রাজশাহী প্রতিনিধি
রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলায় যে গভীর নলকূপে সেচের পানি না পেয়ে দুই সাঁওতাল কৃষক আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে, সেখানে অনিয়ম পেয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটি। গভীর নলকূপের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিএমডিএ) আলাদা তদন্তেও সেখানে অনিয়ম উঠে এসেছে।
গতকাল রোববার বিকেলে মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সায়েদুল ইসলামের কাছে এ প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন তদন্ত কমিটির প্রধান মো. আবু জুবাইর হোসেন বাবলু। এই তদন্ত প্রতিবেদনে বিএমডিএর ঈশ্বরীপুর-২ গভীর নলকূপের সেচ ব্যবস্থাপনায় নানা অনিয়ম উঠে এসেছে। পানি দিতে অপারেটরের স্বজনপ্রীতি, দুর্ব্যবহার এবং অতিরিক্ত টাকা আদায়েরও অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে তদন্তে। তবে ওই দুই কৃষকের মৃত্যু কীভাবে হয়েছে সে বিষয়ে তদন্ত কমিটি তাদের প্রতিবেদনে কোনো মন্তব্য দিতে পারেনি।
তদন্ত কমিটির প্রধান কৃষি মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব (সার ব্যবস্থাপনা ও মনিটরিং) মো. আবু জুবাইর হোসেন বাবলু আজ সোমবার দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
যুগ্ম সচিব বলেন, ‘আমি তদন্ত প্রতিবেদন দিয়ে দিয়েছি। ওখানে আমরা বেশ কিছু অনিয়ম পেয়েছি। পানি দেওয়ার ক্ষেত্রে কোনো রেজিস্ট্রার মেনটেইন করা হয় নাই। তদারকির অভাব ছিল। আমরা এগুলোই প্রতিবেদনে লিখে কিছু ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশসহ সচিব স্যারকে দিয়েছি।’
তবে দুই কৃষক কেন বিষপান করলেন সে বিষয়ে প্রতিবেদনে লেখা হয়নি বলে জানিয়েছেন তদন্ত কমিটির প্রধান। তিনি বলেন, ‘এটা তো পোস্টমর্টেম রিপোর্ট ছাড়া বলা যায় না। আমরা বলতে পারি না। পোস্টমর্টেম রিপোর্ট আসার পর এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে, সে অনুযায়ী ব্যবস্থা হবে। তবে দুজনের পরিবার যে অভিযোগ করছে সেটা আমাদের প্রতিবেদনে আছে। পাশাপাশি এলাকার অন্য কৃষকদেরও বক্তব্য আছে।’
গত ২৩ মার্চ গোদাগাড়ীর নিমঘুটু গ্রামের সাঁওতাল কৃষক অভিনাথ মারান্ডি (৩৭) ও তার চাচাতো ভাই রবি মারান্ডি (২৭) বিষপান করেন। এতে অভিনাথ সেদিনই মারা যান। রবি মারা যান ২৫ মার্চ। পরিবারের দাবি, নলকূপের অপারেটর ও ওয়ার্ড কৃষক লীগের সভাপতি সাখাওয়াত এ দুই কৃষককে বোরো ধানের জমিতে পানি না দিয়ে বিষ খেতে বলেছিলেন। তাই তারা দুজনে গভীর নলকূপের সামনেই বিষপান করেন। দুই কৃষক বিষপানের পর রাতে তাঁদের জমিতে পানি দিয়েছিলেন সাখাওয়াত।
মৃত্যুর পরদিন বাড়ি থেকে অভিনাথের মরদেহ উদ্ধারের সময় পরিবারের পক্ষ থেকে সাখাওয়াতের বিরুদ্ধে পানি না দিয়ে হয়রানির অভিযোগ করা হয়। তারপরেও পুলিশ সাদা কাগজে কৃষক অভিনাথের স্ত্রী রোজিনা হেমব্রমের সই নিয়ে অপমৃত্যুর মামলা করে। পরের দিন অভিনাথের স্ত্রী গোদাগাড়ী থানায় গিয়ে সাখাওয়াতকে একমাত্র আসামি করে আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে মামলা করেন। পরে হাসপাতালে রবি মারা গেলে তাঁর ভাই সুশীল মারান্ডি বাদী হয়ে আরেকটি মামলা করেন।
এরপর ২ এপ্রিল দিবাগত রাতে পুলিশ সাখাওয়াতকে গ্রেপ্তার করে। পরদিন ৩ এপ্রিল বিএমডিএ সাখাওয়াতকে চাকরিচ্যুত করে। এ দিন সাখাওয়াতকে আদালতে হাজির করে পুলিশ তিন দিনের রিমান্ডের আবেদন করে। আদালত সাখাওয়াতকে কারাগারে পাঠালেও সেদিন রিমান্ড আবেদনের শুনানি হয়নি। গোদাগাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম জানান, মঙ্গলবার রিমান্ড আবেদনের শুনানি হতে পারে।
