এইচ এম শাহনেওয়াজ, পুঠিয়া (রাজশাহী)
রাজশাহীর পুঠিয়ার বিভিন্ন এলাকায় গড়ে উঠছে ১৪টি ইটভাটা। ভাটাগুলোর অধিকাংশেরই বৈধ কোনো কাগজপত্র নেই। মালিকেরা সরকারি নিয়মকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে প্রতিদিন ভাটাগুলোতে জ্বালানি হিসেবে কয়লার পরিবর্তে কাঠ পোড়ানো হচ্ছে। দ্বিগুণ টাকা দিয়েও পর্যাপ্ত কয়লা পাওয়া যাচ্ছে না। তাই ভাটা চালু রাখতে জ্বালানি হিসেবে কাঠই একমাত্র ভরসা বলে জানিয়েছেন ভাটা মালিকেরা।
উপজেলা পরিষদ সূত্রে জানা গেছে, পৌরসভায় দুটিসহ ৬টি ইউনিয়ন মিলে মোট ১৪টি ইটভাটা রয়েছে। তার মধ্যে একটিরও পরিবেশ অধিদপ্তরের কোনো সনদ নেই। সেই সঙ্গে অধিকাংশের বৈধ কাগজপত্র নেই। ভাটা মালিকেরা এ বছর কয়লার দাম ও সংকট দেখাচ্ছেন। সেই সঙ্গে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের প্রভাব খাঁটিয়ে ভাটাগুলোতে জ্বালানি হিসেবে কাঠ পুড়িয়ে তাঁদের ব্যবসা পরিচালনা করছেন। বিগত সময় সরকার ইট প্রস্তুতের কথা মাথায় রেখে ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন ২০১৩ এর একটি খসড়া অনুমোদন করেছেন।
এতে বলা আছে, পৌরসভা, সংরক্ষিত আবাসিক-বাণিজ্যিক ও গুরুপূর্ণ এলাকা, বনভূমি, কৃষি জমি, ফলজ ও বনজ বাগান, জলাশয় ও এর আশপাশে কোনো স্থানে ইটভাটা স্থাপন করা যাবে না। এ ছাড়া খসড়া আইন অমান্যকারীর সর্বোচ্চ ১০ বছরের কারাদণ্ড ও ১০ লাখ টাকা অর্থ জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে। খসড়ায় ইটভাটায় জ্বালানি হিসেবে কাঠ ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে ইটভাটা নির্মাণ এলাকা নির্ধারণ, মাটির ব্যবহারে নির্দিষ্ট করা দেওয়া হয়।
খসড়ায় আরও বলা হয়, ইটভাটায় উর্বর মাটি ব্যবহার করলে মালিককে প্রথমবার দুই বছর কারাদণ্ড এবং দুই লাখ টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে। আর দ্বিতীয়বার একই অপরাধ করলে ভাটা মালিকের ন্যূনতম দুই বছর ও অনধিক ১০ বছর কারাদণ্ড এবং ২ লাখ থেকে সর্বোচ্চ ১০ লাখ টাকা জরিমানার বিধান রয়েছে। এ ছাড়া লাইসেন্সবিহীন ইটভাটা তৈরি করলে এক বছরের কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা আদায়ের নির্দেশনা রয়েছে। অপরদিকে, ইটভাটার জ্বালানি কয়লার পরিবর্তে কাঠ ব্যবহার করা হলে ৩ বছরের কারাদণ্ড ও ৩ লাখ টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডের বিধান রয়েছে। সে আইন কেবলমাত্র কাগজে কলমে রয়েছে গেছে। উপজেলার ইটভাটার মালিকদের ক্ষেত্রে এ আইন বাস্তবায়নে কোনো পদক্ষেপ দেওয়া হচ্ছে না।
স্থানীয় এলাকাবাসীরা অভিযোগ করে বলেন, কালো ধোঁয়ার কারণে ভাটার আশপাশের প্রায় ২ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে ফসলি জমি, আমের বাগান, ডাব-নারকেল বাগানসহ খেতের বিভিন্ন ফসল নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এতে করে প্রতিবছরে এই এলাকার কৃষকেরা মোটা অঙ্কের টাকার ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। অপরদিকে, ইটভাটার কালো ধোয়ায় এলাকার পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। এ বিষয়ে উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরে কয়েকবার অভিযোগ করেও কোনো সুরাহা পাইনি।
ইটভাটার মালিকেরা বলেন, এ বছর চাহিদা মোতাবেক কয়লা পাওয়া যাচ্ছে না। সেই সঙ্গে কয়লার দাম গত বছরের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ। তাই এখন ইটভাটা চালাতে হলে আমাদের জ্বালানি হিসেবে কাঠ ব্যবহার করতে হচ্ছে। এ বিষয়ে প্রশাসনের কাছ থেকে মৌখিকভাবে অনুমতি নেওয়া আছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুরুল হাই মোহাস্মদ আনাছ বলেন, ইটভাটাগুলোতে অচিরেই অভিযান চালানো হবে।
রাজশাহীর পুঠিয়ার বিভিন্ন এলাকায় গড়ে উঠছে ১৪টি ইটভাটা। ভাটাগুলোর অধিকাংশেরই বৈধ কোনো কাগজপত্র নেই। মালিকেরা সরকারি নিয়মকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে প্রতিদিন ভাটাগুলোতে জ্বালানি হিসেবে কয়লার পরিবর্তে কাঠ পোড়ানো হচ্ছে। দ্বিগুণ টাকা দিয়েও পর্যাপ্ত কয়লা পাওয়া যাচ্ছে না। তাই ভাটা চালু রাখতে জ্বালানি হিসেবে কাঠই একমাত্র ভরসা বলে জানিয়েছেন ভাটা মালিকেরা।
উপজেলা পরিষদ সূত্রে জানা গেছে, পৌরসভায় দুটিসহ ৬টি ইউনিয়ন মিলে মোট ১৪টি ইটভাটা রয়েছে। তার মধ্যে একটিরও পরিবেশ অধিদপ্তরের কোনো সনদ নেই। সেই সঙ্গে অধিকাংশের বৈধ কাগজপত্র নেই। ভাটা মালিকেরা এ বছর কয়লার দাম ও সংকট দেখাচ্ছেন। সেই সঙ্গে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের প্রভাব খাঁটিয়ে ভাটাগুলোতে জ্বালানি হিসেবে কাঠ পুড়িয়ে তাঁদের ব্যবসা পরিচালনা করছেন। বিগত সময় সরকার ইট প্রস্তুতের কথা মাথায় রেখে ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন ২০১৩ এর একটি খসড়া অনুমোদন করেছেন।
