Ajker Patrika

দেড় যুগেও যে সড়কে উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি

তাড়াশ (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি
আপডেট : ০৫ অক্টোবর ২০২১, ১১: ২৬
দেড় যুগেও যে সড়কে উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি

প্রায় দেড় যুগ পেরিয়ে গেলেও কোনো উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার দেবগ্রাম ইউনিয়নের গুড়মা গ্রাম থেকে ক্ষীরশীন গ্রাম পর্যন্ত সাড়ে ৩ কিলোমিটার রাস্তায়। ফলে ক্ষীরশীন, শিলংদহ, গুড়মা, গুড়পিপুল ও আড়ংগাইল গ্রামের প্রায় সাড়ে ১৮ হাজার মানুষকে ওই রাস্তা দিয়ে যাতায়াতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে প্রতিনিয়ত। 

এ বিষয়ে তাড়াশ উপজেলা প্রকৌশল বিভাগ সূত্র জানায়, ওই সাড়ে তিন কিলোমিটার কাঁচা রাস্তার ৪৫০ মিটার পাকাকরণ কাজের দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। অচিরেই ওই রাস্তার কাজ শুরু হবে। বাকি রাস্তার পাকাকরণের জন্য প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে, প্রস্তাব পাশ হয়ে এলেই পর্যায়ক্রমে রাস্তার কাজ সম্পন্ন হবে। 

ক্ষীরশীন গ্রামের প্রবীণ ব্যক্তি হরেন্দ্রনাথ মাতাতো বলেন, প্রায় এক যুগ আগে তাড়াশ উপজেলায় কর্মরত বেসরকারি সংস্থা ওয়ার্ল্ড ভিশন ওই গ্রামীণ রাস্তায় মাটির কাজ করে চলে যায়। এরপর উপজেলা প্রকৌশল বিভাগ (এলজিইডি) থেকে ওই রাস্তা পাকাকরণের কথা থাকলেও দেড় যুগ পেরিয়ে গেলেও রাস্তা পাকাকরণের কোনো উদ্যোগ না নেওয়ায় রাস্তার মাঝে বড় বড় গর্ত আর খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে ওই রাস্তা দিয়ে যাতায়াতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে এলাকার হাজারো মানুষ ও কোমলমতি শিক্ষার্থী। 

হরেন্দ্রনাথ মাতাতো জানান, রাস্তাটি দিয়ে কোনো যানবাহন না চলায় পায়ে হেঁটে চলাফেরা করতে হয়। অথচ ওই রাস্তা দিয়ে ক্ষীরশীন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও শিলংদহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তিন শতাধিক কোমলমতি শিক্ষার্থী যাতায়াত করে। এ ছাড়া মহাশ্বশান ও মসজিদেও যাতায়াত করতে হয়। এ দিকে এলাকার কৃষকেরাও মাঠের ফসল ঘরে তুলতে এবং হাট-বাজারে উৎপাদিত শস্য বিক্রির জন্য আনা–নেওয়া করে থাকেন এ রাস্তা দিয়েই। 

সাড়ে ৩ কিলোমিটারের এই কাচা সড়কটি দিয়ে প্রায় ৩ শতাধিক কোমলমতি শিক্ষার্থী যাতায়াত করেশিলংদহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. খলিলুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, অল্প একটু বৃষ্টি হলেই ওই রাস্তায় পানি জমে কাঁদায় পরিণত হয়। পিচ্ছিল রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করতে স্কুলের কোমলমতি ছেলেমেয়েরা অনেক সময় পড়ে গিয়ে বই-খাতা ও জামাকাপড় নষ্ট করে ফেলে। রাস্তা খারাপ হওয়ার কারণে অনেক শিক্ষার্থী স্কুলে নিয়মিত আসে না। 

শিলংদহ গ্রামের কৃষক মো. হারেজ আলী বলেন, দীর্ঘদিন ধরে এই রাস্তা খারাপ অবস্থায় পড়ে আছে। এই রাস্তায় কোনো যানবাহন চলে না। পায়ে হেঁটে যাতায়াত করতে হয়। বৃষ্টি হলে রাস্তায় কাঁদা জমে চলাচল ও মাঠ থেকে ফসল অনেক কষ্ট করে বাড়িতে আনতে হয়। এই রাস্তা পাকা হলে এলাকার মানুষের কষ্ট অনেকটাই দূর হবে। 

দেবগ্রাম ইউপি চেয়ারম্যান মো. আব্দুল কুদ্দুস বলেন, রাস্তাটি ওই পাঁচ গ্রামের জনগণের যাতায়াতের জন্য একটি জনগুরুত্বপূর্ণ সড়ক। এরই মধ্যে ৪৫০ মিটার রাস্তার পাকা করণের কাজের টেন্ডার হয়েছে। অচিরেই কাজ শুরু হবে। বাকি রাস্তার পাকা করণ কাজও পর্যায়ক্রমে সম্পন্ন করার চেষ্টা করা হচ্ছে। 

এ প্রসঙ্গে তাড়াশ উপজেলা প্রকৌশলী মো. আবু সায়েদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, গুড়মা থেকে ক্ষীরশীন গ্রাম পর্যন্ত সাড়ে ৩ কিলোমিটার রাস্তার ৪৫০ মিটার পাকা করণের কাজ দ্রুতই শুরু হবে। বাকি রাস্তার পাকা করণ কাজের জন্য প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে, প্রস্তাব পাশ হয়ে আসলে পর্যায়ক্রমে রাস্তা পাকা করণ কাজ সম্পন্ন করা হবে। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত