নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেছেন, ‘আগামীর বাংলাদেশের জন্য একটা গণতান্ত্রিক সংবিধান প্রয়োজন। এই ফ্যাসিস্ট সংবিধান দিয়ে দেশের সব মানুষের অধিকার নিশ্চিত করা যাবে না।’ আজ শনিবার দুপুরে রাজশাহী নগরের সাহেববাজার বড় মসজিদ চত্বরে এক গণসংলাপে বক্তব্য দিতে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
‘রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক রূপান্তরে নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের জন্য’ এই গণসংলাপের আয়োজন করে গণসংহতি আন্দোলনের রাজশাহী জেলা শাখা। তাতে প্রধান বক্তা ছিলেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী। তিনি বলেন, ‘বৈষম্যহীন রাষ্ট্র যদি পেতে হয়, তাহলে আমাদের একটা নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত করতে হবে। তার ভিত্তি হবে গণতান্ত্রিক সংবিধান। এই ফ্যাসিস্ট সংবিধান নয়, একটা গণতান্ত্রিক সংবিধান।’
সাকি বলেন, ‘৭২ সালে যে সংবিধান করা হয়েছে, সেখানে ৭১ সালের মানুষের যে আকাঙ্ক্ষা তাকে অস্বীকার করা হয়েছে। ওই সংবিধানে প্রধানমন্ত্রী সংবিধানেরও ঊর্ধ্বে। সমস্ত রাষ্ট্র তিনি তাঁর পকেটে ঢুকিয়ে ফেলতে পারেন। অনেকে বলেন, ৭২-এর সংবিধান ঠিক আছে, ৭৫-এর বাকশালটা করা ঠিক হয় নাই। কোনো কোনো বামপন্থীও বলে। আমরা স্পষ্ট ভাষায় বলি, ৭৫ সালের বাকশাল ছিল ৭২-এর সংবিধানের ক্ষমতার কাঠামোর ধারাবাহিকতা। যেমনটা শেখ হাসিনা বাকশাল ২.০ তৈরি করতে গিয়েছেন ওই একই সংবিধানে। তিনি ভেবেছিলেন, গণতন্ত্রের মোড়কে বাকশাল চলবে। সেটাই তিনি কায়েম করতে চেয়েছিলেন।’
সংবিধান সংশোধনের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘আগামী সংবিধান হতে হবে এই দেশের সমস্ত নাগরিককে সমান মর্যাদা দিয়ে। সেই নাগরিকের ধর্মীয় পরিচয় যা-ই হোক না কেন। ধর্মীয় পরিচয় কিংবা জাতিগত মর্যাদা দিয়ে নাগরিকের মর্যাদা ঠিক হবে না। নাগরিকের মর্যাদা দিয়েই তার মর্যাদা ঠিক হবে। কোনো লিঙ্গ পরিচয় কিংবা অন্য কোনো কিছু দিয়ে নাগরিকের অধিকার হরণ করা যাবে না। নারী-পুরুষ প্রত্যেকের সমান অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। সংসদের ক্ষমতায় ভারসাম্য আনতে হবে। রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতায় ভারসাম্য আনতে হবে। তাদের জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে।’
জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘নতুন সংবিধানে স্থানীয় সরকারকে শক্তিশালী করতে হবে। বিচার বিভাগকে আলাদা করতে হবে নির্বাহী বিভাগ থেকে। সরকার যেন বিচার বিভাগের ওপর কোনোরকম খবরদারি করতে না পারে। গণমাধ্যম স্বাধীন করতে হবে এমনভাবে, যাতে করে আদালতের মতোই জনগণের আশ্রয় হয়ে উঠতে পারে গণমাধ্যম।’
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী বলেন, ‘রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো সংস্কার করতে হবে। আইনের সংস্কার করতে হবে। আর তার ভিত্তিতে এমন নির্বাচন ব্যবস্থা আয়োজন করতে হবে, যাতে বাংলাদেশে আর কেউ মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নিতে না পারে। নতুন নির্বাচন কমিশন হয়েছে। আপনারা (নির্বাচন কমিশন) এমন দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন, যাতে আর কেউ নির্বাচন কমিশনকে ব্যবহার করে মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নিতে না পারে।’
সাকি বলেন, ‘শেখ হাসিনা বিনা ভোটে ক্ষমতায় থাকতে চেয়েছে। পুলিশ, বিজিবি এমনকি সেনাবাহিনীকেও তারা ব্যবহার করেছে। প্রাইম মিনিস্টারস ম্যান, জেনারেল আজিজ সম্পত্তি কীভাবে বানিয়েছে? ওই বেনজির আহমেদ কীভাবে সম্পদ গড়েছে? এরা এভাবে লোভ-লালসা ও লুটের ভাগ-বাঁটোয়ারা দিয়ে প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করেছে। এই প্রতিষ্ঠানগুলো যেসব কর্মকর্তা কলুষিত করেছেন, তাদের প্রত্যেককে বিচারের আওতায় আনতে হবে। প্রত্যেকের কাছে বার্তা থাকা দরকার, কোনো সরকারি কর্মকর্তা যদি কোনো অবৈধ সরকারের পা চেটে বাংলাদেশকে বিপর্যয়ের দিকে নিয়ে যায়, তাহলে তার শাস্তি কী হবে সেটা সবার জেনে রাখা দরকার।’
