নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
গণহত্যায় জড়িত পুলিশ সদস্যদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়ে জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক ও জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেছেন, ‘কিছু পুলিশ সদস্য সরাসরি এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত ছিল, অথচ এখনো তাদের বিচার হচ্ছে না। দায়ী পুলিশ সদস্যরা বদলির মাধ্যমে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন, যা কোনো ধরনের শাস্তি নয়।’
আজ শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) রাজশাহী বিভাগের শহীদ পরিবারের মাঝে জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সহায়তার চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। আজ শনিবার দুপুরে জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে ‘শহীদ পরিবারের পাশে বাংলাদেশ’ শীর্ষক এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
গণহত্যায় জড়িত কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এই গণহত্যার সাথে আমরা পুরো বাংলাদেশ পুলিশকে জড়িয়ে দেব না। কিন্তু দায়সারা কথাও আমরা মেনে নেব না যে “খুনি হাসিনা বলেছিল বলে গুলি করেছি”। খুনি হাসিনা যদি গুলি চালানোর হুকুমও দেয়, তাহলে একজন ব্যক্তি হিসেবে আপনার মনুষ্যত্ববোধ, দেশের মানুষের জন্য যে শপথ নিয়েছেন, সে মনুষ্যবোধ কোথায় ছিল?’
তিনি বলেন, ‘কতিপয় পুলিশ সদস্য সরাসরি এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত ছিল, তাদের কেন এখনো বিচার হচ্ছে না? আজকে আমরা দেখছি ওই সব পুলিশ নতুন করে পোস্টিংয়ের মাধ্যমে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে। খুনের শাস্তি কি শুধু বদলি?’
গণহত্যায় জড়িত পুলিশ সদস্যদের বিচারে পুলিশকেই সহায়তার আহ্বান জানিয়ে এই ছাত্রনেতা বলেন, ‘পুলিশের যে সকল সদস্য গণহত্যায় জড়িত ছিল, যারা জড়িত ছিলেন না, তারা যদি তাদের বিচারের জন্য সহযোগিতা না করেন, তাহলে পরোক্ষভাবে আপনারাও গণহত্যায় জড়িত হয়ে যাবেন। কালো দাগ লেগে গেছে পুলিশে, এই কালিমা আপনাদেরই মুছতে হবে।’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘কোনো রাজনৈতিক দলের দালালি আপনাদের কাছ থেকে প্রত্যাশা করি না। আপনারা এটা করবেন না। পুলিশ দায়িত্বশীল হলে আগামী ছয় মাসেই বাংলাদেশ ঠিক হয়ে যাবে।’
সারজিস আলম বলেন, ‘পুলিশ সেই মামলাগুলো নিচ্ছে না, যে মামলাগুলোতে তাদের পুলিশ সদস্যদের নাম রয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় রাজনৈতিক সমঝোতা হচ্ছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ওই খুনি আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগকে টাকার বিনিময়ে বাঁচানোর জন্য ব্যাকডোরে নেগোসিয়েশন করছে। এই যে মামলা-বাণিজ্য, এতে রাজনৈতিক দল যেমন জড়িত রয়েছে, তেমনি প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিও জড়িত রয়েছে। নতুন বাংলাদেশেও পুলিশ সদস্য বিভিন্ন জায়গায় মামলাবাণিজ্য করছে।’
সারজিস বলেন, ‘যারা এই গণহত্যায় সরাসরি জড়িত ছিল তাদের বিন্দুমাত্র ছাড় দেব না। পুলিশ হোক, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ পরিচয় যা-ই হোক, এই পরিচয়গুলো মুখ্য নয়। তার বিরুদ্ধে যদি ডকুমেন্ট থাকে তাহলে আমাদের কাছে তার একমাত্র পরিচয় একজন খুনি, হত্যাকারী। তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।’
অনুষ্ঠানে রাজশাহী বিভাগের ৬৩টি শহীদ পরিবারের মধ্যে ৪৬ জন পরিবারকে পাঁচ লাখ টাকার করে চেক দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে বিভাগীয় কমিশনার খোন্দকার আজিম আহমেদ, রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মোহাম্মদ আবু সুফিয়ানসহ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কয়েকজন সমন্বয়ক বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠানে শহীদ পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
গণহত্যায় জড়িত পুলিশ সদস্যদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়ে জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক ও জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেছেন, ‘কিছু পুলিশ সদস্য সরাসরি এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত ছিল, অথচ এখনো তাদের বিচার হচ্ছে না। দায়ী পুলিশ সদস্যরা বদলির মাধ্যমে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন, যা কোনো ধরনের শাস্তি নয়।’
আজ শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) রাজশাহী বিভাগের শহীদ পরিবারের মাঝে জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সহায়তার চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। আজ শনিবার দুপুরে জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে ‘শহীদ পরিবারের পাশে বাংলাদেশ’ শীর্ষক এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
গণহত্যায় জড়িত কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এই গণহত্যার সাথে আমরা পুরো বাংলাদেশ পুলিশকে জড়িয়ে দেব না। কিন্তু দায়সারা কথাও আমরা মেনে নেব না যে “খুনি হাসিনা বলেছিল বলে গুলি করেছি”। খুনি হাসিনা যদি গুলি চালানোর হুকুমও দেয়, তাহলে একজন ব্যক্তি হিসেবে আপনার মনুষ্যত্ববোধ, দেশের মানুষের জন্য যে শপথ নিয়েছেন, সে মনুষ্যবোধ কোথায় ছিল?’
তিনি বলেন, ‘কতিপয় পুলিশ সদস্য সরাসরি এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত ছিল, তাদের কেন এখনো বিচার হচ্ছে না? আজকে আমরা দেখছি ওই সব পুলিশ নতুন করে পোস্টিংয়ের মাধ্যমে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে। খুনের শাস্তি কি শুধু বদলি?’
গণহত্যায় জড়িত পুলিশ সদস্যদের বিচারে পুলিশকেই সহায়তার আহ্বান জানিয়ে এই ছাত্রনেতা বলেন, ‘পুলিশের যে সকল সদস্য গণহত্যায় জড়িত ছিল, যারা জড়িত ছিলেন না, তারা যদি তাদের বিচারের জন্য সহযোগিতা না করেন, তাহলে পরোক্ষভাবে আপনারাও গণহত্যায় জড়িত হয়ে যাবেন। কালো দাগ লেগে গেছে পুলিশে, এই কালিমা আপনাদেরই মুছতে হবে।’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘কোনো রাজনৈতিক দলের দালালি আপনাদের কাছ থেকে প্রত্যাশা করি না। আপনারা এটা করবেন না। পুলিশ দায়িত্বশীল হলে আগামী ছয় মাসেই বাংলাদেশ ঠিক হয়ে যাবে।’
সারজিস আলম বলেন, ‘পুলিশ সেই মামলাগুলো নিচ্ছে না, যে মামলাগুলোতে তাদের পুলিশ সদস্যদের নাম রয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় রাজনৈতিক সমঝোতা হচ্ছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ওই খুনি আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগকে টাকার বিনিময়ে বাঁচানোর জন্য ব্যাকডোরে নেগোসিয়েশন করছে। এই যে মামলা-বাণিজ্য, এতে রাজনৈতিক দল যেমন জড়িত রয়েছে, তেমনি প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিও জড়িত রয়েছে। নতুন বাংলাদেশেও পুলিশ সদস্য বিভিন্ন জায়গায় মামলাবাণিজ্য করছে।’
সারজিস বলেন, ‘যারা এই গণহত্যায় সরাসরি জড়িত ছিল তাদের বিন্দুমাত্র ছাড় দেব না। পুলিশ হোক, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ পরিচয় যা-ই হোক, এই পরিচয়গুলো মুখ্য নয়। তার বিরুদ্ধে যদি ডকুমেন্ট থাকে তাহলে আমাদের কাছে তার একমাত্র পরিচয় একজন খুনি, হত্যাকারী। তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।’
অনুষ্ঠানে রাজশাহী বিভাগের ৬৩টি শহীদ পরিবারের মধ্যে ৪৬ জন পরিবারকে পাঁচ লাখ টাকার করে চেক দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে বিভাগীয় কমিশনার খোন্দকার আজিম আহমেদ, রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মোহাম্মদ আবু সুফিয়ানসহ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কয়েকজন সমন্বয়ক বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠানে শহীদ পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে আটক হন নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের নেতা নাজমুল কবির শিশির। আজ শুক্রবার বিকেলে চাঁদাবাজি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে তাঁকে জেল-হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। তিনি রামগঞ্জ পৌরসভার আঙ্গারপাড়া এলাকার মো. নয়ন মাস্টারের ছেলে।
১ ঘণ্টা আগেকুমিল্লায় যৌথ বাহিনী তুলে নেওয়ার পর হাসপাতালে তৌহিদুর রহমান নামের এক যুবদল নেতার লাশ পেয়েছে পরিবার। আজ শুক্রবার বেলা সাড়ে ১২টায় তাঁর মৃত্যুর খবর পায় পরিবার। তবে কখন তাঁর মৃত্যু হয়েছে সে তথ্য জানা যায়নি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হেফাজতে যুবদল নেতার মৃত্যু তথ্য জানিয়েছেন তাঁর ভাই আবুল কালাম।
১ ঘণ্টা আগেইতালি নেওয়া কথা বলে ফরিদপুর থেকে দুই জনকে নেওয়া হয়েছিল লিবিয়ায়। সেখানে নেওয়ার পর তাঁদের ওপর নির্যাতন করা হয়। এরপর নেওয়া হয় মুক্তিপণ। তবে এতেও মুক্তি মেলেনি। গুলি করে হত্যা করা হয়েছে ওই দুই যুবককে। ঢাকা, ফরিদপুর, লিবিয়া, গুলি, হত্যা, জেলার খবর
১ ঘণ্টা আগেএক মাসের ব্যবধানে হত্যাকাণ্ড ও সহিংসতার ঘটনায় সাবেক সরকারসংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে মামলার সংখ্যা বেড়েছে ৪ গুণের বেশি। আর আসামির সংখ্যা হয়েছে দ্বিগুণের বেশি। সরকার পতনের পর গত ডিসেম্বরে হত্যাকাণ্ড ও সহিংসতার ঘটনায় সাবেক সরকারসংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে মামলার সংখ্যা ছিল ১৭টি। জানুয়ারিতে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭২টি।
১ ঘণ্টা আগে