এতে বলা আছে, পৌরসভা, সংরক্ষিত আবাসিক-বাণিজ্যিক ও গুরুপূর্ণ এলাকা, বনভূমি, কৃষি জমি, ফলজ ও বনজ বাগান, জলাশয় ও এর আশপাশে কোনো স্থানে ইটভাটা স্থাপন করা যাবে না। এ ছাড়া খসড়া আইন অমান্যকারীর সর্বোচ্চ ১০ বছরের কারাদণ্ড ও ১০ লাখ টাকা অর্থ জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে। খসড়ায় ইটভাটায় জ্বালানি হিসেবে কাঠ ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে ইটভাটা নির্মাণ এলাকা নির্ধারণ, মাটির ব্যবহারে নির্দিষ্ট করা দেওয়া হয়।
খসড়ায় আরও বলা হয়, ইটভাটায় উর্বর মাটি ব্যবহার করলে মালিককে প্রথমবার দুই বছর কারাদণ্ড এবং দুই লাখ টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে। আর দ্বিতীয়বার একই অপরাধ করলে ভাটা মালিকের ন্যূনতম দুই বছর ও অনধিক ১০ বছর কারাদণ্ড এবং ২ লাখ থেকে সর্বোচ্চ ১০ লাখ টাকা জরিমানার বিধান রয়েছে। এ ছাড়া লাইসেন্সবিহীন ইটভাটা তৈরি করলে এক বছরের কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা আদায়ের নির্দেশনা রয়েছে। অপরদিকে, ইটভাটার জ্বালানি কয়লার পরিবর্তে কাঠ ব্যবহার করা হলে ৩ বছরের কারাদণ্ড ও ৩ লাখ টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডের বিধান রয়েছে। সে আইন কেবলমাত্র কাগজে কলমে রয়েছে গেছে। উপজেলার ইটভাটার মালিকদের ক্ষেত্রে এ আইন বাস্তবায়নে কোনো পদক্ষেপ দেওয়া হচ্ছে না।
স্থানীয় এলাকাবাসীরা অভিযোগ করে বলেন, কালো ধোঁয়ার কারণে ভাটার আশপাশের প্রায় ২ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে ফসলি জমি, আমের বাগান, ডাব-নারকেল বাগানসহ খেতের বিভিন্ন ফসল নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এতে করে প্রতিবছরে এই এলাকার কৃষকেরা মোটা অঙ্কের টাকার ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। অপরদিকে, ইটভাটার কালো ধোয়ায় এলাকার পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। এ বিষয়ে উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরে কয়েকবার অভিযোগ করেও কোনো সুরাহা পাইনি।
ইটভাটার মালিকেরা বলেন, এ বছর চাহিদা মোতাবেক কয়লা পাওয়া যাচ্ছে না। সেই সঙ্গে কয়লার দাম গত বছরের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ। তাই এখন ইটভাটা চালাতে হলে আমাদের জ্বালানি হিসেবে কাঠ ব্যবহার করতে হচ্ছে। এ বিষয়ে প্রশাসনের কাছ থেকে মৌখিকভাবে অনুমতি নেওয়া আছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুরুল হাই মোহাস্মদ আনাছ বলেন, ইটভাটাগুলোতে অচিরেই অভিযান চালানো হবে।
সারা দেশে নারী নিপীড়ন, সহিংসতা ও ধর্ষণের প্রতিবাদে এবং ধর্ষকদের সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসির দাবিতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থীরা মশাল মিছিল করেছেন। গতকাল রোববার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের নওয়াব ফয়জুন্নেসা হল থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন নারী শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি মেয়েদের সব হল ঘুরে..
১ মিনিট আগেরাজধানীর বনানীতে চেয়ারম্যান বাড়ি এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় একজন নারী পোশাকশ্রমিক নিহত এবং আরেকজন আহত হয়েছেন। আজ সোমবার সকালের এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে দুটি পোশাক কারখানার শ্রমিকেরা সড়ক অবরোধ করেছেন। এতে ওই এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে...
১৬ মিনিট আগেনারায়ণগঞ্জ মহানগরে দুই পক্ষের বাগ্বিতণ্ডা থামাতে গিয়ে ছাত্রদলের এক কর্মী ছুরিকাঘাতে নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় এক অভিযুক্তকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। গতকাল রোববার রাত সোয়া ১০টার দিকে শহরের চাষাঢ়া বালুর মাঠ সড়কে এই ঘটনা ঘটে। নিহত মো. অপূর্ব (২৫) নারায়ণগঞ্জ মহানগর ছাত্রদলের কর্মী...
১ ঘণ্টা আগেবৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে অচেতন অবস্থায় শিশুটিকে মাগুরা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে দুপুরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে সেখান থেকে পাঠানো হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।
১ ঘণ্টা আগে