বাংলাদেশে নতুন রাজনৈতিক শক্তি গড়ে তোলার তাগিদ দিয়ে সাকি বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ একটা আকাঙ্ক্ষা নিয়ে ফ্যাসিস্ট হাসিনাকে বিদায় করেছে। তারা নতুন রাজনৈতিক শক্তি দেখতে চায়। কিন্তু আমাদের সেই রাজনৈতিক শক্তি আছে? আমরা কি ছাত্র-জনতাকে এখনো ঐক্যবদ্ধ করে রাখতে পেরেছি? এই অভ্যুত্থান দাবি করে, বাংলাদেশে নতুন রাজনৈতিক শক্তি গড়ে উঠুক। কাজেই আগামী নির্বাচনের আগেই আমাদের জনগণের রাজনৈতিক শক্তি গড়ে তুলতে হবে।’
গণসংলাপে সভাপতিত্ব করেন গণসংহতি আন্দোলনের রাজশাহী জেলার আহ্বায়ক মুরাদ মোর্শেদ। বিশেষ বক্তা ছিলেন কেন্দ্রীয় কমিটির সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য জুলহাসনাইন বাবু। জেলার সদস্যসচিব জুয়েল রানা গণসংলাপ সঞ্চালনা করেন। গণসংলাপে রাজশাহীর শিক্ষার্থী, ব্যবসায়ী, উদ্যোক্তাসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেন।
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেছেন, ‘আগামীর বাংলাদেশের জন্য একটা গণতান্ত্রিক সংবিধান প্রয়োজন। এই ফ্যাসিস্ট সংবিধান দিয়ে দেশের সব মানুষের অধিকার নিশ্চিত করা যাবে না।’ আজ শনিবার দুপুরে রাজশাহী নগরের সাহেববাজার বড় মসজিদ চত্বরে এক গণসংলাপে বক্তব্য দিতে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
‘রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক রূপান্তরে নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের জন্য’ এই গণসংলাপের আয়োজন করে গণসংহতি আন্দোলনের রাজশাহী জেলা শাখা। তাতে প্রধান বক্তা ছিলেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী। তিনি বলেন, ‘বৈষম্যহীন রাষ্ট্র যদি পেতে হয়, তাহলে আমাদের একটা নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত করতে হবে। তার ভিত্তি হবে গণতান্ত্রিক সংবিধান। এই ফ্যাসিস্ট সংবিধান নয়, একটা গণতান্ত্রিক সংবিধান।’
সাকি বলেন, ‘৭২ সালে যে সংবিধান করা হয়েছে, সেখানে ৭১ সালের মানুষের যে আকাঙ্ক্ষা তাকে অস্বীকার করা হয়েছে। ওই সংবিধানে প্রধানমন্ত্রী সংবিধানেরও ঊর্ধ্বে। সমস্ত রাষ্ট্র তিনি তাঁর পকেটে ঢুকিয়ে ফেলতে পারেন। অনেকে বলেন, ৭২-এর সংবিধান ঠিক আছে, ৭৫-এর বাকশালটা করা ঠিক হয় নাই। কোনো কোনো বামপন্থীও বলে। আমরা স্পষ্ট ভাষায় বলি, ৭৫ সালের বাকশাল ছিল ৭২-এর সংবিধানের ক্ষমতার কাঠামোর ধারাবাহিকতা। যেমনটা শেখ হাসিনা বাকশাল ২.০ তৈরি করতে গিয়েছেন ওই একই সংবিধানে। তিনি ভেবেছিলেন, গণতন্ত্রের মোড়কে বাকশাল চলবে। সেটাই তিনি কায়েম করতে চেয়েছিলেন।’
সংবিধান সংশোধনের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘আগামী সংবিধান হতে হবে এই দেশের সমস্ত নাগরিককে সমান মর্যাদা দিয়ে। সেই নাগরিকের ধর্মীয় পরিচয় যা-ই হোক না কেন। ধর্মীয় পরিচয় কিংবা জাতিগত মর্যাদা দিয়ে নাগরিকের মর্যাদা ঠিক হবে না। নাগরিকের মর্যাদা দিয়েই তার মর্যাদা ঠিক হবে। কোনো লিঙ্গ পরিচয় কিংবা অন্য কোনো কিছু দিয়ে নাগরিকের অধিকার হরণ করা যাবে না। নারী-পুরুষ প্রত্যেকের সমান অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। সংসদের ক্ষমতায় ভারসাম্য আনতে হবে। রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতায় ভারসাম্য আনতে হবে। তাদের জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে।’
জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘নতুন সংবিধানে স্থানীয় সরকারকে শক্তিশালী করতে হবে। বিচার বিভাগকে আলাদা করতে হবে নির্বাহী বিভাগ থেকে। সরকার যেন বিচার বিভাগের ওপর কোনোরকম খবরদারি করতে না পারে। গণমাধ্যম স্বাধীন করতে হবে এমনভাবে, যাতে করে আদালতের মতোই জনগণের আশ্রয় হয়ে উঠতে পারে গণমাধ্যম।’
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী বলেন, ‘রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো সংস্কার করতে হবে। আইনের সংস্কার করতে হবে। আর তার ভিত্তিতে এমন নির্বাচন ব্যবস্থা আয়োজন করতে হবে, যাতে বাংলাদেশে আর কেউ মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নিতে না পারে। নতুন নির্বাচন কমিশন হয়েছে। আপনারা (নির্বাচন কমিশন) এমন দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন, যাতে আর কেউ নির্বাচন কমিশনকে ব্যবহার করে মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নিতে না পারে।’
সাকি বলেন, ‘শেখ হাসিনা বিনা ভোটে ক্ষমতায় থাকতে চেয়েছে। পুলিশ, বিজিবি এমনকি সেনাবাহিনীকেও তারা ব্যবহার করেছে। প্রাইম মিনিস্টারস ম্যান, জেনারেল আজিজ সম্পত্তি কীভাবে বানিয়েছে? ওই বেনজির আহমেদ কীভাবে সম্পদ গড়েছে? এরা এভাবে লোভ-লালসা ও লুটের ভাগ-বাঁটোয়ারা দিয়ে প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করেছে। এই প্রতিষ্ঠানগুলো যেসব কর্মকর্তা কলুষিত করেছেন, তাদের প্রত্যেককে বিচারের আওতায় আনতে হবে। প্রত্যেকের কাছে বার্তা থাকা দরকার, কোনো সরকারি কর্মকর্তা যদি কোনো অবৈধ সরকারের পা চেটে বাংলাদেশকে বিপর্যয়ের দিকে নিয়ে যায়, তাহলে তার শাস্তি কী হবে সেটা সবার জেনে রাখা দরকার।’
বাংলাদেশে নতুন রাজনৈতিক শক্তি গড়ে তোলার তাগিদ দিয়ে সাকি বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ একটা আকাঙ্ক্ষা নিয়ে ফ্যাসিস্ট হাসিনাকে বিদায় করেছে। তারা নতুন রাজনৈতিক শক্তি দেখতে চায়। কিন্তু আমাদের সেই রাজনৈতিক শক্তি আছে? আমরা কি ছাত্র-জনতাকে এখনো ঐক্যবদ্ধ করে রাখতে পেরেছি? এই অভ্যুত্থান দাবি করে, বাংলাদেশে নতুন রাজনৈতিক শক্তি গড়ে উঠুক। কাজেই আগামী নির্বাচনের আগেই আমাদের জনগণের রাজনৈতিক শক্তি গড়ে তুলতে হবে।’
গণসংলাপে সভাপতিত্ব করেন গণসংহতি আন্দোলনের রাজশাহী জেলার আহ্বায়ক মুরাদ মোর্শেদ। বিশেষ বক্তা ছিলেন কেন্দ্রীয় কমিটির সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য জুলহাসনাইন বাবু। জেলার সদস্যসচিব জুয়েল রানা গণসংলাপ সঞ্চালনা করেন। গণসংলাপে রাজশাহীর শিক্ষার্থী, ব্যবসায়ী, উদ্যোক্তাসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেন।
২০২৪ সালের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের সূচনা ঘটেছিল কোটাবিরোধী আন্দোলন থেকে। ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকার সেই আন্দোলনে দমন-পীড়ন চালানোয় তা গণ-অভ্যুত্থানে রূপ নেয়। ৫ আগস্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে চলে যাওয়ার পর পাঁচ মাসের বেশি সময় অতিবাহিত হয়েছে।
১৮ মিনিট আগেটঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বের প্রথম ধাপের আখেরি মোনাজাত আজ। হেদায়েতি বয়ান শেষে সকাল ৯টার দিকে আখেরি মোনাজাত হওয়ার কথা রয়েছে। আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করবেন বাংলাদেশের মাওলানা জুবায়ের।
২১ মিনিট আগেরাজধানীর ধানমন্ডিতে প্রায় দেড় যুগ আগে প্রতিষ্ঠিত হয় পপুলার মেডিকেল কলেজ। অভিযোগ রয়েছে, মৌলিক শর্তগুলো পূরণ না করলেও আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বছরের পর বছর এই চিকিৎসা মহাবিদ্যালয়ে শিক্ষাবর্ষ নবায়ন ও আসন বৃদ্ধির অনুমোদন দিয়েছে সরকার। অথচ কলেজটি নিজস্ব জমি, অবকাঠামো, হাসপাতালে শয্যাসংখ্যাসহ ১০টির বেশি...
১ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রাম নগরীর একটি কনভেনশন হলে ছেলের বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য সম্পাদক ফখরুল আনোয়ার আটক হয়েছেন। একই সঙ্গে তাঁর ভাতিজি খাদিজাতুল আনোয়ার সনি (সাবেক এমপি) আটক হয়েছেন বলে গুঞ্জন উঠলেও তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
৭ ঘণ্টা আগে