্চপদস্থ সূত্র আজ বিবিসিকে জানায়, ‘আমরা আশা করছি, দুজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক–যাঁদের বার্ন ইউনিটে কাজ করার দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা রয়েছে, তাঁরা নার্সদের একটি ছোট দল নিয়ে আজই (মঙ্গলবার) ঢাকায় পৌঁছে যাবেন।’
১০ মিনিট আগেতিনি বলেন, ‘প্রতিবন্ধকতাকে উপেক্ষা করে নয়, বরং প্রযুক্তির মাধ্যমে অতিক্রম করাই আমাদের লক্ষ্য হওয়া উচিত। এই প্রকল্পকে একটি ইন্ডাস্ট্রিতে রূপ দেওয়ার লক্ষ্যে সরকার ও একাডেমিয়াকে একযোগে কাজ করতে হবে। এ জন্য উন্নয়নাধীন বাংলা ভাষায় স্ক্রিন রিডার, ব্রেইল কনভার্টার ও ইশারা ভাষা ডিজিটাইজেশনভিত্তিক সফটওয়্যার
১৪ মিনিট আগে