দুই কৃষকের আত্মহত্যা নিয়ে তোলপাড় শুরু হলে গত ২৭ মার্চ কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব তাসনিম জেবিন বিনতে শেখ চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি করে দেন। ২৯ মার্চ কমিটির সদস্যরা সরেজমিনে তদন্ত করে যান। মৃত দুই কৃষকের পরিবার ছাড়াও ক্ষুদ্র জাতিসত্তার অন্য কৃষকেরা তদন্ত কমিটির কাছে অভিযোগ করেন যে জমিতে পানি না পাওয়ার কারণে অভিনাথ ও রবি বিষপান করেন। অপারেটর সাখাওয়াত পানি দিতে স্বজনপ্রীতি করতেন। সাঁওতাল কৃষকদের ঘোরাতেন। তবে সাখাওয়াতের অনুসারী কিছু কৃষক বলেছিলেন পানি নিয়ে কোনো সমস্যা নেই।
এদিকে ঘটনা তদন্তে বিএমডিএও আলাদা একটি তদন্ত কমিটি করেছিল। সেই প্রতিবেদনের সুপারিশের ভিত্তিতেই রোববার গভীর নলকূপ অপারেটর সাখাওয়াতকে স্থায়ী বরখাস্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিএমডিএর নির্বাহী পরিচালক আব্দুর রশীদ। তিনি বলেন, ‘তদন্তে কিছু অনিয়ম পাওয়া গেছে।’ কী অনিয়ম জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘১২৫ টাকা ঘণ্টার পানিতে ১৩৫ টাকা নিতেন অপারেটর। এখন বিএমডিএ চেয়ারম্যান নেই। তিনি আসার পর বিস্তারিত জানানো হবে।’
রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলায় যে গভীর নলকূপে সেচের পানি না পেয়ে দুই সাঁওতাল কৃষক আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে, সেখানে অনিয়ম পেয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটি। গভীর নলকূপের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিএমডিএ) আলাদা তদন্তেও সেখানে অনিয়ম উঠে এসেছে।
গতকাল রোববার বিকেলে মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সায়েদুল ইসলামের কাছে এ প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন তদন্ত কমিটির প্রধান মো. আবু জুবাইর হোসেন বাবলু। এই তদন্ত প্রতিবেদনে বিএমডিএর ঈশ্বরীপুর-২ গভীর নলকূপের সেচ ব্যবস্থাপনায় নানা অনিয়ম উঠে এসেছে। পানি দিতে অপারেটরের স্বজনপ্রীতি, দুর্ব্যবহার এবং অতিরিক্ত টাকা আদায়েরও অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে তদন্তে। তবে ওই দুই কৃষকের মৃত্যু কীভাবে হয়েছে সে বিষয়ে তদন্ত কমিটি তাদের প্রতিবেদনে কোনো মন্তব্য দিতে পারেনি।
তদন্ত কমিটির প্রধান কৃষি মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব (সার ব্যবস্থাপনা ও মনিটরিং) মো. আবু জুবাইর হোসেন বাবলু আজ সোমবার দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
যুগ্ম সচিব বলেন, ‘আমি তদন্ত প্রতিবেদন দিয়ে দিয়েছি। ওখানে আমরা বেশ কিছু অনিয়ম পেয়েছি। পানি দেওয়ার ক্ষেত্রে কোনো রেজিস্ট্রার মেনটেইন করা হয় নাই। তদারকির অভাব ছিল। আমরা এগুলোই প্রতিবেদনে লিখে কিছু ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশসহ সচিব স্যারকে দিয়েছি।’
তবে দুই কৃষক কেন বিষপান করলেন সে বিষয়ে প্রতিবেদনে লেখা হয়নি বলে জানিয়েছেন তদন্ত কমিটির প্রধান। তিনি বলেন, ‘এটা তো পোস্টমর্টেম রিপোর্ট ছাড়া বলা যায় না। আমরা বলতে পারি না। পোস্টমর্টেম রিপোর্ট আসার পর এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে, সে অনুযায়ী ব্যবস্থা হবে। তবে দুজনের পরিবার যে অভিযোগ করছে সেটা আমাদের প্রতিবেদনে আছে। পাশাপাশি এলাকার অন্য কৃষকদেরও বক্তব্য আছে।’
গত ২৩ মার্চ গোদাগাড়ীর নিমঘুটু গ্রামের সাঁওতাল কৃষক অভিনাথ মারান্ডি (৩৭) ও তার চাচাতো ভাই রবি মারান্ডি (২৭) বিষপান করেন। এতে অভিনাথ সেদিনই মারা যান। রবি মারা যান ২৫ মার্চ। পরিবারের দাবি, নলকূপের অপারেটর ও ওয়ার্ড কৃষক লীগের সভাপতি সাখাওয়াত এ দুই কৃষককে বোরো ধানের জমিতে পানি না দিয়ে বিষ খেতে বলেছিলেন। তাই তারা দুজনে গভীর নলকূপের সামনেই বিষপান করেন। দুই কৃষক বিষপানের পর রাতে তাঁদের জমিতে পানি দিয়েছিলেন সাখাওয়াত।
মৃত্যুর পরদিন বাড়ি থেকে অভিনাথের মরদেহ উদ্ধারের সময় পরিবারের পক্ষ থেকে সাখাওয়াতের বিরুদ্ধে পানি না দিয়ে হয়রানির অভিযোগ করা হয়। তারপরেও পুলিশ সাদা কাগজে কৃষক অভিনাথের স্ত্রী রোজিনা হেমব্রমের সই নিয়ে অপমৃত্যুর মামলা করে। পরের দিন অভিনাথের স্ত্রী গোদাগাড়ী থানায় গিয়ে সাখাওয়াতকে একমাত্র আসামি করে আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে মামলা করেন। পরে হাসপাতালে রবি মারা গেলে তাঁর ভাই সুশীল মারান্ডি বাদী হয়ে আরেকটি মামলা করেন।
এরপর ২ এপ্রিল দিবাগত রাতে পুলিশ সাখাওয়াতকে গ্রেপ্তার করে। পরদিন ৩ এপ্রিল বিএমডিএ সাখাওয়াতকে চাকরিচ্যুত করে। এ দিন সাখাওয়াতকে আদালতে হাজির করে পুলিশ তিন দিনের রিমান্ডের আবেদন করে। আদালত সাখাওয়াতকে কারাগারে পাঠালেও সেদিন রিমান্ড আবেদনের শুনানি হয়নি। গোদাগাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম জানান, মঙ্গলবার রিমান্ড আবেদনের শুনানি হতে পারে।
দুই কৃষকের আত্মহত্যা নিয়ে তোলপাড় শুরু হলে গত ২৭ মার্চ কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব তাসনিম জেবিন বিনতে শেখ চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি করে দেন। ২৯ মার্চ কমিটির সদস্যরা সরেজমিনে তদন্ত করে যান। মৃত দুই কৃষকের পরিবার ছাড়াও ক্ষুদ্র জাতিসত্তার অন্য কৃষকেরা তদন্ত কমিটির কাছে অভিযোগ করেন যে জমিতে পানি না পাওয়ার কারণে অভিনাথ ও রবি বিষপান করেন। অপারেটর সাখাওয়াত পানি দিতে স্বজনপ্রীতি করতেন। সাঁওতাল কৃষকদের ঘোরাতেন। তবে সাখাওয়াতের অনুসারী কিছু কৃষক বলেছিলেন পানি নিয়ে কোনো সমস্যা নেই।
এদিকে ঘটনা তদন্তে বিএমডিএও আলাদা একটি তদন্ত কমিটি করেছিল। সেই প্রতিবেদনের সুপারিশের ভিত্তিতেই রোববার গভীর নলকূপ অপারেটর সাখাওয়াতকে স্থায়ী বরখাস্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিএমডিএর নির্বাহী পরিচালক আব্দুর রশীদ। তিনি বলেন, ‘তদন্তে কিছু অনিয়ম পাওয়া গেছে।’ কী অনিয়ম জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘১২৫ টাকা ঘণ্টার পানিতে ১৩৫ টাকা নিতেন অপারেটর। এখন বিএমডিএ চেয়ারম্যান নেই। তিনি আসার পর বিস্তারিত জানানো হবে।’
গত বছর ঢাকায় কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় পুলিশের গুলিতে প্রাণ হারান লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার মহিষখোঁচা ইউনিয়নের বারঘড়িয়া গ্রামের মিরাজ। তিনি ছিলেন মৃত আব্দুস ছালামের বড় ছেলে। মাত্র ৫ শতাংশ জমি কিনে বাড়ি করার ইচ্ছে ছিল তাঁদের। কিন্তু প্রতিবেশী দুলাল মণ্ডল দলিল থাকা সত্ত্বেও জমিটি দখলে নিতে দেননি।
২ মিনিট আগেপুলিশ জানায়, ২০২৪ সালের ২৪ নভেম্বর রাজৈরে ভাঙচুর, বোমা বিস্ফোরণ ও লুটপাটের ঘটনায় পাঠানকান্দি গ্রামের এক বিএনপি কর্মীর দায়ের করা মামলায় শাজাহান মোল্লা এজাহারভুক্ত আসামি। ঘটনার পর থেকেই তিনি আত্মগোপনে ছিলেন।
১ ঘণ্টা আগেশিবচরের সন্ন্যাসীরচর ইউনিয়নের রাজারচর আজগর হাওলাদারকান্দি গ্রামের শাহ আলম ও নাছিমা দম্পতির একমাত্র ছেলে ছিলেন হৃদয়। তিনি স্থানীয় একটি ফার্নিচারের কারখানায় কাজ করতেন। পড়াশোনা শেষ করে সৌদি আরবে থাকা চাচার সহায়তায় বিদেশে যাওয়ার স্বপ্ন ছিল তাঁর।
১ ঘণ্টা আগেজুলাই অভ্যুত্থানে চট্টগ্রামের বহদ্দারহাট এলাকায় দোকান কর্মচারী শহীদুল ইসলামকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় করা মামলার অভিযোগপত্র দিয়েছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। অভিযোগপত্রে মামলার আসামির সংখ্যা প্রায় ৫ গুণ বেড়ে ২৩১ জনে দাঁড়িয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে