Ajker Patrika

চলনবিলে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত: নাবি জাতের ধান নিয়ে বিপাকে কৃষক

তাড়াশ (সিরাজগঞ্জ) সংবাদদাতা
আপডেট : ০৪ জুন ২০২৫, ১৭: ৪০
পানিতে তলিয়ে যাওয়া জমিতে ধান তুলতে ব্যস্ত কৃষকেরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
পানিতে তলিয়ে যাওয়া জমিতে ধান তুলতে ব্যস্ত কৃষকেরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

উজানের ঢলের পানি ও ভারী বৃষ্টিপাতে চলনবিলের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত আত্রাই, গুমানী ও ভদ্রাবতী নদ-নদীর পানি বেড়ে চলনবিলের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে এই অঞ্চলে সরিষার আবাদ-পরবর্তী নাবি জাতের ব্রি-২৯ ধান নিয়ে বিপাকে পড়েছেন কৃষকেরা। বিশেষ করে নাটোরের গুরুদাসপুর, সিংড়া ও সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার সীমানাবর্তী এলাকায় অনেক জমি পানিতে তলিয়ে গেছে। যদিও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে বলা হচ্ছে, এই অঞ্চলে শতকরা ৯৩ ভাগ বোরো ধান কৃষক ইতিমধ্যে ঘরে তুলতে সক্ষম হয়েছেন।

এসব এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, বিলে পানি বাড়ায় ব্রি-২৯ ধান কেটে ঘরে তুলতে ব্যস্ত রয়েছেন কৃষক। কেউ হাঁটুপানি, কেউ কোমরপানিতে নেমে ধান কাটছেন। এসব ধান পরিবহনে ব্যবহৃত হচ্ছে নৌকাসহ ভাসমান কলাগাছের ভেলা। এদিকে বৈরী আবহাওয়ার কারণে কৃষক ধান কাটলেও শুকাতে না পারায় পাকা রাস্তায় স্তূপাকার করে রেখেছেন। প্রতিকূল পরিবেশে ধান কাটতে কৃষিশ্রমিক সংকটসহ শ্রমিকের মজুরি বেড়েছে।

তাড়াশ উপজেলার বৃপাচান গ্রামের কৃষক শফিকুল ইসলাম ও নাদোসৈয়দপুর গ্রামের কৃষক রহিচ উদ্দিন বলেন, নাবি জাতের ধান নিয়ে নাকাল অবস্থা। উৎপাদন খরচ বাড়ায় এ বছর তাঁদের লোকসান গুনতে হবে। তাড়াশ কৃষি আবহাওয়া অফিস পূর্বাভাস দিয়ে জানাচ্ছে, এ বছর স্বাভাবিক সময়ের ১০ দিন আগে মৌসুমি বায়ু দেশে প্রবেশ করেছে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত আকাশ মেঘলাসহ কোথাও কোথাও বৃষ্টি হতে পারে। তবে পরদিন শুক্রবার থেকে আবহাওয়া কিছুটা ভালো হতে পারে।

এ প্রসঙ্গে তাড়াশ উপজেলা কৃষি অফিসার মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ইতিমধ্যে ৯৩ ভাগ বোরো ধান কাটা ভালোভাবে সম্পন্ন হয়েছে। বৈরী আবহাওয়ার কারণে বিলের নিম্নাঞ্চলের নাবি জাতের ধান নিয়ে কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে সব ধান কাটা সম্পন্ন হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত