চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি
মো. রুবেল আলী। তিনি মেসার্স ব্রয়লার হাউসের মালিক। দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে ব্যবসা করেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর এলাকার নিউ মার্কেট কাঁচাবাজারে। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে তাঁর দোকানে গিয়ে দেখা যায় ক্রেতা শূন্য দোকানে অন্য তিনজন কর্মচারীর সঙ্গে টুলে বসে গল্প করছেন। তার দোকানের সামনে গিয়ে দাঁড়াতেই এগিয়ে এসে প্রতিবেদককে জিজ্ঞেস করেন– ‘কি নিবেন ভাই।’ গণমাধ্যম কর্মী পরিচয় দিতেই হতাশ হয়ে মুখ ফিরিয়ে নিলেন।
পরে ডেকে দোকানের সামনেই দাঁড়িয়ে রুবেল আলীর সঙ্গে কথা হয় এই প্রতিবেদকের। রুবেল আলী বলেন, ‘দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে দোকান দিয়ে ব্যবসা করে আসছি। দোকানে রয়েছে তিনজন কর্মচারী। বেচাবিক্রি না হওয়ায় দোকান এবং কর্মচারীদের বেতনও দিতে পারছি না ঠিকমতো। একই অবস্থা পাশের মুরগি দোকানদার আশরাফুল ইসলামেরও।’
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের সবচেয়ে বড় মুরগির বাজার হল-নিউ মার্কেট এলাকায়। সেখানে অর্ধশত দোকান রয়েছে। তাঁরা সবাই পাবনা, রাজশাহী, কক্সবাজার, বগুড়াসহ দেশের বিভিন্নস্থান থেকে বিভিন্ন জাতের মুরগি এনে খুচরা ও পাইকারি বিক্রি করে থাকেন। সব রকম মুরগির দাম বেড়ে যাওয়ায় বেচা বিক্রিও কমে গেছে একেবারেই। ফলে এক রকম মানবেতর জীবনযাপন করছেন ব্যবসায়ীরা। তাঁরা বলছেন বাজার নিয়ন্ত্রণ না হলে সামনে রমজানে হাঁড়িতে মাংস তুলতে পারবে না সাধারণ মানুষ।
বৃহস্পতিবার চাঁপাইনবাবগঞ্জের বাজারে লেয়ার মুরগি বিক্রি হয়েছে ২৮০ টাকা, প্যারেস বিক্রি হয়েছে ২৩০ টাকায়, সাদা লেয়ার ২৬০ টাকায় এবং দেশি মুরগি বিক্রি হয়েছে ৫৫০ টাকায়। অপরদিকে গরুর মাংস বিক্রি করতে দেখা গেছে সাড়ে ৭০০ টাকায়। এসব মাংসে সপ্তাহের ব্যবধানে দাম বেড়েছে ৫০ থেকে ১২৫ টাকার ওপরে।
এ ছাড়াও চাল, ডাল, চিনি, ডিম, আটা-ময়দা, সবজিসহ প্রায় সবগুলো নিত্যপণ্যের দাম বেড়েছে। এতে চাপে পড়েছেন ক্রেতারা। এ ছাড়া একের পর এক পণ্য যুক্ত হচ্ছে দাম বৃদ্ধির তালিকায়। আর দুই সপ্তাহ পরে শুরু হবে রমজান মাস। এমন পরিস্থিতিতে দরিদ্র ও নিম্নমধ্যবিত্ত শ্রেণি বেশ বেকায়দায় পড়েছেন। অতীত অভিজ্ঞতা থেকে রমজান মাসে নিত্যপণ্যের দাম নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় মানুষ। তারা বলছেন, এখনই দ্রব্যমূল্যের এত দাম, রমজানে মাসে কি অবস্থা হবে সেটাই বড় প্রশ্ন। নিত্যপণ্যের অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধির কারণে সাধারণ মানুষকে আয়-ব্যয়ের হিসাব মেলাতে কঠিন পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হচ্ছে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের পুরোনো বাজার, নিউমার্কেট বাজারসহ অন্যান্য বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে সব জিনিসের দাম আকাশছোঁয়া। এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতিকেজি আটাশ চালের দাম ৩ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৬৫ টাকায়, মিনিকেট ৩ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৬৮ টাকা কেজি, মসুর ডাল বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকা কেজি। এক সপ্তাহ আগে দাম ছিল ১২০ টাকা। পোলাও চাল ১০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১৪৫ টাকা কেজি, ৭৫ টাকা কেজির চিনি বিক্রি হচ্ছে ১১০ থেকে ১১২ টাকা কেজি, প্রতি কেজি আলুতে দাম বেড়েছে ৩ থেকে ৪ টাকা, এখন বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা কেজি, দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩২ টাকা কেজি, এক সপ্তাহ আগে দাম ছিল ২৫ থেকে ২৬ টাকা, ১২০ টাকার শজনে বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকায়, ফুলকপি ৫ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা কেজি। শুধু মাছের বাজার অপরিবর্তিত রয়েছে।
নিউ মার্কেট কাঁচাবাজারে সবজি বিক্রেতা হাইউল ইসলাম বলেন, সরবরাহ কম হওয়ায় দাম বেড়েছে সব পণ্যের। মামুনুর রশিদ নামে একজন ক্রেতা বলেন, চাল, ডাল, মুরগি, মাংস ও ডিম থেকে শুরু করে এমন কোনো পণ্য নেই যে দাম বাড়েনি। প্রতিবছর রমজান আসার এক মাস আগে এভাবে দাম বাড়ানো রীতিতে পরিণত হয়েছে। সংসার চালাতে বাজার খরচেই সব শেষ হয়ে যাচ্ছে। মানুষের দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে প্রশাসনের উচিত এখনই বাজার নিয়ন্ত্রণ করা।
এ বিষয়ে জেলা কৃষি বিপণন কর্মকর্তা মো. নুরুল ইসলাম বলেন, ‘বাজারে ব্রয়লার মুরগি, মাংস, ডিমসহ কিছু পণ্যের দাম বেড়েছে। দাম বৃদ্ধির কারণ জানতে খামারি পর্যায়ে খোঁজ নিয়েছি। ফিড, বাচ্চা ও পরিবহন খরচের জন্য ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়েছে। নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধির জন্য জেলা পর্যায়ে তেমন কোনো সিন্ডিকেট নেই। রমজানে কোনো সিন্ডিকেট যাতে বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে না পারে, সে বিষয়ে আমরা মাঠপর্যায়ে কাজ করছি। আগামী ১৩ মার্চ জেলা বাজার মনিটরিং কমিটির সভা রয়েছে, সেখান থেকে বাজার তদারকির বিষয়ে বিশেষ নির্দেশনা আসবে।’
মো. রুবেল আলী। তিনি মেসার্স ব্রয়লার হাউসের মালিক। দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে ব্যবসা করেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর এলাকার নিউ মার্কেট কাঁচাবাজারে। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে তাঁর দোকানে গিয়ে দেখা যায় ক্রেতা শূন্য দোকানে অন্য তিনজন কর্মচারীর সঙ্গে টুলে বসে গল্প করছেন। তার দোকানের সামনে গিয়ে দাঁড়াতেই এগিয়ে এসে প্রতিবেদককে জিজ্ঞেস করেন– ‘কি নিবেন ভাই।’ গণমাধ্যম কর্মী পরিচয় দিতেই হতাশ হয়ে মুখ ফিরিয়ে নিলেন।
পরে ডেকে দোকানের সামনেই দাঁড়িয়ে রুবেল আলীর সঙ্গে কথা হয় এই প্রতিবেদকের। রুবেল আলী বলেন, ‘দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে দোকান দিয়ে ব্যবসা করে আসছি। দোকানে রয়েছে তিনজন কর্মচারী। বেচাবিক্রি না হওয়ায় দোকান এবং কর্মচারীদের বেতনও দিতে পারছি না ঠিকমতো। একই অবস্থা পাশের মুরগি দোকানদার আশরাফুল ইসলামেরও।’
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের সবচেয়ে বড় মুরগির বাজার হল-নিউ মার্কেট এলাকায়। সেখানে অর্ধশত দোকান রয়েছে। তাঁরা সবাই পাবনা, রাজশাহী, কক্সবাজার, বগুড়াসহ দেশের বিভিন্নস্থান থেকে বিভিন্ন জাতের মুরগি এনে খুচরা ও পাইকারি বিক্রি করে থাকেন। সব রকম মুরগির দাম বেড়ে যাওয়ায় বেচা বিক্রিও কমে গেছে একেবারেই। ফলে এক রকম মানবেতর জীবনযাপন করছেন ব্যবসায়ীরা। তাঁরা বলছেন বাজার নিয়ন্ত্রণ না হলে সামনে রমজানে হাঁড়িতে মাংস তুলতে পারবে না সাধারণ মানুষ।
বৃহস্পতিবার চাঁপাইনবাবগঞ্জের বাজারে লেয়ার মুরগি বিক্রি হয়েছে ২৮০ টাকা, প্যারেস বিক্রি হয়েছে ২৩০ টাকায়, সাদা লেয়ার ২৬০ টাকায় এবং দেশি মুরগি বিক্রি হয়েছে ৫৫০ টাকায়। অপরদিকে গরুর মাংস বিক্রি করতে দেখা গেছে সাড়ে ৭০০ টাকায়। এসব মাংসে সপ্তাহের ব্যবধানে দাম বেড়েছে ৫০ থেকে ১২৫ টাকার ওপরে।
এ ছাড়াও চাল, ডাল, চিনি, ডিম, আটা-ময়দা, সবজিসহ প্রায় সবগুলো নিত্যপণ্যের দাম বেড়েছে। এতে চাপে পড়েছেন ক্রেতারা। এ ছাড়া একের পর এক পণ্য যুক্ত হচ্ছে দাম বৃদ্ধির তালিকায়। আর দুই সপ্তাহ পরে শুরু হবে রমজান মাস। এমন পরিস্থিতিতে দরিদ্র ও নিম্নমধ্যবিত্ত শ্রেণি বেশ বেকায়দায় পড়েছেন। অতীত অভিজ্ঞতা থেকে রমজান মাসে নিত্যপণ্যের দাম নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় মানুষ। তারা বলছেন, এখনই দ্রব্যমূল্যের এত দাম, রমজানে মাসে কি অবস্থা হবে সেটাই বড় প্রশ্ন। নিত্যপণ্যের অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধির কারণে সাধারণ মানুষকে আয়-ব্যয়ের হিসাব মেলাতে কঠিন পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হচ্ছে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের পুরোনো বাজার, নিউমার্কেট বাজারসহ অন্যান্য বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে সব জিনিসের দাম আকাশছোঁয়া। এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতিকেজি আটাশ চালের দাম ৩ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৬৫ টাকায়, মিনিকেট ৩ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৬৮ টাকা কেজি, মসুর ডাল বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকা কেজি। এক সপ্তাহ আগে দাম ছিল ১২০ টাকা। পোলাও চাল ১০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১৪৫ টাকা কেজি, ৭৫ টাকা কেজির চিনি বিক্রি হচ্ছে ১১০ থেকে ১১২ টাকা কেজি, প্রতি কেজি আলুতে দাম বেড়েছে ৩ থেকে ৪ টাকা, এখন বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা কেজি, দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩২ টাকা কেজি, এক সপ্তাহ আগে দাম ছিল ২৫ থেকে ২৬ টাকা, ১২০ টাকার শজনে বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকায়, ফুলকপি ৫ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা কেজি। শুধু মাছের বাজার অপরিবর্তিত রয়েছে।
নিউ মার্কেট কাঁচাবাজারে সবজি বিক্রেতা হাইউল ইসলাম বলেন, সরবরাহ কম হওয়ায় দাম বেড়েছে সব পণ্যের। মামুনুর রশিদ নামে একজন ক্রেতা বলেন, চাল, ডাল, মুরগি, মাংস ও ডিম থেকে শুরু করে এমন কোনো পণ্য নেই যে দাম বাড়েনি। প্রতিবছর রমজান আসার এক মাস আগে এভাবে দাম বাড়ানো রীতিতে পরিণত হয়েছে। সংসার চালাতে বাজার খরচেই সব শেষ হয়ে যাচ্ছে। মানুষের দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে প্রশাসনের উচিত এখনই বাজার নিয়ন্ত্রণ করা।
এ বিষয়ে জেলা কৃষি বিপণন কর্মকর্তা মো. নুরুল ইসলাম বলেন, ‘বাজারে ব্রয়লার মুরগি, মাংস, ডিমসহ কিছু পণ্যের দাম বেড়েছে। দাম বৃদ্ধির কারণ জানতে খামারি পর্যায়ে খোঁজ নিয়েছি। ফিড, বাচ্চা ও পরিবহন খরচের জন্য ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়েছে। নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধির জন্য জেলা পর্যায়ে তেমন কোনো সিন্ডিকেট নেই। রমজানে কোনো সিন্ডিকেট যাতে বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে না পারে, সে বিষয়ে আমরা মাঠপর্যায়ে কাজ করছি। আগামী ১৩ মার্চ জেলা বাজার মনিটরিং কমিটির সভা রয়েছে, সেখান থেকে বাজার তদারকির বিষয়ে বিশেষ নির্দেশনা আসবে।’
ঘন কুয়াশার কারণে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। গতকাল শুক্রবার রাত ১২টা থেকে এই পথে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়। আজ শনিবার সকাল ৯টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ফেরি চলাচল বন্ধ ছিল।
৬ মিনিট আগেমাদারীপুরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে পাঁচজন আহত হয়েছেন। এ সময় বেশ কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে মাদারীপুর সদর উপজেলার রাস্তি ইউনিয়নের পূর্ব রাস্তি এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে প্রধান শিক্ষক ছাড়াই দীর্ঘদিন ধরে চলছে ১১টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদ্রাসা। প্রধান শিক্ষকবিহীন এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালিত হচ্ছে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিয়ে। অভিযোগ রয়েছে, যেসব ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিয়ে প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালিত হচ্ছে, তাঁদের অনেকেরই প্রধান শিক্ষক হওয়ার যোগ
৮ ঘণ্টা আগেদুই দশক কিছুটা শান্ত থাকার পর কুড়িগ্রামের চিলমারী-রৌমারী-রাজিবপুর নৌপথে আবার ডাকাতের দৌরাত্ম্য বেড়েছে। এক মাসের ব্যবধানে দুবার ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ দুই ঘটনায় আইনগত কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। প্রতিরোধেও কার্যকর উদ্যোগ নেই স্থানীয় প্রশাসনের। আবার ডাকাতি শুরু হওয়ায় ১৪ কিলোমিটার এই নৌপথের নৌযান, যাত্রী
৮ ঘণ্টা আগে