রঞ্জন কুমার দে, শেরপুর (বগুড়া)
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতীক বরাদ্দের পর ১০ দিন পেরিয়ে গেলেও বগুড়ার-৫ আসনের শেরপুর অংশে নেই প্রচারের উত্তাপ। মাঠে নৌকা ছাড়া বাকি চার প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের তেমন দেখা যাচ্ছে না। নেই পোস্টার, ব্যানার ও লিফলেট। উপজেলার গাড়িদহ, কুসুম্বী, মির্জাপুর ও বিশালপুর ইউনিয়ন ঘুরে মিলেছে এমন চিত্র।
বগুড়া-৫ (শেরপুর-ধুনট) আসনে এবারের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন পাঁচজন প্রার্থী। তাঁরা হলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মজিবর রহমান মজনু (নৌকা), বিএনএফের মো. আলী আসলাম হোসেন রাসেল (টেলিভিশন), ইসলামী ঐক্যজোটের মুফতি নজরুল ইসলাম (মিনার), বাংলাদেশ কংগ্রেসের মো. মামুনার রশিদ (ডাব) ও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদের মো. রাসেল মাহমুদ (মশাল)। এদের মধ্যে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর কিছুটা প্রচারণা চোখে পড়লেও অন্যদের দেখা মিলছে না।
উপজেলার বিশালপুর ইউনিয়নের বউবাজার গ্রামের আব্দুল হালিম বলেন, ‘এবারের নির্বাচনে কতজন প্রার্থী বা কারা প্রার্থী হয়েছেন, জানি না। শুধু জানি, মজিবর রহমান মজনু নৌকা মার্কার টিকিট পেয়েছেন। বাজারে তাঁর কিছু পোস্টার লাগানো হয়েছে। কিন্তু কোনো প্রচারণা মিছিল চোখে পড়ে নাই। তাঁর পক্ষে কেউ ভোটও চায়নি। অন্য প্রার্থীদের মধ্যে শুধু টেলিভিশন মার্কার কিছু পোস্টার দেখেছি। কিন্তু তাঁকে চিনি না।’
বিশালপুর ইউনিয়নের জামাইল বাজারের সোবাহান আলী, মান্দাইল গ্রামের শহিদুল ইসলাম, কুসুম্বি ইউনিয়নের টুনিপাড়া বাজারের আবদুর রাজ্জাক, তাজপুর গ্রামের কৃষক মোখলেছুর রহমান, গাড়িদহ বাজার এলাকার আব্দুল আলীমসহ বিভিন্ন এলকার মানুষ জানিয়েছেন একই ধরনের কথা।
আবার নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে শক্তিশালী প্রার্থী না থাকায় ভোটকেন্দ্রে যেতে অনীহা প্রকাশ করেছেন অনেকেই। আবার অনেকে জানিয়েছেন বিগত দিনে ভোট না দিতে পারার ক্ষোভের কথা।
বাগড়া হঠাৎপাড়া গ্রামের আমেনা খাতুন বলেন, ‘গতবার ভোট দিতে গেলে হাতে শুধু কালি লাগিয়ে দিয়েই বলে ভোট হয়ে গেছে। তাই এবার আর যাব না।’
পানিসারা বৌবাজার এলকার সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ‘এবার মজিবর রহমান মজনুই এমপি হচ্ছেন। আমাদের ভোট দেওয়া বা না দেওয়ায় কিছু যায় আসে না। তাই ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার আগ্রহ নাই।’
শেরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সুলতান মাহমুদ বলেন, ‘ইতিমধ্যে আমরা সাংগঠনিকভাবে ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড কমিটির মিটিং সম্পন্ন করেছি। এখন পর্যায়ক্রমে খুলি বৈঠক এবং ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট প্রার্থনার পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।’
প্রচার না থাকা বা জানসংযোগ না করার বিষয়ে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদের প্রার্থী রাসেল মাহমুদ বলেন, ‘আমরা এখনো অনেক এলাকায় যেতে পারিনি।’
এ বিষয়ে ইসলামী ঐক্যজোটের প্রার্থী নজরুল ইসলাম বলেন, ‘যেহেতু আমরা নির্বাচনমুখী দল, নির্বাচন সুষ্ঠু না হওয়ার আশঙ্কা থাকলেও কেন্দ্রীয় কমিটি অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তাই আমিও এই আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছি। আমাদের জনবল ও আর্থিক সীমাবদ্ধতার মধ্যেই যথাসাধ্য প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছি। হয়তো সেটা তেমন দৃশ্যমান মনে হচ্ছে না।’
অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পরিবেশ নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন সুশাসনের জন্য নাগরিক সুজনের শেরপুর উপজেলা কমিটির সভাপতি নিমাই ঘোষ। তিনি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত নির্বাচনী প্রচারণা দৃশ্যমান মনে হচ্ছে না। আওয়ামী লীগের প্রার্থী শহরের বিভিন্ন ওয়ার্ডে নির্বাচনী জনসভা করছেন, যা একধরনের কর্মিসভার মতো। এতে হয়তো শহর অঞ্চলে ভোটার উপস্থিতি বাড়বে। কিন্তু গ্রামাঞ্চলের সাধারণ ভোটারদের মধ্যে তেমন আগ্রহ লক্ষ করা যাচ্ছে না। আর বাকি চারজন প্রার্থীর কাউকে নির্বাচনের মাঠে দেখাই যাচ্ছে না।’
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতীক বরাদ্দের পর ১০ দিন পেরিয়ে গেলেও বগুড়ার-৫ আসনের শেরপুর অংশে নেই প্রচারের উত্তাপ। মাঠে নৌকা ছাড়া বাকি চার প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের তেমন দেখা যাচ্ছে না। নেই পোস্টার, ব্যানার ও লিফলেট। উপজেলার গাড়িদহ, কুসুম্বী, মির্জাপুর ও বিশালপুর ইউনিয়ন ঘুরে মিলেছে এমন চিত্র।
বগুড়া-৫ (শেরপুর-ধুনট) আসনে এবারের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন পাঁচজন প্রার্থী। তাঁরা হলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মজিবর রহমান মজনু (নৌকা), বিএনএফের মো. আলী আসলাম হোসেন রাসেল (টেলিভিশন), ইসলামী ঐক্যজোটের মুফতি নজরুল ইসলাম (মিনার), বাংলাদেশ কংগ্রেসের মো. মামুনার রশিদ (ডাব) ও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদের মো. রাসেল মাহমুদ (মশাল)। এদের মধ্যে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর কিছুটা প্রচারণা চোখে পড়লেও অন্যদের দেখা মিলছে না।
উপজেলার বিশালপুর ইউনিয়নের বউবাজার গ্রামের আব্দুল হালিম বলেন, ‘এবারের নির্বাচনে কতজন প্রার্থী বা কারা প্রার্থী হয়েছেন, জানি না। শুধু জানি, মজিবর রহমান মজনু নৌকা মার্কার টিকিট পেয়েছেন। বাজারে তাঁর কিছু পোস্টার লাগানো হয়েছে। কিন্তু কোনো প্রচারণা মিছিল চোখে পড়ে নাই। তাঁর পক্ষে কেউ ভোটও চায়নি। অন্য প্রার্থীদের মধ্যে শুধু টেলিভিশন মার্কার কিছু পোস্টার দেখেছি। কিন্তু তাঁকে চিনি না।’
বিশালপুর ইউনিয়নের জামাইল বাজারের সোবাহান আলী, মান্দাইল গ্রামের শহিদুল ইসলাম, কুসুম্বি ইউনিয়নের টুনিপাড়া বাজারের আবদুর রাজ্জাক, তাজপুর গ্রামের কৃষক মোখলেছুর রহমান, গাড়িদহ বাজার এলাকার আব্দুল আলীমসহ বিভিন্ন এলকার মানুষ জানিয়েছেন একই ধরনের কথা।
আবার নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে শক্তিশালী প্রার্থী না থাকায় ভোটকেন্দ্রে যেতে অনীহা প্রকাশ করেছেন অনেকেই। আবার অনেকে জানিয়েছেন বিগত দিনে ভোট না দিতে পারার ক্ষোভের কথা।
বাগড়া হঠাৎপাড়া গ্রামের আমেনা খাতুন বলেন, ‘গতবার ভোট দিতে গেলে হাতে শুধু কালি লাগিয়ে দিয়েই বলে ভোট হয়ে গেছে। তাই এবার আর যাব না।’
পানিসারা বৌবাজার এলকার সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ‘এবার মজিবর রহমান মজনুই এমপি হচ্ছেন। আমাদের ভোট দেওয়া বা না দেওয়ায় কিছু যায় আসে না। তাই ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার আগ্রহ নাই।’
শেরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সুলতান মাহমুদ বলেন, ‘ইতিমধ্যে আমরা সাংগঠনিকভাবে ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড কমিটির মিটিং সম্পন্ন করেছি। এখন পর্যায়ক্রমে খুলি বৈঠক এবং ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট প্রার্থনার পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।’
প্রচার না থাকা বা জানসংযোগ না করার বিষয়ে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদের প্রার্থী রাসেল মাহমুদ বলেন, ‘আমরা এখনো অনেক এলাকায় যেতে পারিনি।’
এ বিষয়ে ইসলামী ঐক্যজোটের প্রার্থী নজরুল ইসলাম বলেন, ‘যেহেতু আমরা নির্বাচনমুখী দল, নির্বাচন সুষ্ঠু না হওয়ার আশঙ্কা থাকলেও কেন্দ্রীয় কমিটি অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তাই আমিও এই আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছি। আমাদের জনবল ও আর্থিক সীমাবদ্ধতার মধ্যেই যথাসাধ্য প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছি। হয়তো সেটা তেমন দৃশ্যমান মনে হচ্ছে না।’
অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পরিবেশ নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন সুশাসনের জন্য নাগরিক সুজনের শেরপুর উপজেলা কমিটির সভাপতি নিমাই ঘোষ। তিনি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত নির্বাচনী প্রচারণা দৃশ্যমান মনে হচ্ছে না। আওয়ামী লীগের প্রার্থী শহরের বিভিন্ন ওয়ার্ডে নির্বাচনী জনসভা করছেন, যা একধরনের কর্মিসভার মতো। এতে হয়তো শহর অঞ্চলে ভোটার উপস্থিতি বাড়বে। কিন্তু গ্রামাঞ্চলের সাধারণ ভোটারদের মধ্যে তেমন আগ্রহ লক্ষ করা যাচ্ছে না। আর বাকি চারজন প্রার্থীর কাউকে নির্বাচনের মাঠে দেখাই যাচ্ছে না।’
ঝালকাঠি শহরের কিফাইতনগর এলাকায় দেড় কোটি টাকার বেশি ব্যয়ে নির্মিত আরসিসি সড়ক উদ্বোধনের মাত্র দুই মাসের মাথায় ধসে পড়েছে। খালের পাড়ঘেঁষা গাইড ওয়াল ভেঙে পড়ায় সড়কের একটি বড় অংশ এখন কার্যত শূন্যে ঝুলছে। ভারী যানবাহন চলাচলের ফলে পুরো রাস্তা ধসে পড়তে পারে, এমন আশঙ্কা করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
৪ মিনিট আগেস্বপ্নের দেশ ইতালি। সেখানে গিয়ে নিজেরসহ পরিবারের সব স্বপ্ন পূরণ করবেন। এই আশায় লিবিয়া হয়ে অবৈধভাবে ইউরোপের দেশটিতে যাওয়ার জন্য বের হয়ে নিখোঁজ আছেন মাদারীপুরের রাজৈরের ১৪ যুবক। পাঁচ মাস ধরে তাঁদের কোনো খোঁজ পাচ্ছেন না স্বজনেরা।
৯ মিনিট আগেবাবার কপালে চুমু দিয়ে স্কুলে গিয়েছিল সারিয়া আক্তার। আর মাকে সালাম করে বিদায় নিয়েছিল জুনায়েত হাসান। হাসিমুখে স্কুলে যাওয়া এই দুই শিশু দিনশেষে ঘরে ফেরে লাশ হয়ে। সম্পর্কে তারা চাচাতো ভাই-বোন। মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ‘সেকশন ক্লাউডের’ শিক্ষার্থী ছিল তারা। বাংলা মাধ্যমের তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ত এই দুই ভ
১৩ মিনিট আগেচাঁপাইনবাবগঞ্জের পথশিশুরা ‘ড্যান্ডির’ (ড্যানড্রাইট অ্যাডহেসিভ তথা ড্যানড্রাইট নামের আঠা; যা মাদকসেবীদের কাছে ড্যান্ডি নামে পরিচিত) নেশায় আসক্ত হয়ে পড়ছে। নেশার টাকার জোগান দিতে অনেকে ছিনতাইসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে বলেও জানা যায়।
২৯ মিনিট আগে